Logo
শিরোনাম

চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে কঠোর হতে বলল বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানা ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে যখন তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে, যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে যার উপসর্গ এরই মধ্যে দৃশ্যমান।

সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে। সুতরাং কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় মাহমুদউল্লাহর

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোসণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।এবার ওয়ানডে থেকেও বিদায় নিলেন। তাই বাংলাদেশের জার্সিতে আর বাইশ গজে দেখা যাবে না এই অলরাউন্ডারকে। বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর ঘোষণা করলেন।

আজ বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর ঘোষণা করলেন।

মুশফিকুর রহিম বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটকে। পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে তামিম ইকবালও অবসরে চলে গেছেন আগেই। সাকিব আল হাসানের দলে ফেরার সম্ভাবনাটা নানা কারণেই ক্ষীণ। বাকি শুধু মাহমুদউল্লাহ। তবে তিনিও সে ভাবনাটা ভাবছেন, জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

গেল সোমবার ২০২৫ সালের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২২ ক্রিকেটারের নাম জানিয়েছিল বিসিবি। এরপর এই তালিকা থেকে সরে দাঁড়ান মাহমুদউল্লাহ। 

চলতি মাসের শুরু থেকে তিনি সরে গেছেন চুক্তির বাইরে। তার ফলে মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে গুঞ্জনটা আরও বেড়েছে। 

টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিকে বহু আগেই বিদায় বলেছেন তিনি। এবার বাকি কেবল ওয়ানডে। সে নিয়েও ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এমনটাই ধারণা বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। তার কথা, যেহেতু সেন্ট্রাল কন্টাক্টে না থাকার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে (মাহমুদউল্লাহ), এ থেকে বোঝা যায় সে এসব (অবসর) নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

তিনি আরও যোগ করেন, আমার মনে হয় চিন্তা ভাবনার একটা সলিড জায়গায় আসলে এটা নিয়ে আমরা আলাপ করতে পারব। মিডিয়াতেও নিয়ে আসতে পারব পরে। তখনই স্পেসিফিক কিছু (আনুষ্ঠানিক বিদায়ের) প্লান-প্রোগ্রাম আমরা প্রকাশ করতে পারব।


আরও খবর

আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫




ওলামা লীগের সদস্য সচিব এখন ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কৌশলে কমিটিভুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে সুশীল সমাজের ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করে অস্তিত্ব বহাল রাখছেন।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঝালকাঠি জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মাওলানা মোহা. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কানাঘুষা শুরু হয়। কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা নেয়ামত উল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ছাইদুর রহমান বলেন, জেলা ওলামা দলের কমিটি করার পূর্বে বিভিন্নভাবে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছি।

তাদের দেয়া মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নামের চূড়ান্ত তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তারা সেই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। নেয়ামতের নাম কমিটির মধ্যে কিভাবে রইলো বা ঢুকলো সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। অপরদিকে গত ১ মার্চ ক্যাবের সুলভ মূল্যের বাজার “প্রশান্তি” পরিচালনায় বেশ কয়েজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে যুবদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে সেখানে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পরে ফ্যাসিবাদের দোসররা সেখান থেকে কৌশলে কেটে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার ঝালকাঠি এলজিইডির হিসাব রক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার দাবিতে করা মানববন্ধনে অন্যান্য ঠিকাদারদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আ. হাকিমও অংশ নেন। তিনি ব্যানারে ছাত্রদলের শীর্ষ পদের এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান জানান দেন। আ. হাকিম নাচন মহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট পদধারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাগিনা। ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে অনেকেই বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকছে। বিএনপি কারো যথেচ্ছ দল না, যার মনে চাইবে আসবে আবার যার মনে চাইবে যাবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নীতি-নির্ধারকদের আরো কঠোর হয়ে ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না। সঠিক তথ্যের অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি সেবা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় পরিচপত্র (এনআইডি) সেবা আপাতত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ১২ মার্চ আইসিটি ভবনে “এনআইডির ওনারশিপ” শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ বলেন, কমিশনের অধীনে ৩৫ ধরনের তথ্য আছে। তারও বেশি আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের অধিকার ইমপ্লিমেন্টেশন করার জন্য ৩৫ ধরনের তথ্যের প্রয়োজন আছে কি? এই প্রশ্নটি যৌক্তিকভাবে এবং কারিগরিভাবে উপস্থাপন হয়েছে। আমরা যেটা বলছি আমরা ডেটা অথরিটির কথা বলছি।

আমরা বলছি না যে নির্বাচন কমিশনের যে আইটি সেল আছে সেটাকে বন্ধ করে দেব। তার যে সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং কারিগরি ক্ষমতা আছে সেটাকে আমরা নিয়ে নেব? আমরা যেটা বলছি ডাটা অথরিটির মাধ্যমে রেগুলেটেড হবে যার কাছে যেটা আছে সেটা আপাতত সেখানেই থাকবে।

একটা পর্যায়ে এসে যখন এই সফটওয়্যারগুলোকে রূপান্তর করা দরকার যখন এগুলো পুরোনো হবে। ওই সময় ওই সময় যেটাকে একটা কেন্দ্রীয় অথরিটির আন্ডারে নিয়ে আসব। আপাতত যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।


আরও খবর



ঈদযাত্রা : ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। দুপুর ২টায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা রেলওয়ের (কমলাপুর) স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৮টায় অনলাইনে পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি। অন্যবারের মতো এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৪ মার্চ, ২৫ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে।


আরও খবর



শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ফাল্গুনের শেষ দিকে এসে বেড়েছে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি, এবং তাপমাত্রার পারদও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর চলতি মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি তীব্র কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহের মতো বিপজ্জনক আবহাওয়া পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন মাসে অন্তত ৮ দিন বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে এবং ২ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, মার্চ থেকে মে মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হওয়া সাধারণ ঘটনা হবে, তবে এগুলোর তীব্রতা এবং ঘণত্ব কখনও বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, এই সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি বিপদের আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য। ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে, তবে তীব্র ঝড়, বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই তিন মাসে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৪ থেকে ৭টি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই তাপপ্রবাহগুলোর তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যা মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়। তবে, কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে পরিচিত।

এছাড়া, কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে আসা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতাসের গতিবেগও ভয়াবহ হতে পারে, যা স্থানীয়ভাবে বৃক্ষপতন এবং তীব্র বৃষ্টির সৃষ্টি করতে পারে। এসব আবহাওয়ার কারণে কৃষি, সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর