Logo
শিরোনাম

দেশ রক্ষায় এই সরকারকে বিদায় করতে হবে : মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের আন্দোলনের সম্মান জানিয়ে সেদিন তত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল। এই তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী সবার আগে ছিল জামাতের। আজ তাদের নাকি আবার আপোষ হচ্ছে শুনলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চাইলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন তিনি যদি চাইতেন। আর আপনারা কী করলেন। শত শত মানুষকে গুম করলেন হত্যা করলেন। এভাবে একটা দেশ কখনও চলতে পারে না। 

তিনি বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে এই লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে হবে। এদের বিদায় না করলে উন্নয়ন হবে না। মানুষের পেটে ক্ষুধা রেখে দুটো ব্রিজ করলে উন্নয়ন হয় না। আগে পেটের ভাত তারপর উন্নয়ন। যে উন্নয়নের চেয়ে বেশি নিজের পকেটের উন্নয়ন হয় সেই উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন নেই। 

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, ওরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। আমি বলিনি, এটা শিল্প মন্ত্রী বলেছে। দেশের জনগণ এই লুটপাটের কারণে দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে৷ আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। সরকারের বোধদয় হয়নি। 

ব্রিজ করতে বাইরে লাগে ছয় সাত হাজার ডলার। আমার দেশে লাগে ত্রিশ হাজার ডলার। এটা কী মগের মুল্লুক নাকি। সরকারি কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে আছে। এ বলে তুই বেশি খেয়েছিস ও বলে তুই বেশি খেয়েছিস। পানির দাম, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। ওরা বলে তেলের দাম বাড়াবো না আন্তর্জাতিক বাজারের দামে ছেড়ে দিবো। এতদিনে কেন। আমার নেত্রী কী দেশ চালায়নি ভর্তুকি দেয়নি। তখন কী দাম বেড়েছিল? বাড়েনি। 

তিনি বলেন, ওদের এক নেতা এক এগারোর সময় জেলে আমার সামনে কান ধরে উঠবস করেছিলো। বলেছিল আর রাজনীতি করবো না ভাই। আজ সেই নেতা বড় বড় কথা বলেন। তিনি বলেন খেলা হবে। আমরা আপনাদের এইসব খেলায় অংশগ্রহণ করবো না৷ খেলা তো শুরু হয়ে গেছে। আমরা আপনাদের সাথে কোন ঝামেলায় যেতে চাই না৷ 

তিনি আরো বলেন, এখনও সময় আছে মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নয়ত পরে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না। আপনারা কীভাবে পালাবেন চিন্তাভাবনা করেছেন। আপোষে গেলে যান জোর করে পালাতে পারবেন না। জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। যারা গুম হয়েছে তাদের বাবা মা আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। 

নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা কারাগারে আছে। আরেকটা ছেলে আছে। সেও জেলে, নাম জাকির খান। আমরা জেল থেকে তাদের মুক্ত করবো। এ সরকারের কাছে আর মুক্তি চাই না আমরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা ও সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ৬ কেজি গাজাসহ নারায়নগঞ্জের যুবক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৬ কেজি গাঁজাসহ নারায়নগঞ্জের রাব্বি মৃধা (২১) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  

 সোমবার (২৯ মে) রাত ৮ টার দিকে ভাইজোড়া শিশু হাসপাতালের মোড় থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। রাব্বি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার কাশিপুর গ্রামের চুন্নু মৃধার ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।তার কাছে থাকা কাপড়-চোপড় বহনের একটি লাগেজের মধ্য হতে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাঁজার স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, রাব্বি মৃধা গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাব্বি মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভাইজোড়ার দিকে যাবার পথে শিশু হাসপাতালের মোড়ে পুলিশের একটি দল তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 


আরও খবর



নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২৮১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অসম্মান করায় অনুষ্ঠান বর্জন সহ অনির্দিষ্টকালের জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকান্ড ও সংবাদ বর্জন ঘোষনা করেছেন সংবাদকর্মীরা। সোমবার দিবারাত সাড়ে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

জানা যায়, গত রবিবার ৮মে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীর ৩দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবার মূল অনুষ্ঠান ছিল সেখানে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে,এম খালিদ। এই অনুষ্ঠানের সংবাদ কভারের জন্য সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের বসার কোন নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। শেষ পর্যন্ত তারা বাধ্য হয়ে নিচে বসে পড়েই পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলে আসেন। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

শুধু সাংবাদিকরাই নয় জেলার আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকদের জন্যও অনুষ্ঠানস্থলে নির্দিষ্ট কোন বসার ব্যবস্থা না করায় জাতিগঠনের কারিগররাসহ অন্যান্য সুধী ব্যক্তিরা এলোমোলো ভাবে হ য ব র ল অবস্থায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এতে করে এই দুই উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষকদের মাঝেও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে এবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনটি স্মরনকালের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিলো বলে মন্তব্য করেছে অনুষ্ঠানে আগত অধিকাংশ দর্শকরা।  

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন বলেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীর মতো এমন জাতীয় আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা না থাকা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারাই সামনের সারিতে বসে ছিলেন। আর জেলার সকল সাংবাদিকরা নিচে বসে সংবাদ কভার করেছেন। যা পুরো সাংবাদিক সমাজকে অপমান করা হয়েছে। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ ও কর্মকান্ড বর্জন ঘোষণা করা হলো।


আরও খবর



যে নিয়ম মানলে চুল পড়া বন্ধ হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে পরিবর্তন আসে। স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলেও এর প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে বয়স মাত্র ত্রিশ পার হলেই দেখা দেয় বলিরেখা, টাক পড়ার মতো সমস্যা। তাই বয়স ত্রিশ পার হওয়ার আগেই ত্বক ও চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় থেকে যত্ন না নিলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দেয় টাক পড়ার সমস্যাও। মাথায় টাক পড়ার সমস্যা এড়াতে মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম :

খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে

বাইরের খাবার যতই এড়িয়ে চলতে চান, তবু নানা কারণে সপ্তাহে অন্তত দুই-একবার খেতেই হয়। বলা বাহুল্য, বাইরের বেশিরভাগ খাবারই অস্বাস্থ্যকর। আর এ ধরনের খাবার খেতে ভালোলাগে ঠিকই, খাওয়ার পরে শরীরে এর প্রভাব পড়ে মারাত্মক। তাই বাইরে খাবার খাওয়া যদি একান্তই এড়াতে না পারেন, তবে সতর্ক হোন। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর শাক-সবজি, ফল, শস্য, পানি ইত্যাদি যোগ করুন।

পানির ঘাটতি পূরণ করুন

চুল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পানি পান করা জরুরি। শরীরের ভেতরে যেন পানির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই পানি। তাই পানি এবং তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট। নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার

চুলের যত্নের জন্য কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নয়, ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে, বাড়বে উজ্জ্বলতাও। বাড়িতে থাকা নানা উপকারী উপাদান দিয়েই চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব। প্রাকৃতিক বলে সেসব উপাদানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে না। তাই চুল ভালো রাখার জন্য বেছে নিন প্রাকৃতিক উপাদান।

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন

বয়স ত্রিশ পার হলে অনেক রকম দায়িত্ব চলে আসে। সেসব পালন করতে গিয়ে বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। তার প্রতিফলন দেখা যায় আমাদের চুলেও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

আমাদের হেয়ার ফলিকলে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান থাকে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক থাকে তবে চুল ভালো রাখা সহজ হয়। চুলের ঘনত্বও বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকভাবে হয়। যে কারণে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। তাই চুলের বৃদ্ধি ঠিকভাবে হয়।

তথ্য : রিমিস ড্রিম


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। এর পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস। যার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পিতার নেতৃত্বে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি।

তিনি বলেন, আপনারা কেউ চাকরি করছেন, কেউ রাজনীতি করছেন। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশা বেছে নিতে পেরেছেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সারাজীবন জেল জুলুম ও অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তা পূরণে নিরলস প্রয়াস চালানো।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে পাবনা নাগরিক সমাজের আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা ক্যাম্পে আমাকেসহ আরো অনেককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা তিন মাস ধরে চলে অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। দীর্ঘ তিনটি বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে আমি মুক্তি পাই। এরপর আমি বিচারক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিই। এ সময় আমি সাধ্যমতো দেশের জন্য কাজ করেছি। আমি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বভার আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কানাডার আদালতে বিশ্ব ব্যাংকের সেই অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়। এই চাপ মোকাবিলায় আমার প্রতি পাবনাবাসীসহ দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই এই কঠিন কাজ আমি সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি আমি। আমাকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রাদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক মন্ত্রী আমার কাছে এসে বিশ্ব ব্যাংকের দাবি মেনে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে তা মোকাবিলা করেছি। এ সময় রাষ্ট্রপতি আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করার ঘোষণা দেন। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর সকল দাবি পূরণের আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রতি সাহাবুদ্দিন পাবনাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমার আগমন ঘিরে পাবনায় যে এইভাবে আয়োজন হবে তা কল্পনাও করিনি। পাবনাবাসীর এই উচ্ছ্বাসের ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো? আমি চির কৃতজ্ঞ। এই আয়োজন আমি জীবনেও ভুলবো না। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্মৃতিবিজড়িত এ ঐতিহাসিক মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের এতো ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত-আনন্দিত। ঢাকার বাইরে প্রথম সফরেই নিজ জন্মস্থান পাবনায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি হব- এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




রাস্তার ধারে পরেছিলো যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | ১০৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

বগুড়ায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকা এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।

হত্যাকান্ডের শিকার যুবক সাইদুল ইসলাম ওরফে রাজিব (২৫) পেশায় একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বেলাই কারুন্ডা পাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেন ওরফে সাধো'র ছেলে। 

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনঞ্জুরুল আলম।

শনিবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়ন এর বেলাই মোলামগাড়ী মাঠে (রাস্তার ধারে) যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানিয়রা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ।

হত্যাকান্ডের শিকার যুবকের স্ত্রী শাকিলা আক্তার সাংবাদিকদের  জানান, আমার স্বামী গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টারদিকে বাড়ি থেকে গ্রিলের কাজ করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। কিন্তু রাতেও স্বামী বাড়িতে না ফেরায় স্বামীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিয়ে যোগাযোগ এর চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ কল ঢোকেনি। এরিমাঝে রাত পেরোতেই আজ সকাল সারে ৬টারদিকে লোকজন আমাকে জানায় যে আমার স্বামীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে হত্যাকারিরা। আমি প্রসাশনের কাছে আমার স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার চাই। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, যুবক সাইদুল নেশায় আসক্ত ছিলেন। তবে নেশা করানিয়ে ঝামেলা না অপর কোন কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা প্রশাসন উদর্ঘাটন পূর্বক জড়ীতদের যেন আইনের আওতায় আনেন। 

পুলিশ সুত্র জানায়, ঘটনাস্থল গ্রামের কাচা রাস্তায় যুবকের মৃতদেহ পড়ে ছিলো এবং প্রাথমিক সুরতহাল তদন্তে নিহত যুবকের পাজর ও কাঁধে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পরে থাকার খবর পেয়ে বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও 

সিআইডি'র ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাটি উদর্ঘাটনে কাজ করছে।  এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনঞ্জুরুল আলম আরো বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং আইনানুগ কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর