Logo
শিরোনাম

দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক:

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল ৪টার দিকে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।

সকাল ৮টা থেকে দেশের ১৫৬ উপজেলার ১৩ হাজার ১৬টি ভোটকেন্দ্রে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে ২৪টিতে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়।

তবে তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন কারণে পাঁচটি উপজেলার ভোট স্থগিত রয়েছে।
সকাল থেকে কেন্দ্রে আসতে থাকেন ভোটাররা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বাড়ে। পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তারা।

সকাল ৮টায় দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরমধ্যে ২৪ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়। বাকি ১৩২ উপজেলায় ভোট নেয়া হয় ব্যালট পেপারে।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে তিনপদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্য চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সেই সঙ্গে তিন পদে ২২ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

দুই উপজেলায় তিনপদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন।

এবার দেশের ৪৯৬ উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা নির্বাচনে চার ধাপে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় তফসিল দিলেও নানা জটিলতায় গত ৮ মে ভোট হয় ১৩৯টিতে।

প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২৮ জন প্রার্থী (চেয়ারম্যান আট জন, সাধারণ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন করে)। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দুই বন্ধুর মৃত্যু,, আহত দুইজন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ড্রাম ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে 

মাহিন আহমেদ সাগর (২৭) ও আলভী রাব্বানী জিহান (৩২) নামের দু'জন বন্ধু'র মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

এদূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু'জন। সোমবার ৯ ডিসেম্বর বিকেলে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা উপজেলার শাহারপুকুর নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। 

নিহত মাহিন আহমেদ সাগর নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চৌধুরী পাড়া গ্রামের আঃ জব্বারের ছেলে ও নিহত আলভী রাব্বানী জিহান একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ অভিমুখি একটি প্রাইভেটকার ও একটি যাত্রীবাহী বাসকে রাজশাহীগামী একটি ড্রাম ট্রাক ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচরে যায় এবং বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনা স্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা দু'জনের মৃত্যু হয় এবং দু'জন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দু' জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রিতে, আরও কমবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল হাওয়ায় শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছেন মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল ১০টার পর কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও বিকেল চারটার পর আবার হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছেন। শীতের কারণে কাজে যেতে না পারায় অনেকের সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশা চালক কুরবান আলীর সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সারাদিন যতক্ষণ গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।

এদিকে শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।


আরও খবর



রোজায় বাজার সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রমজানকে সামনে রেখে বাজার ব্যবস্থা সহনশীল রাখতে সরকার চেষ্টায় থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, চাহিদা এবং জোগানের বিষয়কে যেন একটা সমানুপাতিক হারে রাখতে পারি। এ জন্য সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি। ইতোমধ্যে দেশে চিনি, তেল ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রয়াত সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষাভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

স্বৈরশাসক হাসিনার সরকারের সমালোচনা করে শেখ বশির বলেন, দেশে বিগত ১৫ বছরে একটি ক্রিমিনালাইজেশন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। রাষ্ট্রের মধ্যে আমাদের সমাজ অসম্ভবভাবে বিভিক্ত ছিল। ভীতসন্ত্রস্ত ছিল।

তিনি বলেন, আজকে ক্রিমিনালাইজেশন ইজ এভরি সেক্টর, ব্যবসা-ব্যাকিং হোক, সাংবাদিকতা হোক-আমাদের জাতীয় মসজিদের খতিব পালিয়ে গেছে। এমন একটা অবস্থা থেকে ছাত্রজনতার আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংগঠিত হয়েছে। উদ্দেশ্যটা হচ্ছে কীভাবে একটা মর্যাদাপূর্ণ সমাজে আমরা রূপান্তরিত করতে পারি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




বকশীগঞ্জে চা বিক্রেতাকে নাশকতা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই লাখ টাকা চাদাঁ না দেওয়ায় সেলিম মিয়া (৪৫) নামে এক চা বিক্রেতাকে নাশকতা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবুল কাসেম বিলেরপাড় গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।  বুধবার বিকালে বিলেরপাড় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী চা বিক্রেতা সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগম। সেলিম মিয়া একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আবুল কাসেম।  

সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন,সাধুরপাড়ার গাজীরপাড়া বাজারে তাদের ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে। স্বামী সেলিম মিয়ার সাথে চা দোকান করে সংসার চালান তারা। দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী আসাদুল্লাহ গংদের সাথে বসতভিটার আড়াই শতক জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। গত দুই সপ্তাহ আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তির কথা বলে সেলিম মিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম। কাসেম বলেন প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হচ্ছে। সাধুরপাড়া ইউনিয়নেও মামলা হবে। টাকা না দিলে মামলায় আসামী হবে সেলিম এবং জমির দ্বন্ধ কোনদিন নিরসন হবে না। আবুল কাসেম এর কথামত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সেলিম মিয়া। টাকা না দেওয়ায় সেলিমের উপর ক্ষিপ্ত হন বিএনপি নেতা আবুল কাসেম। গত ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক দুইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সেলিম মিয়াকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। স্ত্রীর অভিযোগ পুলিশের সাথে আবুল কাসেমও ছিল। পরেরদিন সকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহা আলমের দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় অজ্ঞাতানামা আসামী হিসেবে সেলিম মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার দাবি সেলিম মিয়া কোন রাজনীতি করে না। চায়ের দোকান করে সংসার চালায়।  টাকা না দেওয়ার কারনেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামানের মিল্লাতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সেলিম মিয়ার ভাই মজিবুর রহমান,মেয়ে সোনিয়া আক্তার,সুমাইয়া আক্তার সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন,সেলিম মিয়া ও তার পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সে। কিন্তু  সেলিম মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমি কথাই বলিনা,তাহলে চাদাঁ চাইবো কিভাবে। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই একটি পক্ষের ইন্দনে সেলিম মিয়ার পরিবার আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর



স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):

এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে। 😜😂


২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):

এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত। 🙄🙄


৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

🙀🙀

৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):

এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।

😼😼

৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।🙏🙏🙏


৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):

এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে।🙄🙄🙄😭


৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):

এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না। 😜😜😜


৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):

এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে। 🙄🙄🙄


৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):

এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।🤭🤭🤭


১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়।

🙄🙄🙄

১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband): 

এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী।🙀🙀🙀


১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):

এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪