Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ডলার নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ডলারের দামে অস্থিরতা ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে দরে ডলার বিক্রি করছে, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছে তার চেয়ে ১০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি করছে। আর খোলাবাজারে ডলার রেকর্ড দামে ১১২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এমনকি ব্যাংকগুলোও ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা দরে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলার কেনাবেচায় কারসাজির প্রমাণ পেলে লাইসেন্স বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো.জসিম উদ্দিনসহ সংগঠনের সদস্যরা দেখা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে।

এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ডলারের দামে এই অস্থিরতা ঠেকাতে উদ্যোগ নিতে গভর্নরকে অনুরোধ করেছেন এফবিসিসিআই’র প্রধান।’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডলারের দাম চড়া করে যেসব মানিচেঞ্জার ও ব্যাংকগুলো মুনাফা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ডলারের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এ কাজে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’ জড়িতদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে ২৬% পরিবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

চড়া মূল্যস্ফীতি আর লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে অতিষ্ঠ দেশের চার কোটি মানুষ খাবার কিনছে ধার-দেনা করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রতিফলন উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্য নিরাপত্তা জরিপে। সংকট কাটাতে সঠিক পরিকল্পনা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাড়ানোর তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পঞ্চাশোর্ধ ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সিরাজ। বছর দুয়েক ধরে চলা মূল্যস্ফীতির মোটাদাগের প্রভাব তার জীবনে। আয়ের তুলনায় বেড়েছে ব্যয়। অর্ধেকে নামিয়েছেন খাওয়া-দাওয়া। চলতে হচ্ছে ধার-দেনায়। তিনি বলেন, আগে দিনে তিন/চারবার খেয়েছি। এখন দুই থেকে তিনবার খেয়ে হলেও চলতে হবে। ধরে আমি একবেলা কম খেলাম। কিন্তু বাচ্চাদের তো ঠিক রাখতে হবে।

আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে এনজিও থেকে ঋণ করেছেন রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক। সংকটের এমন চিত্র উঠে এসেছে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত বিবিএসের খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিবেদনে। তিনি বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। কিন্তু সেটা শোধ করতে পারছি না। পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক সময় না খেয়েও থাকতে হয়।

বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, দেশের চার ভাগের এক ভাগ মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছে ঋণ করে। যাতে সবচেয়ে বেশি ২৮ শতাংশ ঋণের দায় গ্রামের মানুষের। অন্যদিকে শহরে ২৪ এবং সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের ঋণ করতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ হারে। যার জন্য চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই অবস্থায় তাল সামলানোর বেশি চাপে মধ্যবিত্ত শ্রেণি।

বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এসময়ে কর্মসংস্থান হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গুণগত হয়নি। ফলে পর্যাপ্ত আয়-উপার্জন নেই। যে কারণে তারা বিভিন্ন খাত থেকে ধার-দেনা করেছে।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতি কতটা ভঙ্গুর, এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে। ঋণ করে নিজের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। প্রয়োজন মেটাতেই এটা করছেন তারা।

বিবিএস বলছে, ২২ শতাংশ পরিবার মাঝারি বা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কৃষক পরিবারের সমস্যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যারা দরিদ্রসীমার ওপরে আছেন, তাদেরও যে আয় বেশি সেটা কিন্তু নয়। তারা আরামদায়ক পরিস্থিতিতে আছেন, ঠিক তেমনটা নয়।

বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য রেড অ্যালার্ম। খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষগুলো জনসম্পদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন। যদি দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় থাকেন।

২০২২ সালের জুনের ১৫ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার খানার ওপর এই জরিপ চালায় বিবিএস।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মানুষের কল্যাণে যারা কাজ করছেন তাদের সম্মান দিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীরবে-নিভৃতে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কারে সম্মানিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ও অন্যান্য এলাকায় নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছেন, তাদের খুঁজে বের করে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার জন্য। তাদের জন্য নয়, বরং জনগণের কল্যাণের জন্য। কারণ, তারা কখনোই সামনে আসেন না বা আসতে চান না। নিজস্ব উদ্যোগে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে যারা মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অবদান রেখে যাচ্ছেন, তাদেরকে পুরস্কৃত করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদানকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যারা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে মানুষের জন্য কাজ করা ও দেশের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আরো অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন এবং দেশের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।

সরকারপ্রধান তাঁর ভাষণে বিগত ১৫ বছরের দেশ শাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি বাংলাদেশের সেই হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর যে মর্যাদা বাংলাদেশ অর্জন করেছিল এবং ৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যা হারিয়ে যায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় রেখে যান। সেখান থেকে আমরা আরো এক ধাপ উত্তরণ ঘটিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে পেরেছি। ২০২৬ সাল থেকে যা কার্যকর হবে। আজ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। জয় বাংলা আবার ফিরে এসে এখন আমাদের জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস বিকৃতির যত চক্রান্তই হোক না কেন আজকের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়, বুঝতে চায়। সেই প্রেরণা নিয়েই সামনের দিকে চলতে চায় এবং জীবনকে গড়ে তুলতে চায়। আর এটাই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় আশার বাণী।

এরআগে গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হচ্ছেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসা বিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পুরস্কার বিতরণী পর্বটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ বিজয়ীদের পক্ষে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিক লেখকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কভিড-১৯ পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে নিষেধাঞ্জা ও পাল্টা নিষেধাঞ্জায় বিশ^ব্যাপী খাদ্য পণ্য ও পণ্য পরিবহনের মূল্যবৃদ্ধিতে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতিতে কৃচ্ছতা সাধন এবং দলের নেতা-কর্মীসহ সামর্থ্যবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা এই রমজান মাসে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকলকে আহ্বান করেছি ইফতার পার্টি না করে ইফতার সাধারণ মানুষের মাঝে আপনারা বন্টন করেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইফতার পার্টি করা বড় কথা নয়, মানুষকে দেওয়াই বড় কথা। কাজেই, আমরা খাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। মানুষের যাতে কোনো রকম কষ্ট না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ রেখেছি। এই সময় ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রাপ্তিতে এক কোটি কার্ড করে দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, আজ ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের সেই কালরাতে গণহত্যার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, 'আর যারা সেই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতি জাতির ঘৃণা প্রকাশ করছি।'

শেখ হাসিনা এসময় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনকে 'গণহত্যা' উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের সাথে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ মানুষের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনে না। কারণ, যুদ্ধকালীন অবস্থা কী রকম হয় তা আমরা জানি, আমরা ভূক্তভোগী।

তিনি জাতির পিতার রেখে যাওয়া পররাষ্ট্র নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এর উল্লেখ করে মিয়ানমারের ১০ লাখের অধিক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান এবং প্রতিবেশির সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। তারপরও দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে অনেকে অগ্নিসন্ত্রাস,খুন-খারাবি-অনেক কিছু করে থাকে। কাজেই তাদের সুমতি হোক, সেটাই আমরা চাই। কারণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে একটি দেশ যে উন্নতি করতে পারে তার প্রমাণ আমরা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের কাছে সম্মানিত। কারণ, তাঁরা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছিলেন। কাজেই তাদের সম্মান দেওয়া এবং আমাদের এই গৌরবটা যেন হারিয়ে না যায় আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারদের সদস্যদের ভাতা, গৃহহীনদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ তাঁর সরকার প্রদেয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীনতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। দেশবাসীকে স্বাধীনতা ও জাতিয় দিবসের শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



নওগাঁয় মাছবাহী ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মাছবাহী ট্রাক ও মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে রাসেল হোসেন (২১) নামে কলেজ পড়ুয়া যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর টু জোতবাজার আঞ্চলিক সড়কের (মীরপাড়া এলাকায়) এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত রাসেল আহম্মেদ নওগাঁর মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়ন এর তালপাতিলা গ্রামের মোতাহার হোসেন এর ছেলে ও নওগাঁ সরকারি কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,  মোটরসাইকেল যোগে প্রসাদপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন রাসেল হোসেন। যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পোছালে

বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছবাহী ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে এসময় দূর্ঘটনাস্থলেই রাসেল হোসেন এর মৃত্যু হয়। 

সড়ক দূর্ঘটনায় এক জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী।


আরও খবর



ইফতারের আগে যেসব রুটে হতে পারে তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজান উপলক্ষে সব অফিস আদালতের সময় কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয় যেন অফিস শেষেও সবাই পরিবারের সঙ্গে গিয়ে ইফতার করতে পারেন। কিন্তু এই জ্যামের শহরে অনেকেই ঠিক সময়ে বাসায় উপস্থিত হতে পারে না। নগরবাসীকে যানজট বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে নানা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও মিলছে না তেমন সুফল।

রাজধানীতে সকাল ৯টার দিকে এবং বিকেল ৩টার পর থেকেই শুরু হয় যানজটের বিড়ম্বনা। মেগা প্রকল্পগুলোর পরেও সড়কজুড়ে কেন এত যানবাহনের চাপ, তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নগরবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

উন্নয়নের কারণে রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ যাতায়াত নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে। তবে অধিকাংশের দুঃশ্চিতার কারণ রমজান মাসে অফিস শেষে ইফতারের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে। এক্ষেত্রে মগবাজার, মালিবাগ, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১১টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের।

অনেকে বলছেন, রমজান আসলে যানজটের আতঙ্ক বেড়ে যায়। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকে।

অন্তত ১১টি রুটের যানজটের চিত্র সামনে আসছে, যেসব রুটে প্রায়ই লেগে থাকে। অনেক গণপরিবহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না বিধায় যানজটের শঙ্কামুক্ত নয় উত্তরা, খিলক্ষেত কিংবা ফার্মগেট। অন্যদিকে, মিরপুর রোড, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান এবং সরদঘাট ঘিরেও আছে যানজটের তীব্র আশঙ্কা। মেট্রোরেলের সংযোগ থাকলেও মতিঝিলে গাড়ির চাপ থাকে অনেক বেশি।

ঢাকা মহানগর পুলিশেল (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। রমজানের সময়টাতে গাড়ির গতি হয়ত ধীর হবে। ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তবে অন্তুত ২০ কিলোমিটার বেগে যেন গাড়ি চলতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,রামগড় :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সূর্যদয়ের সাথে সাথে উপজেলা বিজয় ভাস্কর্য প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষথেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রামগড় হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন এবং পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় পৌরসভার মেয়র মো.রফিকুল আলম কামাল, রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ, রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো.মফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম প্রমূখ।

এদিকে সকাল ১০টায় উপজেলা টাউন হলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা দেওয়া হয়।


আরও খবর