Logo
শিরোনাম

ঈদযাত্রার প্রথম দিনে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image



সদরুল আইন:


শুরু হয়েছে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অগ্রিম টিকিটে ট্রেনযাত্রা। তবে, প্রথম দিনেই ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিলম্ব ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা।


 কাঙ্ক্ষিত ট্রেন পেতে যাত্রীদের এক থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর স্টেশন থেকে বলা হচ্ছে, ঈদের সময় এই বিলম্ব স্বাভাবিক।



আজ বুধবার (১২ জুন) কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সকালে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে সিলেটগামী পারাবাত এক্সপ্রেসের ছাড়ার কথা ছিল ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে। 


সেই ট্রেন ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা কিশোরগঞ্জের এগারো সিন্ধু প্রভাতীর। ট্রেনটি ৯টা ২৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। 


এ ছাড়া ৮টা ১৫ মিনিটের মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়েছে বেলা ১১টার কিছু পর।



ঈদ উপলক্ষে পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যেতে কিশোরগঞ্জগামী এগারো সিন্ধু প্রভাতীর টিকিট কেটেছিলেন রফিকুল ইসলাম। ছেলে-মেয়ে ও মাকে নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে যান ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় আগেই। তবে দুই ঘণ্টা পার হলেও ট্রেন কমলাপুর ছাড়েনি।


রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেনের জন্য যদি অপেক্ষা করতেই হয়। তাহলে আর স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া হলো কোথায়? আগে ট্রেনের টিকিট কেটেই কী লাভ হলো? সেই দুর্ভোগই পোহাতে হচ্ছে। গরমে ছেলে-মেয়ে আর মা কষ্ট পাচ্ছেন।’


মোহনগঞ্জগামী সালমা আক্তারও জানালেন ট্রেনযাত্রার ভোগান্তির কথা। তিনি বলেন, ‘স্টেশনে খুব একটা ভিড় নেই। ঈদের প্রথম ট্রেন। এরপরও কেন এমন শিডিউল বিপর্যয়।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে বাসে যাওয়াই ভালো ছিল।’


তবে কমলাপুরের স্টেশন মাস্টারের দাবি, অধিকাংশ ট্রেন সময় অনুযায়ী ছেড়েছে। স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদের এ সময়টায় একঘণ্টা বা তারও বেশি দেরি স্বাভাবিক হিসেবেই দেখতে হবে।


 তবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে যেন ট্রেন সময়মতো ছেড়ে যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি:

ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী এনডিসি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে সাংবাদিকদের জোরালো সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা ছাড়া একা পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। 


মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।


মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যে কোন নিউজ প্রচারের আগে অবশ্যই তার সত্যতা যাচাই করে নিবেন। তাতে ভুল তথ্য প্রচারের সম্ভাবনা থাকে না। অবশ্যই সত্য প্রচার করবেন। সত্য প্রচারে ডিএমপির কোন ধরণের আপত্তি নাই। মানুষের মধ্যে ‘সেন্স অব ইনসিকিউরিটি’ (নিরাপত্তাহীনতা বোধ) সৃষ্টি হয় এমন নিউজ করার আগে অবশ্যই তার সত্যতা ভালোভাবে যাচাই করবেন।  

 

তিনি বলেন, ছোটখাটো সব দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে রাজপথ দখল করে আন্দোলন করছে যাতে দ্রুত তাদের দাবিগুলো আদায় হয়। ঢাকা মহানগরীতে এমনিতেই যানজট একটি বড় সমস্যা। একটি রাস্তা বন্ধ হলে শহরের অন্য সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে রাজপথ বন্ধের চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোন সভ্য সমাজে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করার প্রবণতা দেখা যায় না। সাংবাদিক সমাজকে এ ধরণের প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। 


সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা বলেন, সাংবাদিকরা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সমাজের নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে পারেন। মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের কোন রাজনৈতিক বা দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।


মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। ক্র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা ডিএমপির সাথে এক সাথে কাজ করে আসছি। আমাদের মধ্যকার এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আগের মতো ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ ও সাংবাদিক পাশাপাশি থেকে কাজ করতে চাই। আমরা একে অপরের পরিপূরক। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হই তার ব্যপারে ডিএমপির সহযোগিতা কামনা করছি। 


মতবিনিময় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্সহ নবনির্বাচিত ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।


 



আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাপ্রধান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) মারা গেছেন।

রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কে এম শফিউল্লাহর সহকারী জিয়াউল হাসান মনির।

নব্বই-ঊর্ধ্ব সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তার চলাফেরা চলে স্ট্রেচারে।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পর্যটনের হাতছানি দিচ্ছে ‘তারুয়া’ সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত। যার একদিকে সবুজ বন, অন্যদিকে সৈকত পাড়ে বালুর ঝলকানি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণসহ জীব বৈচিত্র্যের সমারোহে ভরপুর এ চরটি যেন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। প্রায় ৪ দশক আগে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে ওঠা এই চরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রতিনিয়ত ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করছে। বলছিলাম ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনায় অবস্থিত তারুয়া সমুদ্র সৈকতের কথা। এই চরটি প্রকৃতির সুনিপুণ নিখুঁত এক অপরূপ সৃষ্টি।

জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রথমে চরফ্যাশনে যেতে হবে। যার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। এরপর চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কপথ এবং ১৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে তারুয়া চরের। প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘের এই চরটি দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই। সৈকতের একপাশে বঙ্গোপসাগর আর অন্য পাশে বিস্তীর্ণ চারণভূমি, যা শেষ হয়েছে সৈকত ঘেরা ম্যানগ্রোভ বনে গিয়ে। এই চরের মোহনীয় রূপ সকলকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

স্থানীয় জেলে সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুকচিরে জেগে ওঠে এই চর। ওই চর মোহনায় একসময়ে শত শত তারুয়া নামের এক প্রকার মাছ ধরা পড়ত জেলেদের জালে। তাই সেই মাছের কারণেই এ চরের নামকরণ করা হয়েছে তারুয়া। শীত মৌসূমে এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পর্যটক ঘুরতে আসে। অধিকাংশ পর্যটক তাঁবু টানিয়ে রাত্রী যাপন করে থাকেন। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

তারুয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা লিটন, আরিফ ও শাহাবুদ্দিন বলেন, তারুয়া সৈকত প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য চমৎকার জায়গা। এখানে অপার সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে যে কারো ইচ্ছা করবে। এটা দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই।

ঘুরতে আসা পর্যটক মামুন বলেন, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিগত বছরে কক্সবাজার, কুয়াকাটা গিয়েছি। সেখানকার থেকে কোনো অংশে কম না তারুয়া সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং যাতায়াত ব্যবস্থা যদি সহজ করা যায়, তাহলে এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিতে পারে। সরকার যদি এখানে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্পটে পরিণত হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, পুরো দ্বীপজেলাতেই পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনপুরা, ঢালচরের তারুয়া সৈকত ও চর কুকরি-মুকরি। এই জায়গাগুলোতে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও সহজ যোগাযোগব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে পর্যটকরা এখানে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও থাকতে পারে।


আরও খবর

দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪




ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন মোদি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই মোদির প্রথম মার্কিন সফর। মোদির এই সফরে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।

মোদি-ট্রাম্প আলোচনায় আরও গুরুত্ব পেতে পারে বাণিজ্য মাসুল কম করা, আমেরিকা থেকে ভারতের তেল ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনা, বেআইনি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো, চীন ও পাকিস্তান প্রসঙ্গ।

ভারত থেকে রওয়ানা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। এই সফরে প্রযুক্তি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করব। দুই দেশের মানুষ যাতে উপকৃত হন, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করব।

মোদি-ট্রাম্প আলোচনায় নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আসবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। ওপি জিন্দল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডিডাব্লিউকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব থাকবে বাণিজ্যের ওপরে। তবে বাংলাদেশ-সহ দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে আলোচনা হবে বলেই মনে হয়। তবে এখনই ট্রাম্প বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কড়া লাইন নেবেন, পুরোপুরি ভারতকে সমর্থন করবেন, তা মনে হচ্ছে না।

শ্রীরাধার মতে, বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের মাথাব্যথা কম। তার অনেক বেশি মাথাব্যথা রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে। কিন্তু তিনি কাঁচা খেলোয়াড়ও নন। আর বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রাম্পের বাণিজ্যিক স্বার্থ আছে। বাংলাদেশ থেকে যে দামে পোশাক আমেরিকায় যায়, সেটা অন্য কোনো দেশ দিতে পারবে না। আর আমেরিকা নিজের স্বার্থই দেখবে বলে আমার মনে হয়। তবে সাধারণভাবে তিনি ভারতের পাশে থাকবেন।

ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক ও কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা ডিডাব্লিউকে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিক। বাংলাদেশের এখনকার অবস্থা, শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত কীভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে সেটা মোদি জানাবেন।'

প্রণয় জানিয়েছেন, প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়ার বিষয়ে মোদির পরামর্শকে গুরুত্ব দিতেন। ভারতের কথামতো চলার চেষ্টা করতেন। এখানেই ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তার একটা পার্থক্য আছে। ডেমোক্র্যাটরা মাইক্রো ম্যানেজ করতে ভালোবাসে। তারা তাদের নীতি নিয়ে চলতে ভালোবাসে। ভারতের সেখানে সুবিধা হচ্ছে কি না, তা তারা দেখে না। কিন্তু ট্রাম্প অনেক বেশি করে ভারতের বিষয়টি মাথায় রাখেন।' সূত্র: ডিডাব্লিউ


আরও খবর



আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক মাস ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। জানুয়ারির শুরুতে এটি ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁলেও আকু বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়নে নেমে আসে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাবে মোট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে মাত্র ছয় দিনে বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না; শুধু আইএমএফকে সরবরাহ করা হয়। সূত্রমতে, সেটি বর্তমানে ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করে। প্রথমটি মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ সমগ্র রিজার্ভ, যার মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তের ঋণসহ বিভিন্ন তহবিল অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়টি হলো, আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি। এটি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে হিসাবটি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। তখন বৈদেশিক ঋণ এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ থাকায় এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার সংযোজন হওয়ায় রিজার্ভের ধারা ইতিবাচক হয়েছে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫