Logo
শিরোনাম

দশমিনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের প্রশিক্ষণ ও সনদ বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা(পটুয়াখালী) :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় প্রশাসণের সার্বিক তত্ত¦াবধানে এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের দশদিন ব্যাপি প্রশিক্ষনের পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পরিষদ অডিটোরিয়াম হল রুমে সনদ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা এমপি।

বিশেস অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ সামছুন্নাহার খান ডলি, প্রশিক্ষক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাফর আহমেদ, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুর রহমান, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন প্রমূখ।

 সভাপতি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন উপজেলায় মোট আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওয়াতায় ২৬০ টি ঘর নির্মান করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের সাভলস্বি করার লক্ষে জীবন মানউন্নয়নে  হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু, ছাগল, শাখ-সবজি, স্বাস্থ্য ও সেবা সহ দশদিন ব্যাপি বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সনদ বিতরন করেন।


আরও খবর



বাখমুত হস্তান্তর ১ জুনের মধ্যে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

ইউক্রেনের বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ আগামী ১ জুনের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভাগনারপ্রধান। রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন গত শনিবার (২০ মে) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত দখলের দাবি করেন।

তবে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনের সেনারা এখনো শহরটির অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করছেন। দেশটির সেনারা শহরের উপকণ্ঠের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। কিন্তু ভাগনারপ্রধান বলেছেন, তার সেনারা বৃহস্পতিবার (২৫ মে) থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর শুরু করবেন।

টেলিগ্রামে দেওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেন, ভাগনার ২৫ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে আর্টেমোভস্ক (বাখমুত) ত্যাগ করবে।

বাখমুত আগে আর্টেমোভস্ক নামে পরিচিত ছিল। এক সোভিয়েত বিপ্লবীর সম্মানে শহরটির এ নাম রাখা হয়েছিল। তবে পরে ইউক্রেন শহরটির নাম বাখমুত রাখে।

ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেছেন, বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের আগে শহরটির পশ্চিম দিকে প্রতিরক্ষাব্যূহ স্থাপন করেছে ভাগনার।

ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার ভাষ্য, শহরটির ভেতরে এখনো তার দেশের বাহিনীর ছোট অবস্থান রয়েছে। পরে হান্না মালিয়ার এক টেলিগ্রাম পোস্টে লেখেন, ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো শহরটির কিছু বেসরকারি স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কোর কাছে বাখমুতের খুব কমই কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। তবে শহরটি দখল করা রাশিয়ার জন্য একটি প্রতীকী বিজয় হবে।


আরও খবর



জামালপুরে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদ উল হাসান,  জামালপুর :

জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন। ১৮৯৯ সালে এই রেলওয়ে স্টেশনটি স্থাপিত হয়। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় হঠাৎ এই রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এতে সর্বস্থরের জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই এলাকার জনগণের দাবী থাকা স্বত্বেও বন্ধ থাকা কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। 

অবশেষে আজ (১৫ মে) সোমবার দুপুরে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশনে কেন্দুয়া এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে কয়েক শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন, কেন্দুয়া ইউনিয়নের আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নাগরিকবৃন্দ।  সকলের দাবি অবিলম্বে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালু করতে হবে এবং আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে। 

জামালপুর টু তারাকান্দি রেল সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। জামালপুর জংশন এর পরের স্টেশনটিই পড়ে কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশনের অবস্থান। ৩৭নং মেইল ট্রেন, ৭৫ নং মেইল ট্রেন, ২৫৩ নং লোকাল ট্রেনে যাত্রীরা যাতায়াত করেছেন। সেই সাথে যমুনা,অগ্নিবীণা ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ক্রসিং হতো এই স্টেশনটিতে৷ কিন্তু বেশকিছু দিন থেকেই বন্ধ এই রেলওয়ে স্টেশনটি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান সোহেল, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন মিলন, ফখরুল আলম লিটু, আরিফুর রহমান আরিফ প্রমূখ। 

মানববন্ধন শেষে ঘন্টাব্যাপী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশনের সামনে অবরোধ করেন এলাকাবাসী। 

১ ঘন্টা পর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো: মোজাফফর হোসেন সিআইপি বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত সকলকেই আশ্বস্ত করে বলেন, যৌক্তিক দাবীতে এই মানববন্ধন তিনি সমর্থন করেন। তবে জনগণের দুর্ভোগ হয় এমনটি না করে ট্রেন যাত্রা সচল করার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, আমি ইতিমধ্যে মানববন্ধনের কথা শুনে রেলওয়ে বিভাগের ডিজি'র সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই দাবী বাস্তবায়ন করা হবে তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন। কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন থাকবে৷ টিকিট বিক্রিসহ যাত্রীরা এইখান থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ ও টিকিট বিক্রির সুযোগসহ একাধিক দাবী বাস্তবায়ন করা হবে। প্রয়োজন হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করে হলেও দাবী পূরণ করা হবে ইনশাল্লাহ । 

অতপর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন সিআইপির কথায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- এই এলাকার মানুষ হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ঢাকায় জীবিকার জন্য কাজ করেন। কেন্দুয়া ইউনিয়ন সহ আশপাশের ৪ টি  ইউনিয়নের মানুষ এখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন যাবত এটি বন্ধ হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পরেছে।

মানববন্ধনে ১ নং কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান সোহেল বলেন,কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশন চালু এখন সময়ের দাবি। আমরা চাই অতি সত্ত্বর এটি চালু করা হোক। সাধারণ মানুষের দাবি অতিসত্ত্বর কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশন চালু করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠিন কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হব। আমাদের যৌক্তিক দাবী মানতেই হবে। এই দাবী আমাদের অধিকার আদায়ের। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।


আরও খবর



বাখমুতের দ্রুত পতন অসম্ভব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

রাশিয়ার ভাড়াটে গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রুশ বাহিনীর কব্জায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। খবর বার্তাসংস্থা এএফপির।

ওয়াগনার বাখমুতের ওপর কয়েক মাস ধরে চালানো হামলার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এতে সেখানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

এ নগরীর দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের উপ-শহরে প্রচণ্ড লড়াই চলছে উল্লেখ করে টেলিগ্রাম বার্তায় প্রিগোজিন লিখেছেন, বাখমুত শনি বা রবিবার রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, বাখমুতের এখন পতন ঘটেনি। নগরিটিতে স্যামোলেট নামে একটি উপশহর রয়েছে। এটি একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ, যা বাখমুতের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটির কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। বর্তমানে সেখানে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ চলছে।

ইউক্রেন মঙ্গলবার বলেছে, তাদের বাহিনী বাখমুতের উত্তর ও দক্ষিণ উপকণ্ঠের ২০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তারা এও বলেছে, রুশ বাহিনী এখনো শহর অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে।


আরও খবর



ঝিনাইগাতীতে মৃত বন্যহাতি উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের নুহু মিয়ার ধানখেত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে বলে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা।

বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম বলেন, মৃত হাতিটি পুরুষ। এর বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির দেহে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধাান গবেষণাগারে (সিডিআইএল) ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের ফেরাতে নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন চাইলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, আমরা জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সমাজে পুনরায় একীভূত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ২০ মে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

এই প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মিয়ানমারে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

তিনি আরও জানান, গত ৫ মে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যান। সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এর আওতায় রোহিঙ্গাদের পারিবারিক ইউনিটে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর আবার যেন তারা সেখানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের সম্মুখীন না হয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলিকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।

রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ অংশগ্রহণ করে।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা, অন্যান্যদের মধ্যে, ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩