Logo
শিরোনাম

চলতি মাসে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, অক্টোবরে স্বাভাবিকের চেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে স্বল্পমেয়াদি বন্যা। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। দেশের উপক‚লীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা আপাতত আর নেই। এ জন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের জন্য দেওয়া ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত রোববার নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘অক্টোবরে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’

অক্টোবরের মধ্যভাগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকালীন বায়ুপ্রবাহ) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে চার দিন মাঝারি ধরনের বজ্রসহ ঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। চলতি মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর অঞ্চল), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট অঞ্চল) ও দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ৩ অক্টোবর ৬৪ জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৪ থেকে ৫ অক্টোবর তিস্তা নদীর উপক‚লবর্তী জেলাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হতে পারে।


আরও খবর



রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :

বাংলার রূপকথা মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র কাজলরেখা। দেশে দর্শক হৃদয় জয় করে এবার অংশ নিচ্ছে প্রেস্টিজিয়াস নেদারল্যান্ডসের রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'কাজলরেখা' উৎসবের ৫৪তম আসরে লাইমলাইট বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে।

দেশে সিনেমাটি যা মুক্তি পায় গত ১১ এপ্রিল। বাণিজ্যের বিচারে না হলেও  সমালোচকরা ছবিটির প্রশংসা করেছে।


রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা’ নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘এই উৎসব বরাবরই এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্মগুলোকে প্রাধান্য দেয়, মৈমনসিংহ গীতিকার মতো প্রাচীন একটি রূপকথাকে এই সময়ে এসে লোকাল ফর্মে কীভাবে পর্দায় হাজির করলাম সেটাই ওদের আগ্রহী করেছে। এরজন্য সম্মানিত বোধ করছি।

রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে সরাসরি অংশ নেবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।


আরও খবর

প্রেমে পড়েছেন পরীমনি

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪




ফুলবাড়িতে পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের বিকল্প কলা পাতায় লবণ বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী :

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নজরদারি বা তৎপরতা না থাকার কারণে সরকারের এই আইনকে উপেক্ষা করে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে ক্রেতা এবং ক্রেতারা যত্রতত্র ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার অবাধে করে যাচ্ছে।  


সোমবার ১৮ (নভেম্বর) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারে সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায় ব্যতিক্রম একটি দৃশ্যে।পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশ রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে শমসের আলী নামের এক লবণ ব্যাবসায়ী কলা পাতায় ১ কেজি করে লবণ সুন্দর করে প্যাকেট জাত করে বিক্রি করছেন। তার এই মহতী উদ্যোগকে বাজারে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।আবার অনেকে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা সহ তার দোকানের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট ও করছেন।


জানাযায়, লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদাহ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ বছর ধরে তিনি খড়িবাড়ি বাজারে খোলা বাজারে লবণ বিক্রি করে আসছেন।


এব্যাপারে লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) বলেন, আমি খবর শুনেছি টেলিভিশনে অনেক জনে পেপার পত্রিকায় পরেছেন তাদের মুখে শুনেছি, সরকার পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেই কারণে আমি সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে, পরিবেশ রক্ষার জন্য নিজ উদ্যোগে ১ কেজি লবণ কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো প্যাকেট করে বিক্রি করছি।কলা পাতায় লবণ বিক্রি করার কারণে আপনার বিক্রি কমেছে না কি এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, নানা কমেনি বরং আমার এমন উদ্যোগ দেখে সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন। তিনি আরও জানান আসলে পলিথিন খুব ক্ষতিকারক সবাই জেনে ও এখনো ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের লোক যদি একটু তদারকি করতেন তাহলে এর ব্যবহার অনেক টা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।


খড়িবাড়ি বাজারে লবণ ক্রেতা, আনোয়ারা হোসেন, মমিনুল হক, ইলাহী বকস জানান, কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা গুলো এমন ভাবে তৈরি করেছে ব্যাগে রাখলে পরার সম্ভাবনা নাই। একদম পরিবেশ বান্ধব প্যাকেট গুলো,সমসের চাচার এই মহতী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।ব্যবসায়ী জাহেদুল হক জানান,বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব উদাহরণ স্বরূপ কলাপাতার প্যাকেটে লবণ বিক্রি করছেন শমসের চাচা।তার এই অসাধারণ পদ্ধতি দেখে আরও একজন লবণ ব্যবসায়ী কলা পাতায় লবণ বিক্রি করছেন,এই পদ্ধতি ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। তিনি আরও জানান,কলার পাতা একদম সহজলভ্য এবং পচনশীল যা পরিবেশ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


রাবাইতারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, রেজাউল হক মনি জানান,একসময় এই কলা পাতায় মোড়ানো প্যাকেটের মাধ্যমে লবণ সহ অন্যান্য দ্রব্যাদি বেচা কেনা হতো প্রায় চল্লিশ পয়চল্লিশ বছর আগের কথা হবে।কিন্তূ যুগের পরিবর্তনে এটা আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে যায় যুগের পরিবর্তনে আসে পলিথিনের ব্যবহার এটাযে পরিবেশের জন্য কত ক্ষতিকারক তা আমরা কখনো ভেবে দেখিনা।আজ অনেকদিন পর কলা পাতায় মোড়ানো লবণের প্যাকেট দেখে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে গেল।খুব ভালো লাগলো। এটি অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব আমরা এতদিন জেনেশুনে পলিথিন ব্যবহার করে পরিবেশ বিষাক্ত বানিয়ে ফেলেছি।বর্তমান সরকার যেহেতু পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমারা সবাই সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। নিজের পরিবেশ নিজেই রক্ষা করি,পলিথিন ব্যবহার না করি। পরিবেশ রক্ষার্থে আসুন আমরা সবাই পুরোনো দিনে ফিরে যাই, পলিথিনের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব কলার পাতা শট্রির পাতা বা পাটজাত পচনশীল পণ্যের ব্যবহারে এগিয়ে আসি।সবাই সুস্থ থাকি।


আরও খবর



নওগাঁয় সুমন হত্যাকান্ডে জড়ীতদের আটক ও বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী যুবক সুমন হোসাইন (২৩) কে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ সহ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের চৌ-রাস্তামোড়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র-জনতা। সড়ক অবরোধ করায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলন ও থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান পৌছে আন্দোলন কারীদের আসস্ত করেন যে, দ্রুত সুমন হোসাইন হত্যার সাথে জড়িতদের আটক পূর্বক আইনের আওতায় নেওয়া হবে।  ইতি মধ্যেই প্রশাসন কাজ করছে এমন আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। সুমন হোসাইন হত্যার মূল বুলবুলসহ অজ্ঞাত সকল জড়িত আসামীকে সনাক্ত করা সহ আইনের আওতায় এনে বিচার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার, উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য মারুফ মোস্তফা ও মেহের রাব্বি, জামায়াত নেতা আখতার ফারুক প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দ্রুত সকল জড়ীত আসামীদের আটক করতে হবে। আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন ছাত্র-জনতা বলেও ঘোষণা দেন এসময় বক্তারা। এক পর্যায়ে পরবর্তীতে আরো তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন ছাত্র-জনতা।

অপরদিকে, সুমন হোসাইন হত্যার বিচার দাবিতে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজেড মিজান এর ডাকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জরুরি ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ ছিলো। পরে বেলা ২টারদিকে নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও ৩টায় উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, গত রবিবার ১৭ নভেম্বর সুমন হোসাইন পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার থেকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়ে একটি সিএনজি যোগে ফেরার পথে পত্নীতলা উপজেলায় নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌছালে দূর্বত্তের হামলার শিকার হোন। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিলে সে অন্ধকারে গিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য ফেসবুক লাইভে আকুতি-মিনতি করেন। এরি মাঝে ঘটনাস্থলে লোকজন এগিয়ে গেলেও তার পূর্বেই সুমন হোসাইনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে সুমন হোসাইন কে গাছে ঝুঁলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হত্যাকান্ডের শিকার 

সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া গ্রামের মৃত ময়েন ও শাহিদা বেগম এর ছেলে। সে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা'র) পত্নীতলা উপজেলা শাখার উন্যতম সদস্য এবং নজিপুর সরকারী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এঘটনায় সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার বাদী হয়ে ১৮ নভেম্বর রাতে গাহন গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে বুলবুল ইসলাম (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনকে আসামী করে পত্নীতলা থানায় মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিদের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ৩০ জন সদস্য ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা বৈঠকে অংশ নেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধি ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন প্রবাসীরা। লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য এবং দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন তারা।

এ সময় প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না, ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানব। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।

তিনি যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর



দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, একাট্টা দলগুলো

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদে না রাখার বিধান যুক্ত করে তা বাস্তবায়ন, নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহার বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা পুনঃপ্রবর্তনের দাবিসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সুপারিশ জানিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত সংবলিত প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে।

দলগুলোর প্রস্তাবনার মধ্যে আরো রয়েছে, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ গ্রহণ, তৃণমূলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্প্রতি ও সৌহার্দ সমুন্নত রাখতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রথা বাতিল করা, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ও বিতর্কিত ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্ভুল তালিকা প্রণয়ন এবং কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করে নির্বাচন পরিচালনা অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগদান।

গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও কমিশনকে জবাবদিহিতার আওয়তায় আনতে ২২টি প্রস্তাবনা দিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত এই প্রস্তাবনাটি নির্বাচন ভবনে জমা দিয়েছে। দলটি প্রস্তাবনায় বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুর্নবহাল করতে হবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংশ্লিষ্ট সবার ঐকমত্য ও সমন্বিত উদ্যোগের ভিত্তিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে আইনী বৈধতা দিয়ে সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সৎ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়াতে হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রশ্নে জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ও বহুল বিতর্কিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

জাতীয় সংসদে অধিকতর দল ও মতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ সংসদকে অধিকতর প্রতিনিধিত্বমূলক করার উদ্দেশ্যে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (প্রোপোশনাল রিপ্রেজন্টেশন-পিআর) প্রথা চালু করতে হবে। নতুন নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত বা ত্বরান্বিত করতে দুই বারের বেশি কোন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না। তৃণমুল পর্যায়ে আবহমানকাল ধরে চলে আসা সামাজিক ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকের বিধান বিলুপ্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিল করতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শগ্রহণের বাধ্যবাধকতা না রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। নির্বাচনে অনিয়ম হলে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ নির্বাচন বাতিল করার সংক্রান্ত আরপিওর ৯১(ক) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করতে হবে।

এদিকে ইসলামী আন্দোলনের ১৪টি প্রস্তাবের মধ্যে নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, ভোটগ্রহণের পূর্বে ভোটকেন্দ্রের মোট ব্যালট পেপার, তার ক্রমিক নম্বর, শূন্য ব্যালট বাক্স সব দলের পোলিং এজেন্ট এবং সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করা, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারী, জালভোট প্রদানকারী এবং নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন করা, যাতে ভবিষৎতে আর কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার সাহস না পায়। এছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষক রাখা এবং ইসিকে এমন ক্ষমতা দেওয়া, যাতে কোনো দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মানবতাবাদী অপরাধে লিপ্ত হলে কমিশন তাদের দলীয় নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে, আরপিওতে এমন শক্ত বিধান যুক্ত করা।

বাংলাদেশ সমমনা জোটের ২১ প্রস্তাবনার মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনিদিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা, অর্থপাচার রোধ ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ করা, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত করা ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তজার্তিক সীমান্ত আইন বাস্তবায়ন করা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পরও যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন এ সংক্রান্ত আইনের কঠোর বিধান যুক্ত এবং বেআইনি ঘোষণা করা।

আর খেলাফত মজলিশও বেশকিছু সুপারিশ করেছে নির্বাচনী কমিশন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে। তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা, ব্যয়ের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম পেলে প্রার্থিতা বাতিল এবং এমনকি নির্বাচিত হলেও তার পদ বাতিল ঘোষণা করার বিধান আইনে সন্নিবেশ করা। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং চাকুরিজীবীদের জন্য পোস্টার ব্যালট প্রথা সচল রাখা।

এদিকে, প্রত্যেকটি দলই কয়েকটি বিষয় অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে এর মধ্যে সংখ্যানুপাতে সংসদ গঠন (পিআর প্রথা চালু), তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে না থাকা এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ গ্রহণ এবং নির্বাচনে তাদের বিচারিত ক্ষমতা প্রদান করা।


আরও খবর