Logo
শিরোনাম

দোষী সাব্যস্ত হলেন ট্রাম্প, সাজা ঘোষণা ১১ জুলাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে নিউইয়র্কের একটি আদালতে। 


ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট। 


দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার ১২ জুরির উপস্থিতিতে আদালত ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা। 



এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় দোষী হয়ে সাজা পেতে যাচ্ছেন। আদালতের বিচারক জুয়ান মার্চান আগামী ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। 


সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাঁকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।


৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়।


 তাঁর হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।


এমন সময় এই রায় ঘোষণা করা হলো, যার কয়েক মাস পরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার প্রেসিডেন্ট পদে আসতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। 


তবে মামলার রায়ের কারণে তাঁর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাধা আসবে না।


অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি অপমানজনক। এটি একটা সাজানো মামলা, যেটি পরিচালনা করেছেন একজন দুর্নীতিবাজ বিচারক।


 রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটা তাঁর জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন।


আরও খবর



রাজাপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে নানা বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রদল বুধবার সকালে জাতীয় সংগিত, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। পরে বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়াও রক্তদান কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ,  ৬ ইউনিয়নে এতিমদের নিয়ে মিলাদ-দোয়া ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে বেলা ১১ টায় রাজাপুর পাইলট স্কুল মাঠে ৬ ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করা হয়। ইউনিয়ন থেকে আসা মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে যায় সভাস্থল। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।

উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাব্বির সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন, বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হক নান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন, ছাত্রনেতা গোলাম জাকারিয়া, যুবদলের আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ পারভেজ, সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক রতন দেবনাথ, সৈয়দ নাজমুল হক, আমিনুল ইসলাম খান রিয়াজ, আব্দুল মান্নান খান, মাসুম হোসেন, রুহুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন নয়ন তালুকদার, মাহিম তালুকদার, নাজমুল হায়দার নুহু, তরিকুল ইসলাম মুন, জাহিদ হাসান, নাসিম সোহেল, তরিকুল ইসলাম মারুফ, ইমরান হোসেন, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌস রিপন, তাহা, শাহনেওয়াজ তুহিন, সৈয়দ ইয়াসিন আল আরাফাত, জুনায়েদ, পলাশ মৃধা প্রমুখসহ ৬ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



ভারতের দুই রাজ্যে ছড়াচ্ছে এইচএমপিভি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

অবশেষে ভারতে ঢুকে পড়েছে এইচএমপিভি। চীনে ছড়িয়ে পড়া নতুন এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে দেশটিতে। সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত বেশ কয়েকটি শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে।

এমন অবস্থায় মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকসহ দেশটির বেশ কিছু রাজ্য সতর্কতা জারি করেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-তে আক্রান্ত পাঁচ শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

অন্যদিকে সোমবার কর্নাটক, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র সরকারসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে আশ্বস্ত করেছে, শঙ্কার কোনও কারণ নেই। ইতোমধ্যে, দিল্লি সরকার রাজধানীতে সমস্ত হাসপাতালকে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার সম্ভাব্য বৃদ্ধি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়া দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সংকট রোধে কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে কর্নাটকে জারি করা নির্দেশনায় রাজ্যটির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে মাস্ক পরতে হবে। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সাবান, স্যানিটাইজার। বছর চারেক আগে কোভিড পরিস্থিতিতেও এমনই নানা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এইচএমপিভি ফেরাবে করোনা-কালের স্মৃতি?

যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এখনই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি হয়েছে, চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে শনাক্ত এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও সংযোগ নেই। এছাড়া এইচএমপিভি আক্রান্ত সব শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। বেঙ্গালুরুর আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে এক জনকে ইতোমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যজনও সুস্থ হয়ে উঠছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনে এইচএমপিভির একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তারপর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর দুই শিশু, আহমেদাবাদের এক শিশু এবং কলকাতার এক শিশুর দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতেও। তবে চীনে ভাইরাসটির যে রূপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চীনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

তবে এইচএমপিভির সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সাধারণ এইচএমপিভি সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, ক্লান্তি এবং ক্ষুধা কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

সাধারণত, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। এ থেকে বাঁচতে সোমবারই কয়েক দফা নির্দেশনা জারি করে কর্নাটক সরকার। তাতে খোলা জায়গায় হাঁচি-কাশি থেকে বিরত থাকা, হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা, মাস্ক পরা, একই রুমাল বার বার ব্যবহার না করা, সাবান ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা— এমন নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




ডিসেম্বরে এলো দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বরে আগের বছরের চেয়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে, গত জুন মাসে গড়ে দৈনিক ৮ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ মাসে ব্যাংকগুলো ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

অবশ্য সাড়ে চার বছর আগে একক মাস হিসাবে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে অর্থাৎ ৬ মাসে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নতুন বছরে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ২৪-এর জুলাই বিপ্লবের পরে শিক্ষার্থীরাও তাদের বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা দাবি-দাওয়া তুলছেন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখতে চাচ্ছেন। বিদায়ী বছরটির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির স্মৃতি পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন আশায় বুক বাঁধতে পিছিয়ে নেই তরুণরাও। নতুন বছরে কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থীর ভাবনা, প্রত্যাশা-প্রাপ্তি আর স্বপ্নের কথা তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো: হৃদয় হোসাইন।

'পুরাতন প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে' -তরফদার রোহান, শিক্ষার্থী, গনিত বিভাগ।

মাস্টার্সের গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান আরও বলেন, মানুষ নতুনত্বকে ভালোবাসে। পুরোনো জিনিসের প্রতি মায়া থাকলেও নতুন জিনিস এর প্রতি আগ্রহ মানুষের সুপ্রাচীন। তাই তো কালের বিবর্তনে মানুষ পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় অত্যন্ত আনন্দের সাথে। ২০২৪ কেউ আমরা ঠিক একইভাবে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ কে গ্রহণ করে নিয়েছি উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে। সেই সাথে পুরোনো বছরের ভুল ভ্রান্তিকে ছাপিয়ে নতুন বছর এবার এসেছে জুলাই অভ্যুত্থান এ ছাত্র-জনতার বিজয় নিয়ে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরাও আশাবাদী পুরোনো প্রশাসন এর স্বৈরাচারী মনোভাব ও  ভুল-ভ্রান্তি যেন আবার নতুন প্রশাসন এর গায়ে না লাগে। আমরা চাই একটি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন সাথে শিক্ষার্থীসুলভ শিক্ষকদের মনোভাব। তবে সবার আগে আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে পরীক্ষার আগে রেজাল্ট পাবলিশ করা জরুরি। এই রেজাল্ট এর জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নতুন বছরে আরেকটি প্রত্যাশা আমরা যাতে সুন্দর একটি অডিটোরিয়াম,জিমনেশিয়াম ও টিএসসি এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উপহার দেয় যেটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মনমানসিকতার উৎকর্ষ সাধন ত্বরান্বিত হয়।

'তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়তে হবে।- এআর রুপক, শিক্ষার্থী, ইংরেজি  বিভাগ

মাস্টার্সের ইংরেজি বিভাগের এআর রুপক আহমেদ আরও বলেন, ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর  বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক  ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় সূচনা হয়েছে। এই বিপ্লব শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, এটি জাতির নতুন স্বপ্ন ও আশার প্রতীক। নতুন বছরের সূচনা লগ্ন থেকেই আমরা নতুন বাংলাদেশ  বিনির্মাণে  এক নতুনত্বের উন্মোচন করতে চাই। আমার  দৃষ্টিভঙ্গিতে নববর্ষের  শুরু থেকেই নতুন   প্রজন্মের স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং চেতনার প্রতিফলন উন্মোচন করতে হবে। তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের প্রকৃত স্থপতি। তরুণদের মধ্যে যদি সঠিক দিকনির্দেশনা থাকে, তবে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে,তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম, দেশে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এটি দূর করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। তরুণ নেতৃত্ব এবং সুশিক্ষিত ব্যক্তিদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান করছি । পাশাপাশি, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে একটি শক্তিশালী আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রস্তাব করছি

আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, নতুন বছরের শুরুতেই আমরা ভাসানীয়ানরা চায়, একে অপরের সাথে ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সকল অন্যায় অত্যাচারের  বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। যেমনটা আমরা জুলাই বিপ্লবে একে অপরের  কাঁধে কাঁধ দেখে হেঁটেছিলাম। ভাসানী  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে অপরের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। জুলাই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি। আমরা  একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। নতুন বাংলাদেশ হবে এমন এক দেশ, যেখানে ধর্ম, জাতি, বা শ্রেণির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না। নারীর অধিকার, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন এবং উদ্যমই এই পথচলার মূল শক্তি। বাংলাদেশকে একটি ন্যায়বিচারপূর্ণ, মানবিক, এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

'কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে' - তুষার আহমেদ, শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ

পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ আরও বলেন, কাম্পাসে গুণগত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়া উচিৎ যেন নিজ স্বার্থে কোন ব্যাক্তি বা দল ক্যাম্পাসকে ব্যবহার না করতে পারে। আমরা আশা রাখি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন এবং শিক্ষকদের যথাযথ সহযোগিতা পেলে আমাদের শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।  আমরা সবাই এক সাথে থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ়

প্রতিজ্ঞা করছি।

শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার- মো. কামাল, শিক্ষার্থী,  অর্থনীতি বিভাগ

অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. কামাল আরও বলেন, মাভাবিপ্রবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার পর্যায়ে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টার শেষ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে । করোনা মহামারি আমাদের শিক্ষা জীবন প্রায় দেড় বছর কেড়ে নিয়েছে । আমরা চাই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা, ভাইভা, ল্যাব নিয়ে আমাদের ফাইনাল ইয়ার শেষ হয়ে যাক। এই লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তর পরিশ্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ২০২৫ সালে শেষ করতে । শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকরা যদি পাশে থেকে ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে এই যাত্রাকে সহজতর করে আমাদের জন্য মঙ্গল হয় । আশা করি ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ২০২৫ সালের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় শীর্তাত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

নওগাঁয় অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার ৭ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটেরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ৫শ' অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। 

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র নওগাঁ বাংলাদেশ সংযুক্ত ফেডারেশন ও বহুমূখী শ্রমিক ফেডারেশনের ৫ শত অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম রবীন শীষ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা আশেকুর রহমান, সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা প্রকৌশলী মাহবুব রহমান প্রমূখ।


আরও খবর