Logo
শিরোনাম

ঢাকায় থাকলো না প্লট ভিত্তিক আবাসন পদ্ধতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :   নগর এলাকায় জায়গার স্বল্পতা থাকায় অপেক্ষাকৃত কম জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন জরুরি। 

নতুন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান রেখে অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট প্লট একত্রীকরণ। এর ফলে বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট ইমারত নির্মাণ করা যাবে। জমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচও কমে যাবে। 

তাছাড়া যত্রতত্র নগরাঞ্চল সম্প্রসারণ কমিয়ে আনা এবং শহরের নিচু জমি ও কৃষিজমির সুরক্ষা করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

ড্যাপের লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্বের অনুপাতে সেখানকার নাগরিক সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ঢাকাকে একটি উন্নত বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা। 

২০৩৫ সালের মধ্যে একটি বিস্তৃত এলাকাজুড়ে পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তুলে আরও ২.৬ কোটি লোকের বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যও রয়েছে ড্যাপের।

ঢাকার সবচেয়ে জনবহুল এলাকা যেমন লালবাগ, বংশাল, সবুজবাগ এবং গেন্ডারিয়ায় বড় ধরনের সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে ড্যাপ। এই এলাকাগুলোতে প্রতি একরে ৭০০ থেকে ৮০০ জন বাস করে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ।

কেন্দ্রীয় ঢাকায় প্রতি একরে ২০০ জন এবং পুরান ঢাকার এলাকায় প্রতি একরে ২৫০ জনের ঘনত্ব বজায় রাখতে চায় ড্যাপ।

আবাসন খাতের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, প্লট হাউজিং স্কিমের পরিবর্তে ব্লক-ভিত্তিক ব্যবস্থা করা আবাসন খাতকে হুমকির মুখে ফেলবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ড্যাপের ঢাকায় ভবন নির্মাণ বিধিমালা বাস্তবায়ন না করার জন্য অনুরোধ করেছিল রিহ্যাব। তারা আশঙ্কায় করেছিল, এ পরিকল্পনা আবাসন খাতের ২৬৯টি সহযোগী শিল্পকেও প্রভাবিত করবে।

এ সময় ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম রিয়েলটরদের দাবিকে 'সম্পূর্ণ অযৌক্তিক' বলে অভিহিত করেন।

তিনি সেসময় বলেন, "আমরা ২০৩৫ সালের ঢাকার ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে পরিকল্পনাটি তৈরি করেছি যাতে কোনো এলাকা অতিরিক্ত জনবহুল না হয়। পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা মিশ্র ভূমি ব্যবহারের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন প্রস্তাব করেছি।"

ড্যাপ ২০১৬-২০৩৫ এ যা আছে

প্রকল্প এলাকাকে ছয়টি স্বতন্ত্র প্রধান অঞ্চলে এবং ৭৫টি উপ-অঞ্চলে বিভক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকাসহ কৃষি, প্রাতিষ্ঠানিক, জলাশয়, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, যোগাযোগ, বন্যা প্রবাহ ইত্যাদি এলাকাসমূহ পরিকল্পনায় চিহ্নিত করা হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজউকের ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার ৬০ শতাংশ শহরাঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

ড্যাপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকায় ২২৮ কিলোমিটার আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ সড়ক রয়েছে, যা বাড়িয়ে ২৯১ কিলোমিটার করা হবে। এছাড়া সংগ্রাহক সড়কটিকে ১২০০ কিলোমিটার প্রসারিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

পাশাপাশি, শহরে ২০২ কিলোমিটার সাইকেল লেন এবং ৫৭৪ কিলোমিটার জলপথ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন ড্যাপে বুড়িগঙ্গা নদীকে ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করার পরামর্শও রয়েছে পরিকল্পনায়।

ঢাকার চারদিকে মোট ১৩টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এবং ২টি ট্রাক টার্মিনালের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

জনমানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী বিদ্যমান রাসায়নিক গুদামসমূহ পর্যায়ক্রমে স্থানন্তরের সুপারিশ করা হয়েছে পরিকল্পনায়।

 


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




এনআইডি সংশোধন বন্ধ না করার নির্দেশ ইসির

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না বলে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি জানায়, তফসিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২ এ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠপর্যায়ে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন অন্তর্ভুক্তি ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাঠানো হয়। ওই মুদ্রিত ভোটার তালিকা মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বরের পরও বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির জন্য তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নতুন নিবন্ধন বা এনআইডি প্রাপ্তির প্রয়োজনে নাগরিকদের বায়োমেট্রিকসহ তথ্যাদি গ্রহণে আপত্তি/অনাগ্রহ দেখান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে।

এ জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। ১৪ সেপ্টেম্বরেরর পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সে ক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নৌকার মনোনয়নে বিবেচনা করা হচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ, উচ্চ শিক্ষিত ও করোনাকালীন ভূমিকা। এ কারণে বাদ পড়ছেন বর্তমান অনেক এমপি। 

একই পরিবারের দুই বা ততোধিক সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মূলেও রয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কা । এমন আসনের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৫টি।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের ২ জন সদস্য  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ১/১১-এ ভূমিকা বিবেচনা করা হয়েছিল। 

তিন ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।

 তিনি বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার না থাকলেও উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

 তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ থানার সমন্বয়ে গঠিত এই আসনটি। বর্তমানে এই আসনে সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। 

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। পরে তিনি সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হন।

আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এবার তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। 

ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে রয়েছেন। উচ্চ শিক্ষিত হ্যাপি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন।

 ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই বার্তা নিয়ে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের জন্য চালু করেছিলেন ‘মানবতার ডাকঘর’। সেই ডাকঘরের সন্ধান পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন নম্বর। 

ফোন করে অসহায় কোনও মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানালেই তার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য অনুষঙ্গ। এমনকি কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি রাতের বেলাও অনেকটা গোপনে মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। 

এদিকে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বাবা-ছেলে,  ভাই ভাই, স্বামী স্ত্রী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) ও তার বড় ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু)। 

একই পরিবারের সবচেয়ে বেশি সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে।

 ঠাকুরগাঁয়ে দলীয় মনোনয়নের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে, মেজো ভাই, ভাতিজাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

 দবিরুলের বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, এ নেতার মেজো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এবং ভাতিজা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েলও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

পাবনা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর দুই ছেলে ও মেয়ে, জামাতাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। 

পরিবারের বড় মেয়ে মাহজেবিন শিরিন পিয়া, দুই ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ, সাকিবুর রহমান শরীফ, জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন সহোদর। তারা হলেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, তার বড় ভাই ও রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং তাদের ছোট বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। 

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেন প্রয়াত সংসদ সদস্য (এমপি) আফাজ উদ্দীন আহমেদের তিন ছেলে। নৌকার প্রার্থী হতে চাওয়া তিন ভাই হলেন আফাজ উদ্দীন আহমেদের বড় ছেলে নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, মেজো ছেলে আরিফ আহমেদ বিশ্বাস ও ছোট ছেলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস। 

যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন বাবা ও ছেলে। বাবা-ছেলে হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশিষ ইসলাম। 

একই ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের বেলায়ও। এখান থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তার ছেলে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন। 

জাসদের এক সময়ের আধ্যাত্মিক নেতা প্রয়াত কর্নেল তাহেরের এক ছোট ভাইয়ের আসনে এবার মনোনয়ন চেয়েছেন আরেক ছোট ভাই। 

নেত্রকোণা-৫ আসনের (পূর্বধলা উপজেলা) জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। 

আবার এমন ঘটনাও আছে যে, নিজের আসনে ছেলে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে বাবা নিজেই দলীয় কার্যালয়ে ছেলের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমের মনোনয়নপত্র জমা দিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজি সেলিম। তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছেন বলে দাবি সোলায়মান সেলিমের।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ক্যানসার আক্রান্ত রবিনের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ক্যানসারে আক্রান্ত যুবক রবিনের (২২) জীবন বাঁচাতে চিকি’সার জন্য সহযোগিতার আকুতি জানিয়েছেন স্বজনরা। রবিন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা গ্রামের মোহাতাব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকি’সাধীন রয়েছেন।

রবিনের বড় ভাই ফিরোজ হোসেন জানান,সংসারে অভাব অনটোনের জন্য গত দুই বছর ধরে চট্রগ্রাম একটি গার্মেন্টসে শ্রমীক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত তিন মাস আগে অসুস্থ্য হয়ে পরেন। পরে হাসপাতালে নিলে পলীক্ষা নিরীক্ষার পর তার শরীরে ইউয়িং সারকোমা নামক ক্যানসার ধরা পরে। বর্তমানে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকি’সাধীন রয়েছেন। তাকে ভারতে নিয়ে চিকি’সা করাতে প্রায় ১০লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। কিন্তু এতো টাকা ব্যায় করে চিকি’সা করানোর মতো সামর্থ নেই পরিবারের। ফিরোজ জানান,সংসারে একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাই বাড়ীর মাত্র চার শতক জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। বর্তমানে থেরাপীতে যে পরিমান টাকা ব্যায় হচ্ছে তাও যোগান দিতে পারছিনা। চোখের সামনেই তিলে তিলে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সামর্থবান এবং হৃদয়বানদের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সহযোগিতা পাঠাতে

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আবাদপুকুর হাট এজেন্ট শাখা যাহার হিসাব নং-৯৯০১১৯০০৫৯৬৩৬

বিকাশ নং-০১৭৫৭ ৬৫৪৬৪৪


আরও খবর



নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে একাধিকবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

 বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে আইনমন্ত্রী আচরণবিধি ভেঙে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে নিয়ে তিনি কসবা পৌরমুক্ত মঞ্চে জনসভা করেন। 

জানা গেছে, বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার নেতা-কর্মীদের নিয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুল হক ভূঞা, পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।

এর আগে কসবা পৌরমুক্ত মঞ্চে জনসভা করেন। এ সভাকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী সড়কের যান চলাচল। সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন। 

কসবার সভা শেষে বিকাল ৩টায় তিনি আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমার কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

 এরপর আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় যোগ দেন তিনি।

এ সভাকে কেন্দ্র করেও দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল স্টেশনের আশেপাশের সড়ক। এ সময় মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থীকে হলুদ শাড়ি পরিয়ে সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

কসবায় মনোনয়নপত্র জমা শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি সেখানে ভোট দেয় কে নির্বাচনে আসল আর আসল না সেটা বড় কথা থাকে না। 

জনগণ চায় নির্বাচন হউক। সেজন্য নির্বাচন ঘিরে জনগণের মাঝে উচ্ছ্বাস ও আনন্দ দেখা দিয়েছে। সে কারণে নির্বাচন সফল হবে। 

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ হওয়ার ব্যাপারে কিছু জানি না।

 আচরণবিধির জন্য আমাদের আলাদা ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তিনি যদি আমাদেরকে রিপোর্ট করেন অথবা কেউ যদি আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধির ৮ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মনোনয়পত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। 

এছাড়া, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না।

 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সেই হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বুধবার অষ্টম দফার এ অবরোধ কর্মসূচিতে ঢাকার সড়কে সকাল থেকে চলছে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, রিকশাসহ বেশকিছু যানবাহন। তবে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস। বাড্ডা, রামপুরা, মহাখালী ও মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

সকাল থেকেই অফিসগামী মানুষের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বাসের চাপ বাড়ায় ও থেমে থেমে যাত্রী নেওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় গাড়ির জটলাও তৈরি হয়। যদিও অবরোধ ছাড়া সাধারণ দিনের তুলনায় কিছুটা কম।

এদিকে, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, শ্যামলী ও গাবতলী এলাকায় অবরোধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে। সড়কে যানজট নেই। বেশ কিছু পাবলিক ও ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন ঢাকার বাইরের যাত্রীরা।

অন্যদিকে, সকাল থেকে গুলিস্তান, টিকাটুলী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, কাজলা, শনির আখড়া ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ি চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক। রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, পণ্যবাহী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে।


আরও খবর