Logo
শিরোনাম

ঢাকায় বাড়ছে বন্যার ঝুঁকি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আগে ঢাকার মতো প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা পৃথিবীর কোথাও ছিল না। কিন্তু এরই মধ্যে সেই নিষ্কাশন ব্যবস্থা মরে গেছে। ভরাট করা হয়েছে জলাশয়, পুকুর ও খালবিল। ফলে রাজধানী শহরটি মারাত্মকভাবে বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কায় আছে।

এতে এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে নতুন করে বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছেন দেড় কোটি মানুষ, যা দেশের জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। প্লাবনভূমি ও নদী তীরে বসতি এবং অবকাঠামো বেড়ে যাওয়ায় এ ঝুঁকি আরো বাড়ছে। ফলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বন্যার ভয়াবহতা সামনের দিনগুলোতে আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

 ( বাংলাদেশের নদী এলাকায় মানব উপস্থিতি ও বন্যার ঝুঁকির গতিবিধি ) বিভিন্ন সময়ের উপগ্রহের ছবির একটি মূল্যায়ন’ শিরোনামের গবেষণা করে জিওকার্টো ইন্টারন্যাশনাল। যা একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে প্রকাশ পেয়েছে। নিবন্ধটির গবেষকদের একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে আট কোটি ৭০ লাখ (প্রায় পৌনে ৯ কোটি) মানুষ সরাসরি বন্যাকবলিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এসব মানুষ বাস করছেন দেশের ছোট-বড় নদীগুলোর দুই কিলোমিটারের মধ্যে। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষের জন্য বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। যেমন, নদীর ১-২ কিলোমিটার তীরবর্তী বনাঞ্চল ৯১.৯৮ শতাংশ সংকুচিত হয়ে গেছে। তৃণভূমি ৬ শতাংশ ও অনুর্বর ভূমি কমেছে ২৭.৯২ শতাংশ। এ ছাড়াও প্লাবনভূমি আর নদী অববাহিকায় বসতি ও স্থাপনা নির্মাণ বেড়েছে ১১ শতাংশের বেশি।

এদিকে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্থ অবজারভেটরির এক প্রতিবেদন বলছে, ১৯৮৮ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ৫৭ লাখ। কিন্তু ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ২০ লাখে। জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর একটি এখন ঢাকা। যে কারণে এখানকার বহু মানুষকে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোতে বাস করতে হচ্ছে।

ন্যাচার সাময়িকীর এক বিশ্লেষণ বলছে, ঢাকার চারপাশেই নদী। দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা, পশ্চিমে তুরাগ, উত্তরে টঙ্গীখাল ও পূর্বে বালু নদী। ২০০০ সাল থেকে বুড়িগঙ্গা ও বালু নদীর তীরে জনবসতি বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের বন্যায় ডুবে গিয়েছিল ঢাকা। এতে দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আর ১৯৯৮ সালের বন্যায় মারা যান ৯০০ জন। প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা রাতের ছবির পিক্সেলের আলো বিশ্লেষণ করে দেশের কোথায় কোথায় মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে, সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হয়েছে। ছবিতে কোথাও কোথাও আলোর উজ্জ্বলতা বেড়েছে।

আলোর উজ্জ্বলতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গবেষক দলের নেতা ও অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, ‘আমাদের নগর কিংবা গ্রামীণ অঞ্চলে আলো থাকে। যেসব অঞ্চলে শিল্পকারখানা আছে, সেখানেও আলো থাকে। নাসার বিশেষায়িত একটি উপগ্রহ আছে, যেটা কেবল রাত্রিকালীন আলোর তথ্য চিত্রায়ন করে। অর্থাৎ কোথায় আলো কমেছে কিংবা কোথায় বেড়েছে, তা ধারণ করতে পারে এ উপগ্রহ। এ রকম উপগ্রহ দিয়ে ১৯৯২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরের ডেটা নিয়েছি আমরা। কিন্তু এ গবেষণায় ২০০০-২০১৮ সালের তথ্য ব্যবহার করেছি।

বন্যার ঝুঁকি কেন বেড়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়ে এই গবেষক আরো বলেন, প্লাবনভূমি কমে গেলে বন্যার পানি কোথায় যাবে? তখন তা মানুষের বসতবাড়ি থেকে শুরু করে অবকাঠামোগুলো ডুবিয়ে দেবে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

গবেষণা অনুসারে ঢাকা সবচেয়ে বেশি বন্যার ঝুঁকিতে। কারণ রাজধানীর জনসংখ্যার বড় একটি অংশ নদীর পাশে বসবাস করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, আগে পানি যেখানে ওঠার কথা উঠত, এখনো যেখানে ওঠার কথা সেখানে ওঠে। কিন্তু পানি যেখানে ওঠার কথা, এখন সেখানে মানুষ থাকে। কাজেই মানুষ থাকে বলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। আগে ঢাকার শ্যামলী পর্যন্ত পানি আসত, কল্যাণপুরে পানি আসত। এখন মানুষ থাকতে চাইলে পানি আটকাতে হবে। আর পানিকে আটকানো হয়েছে। আর ভিতরে যাতে পানি থাকতে না পারে, সে জন্য পাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বসবাস করতে চাইলে পানি সরিয়ে দিতে হবে। কাজেই পানিকে দোষ দিয়ে কিছু হবে না, পানির কাজ পানি করবেই।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




মেসি নৈপুণ্যে স্বস্তির জয় পেল মায়ামি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না ইন্টার মায়ামির। শেষ পাঁচ ম্যাচের একটাতেও জিততে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচে গোল করেও মেসি জেতাতে পারেননি দলকে। তবে আজ আর ভুল করেননি, গোল করে, করিয়ে মায়ামির ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে দিলেন তিনি।

রোববার সকালে মেজর সকার লিগে কানসাস সিটির বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। দারুণ লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে মায়ামি। ৯ ম্যাচে পয়েন্ট ১৫।


চোটের কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। মন্তেরির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরলেও সেদিন পুরোপুরি ছন্দে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। তবে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। তাতে আলোর মুখ দেখে মায়ামিও।

তবে কানসাসের মাঠে প্রায় ৭৩ হাজার দর্শকের সামনে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মেসির মায়ামি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে এরিক টমির গোলে এগিয়ে যায় এসকেসি। অবশ্য সমতায় ফিরতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি মায়ামিকে। মেসির সুবাদে দ্রুত ফেরে সমতায়।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মেসির অসাধারণ অ্যাসিস্টে দলকে সমতায় ফেরান গোমেজ। এরপর আরো বেশকিছু আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মায়ামি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ না হওয়ায় সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।

 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। ৫১ মিনিটে গোলের দেখা পান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ডেভিড রুইজের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে চোখ ধাঁধানো শটে বল জালে জড়ান তিনি। চলতি মৌসুমে মায়ামির হয়ে ৫ ম্যাচে যা মেসির পঞ্চম গোল, সাথে আছে পাঁচ অ্যাসিস্টও।

এগিয়ে যাওয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মায়ামির। ৫৮ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলে কানসাসকে সমতায় ফেরান টমি। ২-২ সমতায় খেলা তখন জমে ক্ষীর। জয়সূচক গোলের জন্যে দুই দলই চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।

তবে সব সংশয় উড়িয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। ৭১ মিনিটে অবশ্য কানসাস সমর্থকদের উল্লাস থামিয়ে মায়ামিকে আবার এগিয়ে দেন


আরও খবর



৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খেপুপাড়ায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, আজ রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা গতকাল ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় নদী থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় তুলসী গঙ্গা নদীর (কচুরি পানার) ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক যুবক এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন এর চকবুলাকি নামক এলাকায় নদীর তলানীতে কচুরি পানার ভেতর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে সাথে সাথে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছান। খবর পেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করেন নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা আড়াই টারদিকে চকবুলাকি গ্রামের তুলসী গঙ্গা নদীতে কচুরি পানার ভেতর বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক জনের মৃতদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আঃ গফুর বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে হত্যা কাণ্ডের পর মৃতদেহটি ঐখানে ফেলে যায়। তবে নিহতের নাম- পরিচয় শনাক্ত ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় সারাদেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারির কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়।

এছাড়া সারা দেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চু্য়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।

চু্য়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন।

প্রচণ্ড তাপদাহে এ অঞ্চলের হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। অসহনীয় গরমে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছে না তারা।

তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।


আরও খবর



দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এল মার্চে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে মার্চ মাসে বৈধপথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এরম‌ধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।

দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা ৭০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

এদিকে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২.১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

অন্যদিকের দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে থাকা ডলার সংকটও কিছুটা কমছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর অন্যতম হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি টাকার সংকট কিছুটা কমে আসার কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকা অদলবদলের (সোয়াপ) সুবিধা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। এতে হঠাৎ বেড়ে যায় আমদানি খরচ। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।

এ কারণে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। মাসটিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলে সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ সে হিসাবে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে আসছে।

 


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪