Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

এই শীতে মুখে ঘা হলে কিভাবে সারাবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুখের ঘা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। সাধারণত মুখের ভেতরের ত্বকের আস্তরণে ক্ষত সৃষ্টির মাধ্যমে মাউথ আলসার বা মুখের ঘা শুরু হয়। একটি ক্ষত থেকে পুরো মুখেই ছোট ক্ষতের সৃষ্টি হয়। শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মুখের আলসারের সমস্যাও বাড়ে যায়। এক্ষেত্রে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন।

মধু : ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।

তুলসি পাতা : ওষুধি গুণে ভরপুর তুলসি মুখের ঘা সারাতেও কার্যকরী অবদান রাখে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখকে জীবাণুমুক্ত করে। মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।

লবণ পানি : মুখের ঘা সারাতে লবণ পানি কার্যকর। এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন। সূত্র : ফেমিনা।


আরও খবর

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




মাছ-মাংসে অস্বস্তি, ষাটের নিচে নেই সবজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও কমছে না সবজির দাম। আলু ছাড়া ষাট টাকার নিচে মিলছে না তেমন কোনো সবজি। অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। রমজানের প্রথম দিন ১২০ টাকা কেজি দরে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হলেও, চতুর্থ রমজানে এসে শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে। শসার মতো ১০০ ছুঁয়েছে বরবটি ও পটলের দামও। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে অন্যান্য ধরনের সবজির দাম বাড়তিই রয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়াও লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ পিস, একই দামে বাঁধাকপি। শিম ৬০ থেকে ৭০ টমেটো ৬০ থেকে ৭০, করল্লা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকা মান ও আকারভেদে লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

শাকের মধ্যে সরিষা শাক আটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, পালং ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কিছুটা কমছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। নতুন রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আবারও কোথাও তা ২৪০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। আবারও ৭৫০ টাকা ছাড়িয়েছে গরুর মাংসের দাম। রমজানকে কেন্দ্র করে এই অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

মাছের বাজারে আকারভেদে তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে শুরু করে আকারভেদে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড়, বিক্রি হচ্ছে ততো বেশি দামে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রেদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার সকালে হেলিকপ্টারে করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



রাণীনগর-আত্রাইয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার এই দুই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৃথক পৃথকভাবে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। 

 নওগাঁর রাণীনগরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে স্থানীয় এমপি,উপজেলা প্রশাসন,থানাপুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পাটি, বিএনপি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,রাণীনগর প্রেস ক্লাব এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে।

এর পর সকাল ৮টায় রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের অনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। সেখানে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু। এছাড়া রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং উপজেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে আত্রাইয়েও একই কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। পরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক।

পরে সকাল ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় এমপি এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস,আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী নিপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল,জেলা পরিষদের সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইমলাম,সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা,যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন,সিনিয়র মৎস্য পলাশ চন্দ্র দেবনাথ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকসান হ্যাপি,গণমাধ্যমকর্মীরাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক আবৃতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

বায়ুদূষণ সারা বিশ্বে বেড়েই চলছে। রাজধানী ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। আজ রবিবারও শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

এদিন সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৬২। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদ শহরের স্কোর ১৬০,

চতুর্থ অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৫৯ এবং সমান স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে চীনের ছেংদু শহর।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না খেজুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে দোকানদারদের অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা: ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে আমদানি করা বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতি কেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করা হয়েছে।

যদিও সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও খেজুর মিলছে না। বাজারে সবচেয়ে কম দামের খেজুর জাইদি জাতের। এই খেজুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যেটির সরকার নির্ধারিত দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর রোজায় যে খেজুর পাইকারি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই খেজুরের ওপরে এবার শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

বাদামতলীর খেজুর ব্যবসায়ী শাওন বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবসময় অল্প লাভেই বিক্রি করে থাকি। আমাদের চিন্তা থাকে লাভ অল্প হলেও বিক্রি যদি বেশি হয়, তা হলে লাভ এমনিতে বেশি হবে। আমাদের বিক্রি হয় কেনার ওপর ভিত্তি করে। যেই খেজুর আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ৩৫০ টাকা শুল্ক দেয়া লাগছে। তা হলে বোঝা যাচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে খেজুরের দাম বেড়েছে। এই বিক্রেতার দাবি, সরকার যদি শুল্ক কমিয়ে দেয় তা হলে খেজুরের দাম অটোমেটিক কমে যাবে। জনগণের ভোগান্তি হবে না। এখন সবাই একতরফা ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছে। আসল ঘটনা তো অন্য জায়গায়। আমরা আমদানি করি, সেটির শুল্ক যদি বেশি দিতে হয়, তাহলে দাম তো বাড়বেই। এটি হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসা। ফলে খুচরা বিক্রেতারা যে দামে কেনেন, তার চেয়ে বেশি মুনাফায় খেজুর বিক্রি করছেন।

 

খেজুর কিনতে এসে জসিম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে খেজুর গত বছর কিনেছিলাম ৩০০ টাকায়, সেটি চাইছে ৬৫০ টাকা। পছন্দও হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা কেজি খেজুরের ২০০ গ্রাম কিনলাম। পরিচিত দোকানদার মন খারাপ বুঝে বললেন, 'জায়গামতো কোনো খবরদারি বা নজরদারি কোনোটাই নেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামতলীতে খেজুরের বস্তাপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে কমপক্ষে এক হাজার টাকা। এক দিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখতেই হবে, সেটা নিয়ে কতো কোর্টকাচারি চলল। খেজুরে বাড়তি দাম, বরই খাওনের পরামর্শ মন্ত্রীর। সেটা নিয়েও কতো কত সমালোচনা। কিন্তু খেজুর নাগালে এলোই না।' বাদামতলীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাত ও আকার অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ৩০ ধরনের খেজুর বিক্রিক্র হয়। এর মধ্যে দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে 'জাইদি' ও বস্তায় আসা খেজুর। এটি আসে ইরাক থেকে। এ ছাড়া আজোয়া, মরিয়ম, মাসরুক, ডালা-আলজেরিয়া, নাঘাল, সায়ের, মডজুল, থকালমি, ফেনছি, ইরান ও জর্দানের মরিয়ম, লাকজারি, সুগাই, তিউনিসিয়া থাল, সুফকারি, জাম্বু, মাবরুম, দাব্বাস, রেজিজ, আমিরাতের লুলু ও বারহিল বাজারে
এসব খেজুরের চাহিদা রয়েছে।


দেশের বাজারে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মেডজুল ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি। আজোয়া এবং মরিয়ম ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আরও বেশি দামের খেজুরও আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাইদি খেজুর, দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪