Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরো ৩৪

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ জন। তবে নতুন করে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮৩ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকা বিভাগের ৫৩টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৭০ জন এবং অন্য বিভাগে ১৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬২৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হন ৪৯৮ জন। অন্যদিকে এ বছর এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৪৮২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




দশমিনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের প্রশিক্ষণ ও সনদ বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা(পটুয়াখালী) :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় প্রশাসণের সার্বিক তত্ত¦াবধানে এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের দশদিন ব্যাপি প্রশিক্ষনের পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পরিষদ অডিটোরিয়াম হল রুমে সনদ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা এমপি।

বিশেস অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ সামছুন্নাহার খান ডলি, প্রশিক্ষক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাফর আহমেদ, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুর রহমান, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন প্রমূখ।

 সভাপতি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন উপজেলায় মোট আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওয়াতায় ২৬০ টি ঘর নির্মান করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের সাভলস্বি করার লক্ষে জীবন মানউন্নয়নে  হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু, ছাগল, শাখ-সবজি, স্বাস্থ্য ও সেবা সহ দশদিন ব্যাপি বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সনদ বিতরন করেন।


আরও খবর



প্রচন্ড দাবদাহে অতিষ্ট কৃষকদের ঘোল খাওয়ালেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার

দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের তীব্রতায় ছোট বড় সবার হাঁস-ফাঁস অবস্থা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। বেশির ভাগ মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছেন। কৃষক, দিনমজুর ও রিকশা চালকদের কষ্ট অনেক বেশি। ঠিক এ সময় কৃষকের বোরো ধান কাটা চলছে মাঠে মাঠে পুরোদমে। তাই নওগাঁর মহাদেবপুরের রাইগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান আরিফ কৃষকদের পাকা ধান মাঠ থেকে কেটে দেওয়ার পাশাপাশি এবার আরো এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। মাঠে ধান কাটা কৃষকদের গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘোল খাওয়াচ্ছেন। দুধের সাথে অ¤ø জাতীয় পদার্থ যুক্ত করলে দুধের কেজিন প্রোটিন জমাট হয়ে যায়। জমাট হওয়া অংশ ছানা হিসেবে অপসারন করার পর অবশিষ্ট তরলই ঘোল। অতীতে মানুষের মধ্যে ঘোল খাওয়ার প্রবনতা বেশি থাকলেও এখন সহজলভ্য না হওয়ায় ইচ্ছা করলেও অনেকে ঘোল খাওয়ার সুযোগ পান না।

রাইগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, শরীর ঠান্ডা রাখতে গরমের সময় মানুষ বেশি ঘোল খায়। তাই মাঠে কৃষকদের বাঁচতে এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ তিনি হাতে নিয়েছেন। ঘোল খাওয়ার সময় পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ রউফ, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ জলিল, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: ছাদেক, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকতার, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সবুজ আলী, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: হারুন ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহিন ছাড়াও মহিলা সদস্য রহিমা, ফেন্সি, মালা এবং সকল গ্রাম পুলিশ ও তথ্য কর্মী এ কাজের সাথে সম্পৃত্তা ছিলেন। তারা এর পাশাপশি কৃষককের ধান কেটে বস্তায় তুলে বাড়িতে পৌঁছে দেন।


আরও খবর



সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন যুক্তরাজ্যের মতো অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চায়।

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় শনিবার লন্ডনের হোটেল ক্ল্যারিজে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাসহ অন্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আমার দল সব সময় দেশে গণতন্ত্র বজায় রেখেছে। আমরা দেশের গণতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছি।

বৈঠক শেষে শনিবার হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে কথা বলেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমি সবার সহযোগিতা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করেছে, কেউ যাতে নির্বাচনে কারচুপি করতে না পারে সেজন্য ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরি করা হয়েছে। উল্টো বিএনপি ভোট কারচুপির জন্য এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে ভোটার তালিকা তৈরি করেছিল। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী করা হয়েছে।

মোমেন বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু, ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনায় এসেছে। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

আজ ১৭ মে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে নর ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব; ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথেশেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

সে দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার শ্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।

বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। এ সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন এখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন, আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারের প্রচন্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু । শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। আপন কর্ম মহিমায় হয়ে উঠেছেন-নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি। বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা নীলকণ্ঠ পাখি মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী মানবতার মা, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সাগর সমান অর্জনে সমৃদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।

শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪২ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তাঁর রাজনৈতিক শক্তি। 


আরও খবর



নওগাঁয় দুদকের দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

“রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ হবে সোনার বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতার উন্নয়ন ও উত্তম চর্চার বিকাশের প্রয়াসে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি মান্দা এবং নিয়ামতপুর কর্তৃক পৃথকভাবে আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার মান্দা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে কাঞ্চন উচ্চ বিদ্যালয় ও মান্দা থানা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এতে কাঞ্চন উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও মান্দা থানা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ রানারআপ নির্বাচিত হয়। 

প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুলতান জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন  কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ আলম সেখ প্রমুখ।

অপরদিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে পিএলবি উচ্চ বিদ্যালয় ও নিয়ামতপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগিতায় পিএলবি উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও নিয়ামতপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় রানারআপ নির্বাচিত হয়। 

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা  কার্যালয় নওগাঁর সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম প্রমুখ।


আরও খবর