Logo
শিরোনাম

চলতি মাসে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, অক্টোবরে স্বাভাবিকের চেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে স্বল্পমেয়াদি বন্যা। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। দেশের উপক‚লীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা আপাতত আর নেই। এ জন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের জন্য দেওয়া ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত রোববার নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘অক্টোবরে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’

অক্টোবরের মধ্যভাগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকালীন বায়ুপ্রবাহ) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে চার দিন মাঝারি ধরনের বজ্রসহ ঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। চলতি মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর অঞ্চল), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট অঞ্চল) ও দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ৩ অক্টোবর ৬৪ জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৪ থেকে ৫ অক্টোবর তিস্তা নদীর উপক‚লবর্তী জেলাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হতে পারে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বায়ুদূষণে লাহোরে জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতের শুরুতেই ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাব। পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে, বায়ুদূষণের কারণে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরসহ উত্তর-পূর্ব পাকিস্তানের বেশ কিছু শহরে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি এক দিনের জায়গায় বাড়িয়ে করা হয়েছে চারদিন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দশনা বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দ্বিতীয়-জনবহুল শহর লাহোর এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্য জেলাগুলোতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বায়ুদূষণের কারণে সৃষ্ট ভারী ধোঁয়াশার কারণে সপ্তাহে চারদিন ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, এখন থেকে অফিস, স্কুল, কলেজ, সিনেমা, পার্ক এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেস রোববার ছাড়াও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবারও বন্ধ থাকবে।

তবে বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে শনিবার ও রোববার। মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ধোঁয়াশার কারণে চলমান পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত লাহোর, গুজরানওয়ালা, হাফিজাবাদ এবং নানকানা সাহিব জেলায় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, প্রশাসন ইতোমধ্যেই উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং ফসল পোড়ানো ও বাতাসে ধোঁয়াশা সৃষ্টিকারী অন্যান্য কারণগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আনাদোলু বলছে, লাহোর শহরটি পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী এবং এখানে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করেন। বিষাক্ত ধোঁয়ার স্তরে আচ্ছন্ন এই শহরটি বর্তমানে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে একটি।

অবশ্য লাহোরের এই বায়ুদূষণের জন্য নাকভি প্রতিবেশী ভারত থেকে বাতাসে ভেসে আসা ধূলিকণা ও দূষিত নানা বস্তুকে দায়ী করেছেন। মূলত ভারতীয় পাঞ্জাবের ধান চাষীদের খড় ও বিচুলি পোড়ানোর কারণে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বাতাসে মিশে তা দূষিত করে ফেলে এবং সেই বাতাস একদিকে দিল্লি ও অন্যদিকে লাহোরকেও সমস্যার মধ্যে ফেলছে।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর অক্টোবরের শেষের দিক থেকে বায়ুদূষণ শুরু হয় ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও। এই দূষণের প্রধান কারণ দিল্লির দুই সীমান্তবর্তী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার গ্রামগুলোতে বিপুল পরিমাণ খড়-বিচুলি পোড়ানো।

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এসব গ্রামের দরিদ্র মানুষ খড়-বিচুলি পোড়ান, কিন্তু সেই আগুনের ফলে সৃষ্ট ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বাতাসে ভেসে দিল্লির বায়ুতে মিশে যায়। আর এটাই পার্শ্ববর্তী লাহোর ও পাকিস্তানি পাঞ্জাবের অন্যান্য স্থানে বায়ুদূষণের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।

লাহোরের স্থানীয় আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, ধোঁয়া এবং অন্যান্য দূষণকারী বস্তু বাতাসের মাধ্যমে ভারতীয় পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে লাহোরে প্রবেশ করে থাকে। মূলত জলন্ধরের কৃষকরা প্রতি বছর নভেম্বরের শুরুতে বপনের মৌসুমে তাদের ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলেন।

এদিকে ধোঁয়াশা এবং বায়ুদূষণের কারণে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে শত শত লোকের গলা ব্যথা এবং চোখে চুলকানি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা জনসাধারণকে বেশি বেশি পানিসহ আরও তরল পান করার এবং শ্বাসকষ্ট এড়াতে বাড়ির ভেতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



গাজায় প্রতিদিন ৪২০ শিশু হতাহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাত ২৫ দিনে গড়াল। প্রতিদিন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৪২০ জনের বেশি শিশু হতাহত হচ্ছে। এমন তথ্য সামনে এনেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রতিদিন ৪২০ জনেরও বেশি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে। গাজা ছাড়াও পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে অন্তত ৩৭ শিশু নিহত হয়েছে। সংঘাতে ৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আর গাজা উপত্যকায় অন্তত ২০ শিশু বন্দি রয়েছে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি এই অঞ্চলের শিশুদের ভাগ্য নিয়ে শঙ্কিত।

ক্যাথরিন রাসেল নিরাপত্তা পরিষদকে অবিলম্বে একটি রেজুলেশন পাস করার আহ্বান জানান। সেখানে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং অবিলম্বে বন্দি শিশুদের মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।

মধ্য গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে আল-নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তারা নিহত হন।


আরও খবর



সরিষাবাড়ীতে আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনের তিন বগিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি: 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আগুনের সূত্রপাত বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বলতে পারেনি কেউ। ঘটনার পরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিআরপি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনটি রাত সোয়া ১টার দিকে সরিষাবাড়ী স্টেশনে থামে। কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছাড়ার সাথেসাথেই তিনটি বগিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনটি থেমে যায়।

উল্লেখ্য, যমুনা ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান ট্রেনে আগুনের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত: মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতিতে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বীর বিক্রম সক্রিয়তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি নতুন দল গঠন করছেন, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকে।

বুধবার ৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় বনানীতে নিজের বাসায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এ সময় বলেন, অনেকগুলা ভুল আমরা করেছি, সেই দলীয় ভুল প্রকাশ করার জায়গা এটি না। আর এটা প্রকাশ করাও ঠিক হবে না। কিন্তু আমার তো কোনো ফোরাম নাই এবং দলে কোনো অবস্থান নাই। গত আট বছর দলে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। কোনো নেতা নির্বাচিত হয়নি। কারণ, নেতা নির্বাচন করার সুযোগ নাই এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য রাখারও সুযোগ নেই।


তিনি বলেন, আমার চোখ কান নষ্ট না। আমি কোনো বধির স্কুলে পড়ি না। তবে জাতির স্বার্থে কিছু কিছু কথা বলতেই হয়। তবে আমার দেশ সবার উপরে। আমার নেতা জিয়াউর রহমান বলেছেন দেশ সবার আগে। আমিও তাই মনে করি, সে জন্য দু-চারটি কথা বলছি। তবে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।


বিএনপিতে সত্য কথা বলার মতো কোনো লোক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক বিশেষ করে চেয়ারপারসনের সামনে সত্য বলার মতো লোক আমার সামনে পড়েনি। অনেক আগে সাইফুর রহমান সাহেব বলতেন; তিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এছাড়া বাকি সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলা আর কিছু জানেন না। এই হলো বাস্তবতা।


২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার দরকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থা লেজে-গোবরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় দেওয়ার জন্য। কখন একজন এ আহ্বান জানায়? কারা এ ধরনের আহ্বান জানায়? আমরা সেই অবস্থার ফায়দা নিতে পারিনি। যে পথ অনুসরণ করেছি, সেই যে রাজপথে গেছি এখনো সেই রাজপথেই আছি।


হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই সে নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা করব। তবে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া উচিত। দলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন, তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের ওপর জোর না দিয়ে বিকল্প খোঁজা উচিত। আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের সরকার কিছুই না।


দেশের সহিংসতা তরুণ-কিশোরদের ওপর প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রতিদিন টেলিভিশনে দেখি বাস জ্বলছে। সেটা আওয়ামী লীগের ক্যাডারও জ্বালাতে পারে আবার বিএনপির থেকেও জ্বালাতে পারে। অথবা অন্য কেউ। তবে এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির ওপর এসে পড়ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেশের অভিভাবক হিসেবে সব সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।


হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, আমি মনে করি বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলই ক্ষমতায় আসবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনে আদায় করতে জানতে হবে। শুধুমাত্র রাজপথে স্লোগান দিলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে বাড়ি যাবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক কানেকশন খুবই দুর্বল। সে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নেতৃবৃন্দ তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অনেক সময় রাষ্ট্রদূতের কথাবার্তা এক পেশে মনে হয় এবং সেটারও কোনো বেনিফিট বিএনপি নিতে পারেনি। তবুও এখন বিএনপির উচিত কীভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যায়। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে মাঠে থাকবে।

  

আগামী নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইনমন্ত্রণালয় একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, তবে এটিও দিনের আলোর মতো সত্য যে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও হবে না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের অধীনেও হবে না।


রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অবসরে যাওয়ার বিষয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। এখন আমার প্রায়োরিটি হলো শারীরিক সুস্থতা লাভ করা এবং চিকিৎসা করা। রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ এখন আর আমার অবশিষ্ট নেই।

 

গতকাল তথ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিএনপির মধ্যে একেবারেই একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। গত কয়েকদিন ধরে কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। অতি শীঘ্রই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি। মোট কথা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। এমন এক সময় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি একটি নতুন দল করতে যাচ্ছি। যা একদমই সঠিক নয়। আমি এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ৩১ বছর ধরে বিএনপির সদস্য।


তিনি আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও ভুল বোঝাবুঝিকে আমার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আর বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে আমার নেত্রী। তিনি যতদিন সুস্থ ছিলেন আমার কোনো সমস্যা ছিল না। এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন আমার করতে হয়নি। আমি কমফোর্টেবলি জনগণের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা ক্ষমতায় থেকে বা বিরোধী দলে থেকেই হোক না কেন। তবে দুঃখের বিষয় বিগত দুবার নিজের ভোটটাও দিতে পারিনি।


২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাকে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তারপর যখন আমি পুলিশ প্রোটেকশনে আমার নির্বাচনী এলাকায় গেলাম তখন আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছিল। যে কারণে সেবার আমি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ওইদিন আমাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি একটা মামলা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এই হচ্ছে আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা। এমন অভিজ্ঞতা আমার মতো আরও অনেক বিরোধী দলের নেতার আছে। এরপর নির্বাচন থেকে সরে আসার পর আমার দলকে নাকি ৮০টি আসন দেবে নির্বাচনের পরে। আমি এই খবরও জানি না, আর এই ৮০ জনের মধ্যে আমি নিজেও ছিলাম না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে আমার দল থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আমার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ছিল। আমি দলে সক্রিয় না, দলের কোনো কাজ করি না, সংস্কারপন্থী, আমি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করি। এ ধরনের আজগুবি ১১টি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল- আমি শওকত মাহমুদের সঙ্গে বিজয় নগরে সরকার বিরোধী মিছিল করেছি। আমরা বিরোধী দল সরকার বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করতেই পারি। তবে আমি এই মিছিলে কখনোই ছিলাম না। এসবে আমি কখনোই অংশগ্রহণ করিনি। তখন আমি শো-কজের লিখিত জবাবও দিয়েছি। তবে আমার বক্তব্যের জবাব দল থেকে পাইনি। 


আরও খবর



রাঙ্গাবালীতে আ'লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার নাসিরের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক উপকমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার  মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে  মতবিনিময় সভা করেছেন। রোববার বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

এ সময় মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসির উদ্দিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত কর্মী হয়ে সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে আসছি। মানুষের সেবায় নিজেকে উজার করে দেওয়াই আমার রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। আশাকরি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করবেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল হাসান, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দিক, উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক কৃষিক লীগের সভাপতি ননী মিয়া প্রমুখ।


আরও খবর