Logo
শিরোনাম

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক:


ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।


আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।



এদিকে, আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে আসতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।


 দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে আরও অগ্রসর হতে পারে।


আরও খবর



গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে লক্ষ্মীপুরে উত্তাল হয়ে উঠেছে জনসাধারণ। সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর তেমুহানী এলাকায় সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। “নো ওয়ার্ক, নো স্কুল” কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই মানবিক প্রতিবাদে হাজারো কণ্ঠে ধ্বনিত হয় “গাজার মানুষ একা নয়”, “ইসরায়েলি বর্বরতার বিচার চাই”, “মজলুমের পক্ষে বিশ্ব মুসলিমকে এক হতে হবে”।  সড়ক অবরোধের ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তর তেমুহানীতে একের পর এক খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে একত্রিত হয়ে রূপ নেয় বিশাল মানবজটে। এই সময় বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার ছবি ও ব্যানার নিয়ে সংহতি জানান নিহত শিশু, নারী ও অসহায় জনগণের প্রতি।

লক্ষ্মীপুর সদর ছাড়াও রায়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও একই দাবিতে মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াত ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, তৌহিদী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ।

বক্তারা বলেন,“ইসরায়েল কুলাঙ্গারদের হাতে আমাদের ভাই-বোনদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে গাজার মাটি। আজ চুপ করে থাকা অপরাধ। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই বর্বরতার জবাব দিতে হবে। মানবতা আজ রক্তাক্ত।”

এই মানবিক আন্দোলনের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরবাসী গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে। তারা চায়, বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, গাজার শিশুর কান্না যেন আর কোনো হৃদয়কে অচেতন না রাখে।


আরও খবর



গজারিয়ায় পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার  অভিযোগে এক শ্রমিককে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে উত্তেজিত জনতা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের মুদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শ্রমিক বাদশা মিয়া (৪৩)। সে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের মুদারকান্দি গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি তার বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় বাদশা শিশুটিকে বসত ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে সে শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানালে তারা স্থানীয় কয়েকজনকে বিষয়টি জানায়। এই ঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে বাদশা মিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখে। গোটা গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অভিযুক্তকে উত্তম মধ্যম দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত জনতা।

ভুক্তভোগী শিশুটি জানায়, ‘আমাকে ডেকে তিনি তার ঘরে নিয়ে যায়। আমাকে টাকা দিবে বলে জামাকাপড় খুলতে বলে। আমি কষ্ট পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে তিনি আমাকে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উত্তেজিত জনতা বাদশা মিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় সরকার ব্যর্থ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গাজা ও রাফায় বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সমস্ত পণ্য বর্জন করব, তার মানে এই না আমরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করব। গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এখানে সরকাররে ব্যর্থতা লক্ষণীয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয়। তাদের উচিত ছিল, আগে থেকে এখানে সতর্কতা অবলম্বন করা। তাহলে বাংলাদেশকে আজ এই বদনাম নিতে হতো না।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত সকল রাষ্ট্রে গমনের’ কথাটি সরিয়ে দিয়েছিল। অথচ তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য মায়াকান্নাও করেছিল। তারা আড়িপাতার যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক দলের বিরুদ্ধে যে নির্যাতনের সূচনা করেছিল, সেই যন্ত্র পেগাসাস ইসরায়েল থেকে কিনেছিল।

সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার মানুষ ইসরায়েলের গণহত্যায় নিহত হয়েছে। যারা অপুষ্টিতে ভুগে নিহত হয়েছে, যারা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে, তাদেরকেও এই গণহত্যার শিকার হিসেবে গণ্য করতে হবে।

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সামনে বিএনপির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে অতি দ্রুত সারাদেশে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা দেখেও যেসব রাষ্ট্র নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, তাদেরকে ধিক্কার জানাই। মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন হওয়ার পরও অনেক মানবাধিকার সংগঠন কিছুই করছেন না। গাজায় লাখো মানুষকে নির্বিচার হত্যা করার পরও জাতিসংঘ কিছুই করছে না। যেখানে ইসরায়েলের পণ্য থাকবে, সেখানেই বয়কট করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ইসরায়েলের নৃশংসতাকে ব্যাখ্যা করা যায়, এমন কোনো শব্দ নেই। ২০২৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত তারা ৫১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এর বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের ছাত্রজনতা এরই মধ্যে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে শামিল হয়েছেন।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় সম্প্রতি পাঁচ বাংলাদেশিসহ চার শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান ছাত্রদল সভাপতি। এছাড়াও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি সমাবেশ থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার নিন্দা জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সরকারের এত এত বড় ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যায় না। এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিম সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধনের ওয়াকফ বিল পাসের নিন্দা জানান তিনি এবং দ্রুত এটি বাতিল করার দাবি জানান।


আরও খবর



জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশ জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি। আজ সোমবার সচিবালয়ে সচিবালয়ে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি সই শেষে করা এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এসওপি করেন আইজিপি বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াইট চার্চ। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ঈদের সময়ের আইনশৃঙ্খলা আশা করি স্বাভাবিক থাকবে। জরুরি অবস্থা নিয়ে যা ছড়ানো হচ্ছে, এটা গুজব। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

নাসিমুল গনি বলেন, ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এসওপি স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারটা বাংলাদেশের বাইরে ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রসেস এতদিন নয়াদিল্লি থেকে হয়ে আসছিল। তারা এই মাসের শেষ থেকে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করবে। ঈদের পরপরই হয়তো চালু হয়ে যাবে।


আরও খবর



পরিশুদ্ধ ক্বলব ব্যতিত্ব আল্লাহর দরবারে কোন ইবাদত কবুল হয়না

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

-শাহসূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী :

ক্বলব সম্পর্কিত কোরআনের ১২৪ টি আয়াত

(১) হেদায়াতের কেন্দ্র হল ক্বলবঃ

যে আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনবে আল্লাহ্‌ তাঁর ক্বলবকে হেদায়াত দান করবেন ।

— সূরা তাগাবুন –আয়াত ১১


(২) ঈমানের নির্ধারিত জায়গা হল ক্বলবঃ

আল্লাহ্‌ তাঁদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ঈমানকে নির্ধারন করে দিয়েছেন ।

— সূরা মুজদালাহ, আয়াত ২২


(৩) ইমানদার হবার জন্য ক্বলবের ভিতরে ঈমানকে প্রবেশ করাতে হয়ঃ

এখনো তোমাদের ক্বলবের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করেনি। (সুতরাং তোমরা ইমানদার নও)।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩


(৪) ঈমানকে সুসজ্জিত করার জায়গা হল ক্বলবঃ

কিন্তু আল্লাহ্‌ তোমাদের কাছে ঈমানকে পছন্দনীয় করেছেন এবং একে (ঈমানকে) তোমাদের ক্বলবের মধ্যে সুসজ্জিত করেছেন।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ৭


(৫) ক্বলবই ঈমান আনেঃ

হে রাসূল ! আপনি তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা ঈমান এনেছি, অথচ তাদের ‘ক্বলব’ ঈমান আনেনি

— সূরা মায়েদাহ্‌ আয়াত ৪১


(৬) ‘ক্বলব’কে ঈমানের সাথে অবিচল রাখতে হয়ঃ

কেউ তাঁর ঈমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফরীর জন্য উন্মুক্ত রাখলে তাঁর ওপর পতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাঁর জন্য আছে মহাশাস্তি; তবে তাঁর জন্য নয়, যাকে কুফরীর জন্য জবরদস্তি করা হয় কিন্তু তাঁর ‘ক্বলব’ ঈমানে অবিচল থাকে ।

— সূরা নহল, আয়াত ১০৬


(৭) আল্লাহর মাহাত্ন্যের ভয়ে ক্বলবের কেঁপে উঠাই খাঁটি ঈমানের পরিচয়ঃ

(একমাত্র খাঁটি) মুমিন তো তারাই যাদের সামনে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের ‘ক্বলব’সমূহ কেঁপে উঠে; তথা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ২


(৮) আলাহর মাহাত্ন্যের ভয়ে ক্বলব কেঁপে উঠলেই (ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেই) সুসংবাদঃ

(হে নবী !) সুসংবাদ দিয়ে দিন সে সমস্ত বিনয়ী কোমল-প্রাণ লোকদেরকে, যাদের সামনে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের ক্বলব (আল্লাহর মাহাত্ন্যের) ভয়ে কেঁপে উঠে ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩৪-৩৫


(৯-১০) তাকয়ার কেন্দ্র হল ক্বলবঃ

নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর রাসূলের সামনে নিজেদের কন্ঠস্বর নিচু করে আল্লাহ তাদের ‘ক্বলব’কে তাকওয়ার জন্য পরিক্ষা করেছেন ।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ৩


কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তাঁর ক্বলবের তাকওয়ার লক্ষন ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩২


(১১) ‘ক্বলব’ই আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি পায়ঃ

যারা ঈমান আনে এবং তাদের ক্বলব আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই ক্বলবসমূহ শান্তি পায় ।

— সূরা রা’দ, আয়াত ২৮


(১২) কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছে রাসূল (সঃ) এর ক্বলবের মধ্যেঃ

অতঃপর নিশ্চয়ই তিনি (জিব্রাঈল ফেরেশতা) আল্লাহর আদেশে এ কালাম (কোরআন শরীফ) আপনার ক্বলবের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৯৭


(১৩) ঈমানদারদের ‘ক্বলব’ আল্লাহর স্মরণে বিগলিত হয়ে যায়ঃ

যারা ঈমানদার তাদের ‘ক্বলব’ আল্লাহর যিকিরে বিগলিত হওয়ার সময় কি আসে নি ?

— সূরা হাদীস, আয়াত ১৬


(১৪) ‘ক্বলব’ই গুনাহগার হয়ঃ

যে কেউ তা গোপন করবে, তাহলে অবশ্যই তাঁর ক্বলব গুনাহ্‌গার হবে ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৩


(১৫) গুনাহ্‌ দ্বারা মরিচা পড়ার জায়গা হলো ক্বলবঃ

কখনও না, বরং তারা যা কিছু (গুনাহ্‌) উপার্জন করে তাই তাদের ক্বলবের উপর মরিচা ধরিয়ে দিচ্ছে ।

— সূরা মুতাফফিফিন, আয়াত ১৩


(১৬) ক্বলবের উপর ছাপ পড়ে যায়ঃ

আল্লাহ এদের ক্বলবসমূহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন ।

— সূরা মোহাম্মদ, আয়াত ১৬


(১৭) সীমালঙ্ঘনকারীদের ক্বলবের উপর ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেই ।

— সূরা ইউনুস, আয়াত ৭৪


(১৮) অহঙ্কারী-উৎপীড়ক ব্যক্তির ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এমনিভাবে আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী-উৎপীড়ক ব্যক্তির ক্বলবের মধ্যে ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা আরাফ, আয়াত ৩৫


(১৯-২০) কাফেরদের ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আল্লাহ কাফেরদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা আ’রাফ, আয়াত ১০১


কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন । ফলে তারা ঈমান আনে না কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক ।

— সূরা নিসা, আয়াত ১৫৫


(২১) জ্ঞানহীনদের ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আল্লাহ জ্ঞানহীনদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা রুম, আয়াত ৫৯


(২২) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে অবুঝ হয়ে যায়ঃ

তাদের ক্বলবসমূহের উপর ছাপ পড়ে গেছে । ফলে তারা বুঝে না ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৮৭


(২৩) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে জ্ঞানহীন হয়ে যায়ঃ

আর আল্লাহ তাদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন । ফলে তারা জানে না ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৯৩


(২৪) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে আর শুনতে পায় নাঃ

আমি তাদের ক্বলবসমূহের ওপর ছাপ মেরে দিয়েছে । কাজেই তারা শুনতে পায় না ।

— সূরা আ’রাফ, আয়াত ১০০


(২৫) ক্বলব অন্ধ হয়ে যায়ঃ

বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ হয় না, কিন্তু ঐ ক্বলবই অন্ধ হয় যেই ক্বলব হলো বুকের মধ্যে ।

— সূরা হজ্জ, আয়াত ৪৬


(২৬) ক্বলবের মধ্যে তালা লেগে যায়ঃ

তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না, না তাদের ক্বলব তালাবদ্ধ ?

— সূরা মোহাম্মদ, আয়াত ২৪


(২৭-২৯) ক্বলবের মধ্যে আবরণ পড়েঃ

এটা বুঝতে আমি তাদের ক্বলবের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি ।

— সূরা আন’আম, আয়াত ২৫


আমি তাদের ক্বলবের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই।

— সূরা বনী ঈসরাঈল, আয়াত ৪৭


আর তারা বলে, আপনি যে বিষয়ের দিকে আমাদেরকে দাওয়াত দেন, সে বিষয়ে আমাদের ক্বলবের উপর আবরন রেখে দিয়েছি ।

— সূরা হা-মীম সেজদাহ্‌, আয়াত ৫


(৩০-৩১) ক্বলব আচ্ছন্ন হয়ে যায়ঃ

এবং তারা বলে, আমাদের ক্বলবসমূহ আচ্ছন্ন; বরং আল্লাহ তাদের কুফরের কারণে অভিসম্পাত করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৮৮


এবং তাদের এই উক্তির দরুন, “আমাদের ক্বলব আচ্ছন্ন” ।

— সূরা নিসা, আয়াত ১৫৫


(৩২-৩৩) ক্বলব দ্বারাই বুঝতে হয়ঃ

আর আমি ছেড়ে দিয়েছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে । তাদের ক্বলব আছে, তাঁর দ্বারা বুঝে না, তাদের চোখ আছে, তাঁর দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান আছে, তার দ্বারা শুনে না । তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো; বরং তাঁর চেয়েও নিকৃষ্ট । তারাই হলো গাফেল ।

— সূরা আরাফ, আয়াত ১৭৯


তারা কি দেশ ভ্রমন করে নি, যাতে তাদের জন্য এমন ক্বলব হয়ে যায়, যার দ্বারা তারা বুঝতে পারে ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৪৬


(৩৪-৩৫) সন্দেহ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

একমাত্র তারাই আপনার কাছে অব্যাহতি চায়, যারা আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে না এবং তাদের ক্বলব সন্দেহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সুতরাং তাদের সন্দেহের আবর্তে তারা ঘুরপাক খেয়ে চলেছে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৪৫


তাদের নির্মিত গৃহটি তাদের ক্বলবে সদা সন্দেহের উদ্রেক করে যাবে যে পর্যন্ত না তাদের ক্বলবগুলো চৌচির হয়ে যায়।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১১০


(৩৬) রাগ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

এবং তাদের ক্বলবের রাগ দূর করবেন ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১৫


(৩৭) মঙ্গল চিন্তার জায়গা হলো ক্বলবঃ

আল্লাহ যদি তোমাদের ক্বলবের মধ্যে কোন রকম মঙ্গলচিন্তা (ঈমান ও নিষ্ঠা) রয়েছে বলে জানেন, তবে তোমাদেরকে তাঁর চেয়ে বহুগুন বেশী দান করবেন, যা তোমাদের কাছ থেকে বিনিয়ময়ে নেয়া হয়েছে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৭০


(৩৮) ক্বলব নরম হয়ে আল্লাহর জিকিরে ঝুঁকে পড়েঃ

অতঃপর তাদের ক্বলব এবং চামড়া নরম হয়ে আল্লাহর জিকিরে ঝুঁকে পড়ে । এটাই আল্লাহর পথনির্দেশ (হেদায়াত); এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন ।

— সূরা যুমার, আয়াত ২৩


(৩৯) অবিশ্বাস থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

এমনিভাবে আমি গুনাহ্‌গারদের ক্বলব ক্বলবের মধ্যে এটা (অবিশ্বাস) সঞ্চার করেছি ।

— সূরা শু’আরা, আয়াত ২০০


(৪০) ঠাট্টা বিদ্রুপ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

ওদের (কাফেরদের) কাছে এমন কোণ রাসূল আসেন নি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে থাকে নি । এমনিভাবে আমি পাপীদের ক্বলবের মধ্যে একে (ঠাট্টা বিদ্রুপ আচরনকে) সঞ্চার করি ।

— সূরা হিজর, আয়াত ১২


(৪১) মুনাফেকী থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

তারপর এরই পরিনতিতে তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে মুনাফেকী সংযোজিত করলেন সেদিন পর্যন্ত; যেদিন তারা তাঁর সাথে গিয়ে মিলবে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৭৭


(৪২) মুনাফেকী ক্বলবের মধ্যে গোপন থাকেঃ

মুনাফিকেরা এ ব্যাপারে ভয় করে, মুসলমানদের উপর না জানি এমন কোন সূরা নাযিল হয়, যা তাদের ক্বলবসমূহের গোপন বিষয় সংবাদ দিয়ে দিবে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৬৪


(৪৩-৪৪) মুনাফেকী থেকে মুক্ত থাকতে হলে মুখের সাথে ক্বলবকে মিল রাখতে হয়ঃ

তারা (মুনাফিকেরা) নিজেদের মুখে এমন কথা বলে, যা তাদের ক্বলবের মধ্যে নেই ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৬৭


তারা (মুনাফিকেরা) নিজেদের মুখে এমন কথা বলে, যা তাদের ক্বলবের মধ্যে নেই ।

— সূরা ফাতাহ, আয়াত ১১


(৪৫-৪৮) ক্বলবের মধ্যে মোহর মারা হয়ঃ

আল্লাহ তাদের ক্বলবসমূহের উপর মোহর মেরে দিয়েছেন । (অর্থাৎ ক্বলব বন্ধ করে দিয়েছেন) ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৭


আর যদি আল্লাহ তোমাদের ক্বলবের উপর মোহর মেরে দেন তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে এগুলো এনে দিবে ?

— সূরা আন'আম আয়াত ৪৬


তিনি তাঁর ক্বলব এবং শ্রবণশক্তির উপর মোহর মেরে দিয়েছেন । সূরা জাছিয়াহ, আয়াত ২৩


আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে (হে নবী !) আপনার ক্বলবের উপর আপন রহমত ও হিফাযতের মোহর মেরে দিতেন ।

— সূরা শু’আরা, আয়াত ২৪


(৪৯-৫০) প্রশান্তি নাযিল হওয়ার জায়গা হলো ক্বলবঃ

তিনি মুমিনদের ক্বলবসমূহের মধ্যে প্রশান্তি নাযিল করলেন, যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায় ।

— সূরা ফাতাহ্‌, আয়াত ৪


আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নিচে আপনার কাছে শপথ করল । আর আল্লাহ জানেন যা কিছু তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে আছে । অতঃপর তিনি তাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন ।

— সূরা ফাতাহ্‌, আয়াত ১৮


(৫১) মুশরিকদের আচরণ হতে বাঁচতে হলে মুখের সাথে ক্বলবের মিল রাখতে হয়ঃ

তারা (মুশরিকেরা) মুখে তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের ক্বলবসমূহ তা অস্বীকার করে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত 8


(৫২) মানুষের ভিতরে ক্বলব একটিইঃ

আল্লাহ কোন মানুষের ভিতরে দুটি ক্বলব স্থাপন করেন নি ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৪


(৫৩) আল্লাহ তা’আলা ক্বলবের ইচ্ছা ও সংকল্পকেই ধরে থাকেনঃ


এ ব্যাপারে তোমাদের কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু তোমাদের ক্বলব যা ইচ্ছা সংকল্প করবে সে বিষয়ে গুনাহ্‌ হবে ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৫


(৫৪) ক্বলব খেলায় মত্ত হয়ে পড়েঃ


যখনই তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে, তারা তা খেলার ছলে শ্রবণ করে । তাদের ক্বলব থাকে খেলায় মত্ত ।

— সূরা আম্বিয়া, আয়াত ২-৩


(৫৫) ক্বলব বিনয়ী হয়ঃ


এবং এই কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তারা যেন জানতে পারে, এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের ক্বলব যেন এর প্রতি বিনয়ী হয় ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৫৪


(৫৬) ক্বলব অগ্রগামী হবার জন্য এবং এবাদত দ্রুত সম্পাদন করার জন্য ভীত-কম্পিত ক্বলব তৈরী করা প্রয়োজনঃ


এবং যা দান করার তা যারা দান করে ভী-কম্পিত ক্বলব নিয়ে, এ কারণে যে, তারা তাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করবে । তারাই সৎ কাজ দ্রুত সম্পাদন করে এবং তাদে তারা অগ্রগামী হয় ।

— সূরা মুমিনুন, আয়াত ৬০-৬১


(৫৭) ক্বলব অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়ঃ

বরং তাদের ক্বলব এ বিষয়ে অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন ।

— সূরা মুমিনুন, আয়াত ৬৩


(৫৮-৬০) ক্বলব বক্র হয়ে যায়ঃ


অতঃপর তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের ক্বলবকে বক্র করে দিলেন ।

— সূরা ছাফ, আয়াত ৫


হে আমাদের পালনকর্তা ! আমাদেরকে হেদায়াত করার পর আমাদের ক্বলবকে বক্র করে দিবেন না ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ৮


আল্লাহ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি যারা তাঁর অনুসরণ করেছিল সঙ্কটকালে, তাদের একদলের ক্বলব বক্র হয়ে যাবার উপক্রম হবার পর । পরে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করলেন ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১১৭


(৬১) বক্রতা থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যাদের ক্বলবের মধ্যে বক্রতা আছে তারা ফিতনা ও অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে যা মুতাশাবেহ্‌ (রুপক) আয়াত সেগুলোর অনুসরণ করে থাকে ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ৭


(৬২) বিদ্বেষ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের ক্বলবের মধ্যে কোণ বিদ্বেষ রেখো না ।

— সূরা হাশর, আয়াত ১০


(৬৩) ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য ক্বলবের মিল থাকতে হয়ঃ


আপনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করেন, অথচ তাদের ক্বলবসমূহ শতধাবিচ্ছিন্ন ।

— সূরা হাশর, আয়াত ১৩


(৬৪) আগের যুগের কাফের এবং পরের যুগের কাফেরদের মিল থাকার মাধ্যম হলো ক্বলবঃ


এমনিভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরুপ কথা বলেছে । তাদের ক্বলবসমূহ একই রকম সাদৃশ্যপূর্ন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ১১৮


(৬৫) ক্বলব সংকোচিত হয়ে যায়ঃ


যখন এক আল্লাহর কথা উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরজীবনে বিশ্বাস করে না, তাদের ক্বলব সংকোচিত হয় যায় ।

— সূরা যুমার, আয়াত ৪৫


(৬৬-৬৭) ক্বলবের মধ্যে ভাল-মন্দ যা কিছু আছে সবই আল্লাহ তা’আলার জানাঃ


ওরা হলো সে সমস্ত লোক যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে যা কিছু (গোপন বিষয়) আছে সবই আল্লাহ জানেন ।

— সূরা নিসা, আয়াত ৫১


তোমাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে যা আহচে তা আল্লাহ জানেন ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৫১


(৬৮) ক্বলবকে পরিষ্কার করার পন্থা অবলম্বণ করা দরকারঃ


এবং যাতে করে তিনি তোমাদের ক্বলবের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা পরিষ্কার করে দিতে পারেন ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫৪


(৬৯) অনুতাপ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যাতে আল্লাহ এক তাদের ক্বলবের মধ্যে অনুতাপে পরিনত করে দিতে পারেন ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫৬


(৭০-৭১) মোহাব্বত থাকার জায়গা হল ক্বলবঃ


অতঃপর আল্লাহ তোমাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে মোহাব্বত সঞ্চার করেছেন । 

--(সূরা আল ইমরান, আয়াত ১০৩


এবং তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন । পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও আপনি তাদের ক্বলবসমূহে মোহাব্বত স্থাপন করতে পারতেন না; কিন্তু আল্লাহই তাদের মধ্যে মোহাব্বাত স্থাপন করেছেন ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৬৩


(৭২) নম্রতা ও দয়া থাকার জায়গা হল ক্বলবঃ

আর আমি তাঁর অনুসারীদের ক্বলবসমূহে নম্রতা ও দয়া স্থাপন করেছি ।

— সূরা হাদীস, আয়াত ১২৭


(৭৩) আল্লাহ তায়ালা (শপথের ব্যাপারে) 

ক্বলবের কাজকেই ধরেনঃ


কিন্তু (শপথের ব্যাপারে) আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন সেসব বিষয়ে যা তোমাদের ক্বলব উপার্জন করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ২২৫


(৭৪) গোবৎস প্রীতি পান করানোর জায়গা হল ক্বলবঃ


তাদের কুফরীর কারণ তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে গোবৎসপ্রীতি পান করানো হয়েছে ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৯৩


(৭৫-৭৮) ক্বলব ভয় পায়ঃ

তোমাদের ক্বলবসমূহ (ভয়ে) কন্ঠাগত হয়ে পড়েছিল ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ১০


আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন ক্বলবসমূহ (ভয়ে) কন্ঠাগত হওয়ার উপক্রম হবে ।

— সূরা মুমিন, আয়াত ১৮


সেদিন ক্বলবসমূহ ভীত-সন্ত্রস্ত হবে ।

— সূরা নাযিআত, আয়াত ৮


তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন ক্বলবসমূহ ও দৃষ্টিসমূহ (ভয়ে) উল্টে যাবে ।

— সূরা নূর, আয়াত ৩৭


(৭৯-৮৩) ভয়-ভীতি থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যার জন্যে অনুমতি দেয়া হয়, তাঁর জন্য ব্যতীত আল্লাহর কাছে কারও সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না । 

যখন তাদের ক্বলবসমূহ থেক ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে, তখন তারা পরস্পরে বলবে, তোমাদের পালনকর্তা কি বললেন? তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন ।

— সূরা সাবা, আয়াত ২৩


শীঘ্রই আমি কাফেরদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিব ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ১২


খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিব ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫১


তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিলেন ।

— সূরা হাশর, আয়াত ২


তিনি ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিলেন ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ২৬


(৮৪-৯৫) ক্বলবের মধ্যে রোগ থাকেঃ

যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে রোগ আছে, তারা কি মনে করে যে, আল্লহ তাদের অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে দিবেন না ?

— সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ২৯


অতঃপর যখন কোন (মুহ্‌কামাত) দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে যুদ্ধ-জিহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, আপনি তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন ।

— সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ২০


বস্তুতঃ যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে আপনি তাদেরকে দেখবেন দৌড়ে গিয়ে তাদেরই (কাফেরদের) মধ্যে প্রবেশ করে ।

— সূরা মায়িদাহ্‌, আয়াত ৫২


এবং যাতে যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, তারা এবং কাফেররা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন ।

— সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত ৩১


এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এটি তাদের কলুষের সাথে আরো কলুষ বৃদ্ধি করেছে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১২৫


এবং যখন মুনাফিক ও যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে রোগ আছে তারা বলছিল, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল আমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয় ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ১২


তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে কি রোগ আছে, না তারা সন্দেহ পোষণ করে ?

— সূরা নূর, আয়াত ৫০


মুনাফেকরা এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং নগরে গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে প্রবল করবো ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৬০


হে নবীর স্ত্রীগণ ! তোমরা অন্য স্ত্রীগণের মতো নয়; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে এমনভাবে কথা বলিও না, যাতে যার ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, সে কুবাসনা করে ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৩২


স্মরণ করুন, মুনাফেকরা এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে তারা বলে, এদেরকে তাদের ধর্ম বিভ্রান্ত করেছে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৪৯


এটা এ জন্য যে, শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং যাদের ক্বলব পাষাণ ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৫৩

তাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং আল্লাহ তাদের রোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ।

— সূরা বাকারা, ১০


আরও খবর