Logo
শিরোনাম

চুপ থাকা অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেওয়া !

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডমোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :

চুপ করে থাকা মানুষদের আমরা ভালো মানুষ হিসেবে বিবেচনা করছি | সমাজ তাদের নাম দিয়েছে অতিশয় ভদ্র মানুষ, যারা কারো সাথেও নেই, পাছেও নেই | সমাজের অন্য মানুষেরা কোথায় আছে না আছে এটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তারা নিজেরা সেভ জোনে আছে ভেবে এই মানুষগুলো সব সময় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে |

কেউ কেউ চুপ থাকা এই সংস্কৃতিকে বাহবা দিয়ে এসব মানুষকে সারাজীবন বোবা মানুষ বানিয়ে রাখার মোটিভেশন দিচ্ছে | এই কৌশল অবলম্বন করে বিরাট একটা শ্রেণীকে যদি সমাজের মূল স্রোত থেকে বাইরে রাখা যায়, তবে মন্দ কি?

 

চুপ থেকে যদি ভালো মানুষের স্বীকৃতি খুব সহজে পাওয়া যায়, এই ভেবে সমাজের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ মুখে তালা দিয়ে রেখেছে | অথচ এদের সমাজের সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণী বলে কেউ কেউ ভাবলেও এরাই সমাজ ধ্বংসের মূল কারিগর হিসেবে কাজ করছে | এদের চুপ থাকা অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেওয়াতে ভূমিকা রাখছে, সমাজের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করছে | এদের এমন মনোভাবের কারণে মানুষের পক্ষে, সমাজের পক্ষে, দেশের পক্ষে একদিন কথা বলার কোনও মানুষ পাওয়া যাবেনা |

চুপ থাকা মানুষরা নিজেদের স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দেয় | চুপ থেকে ভালো মানুষের সংজ্ঞায় নিজেদের ফেলে তারা এই সুবিধা নিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়না |

 

এই শ্রেণীর বাইরে আরও দুটো শ্রেণী আছে, খুব সহজ করে বললে ১. উচিত কথা বলার মানুষ এবং ২. সুবিধাবাদী মানুষ | এর বাইরেও আগাছা, পরগাছা, পরজীবী মানুষ তো আছেই |

উচিত কথা বলার মানুষদের সংখ্যা আমাদের সমাজে ক্রমশ কমতে কমতে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে এসেছে |

চুপ থাকা মানুষদের নীরবতা সুবিধাবাদী মানুষদের অন্যায়কে আরও সহজ করে দিচ্ছে | এদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভূমিকায় সুবিধাবাদী মানুষদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে |


চুপ থেকে দুপক্ষকেই খুশি রাখা মানুষদের ভালো মানুষ বলাটা কতটা যৌক্তিক, সেটাও ভাববার বিষয় | মনে রাখতে হবে, নিউট্রাল গেয়ারে কখনো গাড়ি চলেনা | চুপ থেকে নিরপেক্ষতার অভিনয় সুবিধাবাদিতার চেয়েও ভয়ংকর |

আর অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনই সমান অপরাধী |


নীরব থাকা অনেকটা নীরব ঘাতকের মতো | সুবিধাবাদী ও চুপথাকা মানুষের সংখ্যা একত্রে অনেক বেশি হওয়ায় উচিত কথা বলার মানুষেরা কোনঠাসা হয়ে আছে, সব জায়গায় তারা হারছে, মার্ খাচ্ছে | ঘুরে দাঁড়াতে চুপ থাকা মানুষদের তথাকথিত ভালো মানুষের মুখোশটা খুলে মুখটাকে বের করে আনা খুব বেশি প্রয়োজন | মনে রাখতে হবে, ভালো মানুষ সেজে ভালো থাকা আর প্রকৃত ভালো মানুষ হওয়া এক কথা নয় | নিজে ভালো থাকা মানে ভালো থাকা নয়, সবাইকে নিয়ে ভালো থাকাই ভালো থাকা |

 

আমাদের সমাজে মানুষদের মূল সমস্যা হচ্ছে তারা বাস্তবের নায়ক-ভিলেনদের চিনতে পারছেনা | ভিলেনকে ভাবছে নায়ক, নায়ককে ভাবছে ভিলেন | এটা বাড়তে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে এর বোঝা টানতে হবে | সমাজের সবাই সুবিধাবাদী হয়ে গেলে সমাজটাকেই একদিন নিলামে তুলে বিক্রি করার মতো অবস্থা তৈরী হতে পারে | সমাজ বিক্রি হলে মানুষ দাস হয়ে যায় আর দাসত্বের চেয়ে বড় কলংক আর কিছু নেই |


আরও খবর

নির্বাচন ও রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ

রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিডিয়ায় ৩০ বছর...

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




তিনদিনে সিরিয়ায় ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত তিনদিনে সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থি নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যোদ্ধারা ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার পলাতক সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদ আল-বাশারের আমলের কর্মকর্তা।যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাতকারী বিদ্রোহী বাহিনী নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পশ্চিম হোমস অঞ্চলে অনির্দিষ্ট ‘লঙ্ঘন’র জন্য বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।

সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ শুক্রবার একটি ‘ক্রাইম গ্রুপের’ সদস্যদের অভিযুক্ত করেছে যারা ‘নিরাপত্তা পরিষেবা’র সদস্য হিসেবে বাসিন্দাদের ওপর নির্যাতন চালাতো।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস মনিটর জানিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টায় (তিন দিন) ৩৫ জনের প্রাণহানির গুরুতর লঙ্ঘন এবং সংক্ষিপ্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে এসব গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই পলাতক আসাদ সরকারের সাবেক কর্মকর্তা।

অবজারভেটরি জানিয়েছে, ‘হোমস এলাকায় নিরাপত্তা অভিযানে অংশগ্রহণকারী ক্ষমতাসীন নতুন সুন্নি ইসলামপন্থী জোটের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর কয়েক ডজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, অস্ত্রের বিস্তার এবং নতুন কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে বাশার আল-আসাদের গোত্রের আলাউই সংখ্যালঘুদের ওপর পুরানো নির্যাতনের প্রতিশোধ নিয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির জন্য জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে অভিযোগ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, গঠনের পর থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টারা। সরকারের মধ্যে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরে বা জুনে যখনই হউক; জাতীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যে রাজনৈতিক দল জাতীয় সরকারে যাবে না, জনগণই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ আগস্টের পরেই জাতীয় বা সর্বদলীয় সরকার গঠন জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করা হয় নাই। অন্তবর্তীকালীন সরকার নাম দিয়েই সরকারকে দুর্বল করা হয়েছে। এখন সরকার ও রাজনৈতিক দল মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। এখন এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে এই বিভাজনই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিবে।

আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সুযোগ পায়, তাহলে কিন্তু কাউকে ছাড়বে না। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অনেক এজেন্ট কাজ করবে, ফান্ড দেবে। কাজেই ছাত্রসহ সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন এবং করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো ছাত্রকে আমরা শক্ত অবস্থানে দেখছি না। এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালানোর দরকার ছিল। কিন্তু বুঝতে পারছি না, তারা কেনো আওয়ামী লীগের প্রশ্নে একটা সুবিধাবাদী অবস্থায় আছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে। তারা ধান্দা করার জন্যই টাকা খরচ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংস্কারে যারা কাজ করছেন, তারা কালো টাকা আর পেশিশক্তি ব্যবহার বন্ধে কি কাজ করেছেন আমাদের সেটা জানা নাই। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে নূন্যতম একটি শর্ত রাখতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকেই প্রার্থীর পোস্টারসহ নূন্যতম খরচ দিতে হবে। এ সময় তিনি উপদেষ্টাদের ভূমিদস্যু এবং লুটেরা দুইটি গ্রুপের বৈঠকের অভিযোগ তোলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, কেন উপদেষ্টারা বিএনপিকে বলছে, তারা কি ১/১১ চায়? বিএনপি তো ১/১১ এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বরং শোনা যাচ্ছে এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আশপাশে এক-এগারোর কুশীলবরা ঘোরাফেরা করছে। বরং মানুষের মনে উদ্বেগ যে, এ সরকার ব্যর্থ হয়ে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টি করে কি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, ব্যর্থ হবেন না। সব রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার ফলাফল ভাল হবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকার গত সাড়ে ৫ মাসে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। বরং পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো কেনো শেখ পরিবার, আওয়ামী হাইকমান্ড ও তৃণমূল থেকে আওয়ামী পান্ডাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কেনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না; শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেনো নিত্যপণ্যের দাম না কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলো? সরকারের এসব ব্যর্থতা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে উপদেষ্টারা।

এসময় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাড়বে তাপমাত্রা, রয়েছে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের এবং কুমিল্লা অঞ্চলের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গজারিয়া থেকে বাল্কহেড চুরি করে শ্যামপুরে বিক্রি, ৩০টন মালামাল-সহ আটক ৪

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

খবর নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চর বাউশিয়া ফরাজীকান্দি নদীর ঘাট হতে এমবি মাছিয়াতা দরবার শরীফ নামক একটি বালুবাহী বাল্কহেডের স্টাফগণ বাল্কহেড খরচ বাবদ নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলসহ বালু আনার জন্য সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরবর্তীতে বাল্কহেডের স্টাফগণ  উক্ত বালুবাহী বাল্কহেড চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। 


গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি. নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এমন সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলকে দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত অবগত করা হয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশ জোরদার অভিযান পরিচালনাসহ তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। অভিযান পরিচালনাকালে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি.  নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন এর নেতৃত্বে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল ও নৌ পুলিশ ঢাকা অঞ্চলের যৌথ অভিযানে ডিএমপি, ঢাকার শ্যামপুর থানার সহায়তায় পোস্তগোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একজন আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার হেফাজত থেকে চোরাইকৃত বাল্কহেডটির ৪১১টি কাটা অংশ (ওজন প্রায় ৩০টন) উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাৎ ডিএমপি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চোরচক্রের আরো তিনজন সহযোগীসহ শাহাদাত হোসেন (২৪), সাদ্দাম হোসেন (৩৩), মোঃ শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও নাছিমা (৫০) সহ মোট চারজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এই সংক্রান্তে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে জোর অভিযান অব্যাহত আছে।


আরও খবর



নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। একজন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনকালীন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ আসাদ পরিবার।

তিনি বলেন, ২৪-এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। ৬৯ গণঅভ্যুত্থানের তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।

আমরা এখনো একটা নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা একটা সামগ্রিক ব্যাপার। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা বদলানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সবসময় সেটা পারি না।

গত ১৫ বছর আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অবশেষে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেই বিজয়ের মধ্যদিয়ে সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশা-আশা করছি, যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের স্বপ্নগুলো যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের মোটা ভাতকাপড় পরে থাকতে পারেন। তবুও ভোটাধিকার ফিরে পেতে চান। কথা বলার অধিকার চান। তাদের সন্তানরা যেন লেখাপড়া শিখতে পারেন সেটা চান। তারা ন্যায়বিচারের সমাজ চান।

তিনি আরও বলেন, একটা কথা আমি সবসময় বলি। যেই কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। আমি বলি নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কেন বলি সেটাও অনেক বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি বিগত ১৫ বছর নির্বাচন থেকে আমরা বঞ্চিত। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। এখন সেই বিষয়টাকে যদি জোর করে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে জনগণ আবার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই ধরনের নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, তাহলে অন্যান্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তখন জনগণের যে চাহিদা সেখান থেকে তারা পুরোপুরি বঞ্চিত হয়। আমরা এই কথাটা বারবার বলতে চাই, নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, যার জন্য গত ১৫ বছর আমরা লড়াই করেছি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক জানিয়ে ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। একটা বিষয়ে সবাই একমত একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। সেই নির্বাচন শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক পথে যাওয়ার একটা পথ সৃষ্টি করা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে সবগুলো সংস্কার শেষ করে নির্বাচনে যাওয়ার কথা আসছে। তাহলে কি এখন আমরা ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করব? তাহলে কি যতদিন সংস্কার না হয়, ততদিন জনগণ অপেক্ষা করবে?

আমলাতন্ত্র আগে যে ব্যবস্থায় ছিল, এখন সেই ব্যবস্থায় সচিবায়ল থেকে প্রশাসনে সব জায়গায় দলীয়করণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে আমরা বলছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন, আমি বলেছি যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। আমি কথা বলেছি, তার কারণ আছে। আমরা দেখছি বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। আমরা আশা করবে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে। দেশে যে সংকট আছে, সেটা থেকে মুক্ত করবে।

শহীদ আসাদ আমাদের ইতিহাসের একটি নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে যতই স্মরণ না করুক কিন্তু ইতিহাস থেকে আসাদকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অমর হয়ে থাকবে আসাদ।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫