Logo
শিরোনাম

এই সমাজে প্রতারকরা জনপ্রিয়, ভালোরা ঘৃণিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :


জালাল উদ্দিন রুমি খুব মূল্যবান একটা কথা বলেছেন, আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোন পোশাক নেই, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যার ভেতরে মানুষ নেই।

 

ছোটবেলায় স্কুলে চয়নিকা নামের একটি বই আমাদের পড়ানো হতো | কতগুলো ছোট ছোট গল্প সেই বইটিতে থাকতো | সেখানে রাজার পোশাক সংক্রান্ত একটা গল্প ছিল | তখন গল্পটার মর্ম বুঝি নাই, এখন বুঝি, তবে বোবা হয়ে থাকি | কারণ বোবার শত্রু নাই | সমাজের কাছে বোবারা জনপ্রিয়, সত্যবাদীরা ঘৃণিত | গল্পটা হুবহু মনে নেই, তবে গল্পটা মোটামুটি এইরকম ছিল, এক রাজার খুব ইচ্ছে হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও দামি পোশাকটি তিনি পরবেন | অনেক খোজাখুঁজির পর দুজন ভালো দর্জির খবর পাওয়া গেলো | তাদের দুজনকে রাজার পোশাক তৈরীর দায়িত্ব দেওয়া হলো |রাতদিন ধরে পোশাক বানানোর কাজ চলছে তো চলছেই, এতটুকু বিরাম নেই | দর্জিদের পোশাক বানাতে চাহিদারও শেষ নেই | রাজার পোশাক বলে কথা, তাই রাজার কোষাগার থেকে দেদারসে সোনা, রুপা, হিরা, জহরত, মনিমুক্তা, অর্থ যখন যা দরকার তা দর্জিদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে | দর্জিরা সবাইকে জানিয়ে দিল যারা মূর্খ পাগল তারা এই পোশাক দেখতে পাবেনা। পোশাক ঠিকমতো তৈরী হচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব রাজা তার একজন মন্ত্রীকে দিলেন | গভীর রাত অবধি সবার কানে পৌঁছাচ্ছে কাঁচির শব্দ |

 

মন্ত্রীর একদিন শখ হলো, দর্জিরা কিভাবে কাজ করছে সেটি দেখার | মন্ত্রী দেখলেন, দর্জিরা কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত | এদের মধ্যে একজন শুন্যের উপর কাঁচি চালাচ্ছে, আরেকজন সুই দিয়ে শুন্যের উপর সেলাই করছেন, কখনো কাপড় ভাঁজ করছেন | মন্ত্রী কোনও কাপড় দেখতে পেলোনা, কিন্তু মনে মনে ভয় পেলো, এখন যদি তিনি বলেন কোনও কাপড় দেখতে পাচ্ছেননা, তাহলে সবাই তাকে মূর্খ ও পাগল বলবে | তখন মন্ত্রিত্বের মতো লোভনীয় পদ হারাতে হবে | মন্ত্রী মশাই পোশাকের অনেক প্রশংসা করলেন | মন্ত্রীর পর আরও যারা পোশাক তৈরীর কাজ দেখতে এলো, সবাই পোশাকের প্রশংসা করলো |

 

পোশাক বানানোর কাজ শেষ হলে রাজা পোশাক দেখতে এলো | দর্জিরা নানাভাবে পোশাকটি রাজাকে দেখাতে লাগলেন | আসলে রাজা মশাই কিছুই দেখতে পেলেননা | কিন্তু মন্ত্রী মশাইয়ের মতো তিনিও ভয় পেলেন এই ভেবে যে, এতো বড় রাজ্যের রাজা উনি, তিনি যদি বলেন কোনও পোশাক দেখতে পাচ্ছেননা, তখন তাকে সবাই মূর্খ ও পাগল ভাববে, প্রজাদের কাছে তার কোনও মূল্যই থাকবেনা | তাই রাজা নিজেও পোশাকের ভূয়সী প্রশংসা করে দর্জিদের পুরস্কৃত করলেন |

 

রাজার খুব ইচ্ছে হলো, প্রজাদের মহাসমাবেশ করে তিনি এই পোশাক পরে বের হবেন | চারিদিকে এই নিয়ে উৎসব উৎসব আমেজ সৃষ্টি হলো | রাজা দর্জিদের বানানো পোশাকে জন সম্মুখে আসলেন | কেউ কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা, কিন্তু রাজাকে খুশি করতে সবাই পোশাকের প্রশংসা করতে লাগলো | রাজা সবার এমন প্রশংসা শুনতে পেয়ে মহাখুশি হয়ে উঠলেন |

 

কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে একটা ছোট ছেলে বলে উঠলো, ”একি আমাদের রাজা যে ল্যাংটা।গল্পের শেষটা কি ছিল তা মনে নেই | হয়তো এখানে এসেই গল্পটা শেষ হয়েছিল বা আরও দুই-একটা লাইন ছিল |

তবে সবাই মিথ্যের ঘোরের মধ্যে থাকলেও ছোট ছেলেটা অপ্রিয় সত্য বলেছে | কারণ তার তখনও জ্ঞান হয়নি, অপ্রিয় সত্য কথা সবখানে বলতে নেই |

গল্পের মতো করে আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ নিজে যা বিশ্বাস করেনা, সেটি বিশ্বাস করার অভিনয় করে যাচ্ছে | নিজে যা মানছেনা, সেটি মানার মিথ্যে দাবি করে যাচ্ছে | সত্য মিথ্যার ভিতরে, মিথ্যা সত্যের ভিতরে ঢুকে পড়ছে | বুঝা যাচ্ছেনা, মানুষ কি মন্দকে ভালো বলছে, নাকি ভালোকে মন্দ বলছে | সারা পৃথিবীতে যেন এই মিথ্যের অভিনয় চলছে | বিষয়গুলো খুব সেনসেটিভ | তবে এখন আর বেশিরভাগ মানুষদের শরীরেও পোশাক নেই, পোশাকের ভিতরেও মানুষগুলো নেই |


  

জালাল উদ্দিন রুমি খুব মূল্যবান একটা কথা বলেছেন, আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোন পোশাক নেই, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যার ভেতরে মানুষ নেই।

 

ছোটবেলায় স্কুলে চয়নিকা নামের একটি বই আমাদের পড়ানো হতো | কতগুলো ছোট ছোট গল্প সেই বইটিতে থাকতো | সেখানে রাজার পোশাক সংক্রান্ত একটা গল্প ছিল | তখন গল্পটার মর্ম বুঝি নাই, এখন বুঝি, তবে বোবা হয়ে থাকি | কারণ বোবার শত্রু নাই | সমাজের কাছে বোবারা জনপ্রিয়, সত্যবাদীরা ঘৃণিত | গল্পটা হুবহু মনে নেই, তবে গল্পটা মোটামুটি এইরকম ছিল, এক রাজার খুব ইচ্ছে হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও দামি পোশাকটি তিনি পরবেন | অনেক খোজাখুঁজির পর দুজন ভালো দর্জির খবর পাওয়া গেলো | তাদের দুজনকে রাজার পোশাক তৈরীর দায়িত্ব দেওয়া হলো |রাতদিন ধরে পোশাক বানানোর কাজ চলছে তো চলছেই, এতটুকু বিরাম নেই | দর্জিদের পোশাক বানাতে চাহিদারও শেষ নেই | রাজার পোশাক বলে কথা, তাই রাজার কোষাগার থেকে দেদারসে সোনা, রুপা, হিরা, জহরত, মনিমুক্তা, অর্থ যখন যা দরকার তা দর্জিদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে | দর্জিরা সবাইকে জানিয়ে দিল যারা মূর্খ পাগল তারা এই পোশাক দেখতে পাবেনা। পোশাক ঠিকমতো তৈরী হচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব রাজা তার একজন মন্ত্রীকে দিলেন | গভীর রাত অবধি সবার কানে পৌঁছাচ্ছে কাঁচির শব্দ |

 

মন্ত্রীর একদিন শখ হলো, দর্জিরা কিভাবে কাজ করছে সেটি দেখার | মন্ত্রী দেখলেন, দর্জিরা কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত | এদের মধ্যে একজন শুন্যের উপর কাঁচি চালাচ্ছে, আরেকজন সুই দিয়ে শুন্যের উপর সেলাই করছেন, কখনো কাপড় ভাঁজ করছেন | মন্ত্রী কোনও কাপড় দেখতে পেলোনা, কিন্তু মনে মনে ভয় পেলো, এখন যদি তিনি বলেন কোনও কাপড় দেখতে পাচ্ছেননা, তাহলে সবাই তাকে মূর্খ ও পাগল বলবে | তখন মন্ত্রিত্বের মতো লোভনীয় পদ হারাতে হবে | মন্ত্রী মশাই পোশাকের অনেক প্রশংসা করলেন | মন্ত্রীর পর আরও যারা পোশাক তৈরীর কাজ দেখতে এলো, সবাই পোশাকের প্রশংসা করলো |

 

পোশাক বানানোর কাজ শেষ হলে রাজা পোশাক দেখতে এলো | দর্জিরা নানাভাবে পোশাকটি রাজাকে দেখাতে লাগলেন | আসলে রাজা মশাই কিছুই দেখতে পেলেননা | কিন্তু মন্ত্রী মশাইয়ের মতো তিনিও ভয় পেলেন এই ভেবে যে, এতো বড় রাজ্যের রাজা উনি, তিনি যদি বলেন কোনও পোশাক দেখতে পাচ্ছেননা, তখন তাকে সবাই মূর্খ ও পাগল ভাববে, প্রজাদের কাছে তার কোনও মূল্যই থাকবেনা | তাই রাজা নিজেও পোশাকের ভূয়সী প্রশংসা করে দর্জিদের পুরস্কৃত করলেন |

 

রাজার খুব ইচ্ছে হলো, প্রজাদের মহাসমাবেশ করে তিনি এই পোশাক পরে বের হবেন | চারিদিকে এই নিয়ে উৎসব উৎসব আমেজ সৃষ্টি হলো | রাজা দর্জিদের বানানো পোশাকে জন সম্মুখে আসলেন | কেউ কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা, কিন্তু রাজাকে খুশি করতে সবাই পোশাকের প্রশংসা করতে লাগলো | রাজা সবার এমন প্রশংসা শুনতে পেয়ে মহাখুশি হয়ে উঠলেন |

 

কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে একটা ছোট ছেলে বলে উঠলো, ”একি আমাদের রাজা যে ল্যাংটা।গল্পের শেষটা কি ছিল তা মনে নেই | হয়তো এখানে এসেই গল্পটা শেষ হয়েছিল বা আরও দুই-একটা লাইন ছিল |

তবে সবাই মিথ্যের ঘোরের মধ্যে থাকলেও ছোট ছেলেটা অপ্রিয় সত্য বলেছে | কারণ তার তখনও জ্ঞান হয়নি, অপ্রিয় সত্য কথা সবখানে বলতে নেই |

গল্পের মতো করে আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ নিজে যা বিশ্বাস করেনা, সেটি বিশ্বাস করার অভিনয় করে যাচ্ছে | নিজে যা মানছেনা, সেটি মানার মিথ্যে দাবি করে যাচ্ছে | সত্য মিথ্যার ভিতরে, মিথ্যা সত্যের ভিতরে ঢুকে পড়ছে | বুঝা যাচ্ছেনা, মানুষ কি মন্দকে ভালো বলছে, নাকি ভালোকে মন্দ বলছে | সারা পৃথিবীতে যেন এই মিথ্যের অভিনয় চলছে | বিষয়গুলো খুব সেনসেটিভ | তবে এখন আর বেশিরভাগ মানুষদের শরীরেও পোশাক নেই, পোশাকের ভিতরেও মানুষগুলো নেই |


 


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24




রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন বেহাত না হয়, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ শুধুমাত্র সরকারের নয়, দেশের সব নাগরিকের।

শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি। আমাদের এই সুযোগ যারা তৈরি করে দিয়েছেন, বীর শহীদরা, তাদের কাছে আমাদের ঋণ আছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই এই সুযোগ হাতছাড়া না হয়ে যায়। যেন এ সুযোগকে কেন্দ্র করে আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি, যেখানে কোনো অবস্থাতেই কাউকে নিপীড়নের মুখে না পড়তে হয়, বিচার বা বিচার বর্হিভূত ব্যবস্থার মধ্যে যেন তাকে মোকাবিলা করতে না হয়৷ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের যাত্রা।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন বাংলাদেশকে জর্জরিত করে ফেলেছিল, সে সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বিচারিক এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে বিচার বর্হিভূতভাবে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) নেতাকর্মীরা নিপীড়ন, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তারপরও আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছেন, সেই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতি আমাদের সবার সমর্থন থাকছে।

এ সময় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে তা যেন ব্যার্থ না হয় সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জাতি এক নতুন বাংলাদেশ চায়। ৫৪ বছরের বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এ লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) আবদান নিঃসন্দেহে সবার স্মরণে থাকবে। দেশ এবং জাতি নতুন করে আবার পুর্নগঠিত হবে, যখনই আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো সেখানেও আপনাদের ভূমিকা থাকবে, এটা আমরা আশা করি।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই উদ্যোগ সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙক্ষার ফল। এরই অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজন এবং তাগিদ রাজনৈতিক দল, জনসমাজ, ছাত্র, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এসেছে। সেই প্রক্রিয়ায় আপনারা (জামায়াতে ইসলামী) আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণ করায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক,ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।


আরও খবর



উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে আলু বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বগুড়ায় বর্তমানে জাতভেদে প্রতি মণ (৪২ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা। 

বগুড়া জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। আলীগ্রামের কৃষক নাফিসুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। গড়ে ৯০ মণের মতো এবার ফলন হতে পারে। সে হিসাবে, প্রতি মণে প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। 

'কিন্তু বাজারে দাম এর অর্ধেক। এ কারণে এখনও তুলিনি। আরও কয়েকদিন পর তুলে কোল্ড স্টোরেজে রাখব।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না।

একই কথা জানান ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, 'পাকড়ি ও স্টিক আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় পাকড়ি ৬৫-৭০ মণ এবং স্টিক ৯০ মণের মতো হবে। আমার প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে যারা বীজ কিনে আলু চাষ করে তাদের খরচ আরও অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল, এ কারণে বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু এই দামে আলু চাষ করলে কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে।

গত বছরের বেশিরভাগ সময় আলুর দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। ফলে বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা আলু চাষ বেশি করেছেন। তবে এখন উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪.৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নাগদাহ গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এখন আমাদের এলাকায় প্রতি কেজি আলু ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ৮ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে ২০ টাকার নিচে হলে কৃষকদের লোকসান হবে।'

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'যে বছর দাম বেশি থাকে এর পরের বছর কৃষকরা সে ফসল বেশি করেন। আবার দাম কম থাকলে পরের বছর কম ফসল করেন। এটা কমন সমস্যা। এখন ফলন বেশি হলে আবার দাম কমে যায়। 

'এজন্য আলুর ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাড করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রুপ মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ ১০ জন কৃষক আলু চাষ করেন; এর মধ্যে একজন সেগুলো বাজারজাত করবেন। এতে সরাসরি বাজারের সঙ্গে কৃষকরা যুক্ত হবেন।'


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




সবজির দাম বাড়তি, সংকট সয়াবিনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের পর থেকে বাজারের প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কম-বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে, যা আগের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা বেশি। আগে ছিল ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। তবে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ ছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। আগের চেয়ে নির্ধারিত দাম না বাড়লেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে কারণে অনেকে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। শীতের অধিকাংশ সবজি শেষ হয়ে গেছে আর গ্রীষ্মের অনেক সবজি এখনো বাজারে কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে গিয়েও সবজির বাজার বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বেসরকারি চাকরি করা মো. বুলবুল জানান, ১০০ টাকা দরে আধা কেজি বরবটি ও করলা কিনেছেন তিনি। বলেন, ঈদের আগে সব সবজি ৬০ টাকার আশপাশে ছিল। ঈদের পরে দাম প্রায় ২০ টাকার মতো বেড়ে গেছে।

এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন, চাল ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে বাজারে আবারও সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা রাজীব আহসান বলেন, কোম্পানি তেল দেয় না। ঈদের পর থেকে অর্ডার নিচ্ছে না। যে কারণে ৫ টাকা বেশি দিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনি।

আরেক বিক্রেতা বলেন, আজ ঈদের পর প্রথম একটা কোম্পানি তেল দিয়ে গেছে। দুই লিটারের মাত্র তিন কাটন তেল। আর বলেছে, দাম বাড়ানোর আগে মাল দেবে না। নতুন রেট এলে তেল পাবেন।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শরীরের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমলে তা হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।  
এ বিষয়টি অনেকেরই জানা।

তারপরেও অনেকেরই পেটে জমে যায় মাত্রাতিরিক্ত চর্বি। এটি কমানোর জন্য অনেকেই ব্যায়াম থেকে শুরু করে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনা পর্যন্ত অনেক ধরনের কাজই করেও কোনো সুফল পাননি। এর কারণ হিসেবে থাকতে পারে ভুল ডায়েটিং কিংবা ভুল শারীরিক অনুশীলনের মতো বিষয়। আজকের লেখায় থাকছে তেমনই কয়েকটি বিষয়, যা আপনার পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়।

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার দেহের নানা মাপকাঠি পরিবর্তিত হয় এবং এতে ওজনও বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষ বা নারী, উভয়েরই দেহের ওজন বাড়তে পারে।

* মধ্যবয়সী নারীদের মেনোপজের জন্য পেটে বাড়তি চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে ভালো খবর হলো, চিকিৎসকের সহায়তায় এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।

* অনেকেই বড় কোনো ব্যায়াম প্রোগ্রামের একাংশের ব্যায়াম করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি শুধু হৃৎপিণ্ডের জন্য ব্যায়াম করেন তাহলে তা পেটের চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখবে না। এজন্য সঠিক ব্যায়াম করতে হবে। পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম বা ১২৫ মিনিট উচ্চমাত্রার নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যেতে পারে।

* আপনার কি অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? ক্র্যাকার্স, চিপস, পরিশোধিত চিনি, কোমল পানীয়, মিষ্টি খাবার ইত্যাদি আপনার পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া খাবার যেমন ফলমূল, সবজি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার আপনার পেটে চর্বি জমা থেকে রক্ষা করবে।

* মানবদেহ সব ধরনের চর্বিতে একই আচরণ করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রায় দ্রবীভূত চর্বি (মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের চর্বি) গ্রহণ পেটের চর্বি বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে কিছু উদ্ভিদ, মাছ, সূর্যমুখী তেল ও অলিভ অয়েলে থাকা অদ্রবীভূত চর্বি ক্ষতিকর নয়। বরং সঠিকভাবে খেলে পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণেও এগুলো ভূমিকা রাখে। অবশ্য মাত্রাতিরিক্ত যেকোনো খাবার খাওয়াই ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

* পেটের চর্বি কমানোর জন্য অনেকেই অল্পমাত্রায় শারীরিক অনুশীলন করেন। কিন্তু কিছুদিন অনুশীলনের পর কোনো উপকার পান না। এর কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত অনুশীলন। তাই শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানোর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে।

* আপনার পেটের চর্বি কমানোর সামান্য লক্ষণ দেখা গেলেই কি অনুশীলন বাদ দেন? ব্যায়াম পুরোপুরি সফল হওয়ার আগেই যদি আপনি অনুশীলন ছেড়ে দেন তাহলে এর ফলাফল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া রয়েছে শুধু পেটের অনুশীলনের মতো কাজ করা। এক্ষেত্রে সারা দেহের জন্য সুষম অনুশীলন করা হতে পারে সঠিক উপায়।

* আপনার যদি কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, সন্তান ইত্যাদি নিয়ে অতিরিক্ত চাপের মাঝে থাকতে হয় তাহলে তা পেটের চর্বি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য উপায় প্রয়োগ করার আগে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

* আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে তা দেহের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর অন্যতম রূপ হতে পারে পেটের চর্বি বৃদ্ধি। এজন্য ব্যক্তিভেদে প্রতি রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানোর প্রয়োজন হয়।

* অনেকের দেহের মাঝখানের অংশ বিশেষ করে পেট, থাই, উরু ইত্যাদি গঠনগত কারণেই মোটা থাকে। জেনেটিক কারণেই এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পেটের চর্বি কমানো কঠিন; তবে অসম্ভব নয়। এজন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়।

* টেস্টোস্টেরোনের মাত্রার ওপর দেহের অনেক বিষয় নির্ভর করে। এ হরমোনটি দেহে উচ্চমাত্রায় থাকলে তা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

* পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে উৎসাহের সঙ্গে অনুশীলন করার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান আবার সব উপায়গুলো ঠিকঠাক মেনে না চলেন তাহলে তা কোনো উপকারে আসবে না।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সরকার সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ২০১৭ সালের জাতীয় পরিবেশ কমিটির একটি সিদ্ধান্ত এবং ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপণের পর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়াও, সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের পর সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো যৌথভাবে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে পারবে। শব্দদূষণ রোধে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সব মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হবে।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হবে। বন অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু ও বাড়ানোর প্রস্তাবও পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন নির্মাণে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে মে মাসে সচিব পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীরপ্রতীক) এবং কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান; স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম-সহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গত সভার সিদ্ধান্ত ও সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ফাহমিদা খানম।


আরও খবর