Logo
শিরোনাম

দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ম্যাটস শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

চার দফা দাবি আদায়ের নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এরমধ্যে দাবি আদায় না হলে দুপুর থেকে একযোগে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আজও আমাদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে তিনদিন সময় নিয়েছে। তবে আমাদের অন্য তিনটি দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা দেয়নি। কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাব না। আমরা রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করব এবং আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।

মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটি টিম যখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে গিয়েছিল, তখন আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাবে অবস্থানের উদ্দেশ্যে শাহবাগ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় আমাদের ৬০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া সবমিলিয়ে ১২০ জনের মতো শিক্ষার্থী হামলায় আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যে পুলিশগুলো আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছিল। আমরা এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এর আগে দাবি আদায়ে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। পরে এক ঘণ্টার সময় দিয়ে আল্টিমেটাম দেন। পরে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে লং মার্চ শুরু করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাধা দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লং মার্চ শুরু করেন তারা।

চার দফা দাবিগুলো হলো– বৈষম্যমুক্ত বাংলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-১৯৭৮ মোতাবেক উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে, অনতিবিলম্বে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্যপদে নিয়োগ প্রধানসহ কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ম্যাটস সংস্কৃত ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন পদ সৃজন করতে হবে, অনতিবিলম্বে চার বছরের অ্যাকাডেমিক কোর্স বহাল রেখে পূর্বের মতো এক বছরের ভাতাসহ ইন্টার্নশিপ চালু করে অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে এবং প্রস্তাবিত অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে।


আরও খবর



কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইতালি ব্যুরো :

ইতালির বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ভেনিসের কমিউনিটিকে অন্যতম বড় কমিউনিটি হিসেবে গণ্য করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের হিসাবে এ কমিউনিটির সদস্য সংখ্যা এখন ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।

এখানে কমিউনিটি ভিত্তিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক, ধর্মীয়সহ বহু সংগঠন রয়েছে। একই সাথে রয়েছে প্রবাসী সাংবাদিকদের সার্বজনীন সংগঠন ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। সুষ্ঠু এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এ সংগঠনটির জন্ম হয়। কমিউনিটির সকল ভালো কাজের সাথে এ সংগঠনটি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান। 


তিনি বলেন, চলতি বছরে ভেনিসের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশী কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে রাজনৈতিকভাবে আমাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে। একই সাথে সত্যিকারের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসী সাংবাদিক এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। 

প্রেসক্লাবের সভাপতি এস কে এম ডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তৃতা করেন উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, অর্থ সম্পাদক জুম্মান অনিক মাতবর ও আনোয়ার হোসেন রানা।

কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  ভেনিস বাংলা স্কুল উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন ঢালী, রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, কিশোর খন্দকার, শাহাদাত হোসেন,  শরিফুল আলম মৃধা, যুবদল সভাপতি আকবর খান, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল চৌধুরী, ও ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন।

সভাপতির বক্তৃতায় জাকির হোসেন সুমন উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী বলেন, সমাজের সব ধরনের সংগঠনে মতভিন্নতা, বিভেদ থাকে। এগুলোকে গুরুত্ব যারা দেয় তারা অসংগঠনিক মানুষ। তাদের এড়িয়ে কমিউনিটির ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ভেনিস বাংলা স্কুলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার, মাস্টার হাকিম শেখ, প্রমূখ।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ আব্দুস সালাম এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন মোবারক হোসেন।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

আগের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।

এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।


আরও খবর



ইসলামি রীতিতে দাফন চান কবীর সুমন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পশ্চিবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। পাঁচ বছর আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি এই গায়ক জানালেন, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, রমজান মোবারক। সবাইকে জানাতে চাই-কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম, আমি আমার দেহদান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছা প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।

কবীর সুমন লিখেছেন, আমি চাই, আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামি রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম। আমার এই ঘোষণা বিষয়ে কারও মত বা মন্তব্য চাই না। সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দিতেই সেখানে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অনেকেরই মতে কবীর সুমন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার অনেকে ঈশ্বরের কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। কবীর সুমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন অনেক বছর আগেই। সেই কারণেই তিনি চান, ইসলামীয় রীতি মেনে তার শেষকৃত্য করা হোক। চিরকাল তিনি কাটিয়েছেন কলকাতাতেই। সেই কারণেই তিনি চান, কলকাতার মাটিতেই বিলীন হয়ে যাক তার নশ্বর দেহ। তবে অনুরাগীদের কথা, তার এই ইচ্ছা পূরণ হলেও তা যেন হয় অনেক বছর পরে।

সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। সেই তরুণী ছিল কবীর সুমনের ছাত্রী। পরে জানা গিয়েছিল, সৌমী অনেকটাই সময় কাটান কবীর সুমনের বাড়িতে। ছবির ক্যাপশানে সৌমীকে ভ্যালেন্টাইন বলে উল্লেখ করেছিলেন কবীর সুমন। তবে পরে তিনি বলেন, সৌমীর সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।

কবীর সুমনের নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন। তার জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।


আরও খবর



ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় শিবিরের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে শহরের কাচারী মসজিদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। এ হামলায় মাধ্যমে তারা শুধু শান্তি চুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি বরং পবিত্র মাহে রমজানে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে সীমিত সামর্থ ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই চূড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে। 

এ সমাবেশে ছাত্রশিবির নওগাঁ জেলা শাখার  সভাপতি সারওয়ার হোসেন, সেক্রেটারি আব্দুর রাকিব অফিস সম্পাদক আজফারুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



প্যাস্টেল নাকি - গাঢ় কোনটি হবে আপনার পছন্দ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বছর যেন চোখের পলকে কেটে যাচ্ছে, আর ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এবারের ঈদ ফ্যাশনে বৈচিত্র্য ও আধুনিকতার এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। উৎসবের আমেজকে ধারণ করে প্যাস্টেল ও গাঢ়উভয় ধরনের রঙই দাপট দেখাচ্ছে ফ্যাশন দুনিয়ায়।

প্যাস্টেল রঙের মোহনীয়তা, যারা হালকা ও আরামদায়ক রঙের প্রতি আকৃষ্ট, তাদের জন্য প্যাস্টেল শেডের পোশাক একদম পারফেক্ট। পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার ও মিন্ট গ্রিন এই বছর বিশেষ জনপ্রিয়। সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারির ব্লাশ পিংক আনারকলি কিংবা লেস-ডিজাইন করা মিন্ট গ্রিন কামিজ সেট আপনাকে দিবে অনন্য লুক। হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়িও ট্রেন্ডে রয়েছে, যেখানে ফুলেল নকশা ও মোটিফের ছোঁয়া যুক্ত করা হয়েছে। সকালে সাদা কাফতানের সঙ্গে রূপার গয়নার সংযোজন সত্যিই নজরকাড়া।

গাঢ় রঙের গ্ল্যামার, গাঢ় রঙের পোশাক সবসময়ই আত্মবিশ্বাস ও শক্তিশালী উপস্থিতির প্রতীক। গাঢ় সবুজ, উজ্জ্বল মেজেন্টা ও আকর্ষণীয় লাল এবারের ঈদ ফ্যাশনে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। জারদৌসি কাজ করা মেজেন্টা কামিজ, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা লাল কাফতান বা সোনালি সুতার ওড়নার সঙ্গে লাল কামিজসবই ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশ্রণে তৈরি। অ্যান্টিক সোনার গয়না, বোল্ড মেকআপ ও গাঢ় লিপস্টিকের সংযোজন এই পোশাকগুলোর গ্ল্যামার আরও বাড়িয়ে তুলবে।ডিজাইন ও কাটছাঁট, এবারের ঈদ ফ্যাশনে লম্বা হেমলাইন, ভারি ঘের ও সূক্ষ্ম হাতে কাজ করা নকশার ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

রেশম ও আরি কাজের সংযোজন যেকোনো পোশাককে অনন্য মাত্রা দিচ্ছে। কাফতান, অনারকলি ও শাড়িতে এই কারুকাজ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।অনুষঙ্গ ও স্টাইলিং, সাজে পরিপূর্ণতা আনতে অনুষঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। প্যাস্টেল পোশাকের সঙ্গে মুক্তার গয়না ও ন্যুড টোনের জুতো মানানসই, অন্যদিকে গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে মোটা সোনার গয়না, এমব্রয়ডারি করা পটলি ব্যাগ বা ঐতিহ্যবাহী খুসসা জুতা সাজে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।

ব্যক্তিগত স্টাইলের গুরুত্ব, ঈদের ফ্যাশন মানেই ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্যের সম্মিলন। কেউ হয়তো সাদা কাফতানের কোমল সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন, আবার কেউ বেছে নেবেন গাঢ় সবুজ আনারকলির বোল্ড লুক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক নির্বাচন করা, যা আত্মবিশ্বাস ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫