Logo
শিরোনাম
মুক্তিযুদ্ধে মোহনগঞ্জ মহেশখলা

ডা আখ্লাকুল হোসাইন আহমেদ গ্রন্থের (বর্ধিত সংস্করণ) মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা): 

বাংলাদেশে একটি সংবিধান আছে। বাংলাদেশের সকল নির্বাচনেই সংবিধান অনুযায়ী হয়ে আসছে। আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ীই হবে। 

মুক্তিযুদ্ধে মোহনগঞ্জ মহেশখলা ইয়ুথ ক্যাম্প ও ডাক্তার আখ্লাকুল হোসাইন আহমেদ গ্রন্থের (বর্ধিত সংস্করণ) মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ একথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

আজ শুক্রবার বিকেলে মোহনগঞ্জ পৌর পাবলিক হল মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আমি আজ যে অনুষ্ঠানে এসেছি সেই অনুষ্ঠান যাকে কেন্দ্র করে তিনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলেন। সেই পরিবারের সাথে আমার একটা পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একই পেশায়। আমাদের পরিবারের সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। এই বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প রয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমারও ভালো লাগছে। 

এতে সভাপতিত্ব করেছেন আপিল বিভাগ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও আখ্লাকুল হোসাইন আহমেদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হাসান।

মোড়ক উন্মোচন শেষে আইনমন্ত্রী আরও বলেছেন,  বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে। কারো রেডিও ব্রডকাস্টিং হয় নি। 

কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের  ইতিহাসকে বিক্রিত করার করেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় এসে মানুষের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন।  যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।  আজকের এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এটি থেকেও নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানবে। 

এতে অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা জজ আদালতের বিচারকগণসহ জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এই প্রকাশের ফলে সারা বাংলাদেশ তথা মোহনগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাবে। এই বইটি মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে মনে করছে উক্ত জেলার বীর  মুক্তিযোদ্ধাগণ। 

বক্তাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, এ বইটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের আত্মকথা, বীর শহীদদের বীরত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নতুন জ্ঞান দিবে।


আরও খবর



লালমনিরহাট অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব  প্রতিনিধি: লালমনিরহাট অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ভোকেশনাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ মার্চ) ১১টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট সদরের কুলাঘাটে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লালমনিরহাট অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ভোকেশনাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে এ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

লালমনিরহাট অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ভোকেশনাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি উত্তম কুমার রায়-এঁর সভাপতিত্বে সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগারের পরিচালক মোঃ জামাল হোসেন-এঁর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ্। উদ্বোধক ছিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিয়ার রহমান। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতআরা ফেরদৌস, লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল বারী, আরডিএস ঢাকার সেক্রটারী জেনারেল গাউসুল আযম, কবি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফেরদৌসী বেগম বিউটি। বক্তব্য রাখেন আরডিএস ঢাকার ভাইস চেয়ারম্যান সাফিনুর রহমান সনদ, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সরিফুল ইসলাম রাজু, কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী, লালমনিরহাট সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব আলী, একুশে টেলিভিশনের লালমনিরহাট প্রতিনিধি গোকুল রায় প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. জাহেদুল হক (জাহিদ), কুলাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হক, কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মন্টু, লালমনিরহাট অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ভোকেশনাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কুমার বর্মন, সহকারী শিক্ষক তুষার কান্ত রায়, অনুপমা রাণী, নুপুর রাণী, লক্ষ্মী রাণী, তাপসী রাণী, প্রভাবতীসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য-সদস্যা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঈদের বাজারেও চড়া দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :ঈদ মানেই নতুন পোশাক। ধনী-গরিব সবাই চায়, সাধ ও সাধ্য মতো নতুন পোশাক কিনে ঈদের আনন্দে সারাদিন মেতে থাকে। কিন্তু এবার সেই আনন্দও মাটি হয়ে যেতে পারে অনেকের। কারণ, নিত্যপণ্যের বাজারের আঁচ লেগেছে রাজধানীর পাইকারি মার্কেট ও শপিংমলগুলোয়। ঈদ সামনে রেখে ক্রেতাদের পকেট কাটার অভিযোগ উঠছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাত তুলে রোজার শুরু থেকেই পোশাকের বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন তারা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনাকাল ও সরকারের বিধিনিষেধের কারণে ৩ বছরের (২০২০, ২০২১ ও ২০২২) ঈদে আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি। এর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে ব্যবসায় দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। তাই এবারের ঈদে ৩ বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে, না হলে আগামীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই ঈদে পোশাকের শতকরা ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ দাম বাড়িয়েছেন তারা।

রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, মৌচাক-মালিবাগ এবং নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের চাহিদা মূলত গজ কাপড়, থ্রিপিস ও পাঞ্জাবিতে। এই তিনটির পাশাপাশি শাড়ি ও লেহেঙ্গা, গাউনসহ অন্যান্য পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলোও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সারিসারিভাবে সাজিয়ে রেখেছে দেশি-বিদেশি পণ্যগুলো। ক্রেতা দেখলেই হাঁকডাক দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নানান কথা ও অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্টের চেষ্টা করছেন তারা। তবে ক্রেতার পোশাক পছন্দ হলেই ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন। হাজার টাকার কাপড়ে ন্যূনতম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা মুনাফা করছেন। অর্থাৎ ক্রেতারা ২০২২ সালে যে পোশাক ১ হাজার টাকায় কিনেছেন। এবছর সেটা ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যারা দর-দাম কম করছেন না, তাদের আরো বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের এক কথা করোনার কারণে ৩ বছর ব্যবসা করতে পারিনি। পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা ধরে রেখেছি, এবারের ঈদে পোষাতে হবে। অর্থাৎ তিন বছরের লাভ এবার করতে হবে।

মার্কেটে আসা ক্রেতারা বলছেন, ঈদে পোশাকে শতকরা ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে একদিকে ডলারের দাম বেড়েছে। এতে করে গত বছরের তুলনায় ডলার প্রতি ২০-২৫ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এছাড়া দোকান ও কর্মচারী ভাড়াসহ খরচের পর মুনাফা আসবে। সব কিছু হিসাব করে এবার বেশি দামে পোশাক বিক্রি করতে হচ্ছে। ভারত-চীন থেকে শাট ও টি-শার্ট আমদানি করে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ শপিং সেন্টারে বিক্রেতা শিমুল আহমেদ বলেন, গত বছর ভালো ব্যবসা হয়েছে। এবছরও শবেবরাতের পর থেকে বিক্রি হচ্ছে টুক-টাক। আশা করছি- আগামী সপ্তাহ থেকে বিক্রি বাড়বে।

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, প্রত্যেক ঈদেই ঘরে পড়া ও সাধারণ পার্টিতে ঘুরে বেড়ানো পোশাকই বেশি বিক্রি হয়। আমরা সেই চিন্তা করেই পোশাক উৎপাদন করেছি। ভারত, পাকিস্তান এবং কাশ্মীর থেকে আমদানি করেছি। তবে এবার এসব পোশাকের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। গত বছর ১ হাজার টাকায় যে থ্রিপিস বিক্রি করেছি। এবছর সেই থ্রিপিস বিক্রি করছি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। আমাদের কোন উপায় নেই, কারণ ডলারের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। উৎপাদন খরচও বেড়েছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়েছে। এ কারণে ঈদেও পোশাকের দাম বেড়েছে। এবার ঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারলে আশা করছি করোনা ও সরকারের বিধিনিষেধের কারণে গত ৩ বছর যে লোকসান হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।

 


আরও খবর

সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩

ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা

বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩




অবৈধ বিশ হাজার সিএনজি ঢাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২৬১জন দেখেছেন

Image

নুর মোহাম্মদ মিঠু :

মিটার নেই, নেই রুট পারমিট, এমনকি বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের অনুমতিও নেই Ñএরকম ২০ হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার সড়ক। ঢাকা মহানগরীর বৈধ সিএনজিগুলো মিটারে না চললে শাস্তির মুখোমুখি হলেও অবৈধ এসব সিএনজি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চলছে বহাল তবিয়তে। দীর্ঘদিন ধরেই এর নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী একটি দালালচক্র। যে চক্রের মাধ্যমে অবৈধ সেসব সিএনজি অটোরিকশায় নগরীতে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা, যানজট, চুরি, ছিনতাই ও রাহাজানি। জানা গেছে, মেট্রোর কালার পরিবর্তন করেই ঢাকা মহানগরীতে চলছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার ২০ হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা। এদের দাপটে অনেকটাই কোনঠাঁসা ঢাকায় বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের জন্য অনুমোদিত পনের হাজার সিএনজি অটোরিকশার মালিক-চালকরাও। যদিও রহস্যজনক কারণে সেই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বৈধ চালক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এ নিয়ে বৈধ চালকদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও বিআরটিএ বলছে,......।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে পৃথক দুটি অভিযোগ করে নিবন্ধিত শ্রমিক সংগঠন ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বেশকটি জেলার সিএনজি অটোরিকশা ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের জন্য অনুমোদিত নয়। অননুমোদিত হলেও এমন ২০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা ঢাকায় চলাচল করছে শুধুমাত্র দালাল চক্রের নেতৃত্বে। যে চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাত্রাবাড়ী এলাকার বিদ্যুৎ গলির তাছলি। চক্রের সক্রিয় সদস্য রয়েছেন বাড্ডার ৩৯৫ স্বাধীনতা স্বরনীর জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন বাবু ও বাড্ডার বাগানবাড়ী এলাকার তোফাজ্জাল। এছাড়াও ওই চক্রে রয়েছেন আনোয়ার ভান্ডারী, আকাশ, শাহিন, বাড্ডার স্বপন চৌধুরী, রনি, রুবেল, বাড্ডার গোলাম মোয়াজ্জেম ও একই এলাকার বিল্লাল হোসেন। চক্রটির যোগসাজসেই ঢাকার বাইরের সিএনজি অটোরিকশায় ঢাকা মেট্রোর রং করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহানগরীর সড়ক। জানা গেছে, অবৈধভাবে চলাচল করা ২০ হাজার সিএনজি অটোরিকশার কারণে ঢাকা মহানগরীতে প্রাণহানিসহ অসংখ্য ঘটনাও ঘটেছে। তবুও ঢাকার সড়ক থেকে অবৈধ সেসব সিএনজি অটোরিকশা উৎখাতে নেই কোনো উদ্যোগ। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ এসব সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায় করছে দালালচক্রটি। সিএনজি প্রতি পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে চক্রটি। বিনিময়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মামলা, জরিমানার বিষয়গুলো সমাধান করছে তারা। চক্রটির আঁতাত রয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সাথেও। এসব গাড়ি আটক করা মাত্রই তাদের তদবির বাণিজ্য শুরু হয়ে যায়। কখনো কখনো নিজেদের পেশাদার চালক হিসেবেও পরিচয় দেন তারা। বিভিন্ন  কৌশলে আইনি জটিলতা মোকাবিলা করার পরও ওই চক্রের সদস্যরা সিএনজি চুরির নাটক সাজিয়ে সহজ সরল চালকদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। সূত্র বলছে, ওই চক্রের সদস্যদের গোপন আঁতাত রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গেও। কোন এলাকা থেকে কারা সিএনজি চুরি করে সেই তথ্যও তাদের কাছে থাকে। গত ৫ জানুয়ারি এমনই একটি ঘটনা ঘটে। সেদিন ঢাকায় (ঢাকা মেট্রো থ ১৩-৭৫৯২) নম্বরের একটি সিএনজি চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু সিএনজির চালক হান্নান গ্যারেজ পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই দালাল চক্রের সদস্য এবং ওই সিএনজির মালিক জাহাঙ্গীর চোরের সাথে যোগাযোগ করে সিএনজি ফেরত নিয়ে আসে। যদিও চালক হান্নানের কাছ থেকে এই ঘটনায় জরিমানা হিসেবে ১১ হাজার টাকা আদায় করে জাহাঙ্গীর। শুধু তাই নয়- এ চক্রের সদস্যরা সরাসরি সিএনজি চুরির সঙ্গেও জড়িত। ঢাকায় দাপিয়ে বেড়ানো ওই দালাল চক্রের একজন তফাজ্জল। যার নামে টাঙ্গাইলসহ দেশের একাধিক থানায় সিএনজি চুরির মামলা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ চক্রের বিরুদ্ধে এখনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঢাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ হবে না।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, মিটারে চালিত সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা করেও চাঁদা আদায় করছে চক্রটি। চালকদের বলা হচ্ছে, ঢাকায় মিটার ছাড়া গাড়ি চালানো, নো পার্কিংসহ অন্য কোনো মামলার সম্মুখীন হতে হবে না তাদের। এক হাজার টাকা মাসোহারায় এসব জক্কিঝামেলা মেটানোর দায়িত্বও নিচ্ছে তারাই। এছাড়াও নগরীতে সিএনজির দরজা লাগানোর বিধান না থাকলেও ওই দালালচক্রের দাপটেই দরজা লাগিয়ে ভাড়ায় চলাচল করছে অবৈধ সেসব সিএনজি। 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন আমার সংবাদকে বলেন, সিএনজি অটোরিকশা সেক্টরে যদি শৃঙ্খলা ফেরাতে হয় তাহলে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিগত ২০০২ সালে ঢাকার সড়ক থেকে ৩৭ হাজার বেবিট্যাক্সি উচ্ছেদ করা হয়। এরস্থলে নিবন্ধন দেয়া হয় ভাড়ায় চালিত ১৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা। অথচ এতোদিনে ঢাকার পরিধি বেড়েছে চারগুণ, জনসংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। এ বিবেচনায় ২০০৭ সালে সরকার ঢাকায় চলাচলের জন্য বৈধ পাঁচ হাজার থ্রি-হুইলার বরাদ্ধ দেয়। এ সংক্রান্তে একটি মামলাও করে ঢাকা অটোরিকশা মালিক সমিতি। মালিক সমিতির পক্ষে রায়ও হয়। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় চলাচলরত অবৈধ গাড়িগুলো উচ্ছেদ করলে বৈধ গাড়িগুলোও মিটারে চালাতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। যদিও ইতোমধ্যে গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির উচ্চমূল্যের প্রভাবে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এক্ষেত্রে মিটারের ভাড়াও না বাড়ায় দিনশেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে চালকদের। কারন ভাড়ায় চালিত গাড়ির মালিকরা দু-শিপটে দৈনিক জমা নিচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা। দিনশেষে চালকদের কিছুই থাকছে না। তিনি আরও বলেন, এসব অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে গ্যারেজে গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অন্যথায় এদের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় এবং ঢাকায়ও শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




নিজ দেশে অভিনব সম্মাননা পেলেন মেসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

ইয়াশফি রহমান :দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স মেতেছিল বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। তিন তারকা জার্সি গায়ে জড়িয়ে মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নিজ দেশের মানুষের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আনন্দে গা ভাসিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা।

পানামার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ের দিন নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের ৮০০তম গোলের দেখা পেয়েছেন লা পুলগা। এবার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে অভিনব সম্মান জানাল আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা। দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন যেখানে হয়, তার নাম বদলে মেসির নামে রাখা হয়েছে।

সাধারণত দেশের মাটিতে আর্জেন্টিনার খেলা হলে বুয়েনস আয়ার্সের কাসা দে এজেইজাতে অনুশীলন করে পুরো দল। সব ফুটবলার সেখানে এসে হাজির হন। সেই মাঠই এবার মেসির নামে পরিচিত হবে।

এই বিষয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সভাপতি ক্লাদিয়ো তাপিয়া টুইটারে জানিয়েছেন, বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে এভাবেই সম্মান জানাতে চেয়েছিলেন তারা। সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘরে আপনাদের স্বাগতম।

আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার এমন কান্ডে মেসি বলেছেন, খুব ভালো লাগছে। এই ঘটনাটা আমার কাছে বিশেষ অনুভূতির হয়ে থাকবে। নিজের নামে অনুশীলন কেন্দ্রের নাম! এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো যায় না।


আরও খবর



লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে আহত সুমন মিয়ার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নির্যাতনে আহত বাংলাদেশী সুমন মিয়া (২৭) নামে এক যুবক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে আহত হন।

ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী সুমন মিয়া কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বালাপাড়া এলাকার আলাউদ্দিনের পুত্র বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র। 

 সূত্র আরও জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন বুড়িরহাট বিএপি সীমান্ত পিলার ৯১৩নং মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকায় ৩-৪ জনসহ অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে ফেনসিডিল নিয়ে আসার সময় ভারতীয় অংশের ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন ওয়েস্ট চামটা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের তাড়া খেয়ে সবাই পালিয়ে আসতে পারলেও সুমন মিয়া তাদের কাছে আটক হন। এ সময় তাকে বিএসএফ সদস্যরা বেধরক মারপিট করে ফেলে যায়। পরে তার সহযোগীরা গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে গোপনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রসুলের সাথে তার ০১৩২০১৪৪২৩ একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার মতামত পাওয়া যায়নি।  অপরদিকে পুলিশ সুপারের মুঠো ফোনে ঘটনাটি নিশ্চিত হতে চাইলে তিনি বলেন শুনেছি এবং আহত কয়েকদিন আগে হয়েছিল। তার মৃত্যুর বিষয়টি তানার ওসি বিস্তারিত বলতে পারবে।  তবে চন্দ্র পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর নিশ্চিত করে মুঠো ফোনে বলেন, বিএসএফের মারপিটে আহত সুমন মিয়া  রংপুর মেডিকেলে  মারা গেছেন


আরও খবর