Logo
শিরোনাম

ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে পুলিশসহ দু'জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজী করার সময় একজন পুলিশ সদস্য সহ দু'জন কে আটক করেছে থানা পুলিশ। এসময় একজন পালিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা দায়ের করার পর শনিবার ১৮ ফেব্রয়ারি আটককৃত দু'জনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরণ করেছেন থানা পুলিশ।

আটককৃত দু'জন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বামনসাতা গ্রামের মনজের আলীর ছেলে আনসার সদস্য কামরুজামান (৪০) ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে পুলিশ এর এটি,এস,আই মনির উদ্দীন (৫২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টারদিকে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউপির কুশারমুড়ি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে হাজমত আলীর বাড়ীতে ৩ জন লোক যায়। সেখানে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ীর আসবাব-পত্র ওলটপালট করেন এবং হাজমত আলী মাদক ব্যবসা করে বলে গ্রেফতারের ভঁয় দেখিয়ে টাকার দাবী করেন ৩ জন। এসময় হাজমতের মা হাজেরা বেগম চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এলে ৩ জনের মধ্যে ১ জন পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা পুলিশ দুই জনকে আটক করেন।

এব্যাপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, আটককৃতদের কাছ থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল ( নওগাঁ-ল ১২-৮৬৪৯) নম্বর, নগদ ৫ হাজার টাকা, এক সেট হ্যান্ডকাপ ও পুলিশের ব্যাবহৃত ওয়ারলেস উদ্ধার সহ আটক করা হয়। এব্যাপারে ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটককৃত ২ জনকে শনিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে 


আরও খবর



নওগাঁয় পরীক্ষার হলে মাদক সেবন ৩ ছাত্র আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


নওগাঁয় মাদক সেবনের দায়ে ৩ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে আটককৃতদের ছাড়িয়ে আনার দাবীতে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান মূল গেটে তালাবদ্ধ করে পরীক্ষার্থীদের ক্যম্পাসে প্রবেশে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসের ভেতরে এই অভিযান চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ২য় থেকে ৮ম পর্বে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিলো। কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসের ভেতরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টহল টিমের সদস্যরা। সেখানে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয় তৌহিদ, মারুফ ও রাসেল নামে ৩ জন শিক্ষার্থীকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের পরই নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তানভীর ইসলামের নেতৃত্বে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে প্রধান গেইটটি তালাবদ্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সেখানে থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। 

এক পর্যায়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য জুলকার নাইন অরিয়ানসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার দাবীতে স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় সকল পর্বের পরীক্ষা। ঐ মুহুর্তে যেসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিলো, তাঁদের সবাইকে মূল গেইটের বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ছাত্রলীগের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে সাধারন শিক্ষার্থীদের একজনকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে শিক্ষার্থীরা আবারো পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে। ছাত্রলীগের এমন কর্মকান্ডে পুরো ক্যাম্পাসে পরীক্ষা বন্ধ থাকে প্রায় ৩ ঘন্টা। এতে চরম বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

আটককৃতরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী বলেন, ঘটনাটি জানার পরই ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। আটকদের মধ্যে একজন ছাত্রদল কর্মী রয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একজন মাদকসেবী কখনোই ছাত্রলীগের বন্ধু হতে পারে না। ছাত্রদল কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে যারা এমন ঘৃণিত কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠিকভাবে ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে। নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুর রকিব জানান, বহিরাগতরা মূল গেইট তালাবদ্ধ করেন, পরে প্রশাসনের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আটক শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা নেই বলে দাবী করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আটককৃতরা পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মাদকাসক্তদের সুস্থ্যজীবনে ফেরাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আটকদের কারাগারে প্রেরণ না করলেও মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র সহ ৮ ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‍্যাবের টহল গাড়িতে ডাকাতিকালে দেশীয় অস্ত্র সহ সংঘবদ্ধ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১....

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি একটি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র মহাসড়কের সাধারণ যাত্রী ও বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ডাকাতি করে সর্বশান্ত করছে ও গুরতর আঘাতসহ হত্যার মত ঘটনাও ঘটাচ্ছে। মহাসড়কে ডাকাতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ র‍্যাব কাছে আটক হয় ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য। 

শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-১১'র সিপিসি -১ কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম। 

তিনি জানান, 

বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাব-১১'র একটি আভিযানিক দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পোশাকে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে টহল কার্যক্রম পরিচালক পরিচালনা করতে থাকে। র‍্যাবের সাদা পোষাকের আভিযানিক দল মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার চর বাউসিয়া এলাকায় যানজটে পড়ে। এ সময় সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০/১২ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে র‍্যাবের গাড়ির ঘেরাও করে। র‍্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের মূলহোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় বসবাস করত। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০ টির অধিক ডাকাতি করেছে। 


আরও খবর



মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আবদুল হামিদ এর ভাষণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

আসসালামু আলাইকুম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এর সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ,

মাননীয় সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপি,

সন্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ,গণমাধ্যমের সন্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ,

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ও ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ,শুভ অপরাহ্ন।

বসন্তের এই সুন্দর বিকেলে নিজ শহরে আমার নিজের রাজনীতির চারণভূমিতে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ’ এর শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর হিসাবে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানটি আমার নিজের এবং কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য ভিন্ন মাত্রার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে কিশোগঞ্জবাসীর অনেক দিনের বহুকাঙ্ক্ষিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন হলো। এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁর ঐকান্তিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য এটি সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর এই শুভলগ্নে আমি কিশোরগঞ্জবাসীকেও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সম্মানিত সুধী,

মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস। যাঁর অসামান্য ত্যাগ আর নেতৃত্বে আজ আমরা স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক আমি সেই নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। স্মরণ করছি জাতীর চার নেতাসহ ৩০ লক্ষ শহিদ, দুই লক্ষ মা-বোন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন গণতান্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, অবদান রেখেছেন আমি তাঁদেরকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সমাজের বাতিঘর যা থেকে সবসময় আলো ছড়ায়, মনবিকতার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্ববিদ্যালয় অর্জিত জ্ঞানের গুদাম ঘর নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা থেকে জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের আবির্ভাব ঘটে। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। আজ থেকে কিশোরগঞ্জের সেই বাতিঘরের যাত্রা শুরু হলো। একে লালন করতে হবে। পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র-শিক্ষকের বাইরে স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এলাকার পরিবেশেও ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

সম্মানিত উপাচার্য ও শিক্ষকমণ্ডলী,

বর্তমানে দেশের প্রায় সকল জেলায়ই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে বা হচ্ছে। কিন্তু সবগুলোর মান সমান নয়। আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ, শুরু থেকেই গুনেমানে সমৃদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হোক। যুগের চাহিদা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কারিকুলাম নির্ধারণ করতে হবে। বিভাগ খোলার ক্ষেত্রেও বাস্তবতা ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

শিক্ষার সাথে কর্মের সংযোগ ঘটাতে হবে। দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে লেখাপড়া করলে হয়তো জ্ঞানার্জন সম্ভব হবে কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত।  শিক্ষার্থীরাও বুঝে না বুঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এই ভাব ধরার জন্য এসব বিভাগে ভর্তি হন। মা-বাবা ও অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক কষ্টে লেখাপড়ার খরচ যোগান। কিন্তু পাশ করার পর সেই গানের কলি Hundred Percent Love এর মতো 100% বেকার - এ পরিণত হন। অনেক সময় বাবা-মা ও পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা মিটাতে না পেরে কেউ কেউ বিপথেও পরিচালিত হয়। 

অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকারের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের বোঝা পরিবার ও সমাজের জন্য অনেক বেশি কষ্টের। কারণ এরা না হয় আউল্লা, না হয় জাউল্লা। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সময় এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন। শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য শিক্ষা বা সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন না। 

মনে রাখবেন শুধুমাত্র জ্ঞান দান শিক্ষার উপজীব্য হতে পারে না। এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বিকশিত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে চাই, “শিক্ষিত জনশক্তি দেশের জনসম্পদ। আমি বাংলাদেশে এমন ব্যবহারিক শিক্ষার প্রসার চাই, যা দ্বারা প্রতিটি নাগরিক দেশের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে”।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

আজকাল বাবা-মা, অভিভাবক সবাই চান তাদের ছেলেমেয়েরা জিপিএ/ গোল্ডেন জিপিএ পাক বা ফার্স্ট/সেকেন্ড হোক। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেন না ছেলেমেয়েরা কতটুকু শিখল বা জানল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ভালো ফল করে নিজের ও প্রতিষ্ঠানের নাম বাড়ানোর লক্ষ্যে সহজপাঠ্য ও চমকপ্রদ উপায়কে প্রধান্য দিয়ে থাকেন। 

কষ্ট করে টেক্সট বই না পড়ে শিক্ষকের দেয়া নোট মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় ভাল নম্বর উঠান। এক কথায় কষ্ট না করেই কেষ্ট অর্জন। এরিস্টটলের ভাষায়, ‘শিক্ষার শেকড় তেতো হলেও ফল মিষ্টি’। তাই আমরা আশা করব, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদেরকে পরিপূর্ণ শিক্ষিত করে তুলতে পারে।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

হাওড়বেষ্টিত জেলা কিশোরগঞ্জ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভাটি এলাকা দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত ছিল। আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার অভাবে লেখাপড়ায়ও হাওড় জনপদ তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। বিগত ১২/১৪ বছরে ভাটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়ায় ভাল করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাল করতে না পারলে কিশোরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে না। এলাকা


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :দেশে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত তিন মাসে কোটিপতি হিসাবধারী বেড়েছে সাড়ে তিন হাজারের মতো।

২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে তিন মাসে কোটি টাকার অ্যাকাউন্টে যোগ হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪২৬টি হিসাব। বিশ্ববাজারের ন্যায় দেশের বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক মুনাফা করায় কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে বলে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোয় জমাকৃত আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। মোট ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৪টি হিসাবে এই আমানত জমা হয়েছে। এসব হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটিপতিদের যে আমানত রয়েছে তা মোট ব্যাংকিং খাতের আমানতের ৪২.৬৩ শতাংশ। ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি হিসাবে। শুধু কোটি টাকার ওপরে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ডিসেম্বর শেষে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৯৪৬। সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৫২০। অর্থাৎ তিন মাসে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৪২৬টি।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে ১ কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। আর কোটি টাকার ওপরে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।

২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি আমানতের হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।

২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ১৬৭টি। যেখানে জমার পরিমাণ এক লাখ ৮০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১১ হাজার ৯৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে তিন হাজার ৮৪৫টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১৮৩৩টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৪৩টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৮৮৭টি আমানতকারীর হিসাব।

আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৪৭২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩১৫টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৫৭৭টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৭৬২টি। এসব হিসাবে দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

এ বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত এপ্রিল থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ব্যাপক বাড়ায় অনেক ব্যবসায়ীদের আগে থেকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকৃত পণ্য মজুদ ছিল। যার কারণে বিশ্ববাজারের ন্যায় ওইসব পণ্যের দাম দেশের বাজারে অেনেক বেড়ে যায়। এর ফলে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যাপক লাভ করেছে।

 


আরও খবর

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩

সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় মায়ের সাথে বাড়ী ফেরার পথে চার্জার ভ্যানের চাপায় শিশু নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে চার্জার ভ্যানের চাপায় শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী নিহত।

মর্মান্তিক এ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীগঞ্জ-আত্রাই  রাস্তার জাতআমরুল নামক স্থানে।

নিহত ফাতেমা খাতুন (৬) আত্রাই উপজেলার জাতআমরুল উত্তরপাড়া গ্রামের উজ্জল হোসেন এর মেয়ে ও আহসানগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিশু শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশু শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুনের মায়ের কোলে এক শিশু ছিল এবং ফাতেমা তার মায়ের হাত ধরে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। 

পথে আত্রাই-ভবানীগঞ্জ রাস্তার জামআমরুল নামক স্থানে পৌছলে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা টিন বহণকারী একটি চার্জার ভ্যান শিশুকে চাপা দেয়।

সাথে সাথে স্থানিয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনার পরই চার্জার ভ্যান রেখে চালক পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন ভ্যানটি ইউনিয়ন পরিষদ হেফাজতে দিয়েছেন।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রোকসানা হ্যাপি বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, শিশুর মৃতদেহ হাসপাতালে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে 


আরও খবর