
বিশ্বকাপের এই আসরের
বেস্ট দল ব্রাজিল। ফুটবল সেন্স, স্টেমিনা,
ফিল্ড ওয়ার্ক, সব জায়গায়, সব পজিশনে সবচেয়ে গোছালো দল ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে
প্রথমার্ধে সেটা যদিও দেখা যায়নি। কারণ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। সব
খেলোয়াড়রাই একটু চিন্তায় ছিলেন, আসলে কি হয়। মানসিকভাবেই
একটু প্রেসারে থাকায় এমনটা হয়েছিল। অপজিশন দল আসলে কিভাবে খেলে, সেটা দেখে দ্বিতীয়ার্ধে তৈরি হয় প্ল্যান। ফাস্ট হাফে দুই দলই সমানতালে
খেলেছে। রিচার্ডলিসন যে গোলটা করল, তা আসলে এক্সট্রা
অর্ডিনারি। আনভেলিয়েবল গোল। এটা ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের পক্ষেই সম্ভব। বিশ্বকাপের
এটাই মনে হয় এখন পর্যন্ত সেরা গোল। যাই হোক, ব্রাজিল
ব্রাজিলের মতোই খেলে জয়লাভ করেছে। ৯০ মিনিটের খেলা। ব্রাজিলের শক্তি হচ্ছে বেঞ্চ।
গোলকিপার থেকে শুরু করে প্রতিটি পজিশনে তাদের সেকেন্ড চয়েজ বলতে কিছু নেই। সবই
ফাস্ট চয়েস। জয় দিয়েই তাদের যাত্রা শুরু।
ইরান গতকাল ম্যাচে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে ওয়েলসের
বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ দেখে মনে হলো প্রথমটা তাদের আসলে বেড লাকই গেছে। ইরানের এই
কামব্যাক করাটা এশিয়ার জন্যই বিশাল পাওয়া। প্রথম ম্যাচে আসলে তারা ইংল্যান্ডের
কাছে যেভাবে হেরেছে, তাতে
কেউ গোনায় আনেনি ইরানকে। সবাই ভেবেছে এই বিশ্বকাপে কিছু করতে পারবে না। তারা
দেখিয়ে দিলো, এশিয়ান জাপান, সৌদি
আরবের মতো তারাও এগিয়ে যাবে। আশা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের
বিপক্ষে জয়ী হয়ে নকআউট পর্বে উঠার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের
বিপক্ষে ইরান সবসময় ভালো খেলে। ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ে তারা উজ্জীবিত হয়েছে।
সেই হিসেবে নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ইরানের।
তিউনিসিয়া এক পয়েন্ট। গ্রুপ ডি’তে
প্রথম ম্যাচে ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের সাথে ড্র করেছে। তিউনিসিয়া অনেকটা এগিয়ে
অস্ট্রেলিয়া থেকে। অস্ট্রেলিয়া তো এশিয়া অঞ্চলেই পড়ে। তারাও ভালো দল। তারা যদিও
প্রথম ম্যাচে হেরেছে ফ্রান্সের কাছে। এতে কিছুটা ব্যাকফুটে হলেও গোল করেছিল কিন্তু
প্রথমে অসিরাই। এই ম্যাচে অবশ্য লড়াই আশা করা যায়। সৌদি আরব ও পোল্যান্ড ম্যাচটা
হবে অনেকটা মজার। কারণ সৌদি আরবের শক্তি তো আমরা প্রথম ম্যাচে দেখতেই পেয়েছি। তারা
আসলে এই ধাঁচেই খেলবে। আজকের ম্যাচে তারা নিজের ঘর সামলেই খেলবে। কারণ ১ পয়েন্ট
পেলেও তাদের লাভ। বাকিটা যা হয়।
ফ্রান্স ও ডেনমার্কের ম্যাচটা হবে কম্পিটিশন। প্রথম
ম্যাচে ডেনমার্ক ড্র করেছে। ডেনমার্কও ভালো দল। আর ফ্রান্স প্রথম ম্যাচ জিতেছে।
ম্যাচ জিতে তারা উইনিং মোডে রয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। বর্তমান দলে
বিশ্বমানের অনেক স্ট্রাইকার রয়েছে। ফ্রান্সই আজকের ম্যাচে এগিয়ে থাকবে।
দিনের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার সামনে মেক্সিকো।
মেসিদের হচ্ছে এটা ডু-অর-ডাই ম্যাচ। হয় জিতবে না হলে বিদায়। এটা একটা
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। আর্জেন্টিনা দলে যেসব তারকা রয়েছেন, তাদের তো পরীক্ষা করার মতো কিছু নেই।
তাদের সব পর্যায়ে সব ধরনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যদি প্রেসার নিয়ে খেলে
তাহলে সমস্যায় পড়ার বেশি সম্ভাবনা। যদি স্বাভাবিক ফুটবল খেলে, তাহলে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত।