Logo
শিরোনাম

চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারাল ৯০৯ জন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে সারা দেশে ৯০৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩০০৮ জন রোগী। তাদের মধ্যে দুই হাজার ১৯৬ জনই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন।

বছরের একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি তিন হাজার ৭৯৪ জন। অন্যরা ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মোট ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বকশীগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছেন দলিল লেখকরা। গত রোববার থেকে তারা এই কর্মসূচী পালন করছেন। সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন দলিল লেখকরা। সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মুখোমুখি অবস্থানের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির দাতা গ্রহীতারা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া জানান,চলতি বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন।  যোগদানের পর দলিল লেখকদের সাথে বৈঠক করেন সাব-রেজিস্ট্রার। বৈঠকে সাব-রেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আমাকে সহযোগীতা করবেন,আমি আপনাদের সহযোগীতা করবো। দলিল প্রতি বাড়তি সাড়ে ৫ হাজার টাকা চান তিনি। বাড়তি টাকা না দিলে একটা দলিলও পাশ হবে না। তাৎক্ষনিক দলিল লেখকরা বাড়তি টাকার বিষয়ে আপত্তি জানালে সনদ বাতিলের হুমকিও দেন সাব-রেজিস্ট্রার। সনদ হারানোর ভয়ে দলিল লেখকরা আর কিছু বলার সাহস করেনি। ফলে বাড়তি টাকা দিয়েই দলিল করতে বাধ্যহয় দলিল লেখকরা। এতে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা গ্রহীতারা দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন। এই নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দলিল প্রতি বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাব-রেজিস্ট্রারকে জানান দলিল লেখকরা। এতেই দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবরেজিস্ট্রার। বনিবনা না হওয়ায় দলিলের প্রতি পাতার জন্য ১৫ টাকা করে নিতে পারবেন দলিল লেখকরা এমন আদেশ দেন। এর বেশি নিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন এবং এক অফিস আদেশও জারি করেন তিনি। এই নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এতে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষনা দেন দলিল লেখকরা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী বলেন,বকশীগঞ্জে যোগদানের পরেই দলিল প্রতি বাড়তি অর্থ দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার। তার দাবি না মানায় কোন কারন ছাড়াই সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকদের সাথে অসাদাচরন,সনদ বাতিলের হুমকি,দলিলের দাতা গ্রহীতাদের নানা ভাবে হয়রানি ও তাদের সাথে খারাপ আচরন করে আসছেন সাবরেজিস্ট্রার মুহাম্মদ তামীম। এই কারনেই সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচী চলবে।  

মেরুরচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে কষ্ট করে এলাকায় ৫ শতক জমি কিনেছেন। জমি রেজিস্ট্রি নিতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কর্মবিরতির কারনে দলিল করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, যখন জানতে পারি আমার নাম ভাঙিয়ে দলিল লেখকরা জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা ও গ্রহীতাদের কাছে বাড়তি টাকা নেয়, ঠিক তখনই আমি দুর্নীতি বন্ধের ঘোষনা দেই।  এতেই দলিল লেখকরা আমার প্রতি মনোক্ষুন্ন হন। দলিল লেখকরা তার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কর্মবিরতি করছেন। অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে তিনি আর নীতিতে অটল থাকবেন বলে জানান।


আরও খবর



গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজীপুরে বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনের নবম দিন বুধবারেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিল্প কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় এদিন আন্দোলনরতদের তাণ্ডব তেমন একটা চোখে পড়েনি। এদিন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

বুধবার গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস (নাওজোর-ভুলতা) সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরতদের মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকালে স্থানীয় রুয়া ফ্যাশন নামের গার্মেন্টস কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মরত শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দিয়ে ছুটি ঘোষণা করে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করলেও তেমন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

এদিকে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন পরিহার করে সকলকে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য গাজীপুর মেট্রো চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলমের মঙ্গলবারের আহ্বানের প্রেক্ষিতে গত কয়েক দিনের তুলনায় বুধবার শ্রমিকদের আন্দোলন অনেকটা প্রশমিত হয়। ওই আহ্বানের পর এদিন স্বল্প সংখ্যক শ্রমিকরা তাদের দাইবর সমর্থনে আন্দোলনে মাঠে নামে। বুধবার সকাল থেকেই পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মঈনুল হক জানান, গত ২৩ অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকেরা। সপ্তম দিনের মতো সোমবারও শ্রমিকরা আন্দোলন বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা উত্তেজিত হয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পরে টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চায় জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের শিডিউলের মধ্যে তারা এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।

১২ নভেম্বর সচিবালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

দেশ কি বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, নাকি আপনারা শেষ পর্যন্ত বিএনপির অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাদের এত জনপ্রিয়তা তারা বলেন, সেটি যাচাই করুক। তাদের এত উদ্যোগী কর্মী যারা ২০ মিনিটে ময়দান ছেড়ে চলে গেছেন, তারা কতটুকু নামে আমরা একটু দেখি। তাদের এত জাদরেল নেতা, পুলিশের আওয়াজে- কোনো গুলি হয়নি, কোনো টিয়ারগ্যাসও (নিক্ষেপ) হয়নি, ছোটবেলায় যে বড় বাজি ফোটাতাম সেই বাজির আওয়াজ হয়েছে, সেই আওয়াজে মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন। তারা নির্বাচনে আসুক, এসে দেখুক তাদের কতটুকু জনপ্রিয়তা। কর্মীরা কতটুকু নামে, এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা চাই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে। নির্বাচনের শিডিউলের মধ্যে তারা এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।

যদি তারা না আসে? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন হতে হবে। কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো অংশগ্রহণ করবে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি শহর প্রতিটি গ্রাম বদলে যাচ্ছে, অন্যদিকে দেশ ধ্বংসের জন্য পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে জনগণের ওপর, জনগণের গাড়ি-ঘোড়ার ওপর এবং তারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না।

সবাই মিলে সোচ্চার হয়ে এগুলো বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

অবরোধ ডেকে আগের দিনই বিএনপি হামলা চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে? এগুলোকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বললেও কম বলা হয়।

তারা রাস্তায় নেমে এসে ব্যারিকেড দিক। আমরা অবরোধ দেখেছি, আপনারা পালন করুন। সেটি তো তারা করে না, চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। বলেন হাছান মাহমুদ।

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, তাদের (বিএনপি) আন্দোলন করার অধিকার আছে। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে, আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। সেই অধিকার মানে তো গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়। এটিকে কেউ সমর্থন করেনি, করে না। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অনেকে তাদের এ কর্মকাণ্ডকে কনডেম করেছে। তারা অনেককে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডকে কেউ সমর্থন করে না করতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বৈঠকের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে যে বৈঠকটি হয়েছে সেটি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। সেই বৈঠকের বিষয় একান্তই তাদের। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি পত্রপত্রিকায় এসেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন, উন্নয়ন- এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অবশ্যই ভারত যেটি বলেছে, যথার্থ বলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ঠিক করবে নির্বাচনের মাধ্যমে কারা ক্ষমতায় আসবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের হাতে, আদালতের হাতে। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না। সরকারের কাছে যেটুকু ক্ষমতা ছিল সেটা দিয়ে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা সরকার করে দিয়েছে, বাকিটা আদালতের বিষয়।

বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া সেটি যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই। নির্বাচন প্রতিহতের কথা বলা মানেই দেশবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। সুতরাং দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য যারা রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। সরকার, জনগণ, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখা। সেজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, সেগুলো করা হবে।

 


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে ওসিসহ তিন পুলিশকে জখম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল:বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহনে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।

৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের গুঁড়ি, সিমেন্টের পিলার ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এছাড়া খণ্ড খণ্ড মিছিল করতে দেখা যায় তাদের। এ সময় বিএনপি সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে পাঁচরুখী এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে টিয়াসসেল ও রাবার বুলেট পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সকাল সোয়া ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে সেখান থেকে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।


আরও খবর



রাকিবের বাড়িতে থামছে না পরিবারের আহাজারি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : পরিবারের আদরের সন্তান রাকিব হোসেন (১৬)। মায়ের জন্য ঔষধ কিনে ফেরার পথে দূর্ঘটনায় হারিয়েছে প্রাণ। তার মৃত্যুর শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে যেন গ্রাম। আর সন্তান হারিয়ে থামছে না তার মা-বাবার আহাজারি। তাঁদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পাবিয়াখালী গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে রাকিব। সাত ভাই ও এক বোন নিয়ে মোট আটজনের মধ্যে রাকিব ছিল ছয় নম্বর। সে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো বলে জানা গেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে,রাকিব মাদ্রাসা থেকে ছুটি পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মায়ের জন্য ঔষধ আনতে ময়মনসিংহে যায় সে। ঔষধ কিনে বিকেলে সিএনজিতে বাড়ি ফেরার পথে তাদের সিএনজিতে একটি বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কার আঘাতে প্রাণ হারায় রাকিব।

এদিকে সন্তানের এমন মৃত্যুতে কিছুতেই থামছে না মা-বাবার আহাজারি। প্রতিবেশীরা কেউ দেন সান্ত্বনা,কেউ ফেলেন চোখের পানি।

নিহত রাকিবের মামাতো ভাই উমর ফারুক জানান,গত রাতে রাকিবের নিজ বাড়ি পাবিয়াখালী পৌঁছায় তার মরদেহ। আজ সকালে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। তিনি বলেন,তার মায়ের জন্য ঔষধ কিনে বাড়ি ফিরছিলো। কিন্তু ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফরিদ মিয়া বলেন,এমন মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। রাকিবের সঙ্গে আরও একজন মারা গেছেন।  তার বাড়ি অন্য স্থানে। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে এলাকার মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে রাকিবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর