Logo
শিরোনাম

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :ঈদ মানেই নতুন পোশাক। ধনী-গরিব সবাই চায়, সাধ ও সাধ্য মতো নতুন পোশাক কিনে ঈদের আনন্দে সারাদিন মেতে থাকে। কিন্তু এবার সেই আনন্দও মাটি হয়ে যেতে পারে অনেকের। কারণ, নিত্যপণ্যের বাজারের আঁচ লেগেছে রাজধানীর পাইকারি মার্কেট ও শপিংমলগুলোয়। ঈদ সামনে রেখে ক্রেতাদের পকেট কাটার অভিযোগ উঠছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাত তুলে রোজার শুরু থেকেই পোশাকের বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন তারা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনাকাল ও সরকারের বিধিনিষেধের কারণে ৩ বছরের (২০২০, ২০২১ ও ২০২২) ঈদে আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি। এর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে ব্যবসায় দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। তাই এবারের ঈদে ৩ বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে, না হলে আগামীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই ঈদে পোশাকের শতকরা ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ দাম বাড়িয়েছেন তারা।

রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, মৌচাক-মালিবাগ এবং নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের চাহিদা মূলত গজ কাপড়, থ্রিপিস ও পাঞ্জাবিতে। এই তিনটির পাশাপাশি শাড়ি ও লেহেঙ্গা, গাউনসহ অন্যান্য পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলোও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সারিসারিভাবে সাজিয়ে রেখেছে দেশি-বিদেশি পণ্যগুলো। ক্রেতা দেখলেই হাঁকডাক দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নানান কথা ও অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্টের চেষ্টা করছেন তারা। তবে ক্রেতার পোশাক পছন্দ হলেই ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন। হাজার টাকার কাপড়ে ন্যূনতম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা মুনাফা করছেন। অর্থাৎ ক্রেতারা ২০২২ সালে যে পোশাক ১ হাজার টাকায় কিনেছেন। এবছর সেটা ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যারা দর-দাম কম করছেন না, তাদের আরো বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের এক কথা করোনার কারণে ৩ বছর ব্যবসা করতে পারিনি। পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা ধরে রেখেছি, এবারের ঈদে পোষাতে হবে। অর্থাৎ তিন বছরের লাভ এবার করতে হবে।

মার্কেটে আসা ক্রেতারা বলছেন, ঈদে পোশাকে শতকরা ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে একদিকে ডলারের দাম বেড়েছে। এতে করে গত বছরের তুলনায় ডলার প্রতি ২০-২৫ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এছাড়া দোকান ও কর্মচারী ভাড়াসহ খরচের পর মুনাফা আসবে। সব কিছু হিসাব করে এবার বেশি দামে পোশাক বিক্রি করতে হচ্ছে। ভারত-চীন থেকে শাট ও টি-শার্ট আমদানি করে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ শপিং সেন্টারে বিক্রেতা শিমুল আহমেদ বলেন, গত বছর ভালো ব্যবসা হয়েছে। এবছরও শবেবরাতের পর থেকে বিক্রি হচ্ছে টুক-টাক। আশা করছি- আগামী সপ্তাহ থেকে বিক্রি বাড়বে।

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, প্রত্যেক ঈদেই ঘরে পড়া ও সাধারণ পার্টিতে ঘুরে বেড়ানো পোশাকই বেশি বিক্রি হয়। আমরা সেই চিন্তা করেই পোশাক উৎপাদন করেছি। ভারত, পাকিস্তান এবং কাশ্মীর থেকে আমদানি করেছি। তবে এবার এসব পোশাকের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। গত বছর ১ হাজার টাকায় যে থ্রিপিস বিক্রি করেছি। এবছর সেই থ্রিপিস বিক্রি করছি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। আমাদের কোন উপায় নেই, কারণ ডলারের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। উৎপাদন খরচও বেড়েছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়েছে। এ কারণে ঈদেও পোশাকের দাম বেড়েছে। এবার ঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারলে আশা করছি করোনা ও সরকারের বিধিনিষেধের কারণে গত ৩ বছর যে লোকসান হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।

 


আরও খবর



বিসিবি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

নানা কারণে আলোচিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যেমন— দলে নিজের কর্তৃত্ব, সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝামেলা।

ড্রেসিংরুমে কড়া হেডমাস্টার হাথুরুসিংহের সঙ্গে জটিলতায় জড়িয়েছিলেন অনেকেই। তবে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ ওঠে ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপে। ভারতে ব্যর্থতায় ভরা বিশ্বকাপেই উঠেছিল শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ।

২০২৩-এর শেষ সময়ে এসে আলোচনার তুঙ্গে ছিল নাসুম আহমেদ ইস্যু। টুর্নামেন্ট চলাকালীন টাইগার এই ক্রিকেটারকে শারিরীক হেনস্থার অভিযোগ উঠে খোদ হেড কোচের বিরুদ্ধে। বলা হয়, মেজাজ হারিয়ে ড্রেসিংরুমেই এই ক্রিকেটারকে চড় দিয়েছিলেন টাইগার হেডকোচ।

গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন লঙ্কান এই কোচ। যদিও পরে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। লঙ্কান এই কোচ ছাঁটাই হন ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিসিবির দায়িত্বে আসা ফারুক আহমেদের বোর্ডে। সেসময় বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ‘একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে আপনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারেন না। সে কারণে যে শাস্তি পেতে হয়, সেটাই হচ্ছে (ছাঁটাই)। এটা আরো আগে হওয়া উচিত ছিল। এখন হয়েছে, আমি খুশি।’

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কোড স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানান, এমন কিছুই হয়নি সেই বিশ্বকাপে। ব্যাটারদের গ্লাভস নিয়ে যেতে নাসুমের পিঠে আলতো হাতে ইশারা করার কথা প্রকাশ্যে এলেও অভিযোগগুলো পুরোপুরি উড়িয়ে দেন লঙ্কান এই কোচ। তাতে সায় দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ নিক পোথাস।

হাথুরুসিংহের ভাষ্য, আমি কখনোই কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঝগড়া করিনি। নিজের আবেগ কখনো খেলোয়াড়দের সামনে প্রকাশ করিনি। হতাশা থেকে হয়তো আমি ডাস্টবিন ছুঁড়ে ফেলেছি– যেকোনো কোচের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে। কিন্তু যা হয়েছে, তার থেকে এটা একেবারেই আলাদা। এটা আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের প্রতি অভিযোগও করেছেন হাথুরুসিংহে, জানি না অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আমি কত সুযোগ মিস করেছি। তারা শুধু আমার চুক্তি বাতিল করার চেষ্টা করেছে। এটা নতুন সভাপতির (ফারুক আহমেদ) পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত ছিল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নিজের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগও করেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বলেন, ক্রিকেট আমার সবকিছু। কারণ এটাই আমার ক্যারিয়ার। তারা আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে উল্টো অভিযোগ এনে আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সরকার সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ২০১৭ সালের জাতীয় পরিবেশ কমিটির একটি সিদ্ধান্ত এবং ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপণের পর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়াও, সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের পর সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো যৌথভাবে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে পারবে। শব্দদূষণ রোধে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সব মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হবে।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হবে। বন অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু ও বাড়ানোর প্রস্তাবও পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন নির্মাণে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে মে মাসে সচিব পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীরপ্রতীক) এবং কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান; স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম-সহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গত সভার সিদ্ধান্ত ও সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ফাহমিদা খানম।


আরও খবর



ডোপ টেস্ট দিয়ে শাবিপ্রবিতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

২০১৯-২০ সেশন থেকে ষষ্ঠবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে এ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ জানা থাকে না। সেজন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সঞ্চালন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পরীক্ষা করছে। এরপর ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। এ টেস্টে কোন শিক্ষার্থী পজিটিভ হলে তাকে কাউন্সেলিং করা হবে।

এবার ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস পদ্ধতিতে। ভর্তি কার্যক্রমে সাতটি ধাপের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ফি প্রদান, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই এবং হল সংযুক্তিসহ আবাসন আবেদন রয়েছে।

এদিকে প্রথমদিন ইউনিটে (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম। এদিন ৫০১ থেকে ৯৫৫তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। একই দিনে স্থাপত্য বিভাগে ১ থেকে ৩০তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে।

ভর্তির তারিখ ও ফি পরিবর্তন

১৭ এপ্রিল বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে পরিবর্তন করে ২২ এপ্রিল পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এবার কোটাসহ ২৮টি বিভাগে এবার মোট আসন এক হাজার ৬৭১টি।

অন্যদিকে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক জরুরী একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি ফি পুনর্বিবেচনা করে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১৭ হাজার টাকা। ২০২৩-২৪ সেশন ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার টাকা। ফলে এবার ভর্তি ফি কমেছে ৩ হাজার ১০০টাকা।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ব্যাস্ত সময় পার করছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার বোরো চাষীরা। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে কৃষাণ ক্রয়, শ্রমিক সংকট , বৈরী আবহাওয়া তার উপর কারেন্ট পোকার উপদ্রব সব মিলিয়ে চাষীদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ। সরেজমিন উপজেলার তালখড়ি, শতখালী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কাটছে, কেউ দিচ্ছে ধানের সারি, কেউ আবার গরু, মহিষ, ঘোড়াগাড়ি যোগে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কেউ কেউ আবার নিকটবর্তী জমি থেকে মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। অনেকে আবার ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজে অংশ নিচ্ছেন মহিলারাও। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। রোদের তাপ বেশি থাকায় কাজের জন্য সকাল ও বিকালকেই বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ চাষী।

আড়পাড়া ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি, ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে কৃষাণের (ধান কাটার শ্রমিক) যে মূল্য তাতে করে এক মণ ধানে মিলছে একজন কৃষাণ। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ ধান শ্রমিকদের পাছে ব্যয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক রবি বিশ্বাস বলেন, এ বছর বোরো ধানের মৌসুমে ১২ একর জমিতে ধান রোপন করেছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে দায়-দেনা পরিশোধ করে সোনা-মণিদের ভোরণ পোষণের পাশাপাশি নিজের আর্থিক যোগান দিতে সক্ষম হব অন্যথায় বিপদের শেষ হবে না।

তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসাইন বলেন, গত বছর যে জন (কৃষাণ) কিনেছি ৬-৭শ টাকা দিয়ে এবছর তা ১১-১২শ টাকা তার উপর জমিতে কারেন্ট পোকা লাগদিছে ফলে ধান ভালো হলেও চিন্তায় আছি দাম নিয়ে । ধানের দাম যদি ভালো হয় তাহলে তো বেঁচে গেলাম না হলে সমস্যায় পড়ে যাব। এছাড়াও কৃষক এনামুল বিশ্বাস,নজরুল মোল্যা, হরিদাস, গোপাল সহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, ফসল ভালো হলেও শঙ্কা কাজ করছে বৈশাখীর ঝড় নিয়ে পাশাপাশি শ্রমিক সংকট এবং কিষাণের মূল্য যেন তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। তবে শ্রমবাজারের শ্রমিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলে একদিকে শ্রমিক এবং অপরদিকে ধান চাষিরাও একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে উভয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ হে. বেশি। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে যেখানে গড় ফলন হেক্টরে ৪.২টন (চাউলে) এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কর্তন সম্ভব হবে বলে জানা গেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে। এতে করে শ্রমিক সংকটও কেটে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।


আরও খবর



মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া সিডিএস অনিল চৌহানও সেখানে উপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিল্লির বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের এ নিরাপত্তা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধান—সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠী এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং।

বৈঠকে আরও উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী, গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর তপন ডেকা এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর প্রধান রবি সিনহা।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন মাত্র দু’দিন আগে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

চার দিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলার পর গত শনিবার দুই দেশ তাৎক্ষণিকভাবে সব সামরিক তৎপরতা বন্ধে সম্মত হয়। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে জানান, এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমনের পরবর্তী ধাপ ঠিক করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারত যে ৩২টি বিমানবন্দর বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল, সেগুলো আবার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর