Logo
শিরোনাম

ধামরাইয়ে ৩ হাজার কম্বল বিতরন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

মোঃ মাহবুবুল আলম রিপন :

ঢাকার ধামরাইয়ে স্থানীয় এমপি ও ৫ টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে প্রায় ৩ হাজার নিন্মআয়ের পরিবারের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি ) দুপুরে উপজেলার কাওয়ালীপাড়া বাজারে চৌহাট, আমতা, বালিয়া, গাঙ্গুটিয়া, ও কুশুরা ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে এই শীতবস্ত্র কম্বল বিতরন করা হয়।

এসময় কম্বল বিতরণের সমন্বয়কারী কমিটির সভাপতি ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আহম্মদ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে কম্বল বিতরন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ এমপি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা, বাইশাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, আমতা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেন, বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান,গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের কোম্পানি, নবাগত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান,ধামরাই উপজেলা আওয়ামী ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জামিল হোসেন সহ আরও অনেকে।


আরও খবর



নওগাঁয় কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে নওগাঁয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

বুধবার ১৫মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের বাজার রোডে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক নওগাঁ শাখা কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাকাবের নওগাঁ জোনের জোনাল ব্যবস্থাপক মোঃ নবিউল করিম। 

রাকাবের নওগাঁ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক চিত্তরঞ্জন বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাকাবের জোনাল কার্যালয়ের মূখ্য কর্মকর্তা মীর আহম্মদ আলী, কর্মকর্তা জীবন মজুমদার সহ রাকাবের অন্যান্য কর্মকর্তাগন বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৯৮৬ সালের ৫৮ নং অধ্যাদেশ বলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) তদানিন্তন রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগে অবস্থিত। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখা সমূহের দায় ও সম্পদ নিয়ে ১৯৮৭ সালের ১৫ মার্চ কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ৩৮৩ টি শাখা নিয়ে ব্যাংকের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। রাকাব দেশের একমাত্র বিশেষায়িত রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংক যার প্রধান কার্যালয় ঢাকার বাহিরে রাজশাহীতে অবস্থিত।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি কাজের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরন অথ্যাৎ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেকৃষকদের মাঝে প্রয়োজনে কৃষি ঋন বিতরন করে কৃষির উন্নয়ন করা। ৩০টি শাখা নিয়ে রাকাব নওগাঁ জোন। এ জোনের বার্ষিক ঋন বিতরণ লক্ষামাত্র দুইশত ৩৩.৭৫ কোটি। কৃষি ও পল্লী ঋন বিতরণের পাশাপাশি ডাল, তৈলবীজ ও মসলা জাতীয় ফসলের ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋন, সরকার ঘোষিত কৃষি খাতে প্রনোদনা ঋন এবং সিএমএসএমইসহ অন্যান্য খাতে ঋন বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়াও বিএফটিএন, আরটিজিএস, এ চালান, রেমিট্যান্সসহ ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়। 

আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে প্রধান অতিথি ব্যাংকের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ও গ্রাহকদের নিয়ে কেক কাটেন।


আরও খবর



ছায়াবিতান সোসাইটির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

কু‌মিল্লা ব্যুরো : কুমিল্লাস্থ ছায়াবিতান সোসাইটির বার্ষিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বি‌কে‌লে কুমিল্লা শহরতলীর দৌলতপুর ছায়াবিতান কো- অপারেটিভ  হাউজিং সোসাইটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও  মতবিনিময় সভা সোসাইটি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। 

সোসাইটির সভাপতি ও  কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সোসাইটির সদস্য  জনাব মো: গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায়-

এ  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব (অব:) ও সোসাইটির সম্মানিত সদস্য  এন এম জিয়াউল আলম,   

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) পংকজ বড়ুয়া,মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক  শিহাব উদ্দিন আহমেদ বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন অবসর প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ জনাব মো: আবু মুসা চৌধুরী, অব: জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মো: আবদুস সালাম মিয়া, সোসাইটির সম্পাদক এএম মামুনুর রশিদ (অপু) সহসম্মানিত অতিথিবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ, সোসাইটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ রা।

 উল্লেখ্য ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ছায়াবিতান সোসাইটি সরকারি চাকুরীজীবিদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে সরকারিভাবে  কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার  দৌলতপুর মৌজায় ৯.৮৭ একর জায়গা বরাদ্ধ পেয়ে আবাসিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এ সোসাইটির সদস্য সংখ্যা ১২৯  জন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে মধ্যরাতে বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাগানে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে এক গৃহ পরিচারিকার মরদেহ। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বাড়ির বাগান থেকে হাওয়া বেগমের(৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বাদুরতলা গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা হাওয়া বেগম ৩ দিন পূর্বে ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে ২ হাজার টাকা বেতনে ঝি এর কাজ নিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে খাবার সময় তাকে খুজে না পেলে বাড়ির লোকজন এক পর্যায়ে ঘরের বাইরে বাগানে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পান হাওয়া বেগমের মরদেহ। 

হাওয়া বেগমের মেয়ে কমলা বেগম(৪০) বলেন, তার মা রুজির টানে ঝি এর কাজ নিয়েছিলেন। রাতে হঠাৎ শুনি সে আত্মহত্যা করেছে। তার গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিলো। 

এ বিষয়ে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, হাওয়া বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় আজ শনিবার একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে শনিবার তার মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম করানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। ##


আরও খবর



নতুন শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ প্রসংগে কিছু কথা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান, সাংবাদিক ও শিক্ষক :

সময়ের আবর্তে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন, পরিবর্ধন অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক বিষয়। শিক্ষা বিজ্ঞানে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। জীবনের জন্য যেহেতূ শিক্ষা সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তনশীল জীবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তন ও আবশ্যিক বিষয়।

 ২০১২ সালের পর এই বছর আমাদের দেশে নতুন শিক্ষাক্রম এসেছে। একটি শিক্ষাক্রম মোটেই শতভাগ ত্রুটি বা বিতর্ক মুক্ত হয় না। 

বর্তমান শিক্ষাক্রম অত্যন্ত আধুনিক,Naturalism, Pragmatism and Assentialism  শিক্ষা দর্শনকে গুরুত্ব দিয়েছে। পূর্বের শিক্ষাক্রম ছিল মূলত Idealism  বা ভাব বাদ ভিত্তিক। 

সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো না।সার্বিক ভাবে নতুন কারিকুলামকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদ্যালয়ের বেসরকারি ব্যবস্থাপনা। 

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এদেশের ৯৭% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে।

বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক মূল্যায়নের চেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের প্রতি অধিক গুরুত দেয়া হয়েছে। খুবই ভাল দিক কারন শিখন যথার্থ হলে শিখনকালীন মূল্যায়ন যথার্থ হলে সারা বছরে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের শিখন সম্পন্ন হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে তাড়াহুড়ো করে, মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয়ার যে চাপ সেটা থাকে না।

শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে সক্রিয় এবং স্বতস্ফুর্ত থাকবে।

কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি একেক টা একেক রকম পদ্ধতিতে চলে। ক্লাস ডিউরেশন,সংখ্যা,পরীক্ষার সংখ্যা ধরন ভিন্ন রকম। 

কিন্তু বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক পরীক্ষা মাত্র ২ টা এবং সেখানে মাত্র ৪০% মূল্যায়ন হবে।

পরীক্ষা না নিলেতো বিদ্যালয়ের বেতন কালেকশন হবে না। বেতন কালেকশন নাহলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিবে কিভাবে? 

শিক্ষক নিয়মিত বেতন না পেলে কিভাবে চলবে? 

দুই শিফট,অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বিষয় ভিত্তিল শিক্ষকের অভাবতো রয়েছেই।

কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থা একই ব্যবস্থাপনায় না নিয়ে অর্থাৎ জাতীয়করণ না করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন যথার্থ বাস্তবায়ন একেবারেই সম্ভব নয়।

বরং দারুন বাস্তবসম্মত এবং উন্নত একটি কারিকুলাম বিতর্কিত হবে,শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃস্টি হতে পারে।


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩




এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার ;

এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত। পূনর্ভবা নদীটি নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীতে এখন আর নেই পানির উত্তাল ঢেউ। উত্তাল নদীটি এখন নাব্যতা হারিয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ধু-ধু এ খরায় তলদেশ খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদে পানি না থাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষে দেখা দিয়েছে ক্ষতির আশংকা।

জানা গেছে, নদটিতে এক সময় ঢেউয়ের তালে চলাচল করতো অসংখ্য পাল তোলা নৌকা, লঞ্চ, ষ্টির্মার। মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলতো গোমস্তাপুর, রহনপুর, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের অন্যান্য উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্র গুলোতে।

ঐসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বড়বড় হাট বাজারে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন পন্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ছোট বড় নৌকায় পাল তুলে ছুটে চলতেন। শুধু পন্যই নয় হাট-বাজার গুলিতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। সে সময় পূনর্ভবা নদীটি ছিল পূর্ন যৌবনা। এলাকার একমাত্র নদিপথ হিসাবে ব্যবহার করে অসংখ্য মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন জীবিকার শক্ত ভীত গড়ে তুলেছিল এক সময়। শুধু হাট-বাজারই নয়, নদটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনেক জনপদ। এর পানি দিয়ে কৃষকরা নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবুজ ফসল ধান ফলাতো। এই পানি দিয়ে নানা ফসলে ভরে উঠতো কৃষকের ক্ষেত। আবার ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের অফুরন্ত উৎস ছিল এই পূনর্ভবা নদী। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর ধরে। ফলে জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও পাশের গ্রাম গুলিতে অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছিল। জীবিকার নির্বাহের জন্য জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল নিয়ে চষে বেড়াতেন মাছ ধরার জন্য। মাছ বিক্রি করে অসংখ্য জেলে পরিবারের সংসার চলতো। সময় গড়িয়ে চলার সথে সাথে সেই ভরা যৌবনা পূনর্ভবা এখন খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। খরার সময় বালু ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়না এর তলদেশে। একারনেই আশেপাশের জেলে পরিবার গুলো হয়ে গেছে প্রায় বিলীন। নদের পাড় গুলি পরিনত হয়েছে কৃষি জমি। নদী গর্ভে জেগে উঠা চরে এলাকার শিশুরা খেলছে ক্রিকেট, ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলা। এক সময়ের ব্যবসা বণিজ্যের উৎসগুলো হয়ে গেছে চিরতরে বন্ধ।

থমকে গেছে নদ, নিভে গেছে বিপুল সম্ভবনা। নদ কেন্দ্রীক সম্ভবনাগুলো নিভে গেলেও কেউ কখনও এসব নিয়ে ভাবেনি। সরকারিভাবে নদীটি খননের পদক্ষেপ নেয়া হলে অন্তত সারা-বছরই এতে পানি থাকতো। এতে কৃষকদের জমির ধানের উৎপাদন বেড়ে যেত। নদটিও পরিনত হতো না বালুচরে। তাছাড়া নদটি কখনও খনন বা রক্ষণাবেক্ষনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যার ফলে নদটির পাড় ফসলের জমিতে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে অনেকেই ধান চাষ করছেন। খনন না করলে এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীটি হয়তো বা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে কোন এক সময়। সেইসঙ্গে পানির অভাবে জমিতে ফসল হবেনা বলেও আশংখা কৃষকদের।


আরও খবর