এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে
৩৮ হাজার ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ২১
হাজার ৯৩২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে; যা আক্রান্তের ৫৮ শতাংশ। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ৭০৭
জনের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু
নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৯ হাজার ৯১১ জন এবং মারা যায় ৩৪ জন। দুই মাসে যত
রোগীর হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু হয়েছে, তা মোট রোগীর ৮৪ শতাংশের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান
অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সবচেয়ে বেশি, ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল রেকর্ড ১৮৯ জনের। এরপর ২০২২ সালে
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৮ হাজার ২৪ জন এবং মৃত্যু হয় ১৪১ জনের;
যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে
হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৪ হাজার ৫৫১ জন। সে বছর মারা গেছে ৯৩ জন। ২০০০ সালের পরে
মাসওয়ারি গত অক্টোবর মাসের চেয়ে বেশি মৃত্যু কোনো বছরের কোনো মাসেই হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অথ্যমতে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায়
(গত রবিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৮৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী
বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে আরও ৫ জন। এর আগে ২৩ অক্টোবর এ
বছরের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সেদিন
মারা গেছে আরও ১ জন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছে ৮৭৩ জন। তাদের মধ্যে ৫৪৫ জন ঢাকায় এবং ৩২৮ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
রয়েছে ৩ হাজার ৫৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ২ হাজার ৩০৯ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১
হাজার ২৭৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অথ্যমতে, এ বছর সবচেয়ে বেশি ২৬ হাজার ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।