Logo
শিরোনাম

ঢাকার কাঁচাবাজারে মরচি ও পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সদরুল আইন:


দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। 


সপ্তাহের ব্যবধানেই বেড়ে যাচ্ছে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বিভিন্ন দাম। বিশেষ করে অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচামরিচের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজসহ কিছু পণ্যের দাম।



শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারের তথ্যে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ। তবে কোরবানির পরে মুরগীর দাম কিছুটা থম ধরে আছে।



ঈদের আগে থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ টাকারও বেশি।


এছাড়া ঈদের আগে পাইকারি ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা।


 এছাড়া খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। বিভিন্ন জাতের এবং আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়।



এদিকে, আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত এক-দুই সপ্তাহে অনেক জায়গায় ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, জাত ও মানভেদে বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা ও পটল ৪০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


মাছের বাজারে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৮০-৩০০ টাকার নিচে মিলছে না। আকার ও মানভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৪০০-৫০০, বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও রুপচাঁদার কেজি ১ হাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে।


মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৮০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি স্থানভেদে ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। 


খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




সব ধর্মের শিক্ষার্থীর জন্য মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার খাবারের আয়োজন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎ঈদ মানেই আনন্দের ভাগাভাগি। ঈদের ছুটিতে মেস ও হলের প্রায় সবাই বাসায় গেলেও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলসমূহে অবস্থান করছে কিছু শিক্ষার্থী। আর সেসব শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এবার পবিত্র ঈদুল আজহার রাতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা দীপু হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য রাতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে।


‎মাভাবিপ্রবি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাজিদ ইসলাম দিপু জানান, "আমরা ছাত্ররাজনীতি করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই বোনের জন্য, তাদের কল্যাণের জন্য। তাদের বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে সর্বদা পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা জানি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভাই-বোনেরা চাকরির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কারণে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে পারেনি। ঈদের ছুটির কারণে হলের ডাইনিং বন্ধ রয়েছে আর ভালো কোন খাবার হোস্টেল ও এখন খোলা নেই। ঈদের এই খুশি, আনন্দ আমার ভাইদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কল্যাণে আমরা সদা প্রস্তুত আছি। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খাবারের আয়োজন করছে বলেই আমি রাতের আয়োজনটির ব‍্যবস্থা করছি।"‎

‎নাসিফ ইকবাল পিয়াল বলেন, "আমরা আগামীতে একটি বৈষম্যহীন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। 

‎তারই ধারাবাহিকতায় যারা পরিবার থেকে দূরে থেকে ঈদের আনন্দ হতে বঞ্চিত হয়েছে তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের নির্দেশনায় ক্ষুদ্র প্রয়াস।"


আরও খবর



‎মাভাবিপ্রবিতে ঈদের দিনে শিক্ষার্থীদের পাশে উপাচার্য ও প্রক্টর

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসাইন।

‎আজ ৭ জুন (শনিবার), ২০২৫ ইং তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন উপাচার্য ও প্রক্টর। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোরবানিতে অংশ নেন তারা।

‎বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আজ বিভিন্ন হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়েছে। থাকছে উন্নতমানের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থাও।

‎উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে এটি আমার প্রথম ঈদ, এবং আমি ইচ্ছা করেই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি। শুনেছি কিছু শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছে। নামাজ ও কোরবানির পর আমি হলে গিয়ে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করব। আশা করছি ভালো সময় কাটবে।”

‎প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির মধ্যেও কিছু শিক্ষার্থী পরিবার ছেড়ে হলে অবস্থান করছে। তাদের জন্য উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাওলানা ভাসানী হুজুরের নামে কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে—যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও একটি পরিবার, আর পরিবারের আনন্দ ভাগাভাগি করাই স্বাভাবিক। আমি ঈদের নামাজ ক্যাম্পাসে আদায় করব এবং ইনশাআল্লাহ দুপুরে হলে যাওয়ার চেষ্টা করব।

‎হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী সাগর নাইম বলেন, “আজ আনন্দের একটি দিন। পরিবার থেকে দূরে ঈদ করছি, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন আয়োজন যেন সেই অভাবটুকু বুঝতে দেয়নি।

‎বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

‎উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে মাভাবিপ্রবি ২৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে, যা ২৯ মে থেকে শুরু হয়ে ২০ জুন পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষা, বিভাগ ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ২১ জুন (শনিবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।


আরও খবর



ঝালকাঠি আদালতে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা গৃহবধূর

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রোববার (২৫ মে) দুপুরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। 

এসময় পুলিশ তাকে দ্রুত নিবৃত্ত করে। গৃহবধূর নাম নসুরাত জাহান। 

তিনি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ নিজের স্বামী আল-আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে নলছিটি থানায় একটি মামলা করেন নুসরাত জাহান। মামলায় তার স্বামীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। রোববার দুপুরে জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে নুসরাত জাহানকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকৃতি জানান আল আমিন। এতে রাগ ও অভিমানে আদালতের কাঠগড়ায় তার স্বামীর সামনেই নিজের গায়ে কেরোসিন ঢালেন। এসময় দ্রুত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

আদালতের প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, বিচারক এজলাসে উঠার আগেই একটি সেভেন আপের প্লাস্টিক বোতলের মুখ খুলেই শরীরে কেরোসিন ঢেলে গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন ওই নারী। এসময় পুলিশ তাকে বাধা দিলে শরীর থেকে কেরোসিনের গন্ধ বের হয়।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন আকন খোকন জানান, নুসরাত তার স্বামী আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার স্বামী তাকে নিয়ে সংসার করতে না চাওয়ায় গায়ে কেরাসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ বিষয় কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায় জানান, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে এক নারী গায়ে কেরোসিন ঢালেন। দায়িত্বরত পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে। পরে মানসিক স্বস্তির জন্য তাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



লাব্বাইকে’ মুখর হওয়ার অপেক্ষায় আরাফাতের ময়দান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মক্কার অদূরে তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় অবস্থান নিয়েছেন লাখ লাখ হাজি। তারা সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন আছেন। রাত পোহালেই তারা রওয়ানা করবেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানেই পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

পবিত্র আরাফাতের ময়দানে জড়ো হবেন লাখ লাখ হাজি। সেখানে মসজিদে নামিরায় খুতবা দেবেন হজের ইমাম। এই ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এজন্য আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকেই হজের দিন বলা হয়।

বৃহস্পতিবার লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফাত প্রান্তর। দুই খণ্ড সাদা কাপড় (পুরুষের ইহরাম) শরীরে জড়িয়ে একত্রিত হবে আরাফার ময়দানে। সবার মুখেই একই ধ্বনি লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক- আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির।’‘লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই। ইন্নাল হামদা ওয়াননিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক সব প্রশংসা ও নেয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো শরিক নেই

এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।

হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রোববার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পরপর এই ভাষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। হজের খুতবা একযোগে ৩৪টি ভাষায় অনূদিত হবে।

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন।

সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এদিকে এবার এমন সময় হজ পালিত হচ্ছে যখন সৌদি আরবের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। এজন্য হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য তাপজনিত শারীরিক সমস্যা এড়াতে হজ পালনকারীদের সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সরাসরি সূর্যালোক এড়িয়ে ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

গত বছর প্রচণ্ড গরমে ১ হাজার ৩০১ জন হাজির মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর সেই ভয়াবহতা এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ছায়াযুক্ত এলাকা তৈরিসহ নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

গত বছরের প্রাণঘাতী গরমের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে তাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে, এবার কাজ করছে ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা এবং আড়াই লাখ কর্মকর্তা। সৌদি হজমন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়া জানান, এবারে ছায়াযুক্ত জায়গা ৫০ হাজার বর্গমিটার (১২ একর) বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪০০টির বেশি শীতলীকরণ ইউনিট এবং দ্রুত চিকিৎসা সহায়তার জন্য অতিরিক্ত হাজার হাজার মেডিকেল কর্মী মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে এবার হজ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়েছে ড্রোন ক্যামেরা ও বিশাল তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা। বিশাল জনসমাগমের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এ প্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

গত বছরের মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন অনিবন্ধিত হাজি। তাদের জন্য পর্যাপ্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু বা বাসের ব্যবস্থা ছিল না। এবার অনিবন্ধিত হাজীদের ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। চলছে টেক্সট মেসেজ সতর্কতা, ড্রোন নজরদারি এবং নিয়মিত অভিযান।

 


আরও খবর



গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভর্তি শুরু২২ জুন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২২ জুন। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমসহ আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১২ জুন।

‎সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে  গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

‎গুচ্ছের আহ্বায়ক আরো জানান , গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি (নন-প্রাকটিক্যাল বিষয়) শুরু হবে ২২ জুন এবং চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। অপরদিকে বিশেষায়িত বিষয়গুলির (চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলা ও পরিবেশনা‌ বিদ্যা, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান) প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ও কোটার ভেরিফিকেশন শুরু ২১ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে।

‎ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে ৩০ জুনের মধ্যে। তিনি আরো বলেন, চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত‌ এবং ক্লাস শুরু করার সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে।

‎এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবছরও দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে।  বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য—এই তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হয়, যার ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

‎গুচ্ছ পদ্ধতির এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‎ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি সংক্রান্ত নোটিশ এবং অন্যান্য নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ও গুচ্ছের অফিশিয়াল পোর্টালে প্রকাশ করা হবে।

‎বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ যাতে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জটিলতা-মুক্তভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর