Logo
শিরোনাম
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা :


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  মহাসড়ক না হলে যেমন যানবাহন চলতে পারে না, তেমনি ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি চলতে পারেনা। তিনি বলেন আমাদেরকে ডিজিটাল সংযুক্তির মহসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চাদপদ বাংলাদেশে অনন্য ডিজিটাল সড়ক গড়ে তুলেছেন। মন্ত্রী হাওর অঞ্চলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে একসময় বলা হতো ‘বর্ষায় নায়ে, হেমন্তে পায়ে’- সেই হাওর এলাকার মা ডিজিটাল সংযুক্তির কল্যাণে এখন হাওর এলাকার গোয়াল ঘর বন্যায় ডুবে যাওয়ার চিত্র তার ছেলেকে মোবাইলের মাধ্যমে দেখাতে পারছে। তিনি আরও বলেন যে এই মহাসড়ক নির্মাণে বিটিআরসি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে যা আগামীতে আরও জোরদার করতে হবে।

তিনি বিটিআরসির বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। এসব উদ্যোগের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সর্বনিম্ন ইন্টারনেট হার এক দেশ এক রেট প্রবর্তন, বাংলা এসএমএস এর অর্ধেক মূল্য নির্ধারণ, ৪জি-৫জির স্পেকট্রাম নিলাম, টেলিকম খাত থেকে বিপুল জাতীয় রাজস্ব আদায়, সকল মোবাইল গ্রাহককে বাংলায় সকল তথ্য প্রদান, হাওর-দ্বীপ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সংযুক্তি গড়ে তোলাসহ টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল যুগের উপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের পর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগুচ্ছি। এজন্য আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার চক, ডাস্টার, কাগজ, কলম, চেয়ার, টেবিল এর পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি গর্ব করার মতো যে বিটিআরসি তার এসওএফ তহবিলের একটি প্রকল্পেরে আওতায় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আজ বিকালে রাজধানীর রমনায় আইইবি ভবনের বিটিআরসি’র সভাকক্ষে সম্প্রতি ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক ও ‘বিজয় বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে সম্বর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ড. দীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত মৈমনসিংহ গীতিকার তিনটি সংস্করণ প্রকাশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা প্রকাশের  উদ্যোগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবিরাম অবদান রাখা, বিজয় বাংলা সফটওয়ার এবং  বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যার উদ্ভাবনসহ  ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। আচার্য  দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোস্যাইটি ভারত এই স্বর্ণপদক প্রদান করে। সোস্যাইটি’র  সাধারণ সম্পাদক এবং দীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী দেব কন্যা সেন এই  পদক মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে ডরপ নামক বাংলাদেশী একটি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রী মহোদয়কে বিজয় বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।

মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে যা করেছেন তা জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে পশ্চাদপদ ছিল। প্রিন্টিং কাজের জন্য একসময় শীসার হরফ আনা হতো পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অথচ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের কারণেই আমাদের বাংলাদেশের ডিজিটাল হরফ ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গ। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৭২ সালে যন্ত্রে বাংলা লেখার সুযোগ হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, আমাদের যার যা দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিশন সচিব মো. নুরুল হাফিজ।

সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মাননীয় মন্ত্রীকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি ও জানি। একসময় ভাই সম্বোধন করতাম। তিনি বলেন, আমিই প্রথম মাননীয় মন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব পদ পেতে যাচ্ছেন তার সংবাদটি দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকরা সচেতন নয়। মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী একজন অনুপ্রেরণা দান করা সুন্দর মানুষ। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার নীতিমালা তৈরি সহ আইসিটির অনেক কাজেই তিনি মন্ত্রী হবার আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। তার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তিতে ঢুকতে পারছে।

বিটিআরসি’র মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী পুরুষ। তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তিতেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি দেশবাসীর কাছে ডিজিটাল সেবা পৌছেঁ দেয়ার একজন কারিগর। বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন মন্ত্রীর সম্বর্ধনাকে যথার্থ মন্ত্রব্য করে বলেন, ক্ষণজন্মা মেধাবী এ মানুষটি তাঁর শ্রম ও মেধা দিয়ে দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসাকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের চেহারা ৯০ দশকেই তিনি বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়েছিলেন। তিনি ৯০ দশকেই বুঝেছিলেন, আগামির বাংলাদেশটিকে কেমন হতে হবে। ৯০ দশকেই তিনি বিজয় কী বোর্ড আবিষ্কার করে কম্পিউটারে বাংলাভাষার ব্যবহার শুরু করেছিলেন। এখন তিনি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করছেন।

বক্তব্য শেষে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে বিশেষ স্মারক প্রদান করা হয়।

 


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে ৭ ধরনের মোটরযানের অগ্রিম কর মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৮ এপ্রিল এনবিআর করনীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত স্পষ্টীকরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৫৩ (৫) অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ধারা মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে কোনো প্রকার অগ্রিম কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে না। আর ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো সনদের প্রয়োজন হবে না।

জানা গেছে, সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ); সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম; কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের দপ্তরসমূহ; বাংলাদেশের কোনো বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার এবং ইহার সংযুক্ত দপ্তর বা দপ্তরসমূহ; সরকারের এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রিম কর সুবিধার তালিকায় আছে।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার, ১৫০০ সিসির বেশি; কিন্তু ২০০০ হাজার সিসির কম এমন গাড়ির অগ্রিম কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার, ২০০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির জন্য ১ লাখ, ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং এর বেশি সিসি হলে দুই লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হয়।

তবে, দেশে ব্যবহৃত গাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ১৫০০ সিসির কম।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




তরমুজ বয়কটে কপাল পুড়ছে ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে ফলের দাম। ক্রেতাদের বয়কটের কারণে কয়েকদিন আগে চোখ রাঙানো তরমুজের দামও এখন নেমে এসেছে অর্ধেকের কমে। তবুও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ইফতারে রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি অনুসঙ্গ ফল। তবে এবার রোজার আগে থেকেই অস্থির ছিল দেশের ফলের বাজার। খেজুর, তরমুজ পেয়ারা, বেলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু সেই অস্থিরতা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

এতোদিন ১০০ টাকার কাছাকাছি কেজি দরে বিক্রি হওয়া তরমুজের বেচা-বিক্রি এখন নেই বললেই চলে। মূলত অতিরিক্ত দামের কারণে তরমুজ বয়কট করায় দাম কমছে বলে মনে করেন ভোক্তারা।

তাদের দাবি, বয়কট করায় কমতে শুরু করেছে তরমুজের দাম। ক্রেতারা জোটবদ্ধ হয়ে পচনশীল এ পণ্য কেনা সাময়িক বন্ধ করতে পারলেই দাম নেমে আসবে ৩০ টাকার নিচে। পাশাপাশি কেজির বদলে পিস হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।

হাকিম নামে এক ক্রেতা বলেন, ভোক্তারা তরমুজ কেনা বয়কট করলে দাম এমনিতেই কমে যাবে। না কিনলে ব্যবসায়ীরা কার কাছে বিক্রি করবে! তখন বাধ্য হবে দাম কমাতে।

বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকার ওপরে।

বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আসছে রাজধানীর বাজারে। এতে বেড়েছে তরমুজের সরবরাহ। কমেছে দামও। তবে বাজারে দেখা নেই পর্যাপ্ত ক্রেতার।

কারওয়ানবাজারে তরমুজ বিক্রেতা রাজ্জাক বলেন, তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। তবে রোজা শেষ দিকে হওয়ায় কমেছে চাহিদাও। তাছাড়া ক্রেতারা এখন কম কিনছেন ফলটি। এতে লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও বলেন, তরমুজের মৌসুম আছে আর মাত্র এক মাসের মতো। রোজার কারণে এখন কিছুটা হলেও বেচাকেনা আছে। ঈদের পর সেটিও থাকবে না হয়তো।

এদিকে, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বরই খেজুর ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে এর চাহিদা। এতে দাম আরও বাড়ছে।

তবে দাম কমছে অন্যান্য দেশি ও বিদেশি ফলের। প্রতি কেজি মাল্টা ৩০০ টাকা, কমলা মানভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩২০ টাকা, রয়েল গালা আপেল ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা, ফুজি আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, নাশপাতি ২৬০ টাকা, আনার ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বরই ৭০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও মানভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, আমাদনি বাড়ায় কমছে ফলের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া ফল বিতানের বিক্রেতারা জানান, ফলের চাহিদা আগের মতোই আছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।

চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।

এবারের গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে সংকট আরও তীব্র হওয়ার।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল, বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত চিকিৎসকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠসংলগ্ন জে লাইনে গত ৫ এপ্রিল কিশোরগ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান কোরবান আলী। এ সময় কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত হন তিনি। তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।

এদিকে হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা।

তিনি বলেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ রাখা হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী জানান, এ ঘটনায় গত রবিবার ওই চিকিৎসকের ছেলে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



ইউক্রেনের একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পূর্ব ইউক্রেনে আরও অগ্রসরের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ইউক্রেনের দাবি, তারা রাশিয়ার অগ্রগতি থামিয়েছে।

রাশিয়ার দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের গ্রাম নোভোমিমিকাইলিভকা তারা দখল করে নিয়েছে এবং তা তাদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে। খবর রয়টার্সের

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছে, তারা একটি গ্রামকে মুক্ত করেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরো ভালো করেছে।

ইউক্রেনের সেনা কর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া দোনেৎস্কে ২৩ বার তাদের প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে এগোবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। ইউক্রেনের হাতে এখন অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কমে এসেছে। তাই তারা রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে মাত্র।

গত সপ্তাহান্তে মার্কিন পার্লামেন্টে ইউক্রেনকে ছয় হাজার একশ কোটি ডলার সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সাহায্য ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক দ্য স্টাডি অৎ ওয়ার জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা এখন তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করবে। তারা মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করবে। ইউক্রেনের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র না থাকার সুবিধা তারা নেয়ার চেষ্টা করবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া এই বড় ধরনের আঘাত হানার চেষ্টা করতে পারে।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সোমবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী সপ্তাহগুলিতে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি মনে করছি, সামনে কঠিন সময় আসছে। তবে অনেকে বলছেন, বিপর্যয় হবে, আমি বলছি, সেরকম কিছু হবে না।'

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে বিমান হামলা করেছে রাশিয়া। সেই হামলায় খারকিভের টিভি সম্প্রচার পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণের ফলে ডিজিটাল টিভি সিগন্যাল ব্যাহত হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার আক্রমণের সময় অ্যালার্ম বেজেছিল। তখন কর্মীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ফলে কেউ হতাহত হননি।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় টিভি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টাওয়ারের উপরের অংশ ভেঙে পড়েছে এবং সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেয়া হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে বাইডেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ও বাইডেন রাশিয়ার কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন। রাশিয়া যেভাবে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে আক্রমণ তীব্র করেছে তা নিয়ে কথা হয়েছে। খারকিভে টিভি টাওয়ারে রাশিয়ার হামলার প্রসঙ্গও তাদের আলোচনায় এসেছে।


আরও খবর