Logo
শিরোনাম

দূষণের কারণে কমে যাচ্ছে পুরুষদের শুক্রাণুর মান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সারাবিশ্বেই পুরুষদের বীর্যে শুক্রাণুর মান কমে যাচ্ছে। কিন্তু দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার পেছনে এটি এমন একটি কারণ- যা নিয়ে আলোচনা হয় খুবই কম। তবে পুরুষদের এ সমস্যা ঠিক কেন হয়, তা এখন বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করতে শুরু করেছে।

জেনিফার হ্যানিংটনকে ডাক্তার বলেন, আপনার সমস্যাটা সমাধান করা যাবে। চিন্তা করবেন না, আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারব। এরপর জেনিফারের স্বামী কিয়ারানের দিকে ফিরে তিনি বলেন, আপনার জন্য আমরা খুব বেশি কিছু করতে পারবো না।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা এই দম্পতি দুবছরের বেশি সময় ধরে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন।

তারা জানতেন যে এটা কঠিন হবে। কারণ জেনিফারের পলিসিস্টিক ওভেরিয়ান সিনড্রোম নামে একটি সমস্যা আছে। যা তার উর্বরতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

কিন্তু তারা যার জন্য তৈরি ছিলেন না, তা হলো- কিয়ারানেরও একটি সমস্যা আছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিয়ারানের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম এবং যা আছে সেগুলোরও নড়াচড়া করার ক্ষমতা কম।

আরো খারাপ খবর হলো যে এর চিকিৎসা করা জেনিফারের সমস্যাটার চাইতেও কঠিন, হয়ত অসম্ভব।

জেনিফারের এখনো মনে আছে, এ কথা শোনার পর তার স্বামীর প্রতিক্রিয়ার কথা।

জেনিফার বলেন, সে স্তম্ভিত, শোকাহত হয়ে পড়ল। আমি কিছুতেই ব্যাপারটা মানতে পারছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল, ডাক্তারই ভুল করেছে।

মানসিক বিপর্যয়
কিয়ারান সবসময়ই চাইতেন সন্তানের বাবা হতে। তিনি বলেন,
আমার মনে হলো আমিই আমার স্ত্রীকে ডুবিয়েছি।

পরের কয়েক বছরে কিয়ারানের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে লাগল। তিনি একা একা অনেক বেশি সময় কাটাতে শুরু করলেন। তিনি বিছানায় শুয়ে থাকতেন। শান্তি খুঁজতে শুরু করলেন অ্যালকোহলের মধ্যে।

তারপর একসময় শুরু হলো প্যানিক অ্যাটাক হওয়া। যার লক্ষণ- হঠাৎ শরীর কাঁপতে থাকা, বুক ধড়ফড় করা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরানো।

কিয়ারান বলেন, সেটা ছিল এক গভীর সঙ্কটকাল, মনে হলো আমি যেন একটা অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি।

পুরুষের অনুর্বরতা নিয়ে কেউ কথা বলতে চান না
দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার যত ঘটনা ঘটে, তার প্রায় অর্ধেকই ঘটে পুরুষের অনুর্বরতার কারণে।

কিন্তু নারীদের অনুর্বরতা নিয়ে যত আলোচনা হয়, তার তুলনায় পুরুষদের অনুর্বরতা নিয়ে আলোচনা হয় খুবই কম। এর একটা কারণ হলো যে এ সমস্যাটিকে ঘিরে নানারকম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রশ্ন আছে, যেন এটা নিয়ে কথা বলাই নিষেধ।

যেসব পুরুষদের উর্বরতার সমস্যা আছে তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

তার ওপর যেহেতু পুরুষদের অনুর্বরতা নিয়ে সমাজে নেতিবাচক ধারণা আছে, তাই অনেককে এ জন্য এক নীরব মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে এ সমস্যা সম্ভবত বাড়ছে।

এতে দেখা যায়, দূষণসহ বিভিন্ন কারণ পুরুষের উর্বরতার ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় বীর্যে শুক্রাণুর মানের ওপর। স্বভাবতই ব্যক্তি স্তরে এবং পুরো সমাজের জন্যই এর পরিণাম অত্যন্ত ব্যাপক।

এক গোপন উর্বরতা সঙ্কট?
গত এক শতাব্দীতে সারা বিশ্বে জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। মাত্র ৭০ বছর আগেও পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ২৫০ কোটি। কিন্তু ২০২২ সালে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০০ কোটি।

তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন কমে আসছে, যার পেছনে প্রধান কারণগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক।

বিশ্বজুড়ে শিশু জন্মের হার রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। পৃথিবীর ৫০ ভাগ মানুষই এখন এমন দেশগুলোতে বাস করে, যেখানে উর্বরতার হার নারীপ্রতি দুটি শিশুরও নিচে। এর ফলে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যাই এক সময় কমে আসবে, যদি অভিবাসন না হয়।

জন্মহার কমার কিছু ইতিবাচক কারণ আছে। নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ এখন অনেক বেড়েছে।

নিম্ন উর্বরতার হারের কিছু দেশ আছে, যেগুলোতে অনেক দম্পতিই তাদের যতগুলো সন্তান আছে তার চেয়ে বেশি নিতে চায়, কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে পারে না।

এরই পাশাপাশি রয়েছে আরো অনেক কারণ। একজন ব্যক্তির সন্তান জন্মদানের শারীরিক সক্ষমতাকে বলা হয় ফিকান্ডিটি। এখন মনে করা হচ্ছে যে এই ফিকান্ডিটির হার বর্তমানে হয়ত কমে যাচ্ছে।

কিছু গবেষণায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে প্রজনন-সংক্রান্ত সমস্যার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, দেহে টেস্টোস্টেরন নামে হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া, পুরুষাঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়া এবং অণ্ডকোষের ক্যান্সার।

দূষণ ঘটাচ্ছে প্লাস্টিক ও অন্য রাসায়নিক পদার্থ
মানুষের ঘরের ভেতরে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেবেকা ব্ল্যানচার্ড।

এই প্রভাব বোঝার জন্য তিনি কাজে লাগাচ্ছেন গৃহপালিত কুকুরকে। গৃহপালিত প্রাণি হিসেবে সেই কুকুর একই বাড়িতে থাকছে এবং একই দূষণকারী রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসছে।

রেবেকা গবেষণা করছেন প্লাস্টিক, আগুনরোধী রাসায়নিক ও ঘরের অন্য নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে। এসব রাসায়নিক পদার্থের কিছু কিছু নিষিদ্ধ, কিন্তু পরিবেশে ও পুরোনো জিনিসপত্রের মধ্যে তার অবশেষ রয়ে গেছে।

তার গবেষণায় দেখা গেছে, এসব রাসায়নিক পদার্থ আমাদের হরমোন সিস্টেমকে বিঘ্নিত করতে পারে এবং মানুষ ও কুকুর উভয়ের ক্ষেত্রেই উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, আমরা মানুষ ও কুকুর উভয়েরই শুক্রাণুর নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। তাছাড়া তার ডিএনএ ভেঙে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে দেখেছি।

ডিএনএ ভেঙে যাওয়া বলতে তিনি বোঝাচ্ছেন, যেসব জিনগত-সামগ্রী দিয়ে শুক্রাণু তৈরি, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা ভেঙে যাওয়া। এর ফলে গর্ভধারণের পরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, ডিএনএ ভেঙে যাওয়ার পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে মিসক্যারেজ বা ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তার এ তথ্যের সাথে অন্য গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের মিল রয়েছে। ওই গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে যে প্লাস্টিক, বিভিন্ন সাধারণ ওষুধ, খাদ্য ও বাতাসে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থ উর্বরতার ক্ষতি ঘটাতে পারে।

এগুলো শুধু পুরুষ নয়, নারী ও শিশুদের দেহেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

কার্বন ও কখনোই নষ্ট হয় না এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থের অস্তিত্ব গর্ভস্থ শিশুর দেহেও পাওয়া গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পুরুষের উর্বরতা
জলবায়ু পরিবর্তনও পুরুষের উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বেশ কিছু প্রাণির ওপর চালানো জরিপে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিশেষ করে শুক্রাণুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

দেখা গিয়েছে যে তাপপ্রবাহ কীটপতঙ্গ ও মানুষের শুক্রাণুর ক্ষতি করে।

২০২২ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গরম পরিবেশে বা উচ্চ তাপমাত্রায় কাজ করলে শুক্রাণুর মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

নিম্নমানের খাদ্য, মানসিক চাপ ও অ্যালকোহল
পরিবেশগত বিভিন্ন কারণের পাশপাশি ব্যক্তিগত নানা সমস্যাও পুরুষদের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে। এর মদ্যে রয়েছে নিম্নমানের খাদ্য, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হয় এমন জীবনযাপন, মানসিক চাপ, অ্যালকোহল পান ও মাদকসেবন। বর্তমানে অনেক দম্পতিই অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সে সন্তানের মা-বাবা হচ্ছে।

তবে নারীদেরকে তাদের জীবনের সবচেয়ে উর্বর সময়কাল বা বায়োলজিকাল ক্লকের কথা যতটা মনে করিয়ে দেয়া হয়, তার বিপরীতে পুরুষদের উর্বরতার ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যাপার নয়- এমনটাই আগে মনে করা হতো। কিন্তু সেই ধারণার এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

বেশি বয়সে মা-বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা ও উর্বরতা কমে যাওয়ার সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে।

এখন বলা হচ্ছে যে পুরুষদের অনুর্বরতাকে আরো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং এ সমস্যা নিরুপণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী দরকার। একই সাথে দূষণ রোধের জরুরি প্রয়োজনের ব্যাপারে সচেতন হতেও বলা হচ্ছে।

রেবেকা ব্ল্যানচার্ড বলছেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও ব্যায়াম দিয়ে শুরু করাটা ভালো, কারণ এর সাথে শুক্রাণুর মান উন্নত হওয়ার সম্পর্ক দেখা গেছে।

তিনি আরো বলছেন, অরগ্যানিক খাবার খাওয়া ও বাইফেনল-এ বা বিপিএ-বিহীন প্লাস্টিক ব্যবহার করার কথা। এই বিপিএর সাথে নারী ও পুরুষ উভয়েরই অনুর্বরতার সম্পর্ক রয়েছে।

হ্যানিংটন দম্পতি শেষ পর্যন্ত ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে দুটি সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন।

কিয়ারান হ্যানিংটন বলেন, আমি প্রতিদিনই আমার সন্তান দুটির জন্য কৃতজ্ঞতা বোধ করি। অতীত দিনগুলোর কথা আমি ভুলিনি।

সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩




জাবি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই এর নবীনবরণ ও বিদায় সম্বর্ধনা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

 মাহবুবুল আলম রিপন ( স্টাফ রিপোর্টার):

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীনবরণ এবং ৪৫ ব্যাচের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর)বিকাল ৪টা জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অফ ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীন বরন ও প্রবীন ছাত্র ছাত্রীদের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বর্তমান এসোসিয়েশনের সভাপতি সাল সেবিল জেরিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় সাংসদ ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম,গন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবুল হোসেন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান কানন, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম ব্যাচ ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।

এছাড়াও এ’অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পপ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র মোহাম্মদ সেফাতুল্লা,প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক আবু সিদ্দিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিপি এম এ জলিল প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালাইমনা এসোসিয়েশনের আহবায়ক ও সদস্য সচিব যথাক্রমে মোঃ শাহাবদ্দিন ও ইউসুফ আলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আশীষ কুমার মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমূখ।

এছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তন ও নবীন ছাত্র ছাত্রীসহ স্হানীয় ধামরাইয়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ’সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



লিবিয়ায় বন্যায় সাগরে ভেসে গেছে হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দারনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। সেই বাঁধের পানির কারণেই সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাঁধের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যা হাজার হাজার মানুষকে সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেই বন্যাটিকে অনেকে সুনামির মতো আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানিতে যেসব মানুষ ভেসে গেছেন তাদের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দারনা শহরের অ্যাম্বুলেন্স সোসাইটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ শহরটিতেই ২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখনো ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার স্বঘোষিত পূর্বাঞ্চলের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত দারনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ।

ওই পুরো দারনা শহরই বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দারনার এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মর্গগুলোও মৃতদেহে ভরে গেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভয়াবহ বিপদে যারা পড়েছেন তাদের যে উদ্ধার করা হবে সেই পরিস্থিতিও এখন লিবিয়ায় নেই। কারণ ২০১১ সালে সাবেক শাসক কর্নেল মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়ে দেশটি। আর তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র যুদ্ধই চলেছে। ফলে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে— বিপর্যয় পরবর্তী বিষয়াবলী যে সামাল দেওয়া হবে এমন কোনো বাহিনী বা অবকাঠামোই তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে যায় লিবিয়া। এর ফলে বর্তমানে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল আলাদা আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসছে। আর বিভক্তির কারণে কেন্দ্রীয় ও সমন্বিত কোনো উদ্ধার অভিযানও সম্ভব হচ্ছে না।

সুনামি সদৃশ বন্যা সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি যা দেখেছি তা দেখে মারাত্মকভাবে চমকে গিয়েছি। এটি সুনামির মতো ছিল।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, দারনার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পুরো শহরটিকে বাধের পানি সমুদ্রে নিয়ে চলে যায়।

এই ভয়াবহ সুনামির মতো বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকে উঁচু বাড়ির আশ্রয় নেন। কিন্তু যাদের কপাল ভালো ছিল না, তারা ভেসে চলে যান সমুদ্রে। আর সেখানেই তাদের সলিল সমাধি ঘটে।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, ..খায়রুজ্জামান লিটন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের কল্যান হয়। আর বিএনপি থাকলে লুন্ঠন করে, নির্যাতন করে।

তিনি শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫ নং রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত সহ একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা বলে, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মারা গেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে দিয়েছে, দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নাই। শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বিএনপির আমলে সারের দাবিতে, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াত-বিএনপি,জেএমবির অত্যাচার-নির্যাতন আপনারা নিশ্চয় ভুলে জাননি।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ইতিহাসে ১ম বারের মতো পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে ট্রেন গেছে। সম্প্রতি এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য সব সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

রাসিক মেয়র লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকবে৷ শেখ হাসিনাই আবার ক্ষমতায় আসবেন ইনশাআল্লাহ।

এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো আছে। আমরা দুষ্টু লোকের মিষ্ট কথায় ভুলতে চাই না। আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা মাথা উচু করে বাঁচতে চাই।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে, সড়ক হয়েছে, স্কুল-কলেজ হয়েছে, মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে। গ্রাম পর্যায়েও উন্নয়ন পৌছে গেছে। আজ আমাদের গ্রামের মা-বোনেরা ভালো জামাকাপড় পড়েন, অনেকে গ্যাসের চুলায় রান্না করেন।।

তিনি আরো বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মারা গেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনা আছেন, থাকবেন। আগামী নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিবেন।

রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ প্রতাপ চন্দ্র মুন্ডার সভাপতিত্বে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নিয়ামতপুর উপজেলা  আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান বিপ্লব, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হাসান মিলন, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সহ-সভাপতি সরকার কামাল উদ্দিন, আবেদ আলী দেওয়ান, মোঃ নুরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন শাহ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোত্তালিব হোসেন বাবর। সমাবেশ টি সঞ্চালনা করেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌহিদুর রহমান।


আরও খবর



মূর্খদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশের কোনো অগ্রগতি হয় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অল্প সময় পেয়েছিলাম, তখন বাংলাদেশের অনেক উন্নতি করেছি। ওই সময় খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। বলেছিল, ছাত্রদলই নাকি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট। আর সেখানে আমি ছাত্রলীগের হাতে দিয়েছিলাম খাতা এবং কলম। বলেছিলাম, পড়াশোনা করতে হবে। লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ না হলে, কোনো আদর্শ বাস্তবায়ন করা যায় না। আর অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ পড়লে, সেই দেশের কোনোদিন অগ্রযাত্রা হতে পারে না।

শুক্রবার (১সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশকে কী দিয়েছে? যে জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করে, বিজয়ী জাতি, সেই বিজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল, জয় বাংলা স্লোগান, যে স্লোগান দিয়েছে লাখো মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, সেই স্লোগান নিষিদ্ধ, বাংলাদেশের নাম, রেডিওর নাম, বিভিন্ন নাম পরিবর্তন করে। যাদের আমরা পরাজিত করেছিলাম, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল সেই খুনি মোশতাক, জিয়া। আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকেই ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা।

তিনি আরও বলেন, আজকে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা নাকি মানবাধিকারের কথা বলে। ১৫ আগস্ট যখন আমার মা বাবা ভাই সব হারালাম, আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না? আমারও তো বিচার চাইতে পারিনি। ৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক বাধা অতিক্রম করে ফিরে এসেছিলাম। এক রকম জোর করেই দেশে এসেছিলাম।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করব। যেই চেতনা নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সারা জীবন কষ্ট সহ্য করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করব। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশে ফিরেছিলাম। তারপর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্রসমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।
শুক্রবার (১সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশকে কী দিয়েছে? যে জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করে, বিজয়ী জাতি, সেই বিজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল, জয় বাংলা স্লোগান, যে স্লোগান দিয়েছে লাখো মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, সেই স্লোগান নিষিদ্ধ, বাংলাদেশের নাম, রেডিওর নাম, বিভিন্ন নাম পরিবর্তন করে। যাদের আমরা পরাজিত করেছিলাম, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল সেই খুনি মোশতাক, জিয়া। আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকেই ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা।

তিনি আরও বলেন, আজকে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা নাকি মানবাধিকারের কথা বলে। ১৫ আগস্ট যখন আমার মা বাবা ভাই সব হারালাম, আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না? আমারও তো বিচার চাইতে পারিনি। ৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক বাধা অতিক্রম করে ফিরে এসেছিলাম। এক রকম জোর করেই দেশে এসেছিলাম।


সরকারপ্রধান বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করব। যেই চেতনা নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সারা জীবন কষ্ট সহ্য করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করব। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশে ফিরেছিলাম। তারপর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্রসমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে আবুল হোসেন (৫২) নামে এক শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আত্রাই এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচপুর মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। আবুল হোসেন আত্রাই উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জগদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক আবুল হোসেন স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাঁচুপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার পথ রোধ করে মারপিট করে দু' পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আনিসুর রহমান বলেন, আজ বিকেলে স্কুল ছুটির পর ঐ শিক্ষক বাসায় যাওয়ার পথে তার উপর দূর্বৃত্তরা হামলা চালায় বলে শুনেছি। তিনি এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ কেউ করেনি।


আরও খবর