Logo
শিরোনাম

ধামরাইয়ে জুয়ার আসর থেকে ছয়জন আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোঃ মাহবুবুল আলম রিপন,ধামরাই :


ঢাকার ধামরাইয়ে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার আসর থেকে ছয় জুয়াড়িকে নগদ টাকাসহ আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের ভোড়াইল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস।

আটকরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার শেওতা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে লিটন ( ৩৫), ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা এলাকার আফজাল হোসেন (৪২), ধামরাই পৌরসভা এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে পিন্টু দেওয়ান (৩৮), সাভারের আশুলিয়া এলাকার সামছুলের ছেলে আব্দুল করিম (৩৮), মির্জাপুরের মোকাদ্দস (৪২), ধামরাইয়ের শরিফবাগ গ্রামের মোয়াজ্জেম (৪৪)।

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস ঢাকা মেইলকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় জুয়ার আসর থেকে হাতেনাতে ছয় জুয়াড়িকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কার্ড ও বিছানার চাদরসহ জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জামদি এবং নগদ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি চলমান আছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শফিউল আলম, স্টাফ রিপোর্টার :

সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ-১(জামালগঞ্জ,তাহিরপুর,মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও বিএনপি থেকে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায়। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকুস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। 

জানাযায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ একাকার হয়ে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। 

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,প্রমুখ। 

উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন  বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে যান। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরঘাট সাব সেক্টরের সহকারী অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে ১৯৯৬ সালে ঐ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এবং ২০০২ সালে তিনি আবারও মোট তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও শাহাপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানযার ইমামতি করেন মাওলানা শায়খ বাহাউদ্দীন। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও খবর



প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনে

গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের রাজনীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,সিনিয়র রিপোর্টার:

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষোভ হতাশা বিভেদ এবং বিভক্তি বাড়ছে।

আশাহত মানুষের কাফেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন মুখ।নেতৃত্বের অদুরদর্শিতা ও একক স্বার্থের নব ইতিহাসের সমুখে  সরোবমুখগুলো আবার খুঁজছে এমন একটি মুখ, যে মুখ তাদেরকে নিরাশ করবে না।এমন অভিযোগ ও প্রত্যাশা রয়েছে সর্বত্রই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ঐক্যবদ্ধ কাফেলার সরোব পদচারণা এবং বিভিন্ন জনপদে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠি,সেই ঐক্যবদ্ধতায় ফাটল ধরেছে ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসার বখরা না পেয়ে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা,বিশেষ ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত,সুসম ফ্যাক্টরী ব্যবসা না পাওয়ায় এই জনপদের রাজনীতির অভ্যন্তরে যে চাপা কষ্টের সূচনা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মুখর উদ্দীপণা ও এক মঞ্চে এসে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি ছিল,বাস্তবে তা আর নেই।বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ না হলেও বঞ্চিত নেতৃত্বের আশীর্বাদ আর পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা।

যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়।ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত মিটিং করে উপজেলায় প্রার্থি কে,তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।একথা অনস্বীকার্য যে,সিংহভাগ নেতৃত্ব যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গোপনে গ্রহন করেছেন জনমত তাদের দিকেই থাকবে।

যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন প্রতিকবিহীন হতে যাচ্ছে,সে কারনে বঞ্চিত নেতৃত্ব এবার তাদের পছন্দের প্রার্থির পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করবেন। নির্বাচিত হলে এই প্রার্থিই বঞ্চিতদের বঞ্চণা নিরসনে শক্ত অবস্থান গ্রহন করবেন।আর ঠিক সেসময়ই ক্ষমতাসীনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও এখানকার রাজনীতির মূল চাবিকাঠি চলে যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে।সেক্ষত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে হয় একলা চলো নীতি গ্রহন করতে হবে,না হয় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সকল শর্তাবলী মেনে নিতে হবে।বাস্তবতা হল উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

কারন তারা যদি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে নেয় তবে পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হতে হবে।কাঠের পুতুল হয়ে তাদের কথা মেনে চলতে হবে,যা মানা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিকখাতে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শুরু করতে গেলে অনুসারিদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম হবে এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।দূর্বল হয়ে যাবেন ক্ষমতাসীনরা।ব্যবসায় পরিবর্তন আনতে গেলেই উত্তাল ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে রাজনীতি বর্তমান নেতৃত্বের।সেই ঝুঁকি তারা নেবেন বলে মনে হয় না।

ফলে বর্তমান নেতৃত্ব উপজেলায় তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে হারাবেন নিজেদের আধিপত্ত।আর এখান থেকেই সূচনা ঘটবে '২৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তনের পদযাত্রা।

তখনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বই সফল হবেন।কারন সামনের বছরগুলোতে বর্তমান নেতৃত্ব একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন এবং তারা জনক্ষোভের মুখে পড়বেন,যার আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই।

অর্থাৎ সরলরেখায় বললে বলা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনায় যে মুখগুলো প্রার্থি পরিবর্তনের পক্ষে মঞ্চ ও মাঠ কাঁপিয়েছিলেন তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আসন্ন। সেই সব নেতৃত্ব উপজেলায় ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রার্থির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করবেন বলে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাজেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পরিবার উপজেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।আর উপজেলায় যদি সত্যিই তাদের পরাজয় ঘটে তবে গাজীপুর-৩ আসনে '২৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তন ঘটতে পারে।

এছাড়াও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চোখে এই আসনের কর্মকান্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে তা সুখকর নয়।সেসব অভিযোগ এবং আগামি সাড়ে ৪ বছরে যা যা ঘটবে তাতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।

সেসব বিষয়সমুহ কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব আমলে নিলে হয়ত বা '২৯ সালে গাজীপুর-৩ আসনবাসি দেখবেন এমন এক নতুন মুখ,যে মুখ হবেন সম্ভাব্য আলোচিত প্রার্থিদের বাইরের কেউ,এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।কাজেই সাধু সাবধান!


আরও খবর



ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত সপ্তাহে ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে। শুক্রবার সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।
ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পুরোপুরি বিপরীত। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।

কিন্তু ইস্ফাহানকে কেন টার্গেট করা হয়েছে?

একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু।

(আলোচিত আক্রমণ) যথেষ্ট নিকটে ছিল, যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, বলে আমরা ধারণা করি সেই স্থানটির। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি, বিবিসিকে বলেন তিনি।

ডি ব্রেটন হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, মূলত সামর্থ্যের এবং সেইসাথে সম্ভবত লক্ষ্য সম্পর্কেও জানান দেয়ার চেষ্টা।

ইরান ইসরাইলের দিকে তিন শর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, প্রায় সবগুলোকেই ভূপাতিত করা হয়। ইসরাইল ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ছুঁড়েছে মাত্র একটি বা দুটি - যা প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।

তিনি আরো দাবি করেন, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইসরাইল ইরানের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেই জন্যই তেহরান প্রক্সি ওয়্যারে (ছায়াযুদ্ধ) বেশি আগ্রহী এবং ইসরাইলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা জানে নিদারুণ পরাজয় হবে তাদের।

ইরানিদের পক্ষ থেকে হামলার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা প্রসঙ্গে ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, তারা স্বীকার করতে চাইবে না যে কোনো ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পুরনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে এবং লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে


আরও খবর



আর্জেন্টাইন তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে ত্রিমুখী শিরোপা লড়াইয়ে মেতে আছে লিভারপুল-আর্সেনাল-ম্যানচেস্টার সিটি। শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে গতকাল শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে গতকাল মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। এ ম্যাচে কনর ব্র্যাডলির আত্মঘাতী গোলে ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায় ছিল অল রেডরা। তবে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন তারকার গোলেই জয়ের পথ রচনা করে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

অ্যানফিল্ডে শেফিল্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এদিন শুরুতেই লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডারউইন নুনিয়েজ। এরপর প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি অল রেডরা। এদিকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৫৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়ান ব্র্যাডলি।

আত্মঘাতী গোলে শেফিল্ড সমতায় ফেরার পর ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা জেগেছিল ক্লপের দলে। তবে এমন সময়ে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সাবেক লিভারপুল কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ডকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গটির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিড নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের শেষ কিনিটে আরও এক গোল করেন কোডী গ্যাকপো। এই গলেই ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা, সেই সঙ্গে শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে ক্লপের দল।

এদিকে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত গোল করা ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিয়ে ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন অল রেডদের কোচ ক্লপ। তিনি বলেন, তার রক্ষণাত্মক কাজও সত্যিই ভাল ছিল যেখানে লোকেরা সন্দেহ করেছিল যে সে রক্ষণাত্মক হতে পারে কিনা, তবে আমি তাকে আটে (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার) পছন্দ করি।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত কিছু গোল করেছেন জানিয়ে ক্লপ আরও বলেন, সে সত্যিই একজন ভাল খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে সে ছয়ে খেলছিল, কিন্তু আমরা জানতাম যে আমরা তাকে কিছুটা উপরে নিয়ে যেতে পারব। তারপর সে এই ধরনের গোল করে, মৌসুমের সবচেয়ে বড় দুটি স্ক্রিমার ওর কাছ থেকে এসেছে। তারপর ফ্রি কিক থেকে সরাসরি (গোল) - একেবারে পাগলাটে, কি দারুণ একজন খেলোয়াড়।


আরও খবর



গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৬২৩

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলি হামলায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনির গাজায় শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। সর্বশেষ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় একটি ক্রীড়া কেন্দ্রে ১৫ জন নিহত হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ৩২৬২৩ দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক চাপ এবং নানা ধরনের সমালোচনার পরেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইসরায়েলকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের বোমা এবং যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তাদের ২৬ কর্মী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন সদস্য রয়েছেন যারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩২ হাজার ৬২৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৯২ জন।

এর আগে সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ বিষয়ক একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য জানায়। ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।

এর আগে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছিল, একটি হামলায় ইরানপন্থি নয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আইআরজিসির কমান্ডার রয়েছেন। একটি উপত্যকায় তাদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।

এদিকে ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার রাফায় আশ্রয় নেয়। এটি মিশর সীমান্তবর্তী এলাকা। এরই মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজাকে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান চালাবে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সেনাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, একমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া রাফায় সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। রাফায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর গাজা ও খান ইউনিস জয় করেছি।

অপরদিকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও দুইটি ইস্যু জারি করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। সেখানে মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চিয়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।


আরও খবর