Logo
শিরোনাম

ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত তাঁত পল্লি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি গুলো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরা। গত বছরের তুলনায় এবছর চাহিদা অনেক বেশি বলে জানান তাঁত মালিকেরা ।

তাঁত সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত ৫ লাখ তাঁত রয়েছে । তাছাড়াও উল্লেখিত এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার তাঁত কারখানা রয়েছে । এতে প্রায় ২৩-২৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, গামছা, থ্রিপিস তৈরি করছে । তবে, ৯০ শতাংশ তাঁতে মূলত তৈরি হয় শাড়ি ও লুঙ্গি । আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সব কারখানায় দিন- রাত ব্যস্ততা বেড়েছে। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানী, কাতান, সিল্ক, বেনারশি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত কাপড় সমূহের কদর রয়েছে দেশ জুড়ে।

জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে অন্তত ৫ লাখ মানুষ। বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার তাঁত পন্য উৎপাদিত হয় প্রায় ৭০ কোটি মিটার কাপড়। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষণা করা হয় তাঁতশিল্পকে। নাম দেয়া হয় তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত থাকতো সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো। কালের আবর্তে এবং আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে তাঁত কারখানাগুলোতে। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি কারখানায় যন্ত্র চালিত পাওয়ার লুম দিয়ে শাড়ী, লুঙ্গি আর গামছা তৈরি করা হয়। তাঁত শ্রমিক হামিদ, শহিদুল, আলামিন, মিতু বেগম, জাহানারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এখন এখানকার তাঁত মালিকরা পুরোদমে কারখানা চালু করেছে । ফলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে । এখন প্রতিদিনই কাজ হচ্ছে । এখন তাঁত চালু হওয়ায় আমাদের অভাব অনেকটাই দুর হয়েছে।

তাঁত শ্রমিক শফিকুল জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। ফলে সাপ্তাহে ৫ হাজার টাকার বেশি মজুরি পাই। এতে পরিবারের সবার চাহিদা মিটিয়ে সকলকে নিয়ে এবার সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারব।

কাপড় ব্যবসায়ী শহীদ সরকার জানান, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের এনায়েতপুর ও সোহাগপুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতারা এখান থেকে কাপড় পাইকারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন।

বেলকুচি উপজেলার শফিকুল ইসলাম শফি, খুকনীর ফিরোজ উইভিং ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ হাসান অনিক আলামিন, আব্দুল আজিজ বাবু সহ একাধিক তাঁত মালিক বলেন, বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন তাঁত মালিকরা।

খামার গ্রামের সফল জাতীয় কারুশিল্পী পদকপ্রাপ্ত তাঁতি আফজাল হোসেন লাভলু বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ভারতে শতকোটি টাকার সুতি শাড়ি ইতিমধ্যেই রপ্তানি হয়েছে। আমিও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি রপ্তানি করেছি।

বেলকুচি পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ এম.এ বাকী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে তাঁত বস্ত্রের মোট উৎপাদনে ৭০-৭৫ ভাগ সিরাজগঞ্জ জেলাতে উৎপাদিত হয়। যার মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। মালিকেরা সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত কাপড়ের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা, তাঁত মালিকদের নানা সমস্যা দূরিকরণে সরকারি সহয়োগিতা একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়াও সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প রক্ষায় বাইরের দেশ থেকে অবৈধভাবে শাড়ি আসা বন্ধ এবং রং-সুতা সহজলভ্য করতে না পারলে এই তাঁত শিল্প উন্নয়নে হোচট খাবার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো অফিসার ইমরানুল হক বলেন, কোন কুচক্রি মহল যেন সুতা ও রংগের দাম বাড়াতে না পাড়ে সেজন্য সরকারি হত্যক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র তাঁতশিল্প রক্ষায় ৫% হারে ঋণসহ বাহারি ডিজাউনের শাড়ী তৈরীর জন্য তাঁতীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি আলহাজ আব্দুস ছামাদ খান জানান, ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জসহ দেশের তাঁতশিল্পে শ্রমিক ও মালিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত শাড়ির সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। তবে এই শিল্পের প্রসার ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সমিতির পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরও খবর



কুয়েটের ভিসির পদত্যাগের এক দফা ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

১৫ এপ্রিল দুপুরে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। এদিকে আজ কুয়েটের দাপ্তরিক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঘোষণাপত্রটি পাঠ করে বলেন, কুয়েট ভিসি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে, আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি। এই ভিসিকে অপসারণ এখন আমাদের একমাত্র দাবি।

একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এর পরপরই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কুয়েটের ছেলেদের ছয়টি হলের তালা ভেঙে ফেলেন।

তালা ভাঙার বিষয়ে কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি সিন্ডিকেটে বিষয়টা উপস্থাপন করব। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটই নেবে।

হলের তালা ভাঙ্গার আগে ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে বেলা একটার দিকে সমাবেশ করে মেক কুয়েট, ফ্রি এগেইন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেয়ার দাবি জানান। হল খুলে দেওয়ার দাবিসংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এখনই প্রশাসনের কাছে বহিষ্কার হওয়া ৩৭ শিক্ষার্থীর সবার নাম প্রকাশ করার দাবি জানান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হন। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবি করলে বিচারের নামে নাটক করে দুই মাস পর কুয়েটের ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়।

এরপর সোমবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তেও বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরও বহিষ্কার করার নির্দেশ দেয়া হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। তিন দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।

এর আগে সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আগামী ২ মে থেকে সব আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া ও ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়; এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। রাতে খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে লাল কার্ড দেখান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা খুলনা থেকে ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। এতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।

২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি গত রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নগরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা করেন।

 


আরও খবর

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




সীমিত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মাভাবিপ্রবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলা শুভ নববর্ষ ১লা বৈশাখ-১৪৩২ পালন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ-এর নেতৃত্বে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় সকল অনুষদের ডিনবৃন্দ, গ্রন্থাগারিক, শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান এবং অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে মাভাবিপ্রবি সাহিত্য সংসদের নববর্ষ বই মেলা, রোটারেক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানীর খেলাধুলা ও খাবারের দোকান, ধ্রুবতারার আয়োজনে পান্তা-ইলিশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি ও মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন সীমিত সাধারণ শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা।


আরও খবর



দর্শক সিনেমা হলে যাবে এটাই হবে উপহার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সিয়াম আহমেদ। বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক। গতকাল ছিল তার জন্মদিন। আবার সামনে ঈদ। এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা জংলি। তাই তিনি জন্মদিন উদযাপন করবেন একবারে ঈদে! আর দর্শক-ভক্তদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে চান- হলে গিয়ে ঈদের সিনেমাগুলো দেখা। সিয়াম বলেন, যারা সিনেমাকে ভালোবাসেন, হলে গিয়ে সিনেম দেখেন তারাই আমাদের কাছে বিশেষ মানুষ। এই বিশেষ মানুষগুলো যদি হলে গিয়ে ঈদের বিশেষ সিনেমাগুলো দেখেন, সেটাই হবে আমার জন্মদিন আর ঈদের উপহার।

সিয়াম আহমেদ অভিনীত পোড়ামন টু, দহন, মৃধা বনাম মৃধা, ফাগুন হাওয়ায় সিনেমাগুলো দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। তিনি সিনেমার প্রচারণায় বরাবরই সময় দেন। স্বাভাবিকভাবেই জংলি সিনেমার প্রচারণার জন্য ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সিয়াম বলেন, নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। এখন প্রচারণার জন্য কাজ করছি। এই নায়ক আরও বলেন, আমার দর্শক ও ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের ভালোবাসায় আমি সিয়াম। তাদের জন্য ভালোবাসা। আশা করছি জংলি সিনেমা তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হবে।

অনেক আগে থেকেই একটি কথা সিয়াম বলে আসছেন। জংলির জন্য তিনি অন্যসব সিনেমার থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বলেন, অভিনয় ভালোবাসি। এটাকে কষ্ট হিসেবে দেখি না। কাজ হিসেবে দেখি। ভালোবাসা হিসেবে দেখি। এর জন্যই আমি। স্বীকার করছি জংলিতে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। কিন্তু এটা তো সিনেমার জন্যই করেছি। আমার বেশকিছু সিনেমা দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। আমার নিজের অভিনীত সবগুলো সিনেমাকে যেন ছাড়িয়ে যেতে পারে জংলি। সবার কাছে এটাই আমার চাওয়া। আমার করা অতীতের সিনেমাগুলোর রেকর্ড ভাঙুক জংলি। তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে।

জংলি সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জংলি সিনেমার জন্য যখন স্ক্রিপ্ট লেখা হয়, তখন থেকেই আমি জড়িত ছিলাম। সাধারণত স্ক্রিপ্ট তৈরি হওয়ার পর আমরা যুক্ত হই। কিন্তু এখানে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলাম। এই সিনেমার জন্য অনেক সময় দিয়েছি। অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি হয়েছে। সহশিল্পীরা অনেক শ্রম ও ভালোবাসা দিয়েছেন। সবাইকে সব শিল্পী সম্মান করেছেন কাজটি করার সময়। নানা কারণে জংলি আমার কাছে অনেক কিছু। এটি আমার কাছে স্পেশাল সিনেমা। সিনেমার গল্পটা অনেক শক্তিশালী। দর্শকরা হলে গেলেই বুঝতে পারবেন। এটা আমাদের নিজেদের গল্প। আমাদের দেশের গল্প। আশপাশে ঘটে যাওয়া গল্প।

এবারের ঈদে সিয়াম অভিনীত জংলি সিনেমা ছাড়াও আফরান নিশোর দাগি, শাকিব খানের বরবাদ, মোশাররফ করিমের চক্কর ৩০২, সজলের জ্বীন থ্রি মুক্তি পাচ্ছে। অন্যদের সিনেমাকে প্রতিযোগিতার চোখে দেখেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। সবার সিনেমার জন্য ভালোবাসা। আমি ভালোবাসার চোখে দেখি। সবাই আমার সহকর্মী। তিনি আরও বলেন, ঈদের সব সিনেমা দেখব। সবার সিনেমা দেখব। পুরো টিম নিয়ে অন্যদের সিনেমা দেখব।

অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। আমরা একই পরিবার এবং শিল্পী। কাউকে প্রতিযোগী মনে করি না। সিয়াম যে অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন না, তার প্রমাণ সম্প্রতি পাওয়া গেছে তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল শাকিবের বরবাদ সিনেমার মুক্তির অনিশ্চয়তা বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এটি মুক্তি পাচ্ছে। তবে তার আগেই সিয়াম লিখেছেন, একটা সিনেমা আটকে দেওয়া মানে, কতগুলো স্বপ্নকে আটকে দেওয়া। বরবাদ আমি, আমরা সিনেমা হলে দেখতে চাই।

তিনি আরও লিখেছেন, এই ঈদে দর্শক জংলি, বরবাদ, দাগি, চক্কর ৩০২, জ্বিন-৩ দেখতে সিনেমা হলে ভিড় করুক। সিদ্ধান্ত নিতে যারা বসে আছেন, তাদের কাছে আমার একটাই দাবি, হয় সব সিনেমা মুক্তি দিন, না হলে কোনোটাই দেওয়ার দরকার নেই। চলচ্চিত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিন।


আরও খবর

মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি

রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা

বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫




আমরা কখনোই বলিনি নির্বাচনের পরে সংস্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বলেছি নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু অবাধ মিনিমাম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেগুলো করতে হবে। আমরা কখনোই বলিনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। এটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমরা বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যে সংস্কার করা দরকার সেটা করতে হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আওমী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, জাকের পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে। আর যারা এসেছেন সংস্কারের জন্য তারা জ্ঞানী মানুষ, পন্ডিত লোক, বিশাল ডিগ্রিধারী। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে আমরা সেটিকে সমর্থন করতে পারব না।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য। এই যে আমরা ভয়ে থাকি রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার হয়ে ওঠে। তাহলে তো আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। এখানে স্বৈরাচার হয়ে উঠলে জনগণই তাদেরকে বের করে দেয়। সুতরাং এটার জন্য জনগণের কোনো দোষ নেই। গণতন্ত্র সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা।


আরও খবর



রাঙ্গাবালীতে বিএনপি নেতা আল মামুনের উদ্যোগে নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি নেতা ও সবুজ ছায়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল মামুনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় তিন হাজারেরও বেশি  নেতাকর্মী  অংশগ্রহণ করেন।

ঈদ উপলক্ষে বুধবার রাতে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের বার নম্বর ডিগ্রি এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসভবনের মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। ঈদ পুনর্মিলনীকে প্রাণবন্ত করতে বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়। 


অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আল মামুন বলেন, ঈদ আমাদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার সুযোগ এনে দেয়। এই বন্ধন কাজে লাগিয়ে সংগঠনের ঐক্য বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যাব। আমাদের নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ভাইয়ের  হাতকে শক্তিশালী করবো৷  আগামী নির্বাচনে তাকে যদি আমরা এমপি করতে পারি, তাহলে তিনি মন্ত্রী হবেন ইনশাআল্লাহ। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতারা বলেন, এ ধরনের আয়োজন নেতাকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এবং দলকে সুসংগঠিত করতে সহায়তা করে।


আরও খবর