দলের সিদ্ধান্ত অমান্য
করার দায়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে চিরস্থায়ীভাবে
বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক
কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী
বহিষ্কারের বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানানো হবে বলে জানান দলের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের জানান, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন
নিয়ে কথা হয়েছে। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তাই এ নির্বাচন নিয়ে
সবার আগ্রহ রয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা হলেও
দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চেষ্টা করায় জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে
আলোচনা ওঠে। এ সময় নেতারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম এর আগে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটূক্তি করার
জন্য দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে সেই ক্ষমা চাওয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ
প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখন তিনি আবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী
প্রার্থী হয়েছেন। একইসঙ্গে তার মাকেও তিনি প্রার্থী করেন। নিজের মনোনয়ন বাতিল
হওয়ার পরে মায়ের পক্ষে প্রচারণা করছে সে। এ জন্য তাকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের
সুপারিশ করেছেন।
বৈঠক
সূত্রে জানা গেছে বিতর্কিত জাহাঙ্গীরের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম কথা তোলেন। বারবার সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাকে দল
থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তিনি। পরে বৈঠকে উপস্থিত সম্পাদকমণ্ডলীর
সদস্যরা এতে একমত হন। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর
সদস্যদের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন। জাহাঙ্গীর আলম
যাতে দলের কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হতে পারেন সেই সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।
জানতে
চাইলে আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদক বলেন, বৈঠকে জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের বিয়য়ে নেতারা
ঐক্যমত হয়েছেন। এ বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের উপ-কমিটিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে হবে।
যাছা-বাছাই শেষে কমিটির অনুমধন দেওয়া হবে।
২৫
মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর আজমত উল্লা খান।
সেখানে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন জাহাঙ্গীর আলম। একই সঙ্গে মা
জাহেদা খাতুনকেও প্রার্থী করেন তিনি। ঋণ খেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের
মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে আপিলেও মনোনয়ন ফিরে পাননি। কিন্তু তার মা নির্বাচনে মাঠে লড়ে
যাচ্ছেন।