Logo
শিরোনাম

ধামরাইয়ে সোমবাগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ  রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে মরহুম কিয়াম উদ্দিন কল্যাণ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রতি সন্তষ্ট হয়ে সোমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৫মার্চ) দুপুরে ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের সোমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মরহুম কিয়াম উদ্দিন কল্যাণ ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক লেঃ কর্নেল ডাঃ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর নিজস্ব অর্থয়ানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাজমুরনাহার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষা অনুরাগী মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আবু-সালেহ, বিল্পব কুমার মন্ডল, , সালমা আক্তার, বকুল বিশ্বাস,মর্জিনা আক্তারসহ প্রমুখ।

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সোমবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষক শ্যামল সরকার। এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও বীরমুক্তিযোদ্ধাগন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মেধাবী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের নগদ একহাজার টাকা ও একটা করে ডিকশনারী দেওয়া হয়।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জের জালকুড়িতে হা পা বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মুল আসামী মোঃ কমল ওরফে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করেছে। সনাক্ত করেছে নারীর পরিচয়। নিহত নারীর নাম নাসরিন আক্তার। সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য জানান। রবিবার রাতে কড়িগ্রামের চিলমারীর পুর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে নামে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ হাত ও পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরদিন সনাক্ত হয় নিহতের নাম নাসরিন আক্তার। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাসরিন হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে এবং গত রবিবার রাতে চিলমারীতে অভিযান চালিয়ে কমলকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কুদ্দুস স্বীকার করে জানায়, গত ১৯ মে রাতে সে ও অভির উদ্দিন সহ জালকুড়ির পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। গান শেষে রাত অনুমান সোয়া ৩ টায় নাসরিন আক্তার (৪০) এর সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে। এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় নাসরিনের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইরে যায়। তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ৪ শ’ টাকা নিয়ে যায়। এতে কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে কমল ভিকটিমকে আরো টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে আরো সময় কাটানের জন্য বলে। নাসরিন রাজি হলে তাকে জালকুড়ি থানাধীণ তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছালে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে নাসরিনের হাত বেঁধে এবং নাসরিনের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



বাজারে অসহায় ক্রেতা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

বাজারে সাধ্যের বাইরে সবকিছুর দাম। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে ক্রেতাদের মধ্যে। এ অবস্থায় অর্থ সাশ্রয়ে খুচরা বাজার থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারে চলে যাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেশির ভাগ ক্রেতা বলছেন, টাকা বাঁচাতে তারা এখন পাইকারি বাজারেই ভিড় করছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। কারণ, পাইকারি বাজারে সব সবজির দামই বেশি। পাইকারি বাজারে শুধু আলু ৩০ টাকায় এবং লেবু এক ডজন ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বাজারের সব ধরনের সবজি ৬০ টাকার ওপরে, যা খুচরাপর্যায়ে গিয়ে আরো বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে আমরা সব জায়গাতেই অসহায়।

রাজধানীর পাইকারি সবজির আড়ত কারওয়ান বাজারের এর সঙ্গে খিলগাঁও রেলগেট বাজার, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া হাটের মতো স্থানীয় পর্যায়ের খুচরা বাজার ঘুরে দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। কিন্তু খুচরা বাজারে সেই করলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। পাইকারি বাজারে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা খুচরাপর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে পটোলের কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা। পাইকারিতে টমেটোর কেজি ৩০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে চিচিঙ্গার কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরায় ৮০ টাকা। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে লেবুর ডজন (১২ পিস) ২০-৩০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন মো. সোহাগ। মা এবং ভাইসহ থাকেন শাহীনবাগে। মা তাকে বাসার জন্য বাজার করতে পাঠিয়েছেন। নিয়মিত তার বড় ভাই বাজার করতে আসেন। মায়ের অনুরোধে বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনে মাথা ঘুরছিল তার। হাতে যে বাজারের তালিকা ছিল, তার মধ্যে বেশ কটি পণ্য কেনা বাকি ছিল। কিন্তু টাকায় কুলায়নি! দাম বেশি হওয়ায় ও পকেটে হিসাবের বাড়তি টাকা না থাকায় কিছু পণ্য বাদ রেখেই বাজার থেকে বাসায় ফিরছেন। তিনি বলেন, পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে এসেছি। খুচরা বাজারে সবকিছুর দাম বেশি, তাই কম দামের কথা চিন্তা করে বাসার কাছে হওয়ায় কারওয়ান বাজারে আসা। কিন্তু এখানেও দাম অনেক! টাকায় টান পড়ায় প্রয়োজনের সবকিছু কেনা হয়নি। আগে দুই হাজার টাকার মধ্যে পাইকারি বাজার থেকে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যেত। এখন দাম বাড়ায় এই অল্প টাকায় প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সোহাগের মতো অবস্থা অধিকাংশ ক্রেতার। সাধ্যের মধ্যে ভরছে না তাদের বাজারের ব্যাগ।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা ফোরকান আহমেদ বলেন, ঈদের পর সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে সবজির গাড়ি কম আসছে। পাশাপাশি লেবার খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে সবজির দাম বাড়তি।

রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ফুলকপি, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু কমের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে লেবু ৩০ টাকা হালি এবং আলু প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া দাম বেড়ে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ধনেপাতার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

পাশাপাশি ঢেঁড়স, শসা, টমেটো, চালকুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকায়। ঝিঙে, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল, কাঁচা, পেপে, প্রতি কেজি ৮০ টাকা। করলা, গাজর, লতি, প্রতি কেজি ১০০ টাকা। কাঁকরোল ১২০ টাকা কেজি। কচুরমুখি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা।

খিলগাঁও রেলগেট বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বলেন, বাজারে এখন বেচাকেনা কম। মানুষের কাছে টাকাপয়সা নেই। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতাম, এখন সেখানে ৩০ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারি না। লাভ করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যায়। কারণ মালের দাম তো বাড়তি।

এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে প্রতি কেজি গরুর মাংস গত এক বছর আগেও ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মতো। এক বছরে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে গরুর মাংস বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে যা ৮০০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

টিসিবির হিসাবে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮৫ থেকে ২১৫ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও এ দামে বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে। এক বছরের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৭৫ টাকা এবং হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা। অন্যদিকে খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এক বছরে পণ্যটির ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বেড়েছে, যা এক বছর আগেও বিক্রি হতো ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়। তবে মাংসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন বিক্রেতারা। বলছেন, বর্তমানে সবকিছুর দামই বেড়েছে। গো-খাদ্য ও পোলট্রি ফিডের দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। ফলে খরচও আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাই মাংসের দামও বাড়তি।

 


আরও খবর



ফুলবাড়িতে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

রবিবার ০৭ (মে) উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক, আতাউর রহমান রতন এর সভাপতিত্বে,যুগ্ন আহ্বায়ক সেরাজুল ইসলাম সেরার সঞ্চলনায় বিকেল চারটায় পোদ্দার মার্কেট উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক, জননেতা আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ সরদার (রপু) সহ-সভাপতি আমানত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, সোহেল আহমদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান, সদস্য কামাল হোসেন প্রমুখ।বর্ধিত সভায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ৩ জন মাদক সেবীর কারাদন্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নওগাঁয় মাদক সেবনের অপরাধে ৩ জন মাদক সেবীকে ৫ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন এ কারাদন্ডের আদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার চককুতুব গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর শেখ এর ছেলে আজানুল (৫০), মৃত গিয়াস শেখ এর ছেলে সুলতান শেখ (৪৮) ও শাহিন (৪৫)।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন জানান, সোমবার সকালে ঐ ৩ জন ব্যাক্তি চককুতুব গ্রামের একটি বাড়িতে গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালত যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মাদক সেবন করা অবস্থায় তাদের ৩ জনকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক সেবনের অপরাধে ঐ ৩ জন মাদকসেবীকে ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ৩ জনকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা- অনাদায়ে অতিরিক্ত ৫ দিনের কারাদন্ড আদেশ প্রদান করা হয়েছে। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নওগাঁর এসআই আবদুল্লা বাকী বলেন, কারাদন্ডপ্রাপ্ত ৩ জন মাদক সেবীকে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



কারাগারের সেলের ভিতর হামলার শিকার পিকে হালদার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

কারাগারে সেলের ভিতরই হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পি.কে হালদার।

তবে একবার নয়, দুইবার। মঙ্গলবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এই মর্মে পিটিশন দায়ের করেন তার আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না।  

১৬ মে, মঙ্গলবার পি.কে হালদার সহ মোট ৬ অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। এদিন  মামলাটি ওঠে আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। 

এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত পিকে হালদার বর্তমানে আলিপুরে প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। আর সেখানেই প্রথমবার চলতি বছরের গত ১৮ এপ্রিল কারাগারে সেলের ভিতর তার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে কারাগারের অন্য একটি সেলে স্থানান্তরিত করা হয় পিকে হালদারকে।

এর পরেও আরেকবার হামলার শিকার হন তিনি। গত ২২ এপ্রিল সেলের বাইরে তিনি যখন পত্রিকা নিয়ে পড়ছিলেন, তখনই আচমকা তার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুইটি ঘটনাতেই অল্প বিস্তর আহত হন তিনি। তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

আদালত সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী অভিযুক্ত ব্যক্তি হাফিজুল মোল্লা বসিরহাটের বাসিন্দা। গত বছরের জুলাই মাসের গোড়ার দিকে এই হাফিজুলের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কালীঘাটের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকার অভিযোগ উঠে। রাতভর মমতার বাড়িতে লুকিয়ে থাকার পর তার নিরাপত্তার রক্ষীরা তাকে গ্রেফতার করে। এরপর কালীঘাট থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 

তবে কারাগারের ভিতর পিকে হালদারের ওপর হামলার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। এব্যাপারে বিশ্বজিৎ মান্না জানান "কারাগার কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে, তারাই হামলার মোটিভ সম্পর্কে বলতে পারবে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান মান্না। 

এ ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থা 'এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট' (ইডি)র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্ত্তী জানান 'কারাগারের ভিতরে পিকে হালদারের উপর হামলা হয়, তাকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন। পরে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পি.কে হালদারকে কারাগারের অন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।' 

তিনি আরো জানান 'এদিন আদালত জানতে চায় কারাগারের নতুন যে ওয়ার্ডে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে সেখানে তিনি সন্তুষ্ট কি না, হালদারও তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টা নাগাদ কলকাতার নগর দায়রা আদালতে স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হলে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আগামী ৭ জুন বিচারক মামলার পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন। 

উল্লেখ্য কলকাতার অনতিদূরে অশোকনগর সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে পি.কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। এই সাথেই গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার সহ বাকি অভিযুক্তদের।

গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। 'অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২' (PMLA) এবং দুর্নীতি দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়।

বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদার সহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।


আরও খবর