Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরো ৩৪

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ জন। তবে নতুন করে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮৩ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকা বিভাগের ৫৩টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৭০ জন এবং অন্য বিভাগে ১৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬২৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হন ৪৯৮ জন। অন্যদিকে এ বছর এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৪৮২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দাউদপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে। পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার নিয়োগ দেখান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান। 

অনুসন্ধানে যানা যায়, গত ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা কর্মী, আয়া, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার সহ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরমধ্যে উপরের ৩টি পদ শুন্য হলেও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আসাদুজ্জামান নামের একজন কর্মরত আছেন। পরবর্তীতে ঐ বছরের ১৮ মার্চ তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ এর কাগজ-পত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই কাগজ পত্রে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী গয়ড়া তেতুলিয়া ডি এ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুল রশিদ সেই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসাবে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু তিনি ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী মারা যান। এরপর ঐ বছরের মে মাসের ৫ তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন আ.ন.ম. লুৎফর রহমান। 

মাদ্রাসার রেজুলেশন ও নিয়োগ বোর্ডের ফলাফল সীটে আবদুল রশিদ ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান ও ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোবারুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। সেই নিয়োগ বোর্ডের সম্পর্কে এই কর্মকর্তাগণ কিছুই জানেন না বা কোন কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করেননি। অথচ নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে দেখা যায়, নিরাপত্তা কর্মী পদে উপজেলার দাউদপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ ইসাহাক আলী, আয়া পদে দাউদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে মোছাঃ শারমিন সুলতানা ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ পেয়েছেন মাধবপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু মুস্তাকিম। যারা এখন পর্যন্ত মাদ্রাসায় কোন দিন যাননি বা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেননি। এরমধ্যে আয়া পদে শারমিন সুলতানার বেতনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন মাদ্রাসার সুপার। 

এবিষয়ে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান বলেন, আমি ওই উপজেলায় থাকতে এই পদ গুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে গত বছর তারা আমার কাছে এসেছিলো ব্যাকডেটে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি এর বেশি আর কিছু জানিনা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ আবু মুস্তাকিম বলেন, আমি কোন নিয়োগ বোর্ডে বসিনি। আমার কাছে টাকা আর কাগজ পত্র চেয়েছিলো সেগুলো আমি দিয়েছিলাম। আমি শুধু যোগদান পত্রে স্বাক্ষর করেছি। সেই যোগদান পত্র সুপার আমাকে বানিয়ে দেন। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি, আয়া পদে নিয়োগ প্রাপ্ত শারমিন সুলতানার বাবা পাশ্ববর্তী উপজেলা পত্নীতলা উপজেলার বামনকুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা। আমরা ডিজির প্রতিনিধি নিয়ে এসেছিলাম। পরবর্তীতে সেই সময় নিয়োগ বোর্ড বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার স্বাক্ষর কে জাল করেছে তা আমি জানিনা।

মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। কে বা কাহারা তা করেছে সেটা আমি জানিনা। তবে এবিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি।

জানতে চাইলে বর্তমান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ দিলে বা আমার উর্ধতন কেউ আমাকে নির্দেশ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয়টি আমি জানিনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মেঘনায় ঢাকাগামী লঞ্চে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ভোলা থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-৩ এ আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকে আতঙ্কে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল নামে একটি চরে নোঙর করা হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল চর এলাকার মেঘনা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইঞ্জিনরুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

ভোলা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবগত করেছেন। চাঁদপুরের একটি কোস্টগার্ড টিম ঘটনাস্থলে যাবে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল ভোলার বাইরে, সেজন্য এখনো নিশ্চিত করে ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের   সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের  আয়োজনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার  (২৭ মার্চ ) নানা আয়োজনে সালামের রান্নাঘর জমজম টাওয়ার  ঢাকা উত্তরায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী, টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন  সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার, টেক্সটাইল ক্লাবের সভাপতি আল রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক  সম্পাদক মাহবুব আলম তাছাড়া এই সময় বিভাগটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, শিক্ষক এবং টেক্সটাইল ক্লাব, সমন্বয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এগিয়ে যাবে,টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের  পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

টেক্সটাইল  অ্যালামনাই এসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিফুল রহমান রাকেশ বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এবং সামনের দিনগুলোর চ্যালেন্জ মোকাবেলা করবার জন্য “সংঘবদ্ধতা থাকা ” জরুরী এবং আবশ্যক ! আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ব্যক্তিগত সাফল্যের ঊর্ধ্বে সামষ্টিক তথা সংঘবদ্ধ  সাফল্যই পারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের সুনাম উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করতে ! সেই সূত্রে গ্রন্থিবদ্ধ হয়ে  বিভাগের শিক্ষকমহোদয়গণ, এলামনাই এসোসিয়েশন এবং নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবসহ সকলকে একত্রে কাজ করবার অনুরোধ জানাই !

এসময় টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্স রচনা প্রতিযোগীতায় সেরা হলেন ফাহিম-মেহেদী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ এএমআর রেসপন্স অ্যালায়েন্স (বারা) এর উদ্যোগে 'সেনিটাইজেশন ওয়ার্কশপ অন এএমআর উইথ স্টুডেন্টস ফর্ম ভেটেরিনারি অ্যান্ড মেডিকেল ইনস্টিটিউশন' অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত কর্মশালায় রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে মানবদেহে ও প্রাণীদেহে অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। অনুষ্ঠানের পূর্বেই 'প্রিভেন্টিং  এন্ট্রিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্রান্ট টুগেদার ' রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এতে ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিযোগীতায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম প্রথম, মেহেদী হাসান দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তাদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ. এফ. এম নূরউল্লাহ। এই কর্মশালায় এএএমআরও এএমইউ এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয় এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বারা এবং এফএও সদস্যদের উপস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি হয়।


রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম বলেন, এএমআর একটি মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা যার জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়, তাই কর্মশালাটি ওয়ান হেলথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভবিষ্যতের প্রেসক্রাইবারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছিল। ভবিষ্যৎ প্রেসক্রাইবার যারা এখন শিক্ষার্থী,  তাদের এই কর্মশালার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। যেহেতু তারা বারা পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার্থী এবং অনুষদ সদস্যরা অ্যাক্সেস, ওয়াচ, রিজার্ভ শ্রেণীকরণ পোস্টার এবং ব্যানার বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবে।

প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করা মেহেদী হাসান বলেন, এই মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা এটা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়। মানবদেহে এন্টিবায়োটিক এর রেজিস্ট্রান্ট যে হারে বাড়ছে তা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে মৃত্যুর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

 ২০২২-২০২৩ সালে,  বাংলাদেশেই ২৫ হাজার মানুষ শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্ট এর কারনে মৃত্যুবরন করেছে। অর্থাৎ, এন্ট্রিবায়োটিকের মাত্রা এতো বেশী যে যখন এন্ট্রিবায়োটিক গ্রহন করলেও সেটা মানবদেহে কাজ করছে না। এসকল বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করার জন্য  আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। 

অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, মানুষ ও প্রানী কোনো ক্ষেত্রেই রেজিস্টার্ড ডাক্তারে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা এবং সেবন করা যাবে না।


আরও খবর



নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনছে তালেবান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আফগানিস্তানে এবার নারীদের পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনল তালেবান সরকার। ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে তাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে। গত শনিবার (২৩ মার্চ) রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিওবার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। দ্যা গার্ডিয়ান।

টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহবিরোধী। আপনারা বলছেন, পাথর মেরে হত্যা করা নারী অধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব। তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র। তার এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকায় এমন পদক্ষেপ নিতে পারছে তালেবান সরকার।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন সাফিয়া আরেফি। তিনি একজন আইনজীবী এবং আফগান মানবাধিকার সংস্থা উইমেনস উইন্ডো অব হোপের প্রধান। তার মতে, এ ঘোষণাটি আফগান নারীদের ১৯৯০-এর দশকে তালেবান শাসনের অন্ধকারতম দিনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন তালেবানদের শাস্তি থেকে তাদের বাঁচাতে কেউ তাদের (নারীদের) পাশে দাঁড়াচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারী অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতে নীরব থাকতে চাইছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন আফগান গবেষক সাহার ফেত্রাত বলেছেন: দুই বছর আগে, নারীদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করার সাহস তাদের ছিল না; এখন তারা তাও করবে। তারা তাদের কঠোর নীতিগুলো একে একে পরীক্ষা করেছে এবং এটি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কারণ তাদের অপব্যবহারের জন্য দায়ী করার মতো কেউ নেই।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই। একজন তরুণ ছাত্রীর বরাত দিয়ে জানা যায়, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে হতাশা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হার অনেক বেড়েছে। এটা দুঃখজনক।


আরও খবর