Logo
শিরোনাম

দুর্যোগে বিপর্যস্ত ক্যালিফোর্নিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জনজীবন। রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এক লাখ ২৬ হাজার গ্রাহক। লস অ্যাঞ্জেলসের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে বন্যা।

রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় পার্বত্য অঞ্চলে শুরু হওয়া তুষারঝড় পূর্বাঞ্চলে সরে যাচ্ছে। টেক্সাস থেকে ইলিয়ন পর্যন্ত এলাকার দুই কোটি মানুষ ঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে। মঙ্গলবারের মধ্যে এটি উত্তরপূর্বাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। প্রচণ্ড তুষারপাত এবং বরফ জমে যাওয়ায় কয়েকটি মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঝড়ের কারণে অ্যারিজোনা, টেক্সাস, ওকলাহোমা এবং কানসাসের নিম্ন এলাকায় বৃষ্টি, উচু অঞ্চলে তুষারপাত এবং কিছু অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। বরিবারের পর উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। প্রভাব পড়তে পারে উইসকনসিন, মেশিগান রাজ্যে।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র সহ ৮ ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‍্যাবের টহল গাড়িতে ডাকাতিকালে দেশীয় অস্ত্র সহ সংঘবদ্ধ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১....

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি একটি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র মহাসড়কের সাধারণ যাত্রী ও বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ডাকাতি করে সর্বশান্ত করছে ও গুরতর আঘাতসহ হত্যার মত ঘটনাও ঘটাচ্ছে। মহাসড়কে ডাকাতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ র‍্যাব কাছে আটক হয় ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য। 

শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-১১'র সিপিসি -১ কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম। 

তিনি জানান, 

বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাব-১১'র একটি আভিযানিক দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পোশাকে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে টহল কার্যক্রম পরিচালক পরিচালনা করতে থাকে। র‍্যাবের সাদা পোষাকের আভিযানিক দল মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার চর বাউসিয়া এলাকায় যানজটে পড়ে। এ সময় সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০/১২ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে র‍্যাবের গাড়ির ঘেরাও করে। র‍্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের মূলহোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় বসবাস করত। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০ টির অধিক ডাকাতি করেছে। 


আরও খবর



মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ জন গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজীহাট-মহাদেবপুর সড়কে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চোখমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় জড়ীত দু'জনকে গ্রেফতার পূর্বক ছিনতাইকৃত টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এব্যাপারে সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এসব তথ্য জানান। 

এর আগে শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে জড়ীতদের গ্রেফতার করেন পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার কাশাবাড়িয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও তেঘরবিশা এলাকার মাহাতাব উদ্দিন এর ছেলে লিমন হোসেন মিন্টু (৩৩)। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা দস্যু দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে, জেলা পুলিশ সুপার জানান, গত ১৬ মার্চ আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি নজিপুর ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজী-মহাদেবপুর রাস্তার বেলট মোড় 'ব্রীজ' এলাকায় পৌছালে এসময় অপর দুটি মোটরসাইকেলে যোগে আসা অজ্ঞাত ৪ জন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল এর গতিরোধ পূর্বক চোখেমুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে ও পকেটে থাকা নগদ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ৪ জন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় টাকার মালিক মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঘটনাটি উদর্ঘাটন ও টাকা উদ্ধার সহ জড়ীতদের গ্রেফতার এর জন্য পুলিশ একটি অভিযান পরিচালনা টিম গঠন করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ছিনতাই হওয়া টাকা দিয়ে ক্রয় করা স্বর্ণের চেন, দুল, ফ্রিজ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের দ্রুত অভিযান এবং ছিনতাইকারী চক্রে জড়ীতদের গ্রেফতার পূর্বক নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সহ মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তথা অভিযানিক পুলিশ টিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেত্রকোনার সাংবাদিকদের

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্ধারিত ২২ মার্চের নির্বাচনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত জেলা প্রেসক্লাবে।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




মোরেলগঞ্জে আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image

এম. পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি দাখিল মাদরাসায় গোপনে শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক মাদরাসা সুপার। ঘোলাটে পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে মাদরাসাটির শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। দু’পক্ষের কঠোর অবস্থান ও উত্তেজনায় প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পঞ্চকরণ ইউনিয়নের আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার ৩ টি শূণ্যপদে জনবল নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, খারইখালী আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসাটিতে আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অনেকে ৫০০ টাকার অফেরৎযোগ্য পোষ্টাল অর্ডারসহ আবেদন করেন। কিন্তু কাউকে ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হয়নি। পরে ২০২২ সালে ২ অক্টোবর আবারও সহকারি সুপার, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

২য় দফার ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ১৭ ফেব্রæয়ারি মাদরাসার খাতাপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী বলইবুনিয়া ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, সহকারি সুপার পদে মিজানুর রহমান, আয়া পদে তামান্না আক্তার ও নিরাপত্তাকর্মী পদে আল মামুন। পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে এই নিয়োগ দেওয়ার খবর জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়দের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারনে নিয়োগের ১৫ দিন পরে ওই ৩ জন মাদরাসায় যোগদান করতে পারেননি।

মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, টাকার বিনিময়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন অবৈধ নিয়োগ কেউ মেনে নেবেনা। প্রয়োজনে আন্দোলন ও আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও বৃহস্পতিবার মাদরাসার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

আয়া পদে চাকুরির জন্য আবেদনকারি পারভিন বেগমের স্বামী পলাশ শেখ বলেন, ‘আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আমার স্ত্রীকে চাকুরি দেয়নি। বেশী টাকা পেয়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় বোর্ড বসিয়ে তামান্নাকে চাকুরি দিয়েছে’।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ, কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ইয়াকুব আলী কাজী, সহকারি শিক্ষক আনন্দ মোহন, মাহবুব আলম, মো. আবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব খান, দাতা সদস্য পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, ইউপি সদস্য শাহিন হাওলাদার বলেন, এখানে কমিটি গঠন হয়েছে গোপনে। শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগও হয়েছে গোপনে। এসব মেনে নিয়ে আমরা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে দেবনা। এ নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে, কিছু ঝামেলা থাকার কারনে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো যোগদান করতে পারেনি। স্থানীয় কিছু লোক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ তুলছে। এসব ঠিক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, ‘আমি এখানে নতুন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বসানো আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার নিয়োগবোর্ড়ে আমি ছিলাম। পরে কিছু সমস্যার কথা শুনেছি। তাই আপাতত ওই নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। 


আরও খবর



রাজধানীতে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে ৯ লাখ ভবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো আল ইমরান:রাজধানী ঢাকায় নতুন ভবন করতে হলে এখন থেকে সাধারণ নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত নকশাও জমা দিতে হবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) আর ভূমিকম্প সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজউককে সহায়তার জন্য নতুন একটি সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে।

এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন সংস্থাটি হবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং এটি পরিচালিত হবে মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে।

একই সাথে রাজউক দুটি টাস্কফোর্স গঠন করবে ঢাকার ভবনগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য। মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ভবনগুলো পরিদর্শন করা হবে যার তত্ত্বাবধানে থাকবে ওই দুই টাস্কফোর্স।

রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও মন্ত্রণালয় বা রাজউক আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়ে কিছু জানায়নি।

মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভূমিকম্প বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী। তিনি ও বিডিটুডেসকে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নতুন সংস্থা গঠনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত আজ হলো। সংস্থাই ভূমিকম্প সংশ্লিষ্ট সব বিষয় অর্থাৎ অ্যাসেসমেন্ট, মাটি পরীক্ষাসহ যাবতীয় কাজে রাজউককে সহায়তা করবে। আর রাজউক জানিয়েছে যে তারা এখন থেকে ভবন নির্মাণের জন্য সাধারণ নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত নকশাও বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে,’ বলেন তিনি।

কাঠামোগত নকশা আসলে একটি ভবনের বিস্তারিত নকশা, যেখানে ফাউন্ডেশন, পিলার, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ ভেতরের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো কেমন হবে তার নকশাও থাকবে।

মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, এই নকশা থেকেই ধারণা পাওয়া যাবে যে নতুন ভবনটি ভূমিকম্প সহনীয় হবে কি-না।

ভূমিকম্প ঝুঁকি এবং ঢাকায় সম্প্রতি কয়েকটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক এক জরিপে বিপুল সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তথ্য উঠে আসার প্রেক্ষাপটে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

থার্ড পার্টি যাচাই করবে বিদ্যমান ভবন


ঢাকা শহরের ভবনগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা হবে যে এগুলো কতটা নিয়ম মেনে করা হয়েছে বা ভূমিকম্প বা আগুনের ঝুঁকি থেকে এগুলো কতটা নিরাপদ।

তবে এগুলো কিভাবে করা হবে তা নিয়ে খুব শিগগিরই একটি নীতিমালা তৈরি হবে বলে জানিয়েছে রাজউক।

যদিও সম্প্রতি নগর উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবনগুলো পরিদর্শন পর্যবেক্ষণ করা হবে মূলত থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে।

রাজউক বলেছে, নীতিমালা হওয়ার পর থার্ড পার্টি দিয়ে তারা কাজটি করবে। এটি হলে শহরের সব ভবন সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। তখনই আমরা বলতে পারবো যে শহরটি আসলে কতটা ঝুঁকির মধ্য আছে,’ বলছিলেন আনসারী।

উল্লেখ্য, রাজউকের হিসাবে এখন সংস্থাটির আওতায় থাকা এলাকায় প্রায় ২১ লাখ ভবন বা ধরনের স্থাপনা আছে।

সম্প্রতি প্রায় ৩০০০ ভবনের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে ৪২টি ভবনকে অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।

নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা বলেন, এসব ভবন ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিভাবে ভাঙ্গা হবে সেটি রাজউক ঠিক করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে দুমাস সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, সামনে রোজার পর বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

তবে তার আগে এসব ভবনের মালিকদের চিঠি দেয়া হবে। তারা ভবন খালি করে দেবে। এরপর ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হবে

ঝুঁকিতে লাখ ভবন


রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকার কাছে টাঙ্গাইল এলাকায় মাটির নিচে যে ফল্টলাইন আছে সেখানে সাত মাত্রার কাছাকাছি ভূমিকম্প হলে সাড়ে আট লাখেরও বেশি ভবন ধসে পড়বে।

সমীক্ষাটি গত চার বছর ধরে করা হয়েছে, যার রিপোর্ট সম্প্রতি কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে।

সমীক্ষার সাথেও জড়িত ছিলেন অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী। তিনি বলেন, এই সাড়ে আট বা নয় লাখের মধ্যে ছোটোখাটো ভবনও আছে।

আমরা সমীক্ষাটি করেছি আসলে নীতিনির্ধারকদের পরিস্থিতি এর গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। আজকের সভায় সেটি তাদের বলা হয়েছে। তারাও অনুধাবন করেছেন,’ বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

আনসারী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে অনেক একতলা বা দোতলা ভবন আছে।

তবে ৪২টি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগে থেকেই বলে আসছেন যে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের কাতারে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

তবে ঘনবসতির এই শহরটির ঝুঁকি কমাতে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও তার বেশিরভাগই আলোর মুখ দেখেনি।

আর্থ অবজারভেটরি সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং মিয়ানমার- এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান, যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

তবে সাধারণত প্রতিবারই কোনো ভূমিকম্প হওয়ার পরই ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যা ধামাচাপা পড়ে থাকে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানার আগ পর্যন্ত।

এর আগে ২০০৯ সালে সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিডিএমপি) জাইকার যৌথ জরিপে জানা গিয়েছিল যে ঢাকায় সাত বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হলে শহরের ৭২ হাজার ভবন ভেঙ্গে পড়বে এবং লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৈরি হবে সাত কোটি টন কনক্রিটের স্তূপ।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরাবরই বলে আসছে যে ঢাকা শহরের ৭৬ শতাংশ রাস্তা সরু হওয়ায় ভূমিকম্প হলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে যাবে।

এছাড়া ৬০ শতাংশ ভবন মূল নকশা পরিবর্তন করে গড়ে ওঠায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের সময় এই অপরিকল্পিত ভবনগুলো সাথে সাথে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সেইসাথে গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

তবে অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ভূমিকম্প বিষয়ক নতুন সংস্থাটি তৈরি হলে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া সহজ হবে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিরোধী ব্যবস্থা কিংবা প্রশিক্ষণ সবকিছুই ওই সংস্থাটি দেখভাল করবে। ফলে সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এটা আসলেই খুব জরুরি ছিল,’ বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

 


আরও খবর

মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩