Logo
শিরোনাম

দাঁতের সমস্যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় কখনো কখনো কমবেশি সবাই ভোগেন। পিরিওডনটিটিস নামক মাড়ির এক ধরনের রোগে মুখে দুর্গন্ধ থেকে দাঁত থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যা হতে পারে।

তবে অবাক হবেন, মাড়ির রোগের কারণে হৃদযন্ত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমনটিই দাবি করা হয়েছে। তাই শুধু ডায়েট বা শরীরচর্চা নয়, নজর রাখতে হবে মাড়ির স্বাস্থ্যের দিকেও।

ক্লিনিক্যাল ফিজিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই বিষয় জানিয়েছেন গবেষকরা। তাদের মতে, পিরিওডনটিটিস এর সঙ্গে হৃদযন্ত্রে ফাইব্রোসিসের যোগাযোগ মিলেছে। এটা এমন একটা সমস্যা যার ফলে হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়।

হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শুনসুকে মিয়াউচির মতে, পিরিওডনটিটিসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এই প্রদাহই ফাইব্রোসিসের কারণ।

প্রফেসর শুনসুকে মিয়াউচি জানান, মাড়ির এই রোগ আট্রিয়াল ফাইব্রোসিস তৈরি করে। বিভিন্ন রোগীর ইতিহাস যাচাই করা জানা গেছে, পিরিওডনটিটিস ও আট্রিয়াল ফাইব্রোসিসের পরিস্থিতির মধ্যে সম্পর্ক আছে।

মাড়ির ওই রোগ যত জটিল হবে, হৃদযন্ত্রে ফাইব্রোসিসের অবস্থাও ততটাই খারাপ হবে। এই ঘটনা থেকে গবেষকরা দাবি করেছেন, মাড়ির সমস্যার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক আছে।

হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বায়োমেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স এর গবেষক উকিকো নাকানোও এই গবেষণার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

যে সমীক্ষা হয়েছে তাতে দেখা গেছে পিরিওডনটিটিস আট্রিয়াল ফাইব্রোসিস-এর সমস্যা দ্রুতগতিতে বাড়াতে পারে।

গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী, হৃদরোগের সমস্যা দূরে রাখতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা ও ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাড়ির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসও বাদ দিতে হবে।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




রাণীনগর-আত্রাইয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার এই দুই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৃথক পৃথকভাবে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। 

 নওগাঁর রাণীনগরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে স্থানীয় এমপি,উপজেলা প্রশাসন,থানাপুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পাটি, বিএনপি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,রাণীনগর প্রেস ক্লাব এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে।

এর পর সকাল ৮টায় রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের অনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। সেখানে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু। এছাড়া রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং উপজেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে আত্রাইয়েও একই কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। পরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক।

পরে সকাল ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় এমপি এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস,আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী নিপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল,জেলা পরিষদের সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইমলাম,সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা,যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন,সিনিয়র মৎস্য পলাশ চন্দ্র দেবনাথ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকসান হ্যাপি,গণমাধ্যমকর্মীরাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক আবৃতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদই ব্যয় বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতাও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণ ব্যয়ে দূরদর্শিতা দেখাতে না পারলে সুদের জালে আটকে যাবে দেশের উন্নয়ন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। গত রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ-এ ৯ মাসে বাংলাদেশকে কেবল সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করতে হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছর এ সুদ বাবদ গুনতে হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

স্বাভাবিকভাবেই বছর ব্যবধানে বেড়ে গেছে সুদাসলে ঋণ শোধ বাবদ ব্যয়। ইআরডির তথ্য, গত নমাসে সব মিলিয়ে ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার সুদ ও আসল গুনতে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ আগের বছরের ‍তুলনায় বেড়েছে ৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিভিন্ন ঋণের আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

তবে এ সময়ে ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত বছরের তুলনায় যা ১৩৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে, তা যেন ব্যয় করা হয় লাভজনক প্রকল্পে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই যতটুকু ঋণ পাওয়া যাবে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। না হলে সুদের জালে আটকে যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

যে সব প্রকল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার তাগিদ দেন অর্থনীতিবিদরা।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ সাঁড়াশি অভিযান শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন জানিয়েছে, বান্দরবানে পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে আজ থেকে যৌথ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের সহকারী পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় র‍্যাব বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ এই অভিযান কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গত কয়েক দিনে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার দুইটি উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রথমত, টাকা লুটপাট ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, সক্ষমতা প্রদর্শন করা।

সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা সম্পর্কে খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, রুমা ও থানচি উপজেলায় গত সোম ও মঙ্গলবার ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাট হয়েছে। ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। তাকে নিরাপদে উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্মিলিত সাঁড়াশি অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। লুট করে নেওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধারসহ তাদের নির্মূল করা হবে।

বান্দরবানের দুই উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। পরে গভীর রাতে আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে গতকাল কারা গুলি চালিয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ সম্মুখীন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় টানা ছয় মাস ধরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়ছে খাদ্য সংকট। এর ফলে গাজার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে গাজায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ১০ লাখের বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত ৭ অক্টোবরে পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা থামছেই না। এতে এখন পর্যন্ত এক লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এদিকে গাজায় গণহত্যার বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইসরায়েলের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। কারণ ইসরায়েলের হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি। ৪৭ সদস্যের সংস্থাটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৮টি। বিপক্ষে ৬টি ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ১৩ দেশ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় আকাশপথে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। পরে স্থল অভিযানও শুরু করে দেশটি।

ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

দখলদার ইসরায়েলি হামলায় গত ছয় মাসে এক লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৫০ জন।


আরও খবর



গাজীপুরের শ্রীপুরে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ নিয়োগের পাঁয়তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image
সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক ;

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার একমাত্র নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী মিজানুর রহমান খান ডিগ্রী মহিলা কলেজে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির হোতা এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিষয় নেই এমন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার বিধানকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করা হবে যদি এ ধরনের শিক্ষককে সত্যিই নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ লিখিত রেজুলেশণ খাতায় লিপিবদ্ধ তথ্যে জানা যায়, উক্ত কলেজের শিক্ষক মাহফুজুল হক ৩১/৯/১১ ইং তারিখেের পূর্বে তার মালিকানাধীন প্রিপেটরী স্কুলের সাবেক ছাত্রিক শ্লীলতাহানী করেন যা দেশের প্রথমশ্রেনীর জাতিয় দৈনিকসমুহে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদসমুহ এবং সেই ছাত্রির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় এবং সেসময়কার পরিচালনা পর্ষদ উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত রেজুলেশণ গ্রহন করেন।তিনি কলেজের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রিদের যৌন হয়রানি করেন বলেও কলেজটির তৎকালিন পরিচালনা পর্ষদের কাছে প্রতিয়মান হয়।
এ ধরনের নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিতর্কিত উক্ত শিক্ষককে আদালতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে বিশেষ উদ্দেশে আগামিকাল ১৬ এপ্রিল গোপনে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যাপক গুঞ্জণ ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র শ্রীপুরে।
এ ব্যাপারে কলেজটির শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ এবং শ্রীপুরের সচেতন মহল আগামিকাল কি ঘটে এবং সকল আইন বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সত্যিই তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কি না তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
অনেকেই বলেছেন, আদাৱতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের এ সংক্রান্ত আইন উপেক্ষা করে যদি সত্যিই কোন নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কোন শিক্ষককে গায়ের জোরে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে তা আবারও আদালত পর্যন্ত গড়াবে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আরও খবর