Logo
শিরোনাম

ডলারের বদলে রুপিতে বাণিজ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক লেনদেন ডলারের পরিবর্তে রুপিতে করার বিষয়ে দুই দেশ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে ডলারের দাম ওঠানামার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মুদ্রার মান নির্ধারণ করা হবে। কিভাবে এই প্রক্রিয়া কাজ করবে সেটি নির্ধারণের জন্য দুই দেশের ব্যাংকগুলোর চুক্তিও করতে হবে।

সেজন্য রুপিতে বাণিজ্যের বিষয়টি খুব সহসাই শুরু হচ্ছে না। অন্তত ছয় মাস সময় লাগতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, 'আমরা নীতিগতভাবে রাজি হয়েছি। এ বিষয়ে যাবতীয় প্রক্রিয়া চলছে। যদি ব্যাংকগুলো দেখে যে সব ঠিকঠাক আছে তাহলে তারা এই কার্যক্রম হাতে নেবে। শুরু হওয়ার পর বোঝা যাবে সুবিধা অসুবিধা।

ব্যবসায়ী ও নিয়মিত ভ্রমণকারীদের দাবি, টাকা ও রুপিতে বাণিজ্য হলে উভয় দেশই লাভবান হবে।তবে বিশ্লেষকদের মত, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বড় ধরণের বাণিজ্য ঘাটতি থাকায় রুপিতে লেনদেনে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলেন, 'রুপি যেহেতু বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত না এ কারণে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দর ঘন ঘন ওঠানামা করবে যা প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের সাথে লেনদেনে।

কোন পদ্ধতিতে হবে লেনদেন?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মার্কিন ডলারের দর ব্যাপক উর্ধ্বমুখী হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। বাড়তি দামেও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।

এমন অবস্থায় ডলারের ওপর চাপ কমাতে সরাসরি টাকা ও রুপির মাধ্যমে আমদানি-রফতানির বিষয়ে ভাবছে ঢাকা-দিল্লি।

নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের এই উদ্যোগ এক দশক আগেই নেয়া হয়েছিল। ওই সময় নানা ঝুঁকি বিবেচনায় প্রস্তাবটি আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন করার প্রস্তাব ওঠে। মার্চে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

এ বিষয়ে আলোচনা করতে গত ১১ এপ্রিল বাংলাদেশে সফরে আসে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশের ব্যাংকারদের সাথে বৈঠক করে টাকা ও রুপিতে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেনের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে প্রাথমিকভাবে চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই লেনদেন চালু হওয়ার কথা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই।

ভারতের দুটি ব্যাংক লেনদেনের হিসাব খুলবে বাংলাদেশের দুটি ব্যাংকে। একইভাবে বাংলাদেশের দুটি ব্যাংক, ভারতীয় দুটি ব্যাংকে তাদের লেনদেনের হিসাব খুলবে। ফলে লেনদেনের ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রা ডলারে রূপান্তর করতে হবে না। বিনিময় হার হবে সরাসরি টাকা থেকে রুপি বা রুপি থেকে টাকায়।

অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যাবেন বা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করবেন, তারা ওই ব্যাংক হিসাবে ভারতীয় রুপি যোগ করতে পারবেন। একইভাবে কোনো ভারতীয় বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় বা বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনতে ব্যাংক হিসাবে টাকা যোগ করতে পারবেন।ভারতের সাথে ব্যবসার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ব্যবসায়ীরাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে লেনদেন করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমদ জানান, 'ব্যবসায়ীরা চাইলে টাকা রুপি যে কোনোটায় এলসি খুলতে পারেন। যেহেতু ভারত মূল রপ্তানিকারক সেজন্য রুপিতে এলসি খুললে বিনিময় মূল্যে তারতম্য কম হয়। ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপিতে লেনদেন করলে রফতানি খরচ কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে।

ঝুঁকির আশঙ্কা বিশ্লেষকদের
বিশ্লেষকদের মত, দুই দেশের বাণিজ্যে বাংলাদেশ যেখানে ঘাটতিতে আছে, সেখানে রুপি ও টাকার লেনদেনের প্রস্তাব তত্ত্বগতভাবে ঠিক মনে হলেও বাস্তবে ভারত লাভবান হবে এবং বাংলাদেশ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের মতে, ভারতে এমন অনেক পণ্য আছে যার কাঁচামাল তাকে ডলারে অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ওই ধরণের পণ্য বাংলাদেশে রফতানি করতে গেলে রফতানিকারকরা বেশি দাম নির্ধারণ করতে পারে।

এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য এই লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন মোয়াজ্জেম। ফলে ডলার সঙ্কটের কারণে যে উদ্দেশ্যে ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে সেটি দিনশেষে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক থাকবে কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।এছাড়া একবার রুপি-টাকায় লেনদেনে গেলে এক পর্যায়ে সেটি একপক্ষীয় মুদ্রা বা রূপি-ভিত্তিক বিনিময় কাঠামোয় উপনীত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন মোয়াজ্জেম। এমনটা হলে বাংলাদেশের ওপর অধিক হারে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহারের চাপ তৈরি হবে।

এ ব্যাপারে মোয়াজ্জেম বলেন, 'বাণিজ্যিক ঘাটতি থাকা অবস্থায় লেনদেনে গেলে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে যেহেতু চাহিদা মাত্র ১২ থেকে ১৩ শতাংশ রুপি আছে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে ঋণ করে কিংবা অন্যদেশের সাথে বাণিজ্য কমিয়ে অথবা ডলারকে রুপিতে রূপান্তর করে ওই বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রবণতা দেখা যাবে। তখন দেখা যাবে ভারত থেকে ঋণের সুদের চাপ থাকবে আবার ডলার ভাঙালে লোকসান হবে।

সব মিলিয়ে এই দুই দেশের বড় আকারে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যে যাওয়ার তেমন সুযোগ তিনি দেখছেন না।

তার আশঙ্কা, যদি রুপি-টাকায় লেনদেন একবার শুরু হয় তাহলে এটি শুধুমাত্র স্থানীয় পণ্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং বিভিন্ন সেবামূলক বাণিজ্য যেমন ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়বে, যা বাংলাদেশকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

এমন অবস্থায় ডলারে লেনদেন করাই নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক বলে তিনি মনে করছেন। কেননা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলার সর্বাধিক ব্যবহৃত মুদ্রা হওয়ায় ডলারে লেনদেনের ঝুঁকি সবচেয়ে কম।

মি. মোয়াজ্জেম পরামর্শ দিয়েছেন, সরকারের সর্বতোভাবে চেষ্টা করা দরকার ডলারের মাধ্যমে বিনিময় টিকিয়ে রাখা। ভারতীয় মুদ্রাকে কম ব্যবহার করা। সেই সাথে সরকার এখন যেমন সীমিত আমদানি করে ডলারের ব্যবহার কিভাবে কমিয় আনছে এই কাঠামোতেই চলার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

ব্যবসায়ীদের দাবি লাভ হবে
বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে চিকিৎসা, পর্যটন ও কেনাকাটা বাবদ প্রচুর ব্যয় করেন। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৪ শতাংশ হয় ভারত থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানি করেছে এক হাজার ৬১৯ কোটি ডলারের। ঘাটতির পরিমাণ এক হাজার ৪১৯ কোটি ডলার।

বাণিজ্য ঘাটতি এবং বাংলাদেশের হাতে যেহেতু যথেষ্ট পরিমাণ রুপি নেই, এ কারণে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন করা সম্ভব হবে।

অর্থাৎ ২০০ কোটি ডলারের যে রপ্তানি আয় বাংলাদেশ করছে, সে পরিমাণ বাণিজ্য ভারতীয় মুদ্রায় করার কথা ভাবা হচ্ছে। এর বেশি পণ্য রুপিতে কেনা যাবে না, কারণ রফতানি ছাড়া রুপি পাওয়ার সুযোগ নেই।

ফলে বাংলাদেশকে আমদানি মূল্যের বাকি অংশ অর্থাৎ ১৪ শ' কোটি ডলারের আমদানি ব্যয় আগের মতোই মার্কিন ডলারে পরিশোধ করতে হবে।

রুপিতে লেনদেনের ফলে বাংলাদেশের যে ২০০ কোটি ডলার বেঁচে যাবে সেটা দিয়ে সরকার অন্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমদ। তার মতে, এতে উভয় দেশই লাভবান হবে। বাণিজ্য ২০০ কোটিতে বেঁধে দেয়ায় কোনো ঝুঁকিও থাকবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকের দাবি, এই লেনদেন যেহেতু দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ভিত্তিতে হবে সে কারণে বার বার মুদ্রা রূপান্তর করার খরচ কমবে। বিনিময় মূল্যে আমরা সাশ্রয় করতে পারবো। আবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়মিত ভ্রমণকারীরাও একে লাভজনক উপায় বলে মনে করছেন।

বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি ভারতে ভ্রমণে যান তাহলে তার পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স করতে হয়। ওই ডলার ভারতে গিয়ে রুপিতে ভাঙিয়ে খরচ করতে হয়। দুবার মুদ্রা বিনিময়ের কারণে লোকসানে পড়ার কথা জানান ভ্রমণকারীরা।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ১০৬ টাকা থেকে ১১০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। ওই হিসেবে ১০০ ডলার কিনতে খরচ পড়ছে ১০ হাজার ছয় শ' থেকে ১১ হাজার টাকার মতো।

এই ১০০ ডলারের বিনিময়ে ভারতীয় রুপি পাওয়া যায় আট হাজার দুই শ' থেকে আট হাজার তিন শ'র মতো। কিন্তু এই লেনদেন যদি সরাসরি টাকা ও রুপিতে হতো তাহলে একই পরিমাণ টাকায় ভারতীয় রুপি পাওয়া যেত ১৩ হাজার থেকে সাড়ে ১৪ হাজারের মতো। বেশ বড় অঙ্কের ফারাক।


সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ফরিদপুরে বাস-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে।

দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজনের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। অন্য ১১ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

এর আগে ১১ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন ফরিদপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ। তিনি বলেন, সকাল আটটার দিকে কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের নামপরিচয় জানাতে পারেননি এসআই মিরাজ। তিনি বলেন, নিহতরা পিকআপের যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা পিকআপে চড়ে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর



র‌্যাংকিং এ শান্ত-লিটনের বিরাট অবনতি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত বুধবার শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। সে টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, আশিতা ফার্নান্ডো এবং বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) আইসিসি র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে যাচ্ছেতাই ছিলেন লিটন কুমার দাস। নতুন বলে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে ওয়ানডে দল থেকে সিরিজের মাঝপথেই বাদ পড়েন। তবে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। দলের প্রয়োজনে হাল ধরার চেয়ে অপ্রয়োজনে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলের বিপদটাই বাড়ান লিটন।

টেস্ট সিরিজে একই অবস্থা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষেত্রেও। তবে ওয়ানডে সিরিজে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। টেস্টে বাংলাদেশও ভুগেছে নিজেদের নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটারের অফফর্মের কারণে। প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে রেকর্ড হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে ১৯২ রানের ব্যবধানে।

এমন হারের পর আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে তাদের অবস্থান ৮ম স্থানে। এদিকে দলের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে ক্রিকেটারদের। যেখানে অবনমন দেখেছেন শান্ত এবং লিটন। আইসিসির সবশেষ প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে টেস্টে ৫ ধাপ নেমে ৬২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে লিটন এখন আছেন ২৯ নম্বরে। আর শান্ত ৮ ধাপ নেমে ৪৮৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছেন ৬১তম স্থানে।

এদিকে টেস্টে খারাপের জেরে ক্রিকেটারদের যেমন অবনমন হয়েছে তেমনি উন্নতিও হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। দ্বিতীয় টেস্টে ফিফটি করে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনধাপ উপরে উঠেছেন জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান করা এই ব্যাটার তিন ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ৭৫তম স্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮১ রান করা মিরাজ ১১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৮৮ নম্বরে। আর চার ধাপ এগিয়ে ৪৬তম স্থানে উঠে এসেছেন মুমিনুল হক।

এদিকে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করেছেন দ্বিতীয় টেস্টে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ছয় উইকেট নিয়ে ৯৫তম অবস্থানে রয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। চট্টগ্রাম টেস্টে ৬ উইকেট পেয়েছেন হাসান। ওই টেস্টে ৩ উইকেট নেয়া আরেক পেসার খালেদ আহমেদ ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৩ নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, বোলিংয়ে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান


আরও খবর



কর্মকর্তা হত্যার বিচার করে আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই:পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, 'বন কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পাহাড় খেকোরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছিল যে তাদের পথে কেউ বাধা হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমরাও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে  একটি নজির স্থাপন করতে চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের এমন বিচার করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার কথা কেউ চিন্তাও না করে।

রবিবার (০৭ এপ্রিল) সকাল পৌণে ১১টায় মন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে পাহাড় খেকো চক্রের হাতে নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে চেক ও নগদ টাকা হস্তান্তর শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,' বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অবগত রয়েছেন। সময় সুযোগ পেলে তিনিও নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলবেন। বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। এ ঘটনায় একজন আটক হলেও বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা তাদের আটকের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। অচিরেই সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

এর আগে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে সকাল পৌণে ১১টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে নিহত বন কর্মকর্তা সাজেদুজ্জামানের বাড়িতে পৌঁছান। এসময় তিনি নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের বাবা শাহজাহান মাস্টার,মা উম্মে কুলসুম এবং স্ত্রী মুমতাহেনা সুমি ও নয় মাসের কন্যা সন্তান সাদিকার সাথে কথা বলেন। এ সময় নিহত বন কর্মকর্তার মা এবং স্ত্রী হাতে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের একদিনের বেতন ১০ লক্ষ টাকার চেক এবং মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন তিনি। পাশাপাশি নিহত বন কর্মকর্তার স্ত্রী মুমতাহেনা সুমিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পরে তিনি নিহতের কবর জিয়ারত করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, বন সংরক্ষণ (প্রশাসন) আব্দুল আউয়াল সরকার, পরিবেশ বন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব আবু নাঈম মোহাম্মদ  মারুফ খান, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল আলম,গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তারআরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহব্বায়ক আমিরুল হাছান সহ বন বিভাগের মাঠ পযায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

উল্লেখ্য,গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে করে মাটি পাচার করার সময় বাধা দিতে গেলে ড্রাম ট্রাক চাপা দিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানককে । কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।


আরও খবর



ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদ শব্দটি আরবি। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সারা বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

এ বছর ঈদুল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ভিন্ন। টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আছে নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, সঙ্গে আছে প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তীব্র মানবিক সংকটে অনাহার-দুর্ভিক্ষও এখন আর দূরের কিছু নয়। এই অবস্থার ভেতরেই ফিলিস্তিনে এসেছে ঈদ। আর সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণও করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

এমনকি ফিলিস্তিনিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুরু উপলক্ষ্যে আনন্দ উদযাপনে রাস্তায়ও নেমে আসেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে ফিলিস্তিনিরা তাকবীর পাঠ করে এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করে গাজার রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এবারের ঈদ গাজা উপত্যকায় এমন এক সময়ে এসেছে যখন ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটি ব্যাপক অবরোধের পাশাপাশি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে হামাস। ঈদুল ফিতরের আগে দেওয়া ওই বিবৃতিতে হামাস গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের শক্তি এবং অবিচলতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।

মূলত কয়েকদিন আগেই গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের আক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ করেছে এবং সেই আগ্রাসন এখনও চলছে।

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই দলটি টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম তীরে, জেরুজালেমে, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনের পাশাপাশি সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুত শিবিরে থাকা মানুষ গাজায় আমাদের এবং আমাদের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে আমরা আমাদের জনগণকে নিশ্চিত করছি।

হামাস আরও বলেছে, আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমন উপলক্ষ্যে আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের লক্ষ্যে সবার প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করে হামাস।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর