Logo
শিরোনাম

এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অনেক রক্তের বিনিময়ে, লাখো কোটি জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের কোনো কোনো কার্যক্রম সকলের কাছে হয়তো সাফল্য হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে। কিন্ত এই সরকারের ব্যর্থতা হবে আমাদের সকলের ব্যর্থতা। বাংলাদেশের পক্ষের গণতন্ত্রকামী জনগণের ব্যর্থতা। এটি আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে। সুতরাং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না, বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে নানা রকমের উসকানিতেও জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সে ব্যপারে তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম সংস্কারের লক্ষ্যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। তবে ঘোষিত এই ৩১ দফাই শেষ কথা নয়। বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র কিংবা রাজনীতি, সকল ক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক এবং চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির আরও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন পরিমার্জনকেও বিএনপি স্বাগত জানায়

তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন, একটি উন্নত এবং নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, তাতেও দোষের কিছু নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে সমর্থন জানাবে কিংবা কাকে সমর্থন দেবে না। এ কারণেই, বিএনপি বারবার জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছে। বিএনপি মনে করে, একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সঙ্গে জনগণের প্রতক্ষ্য অংশীদারিত্ব তৈরি হয়

তারেক রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থান কিংবা সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানারকম কথা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এটি একটি স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য রীতি। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবেন এটিই স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ফৌজদারি অপরাধের বিচার যেমন বিচারিক আদালতে হয় ঠিক তেমনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা রাজনৈতিক আচরণের বিচার হয় জনগণের আদালতে

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাতবদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি। সুতরাং আমার আহ্বান- কোনো প্রলোভন কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজের নেতৃত্ব দানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখুন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের পথ ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপে উঠবে দেশ। সুতরাং আসুন- আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা অর্জন করি। জনগণের সঙ্গে থাকি। জনগণকে সঙ্গে রাখি

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, যারা আহত হয়েছেন, হাত পা চোখ হারিয়েছেন কিংবা চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ আজীবন তাদের এই আত্মত্যাগ এবং অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। হতাহতদের প্রতিটি পরিবারের প্রতি অবশ্যই রাষ্ট্র যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র-রাজনীতি শাসন প্রশাসন হওয়ার কথা ছিল গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। অথচ গত ১৫ বছর বাংলাদেশে মাফিয়া শাসন চালু করা হয়েছিল। দেশে বিদেশে পলাতক স্বৈরাচার বিনাভোটের সরকারের পরিচয় হয়ে উঠেছিল গভর্নমেন্ট অব দ্য মাফিয়া, বাই দ্য মাফিয়া, ফর দ্য মাফিয়া

তিনি বলেন, এই মাফিয়া চক্র দেশকে সর্বক্ষেত্রে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর ঋণ নির্ভর এবং পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়া চক্র দেশের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া করে দিয়েছে। গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার করে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পতিত স্বৈরাচারের বেপরোয়া দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বর্তমানে ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে আজ যে শিশুটি জন্ম নিয়েছে কোনো কারণ ছাড়াই সেই শিশুটিরও মাথা পিছু ঋণ কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা


আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




সেন্টমার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সেন্টমার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি, পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং দ্বীপে রাতযাপন নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে, বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে সেন্টমার্টিনের পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়েও আলোচনা হয়।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার এবং কুয়াকাটাকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই প্রবাল দ্বীপ আমাদের দেশে একটিই আছে। তাই একে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে আগের নির্দেশিকাগুলো মানতে হবে। এছাড়া, পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে চাই। দ্বীপটিকে একটি কোলাহলমুক্ত এলাকা হিসেবে দেখতে চাই।


আরও খবর



বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১ তম, স্কোর ছিল ১৯। তবে এ বছর ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪ তম, স্কোর ১৯ দশমিক ৪। বাংলাদেশে ক্ষুধার মাত্রা মধ্যম পর্যায়ে। এই সূচক প্রকাশ করেছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। তবে ২০১৬ সালের তুলনায় এবছর ক্ষুধার মাত্রা কমেছে বাংলাদেশে, তখন স্কোর ছিল ২৪ দশমিক ৭।

সূচক বলছে, ক্ষুধার মাত্রা উচ্চমাত্রায় থাকলেও বাংলাদেশ ক্ষুধা নিরসনে ভালো করছে। তবে এখনও ১১.৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। আর ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু তার পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করে। অপুষ্টির কারণে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর বয়স অনুপাতে উচ্চতা বাড়ছেনা আর ১১ শতাংশ ৫ বছরের কমবয়সী শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ছে না বলেও উল্লেখ করা হয় সূচকে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৫৬তম। নেপালের অবস্থান ৬৮ তম। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের অবস্থান ১০৫ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯ তম।

এ বছরের ক্ষুধা সূচক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্র গুরুতর কারণ এই অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপুষ্টি। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে।

এছাড়া বিশ্বের ৬টি দেশে বুরুন্ডি, শাদ, মাগাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক। ৩৬টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে গুরুতর পর্যায়ে। ২২টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে আছে।


আরও খবর



আত্মহননের সাংবাদিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক :

আত্মহত্যা অবশ্যই বেদনাদায়ক। এর পেছনের ঘটনাও সাধারণত সংবেদনশীল ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ-মূল্য অনস্বীকার্য। কিন্তু নিউজ ভ্যালু আছে এবং পাঠক চাহিদা আছে বলেই কি এই জিনিস প্রকাশ্যে বিক্রি করা উচিত?

বিষের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো বিষ স্বরূপ, যা বিতরণের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম এর নেতিবাচকতা বিবেচনায় নেয় না, যা দুর্ভাগ্যজনক।

পেছনের ঘটনা যতই বেদনাদায়ক হোক, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। এই অপরাধটি সংক্রামক বৈশিষ্ট্যর। আত্মহননের মনস্তত্ব সংক্রামক এবং এটি একটি ব্যাধি – যা গবেষণায় প্রমাণিত। আত্মহত্যার ভাইরাস জনসমাজে ছড়ানোর দায়িত্ব মিডিয়া নেবে কেন?

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সেলিব্রেটির বেশ কয়েজন তরুণ ভক্ত আত্মহত্যা করেছিল। মিডিয়া সেই সংবাদগুলিও প্রচার করেছিল।

একটি আত্মহত্যার ঘটনা অন্যকেও আত্মহননে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সাংবাদিকতায় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। আমরা যখন বিদেশি মিডিয়ায় কাজ করি তখন সম্পাদকীয় নীতিমালার এই বিষয়গুলো মানি। অথচ নিজ দেশে মানি না।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে একজন মানুষ নিজেকে হত্যার মতো গর্হিত কাজ করার ফলে, এরপর অন্যকেউ এরকম কর্মে উদ্বুদ্ধ হবে কিনা তা মাথায় রাখা উচিত।

প্রথমত: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আত্মহননকে দুস্কর্ম হিসেবেই উপস্থাপন করা উচিত। পিছনে যে কারণই থাক, সেই কারণে একজন ব্যক্তি যেমন কাউকে হত্যা করার অধিকার রাখে না, তেমনি নিজেকেও হত্যা করার অধিকার রাখে না।

নিজেকে হত্যাকারী ব্যক্তিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না, যেমন একজন খুনি, ডাকাত বা আত্মঘাতি জঙ্গিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না।

আত্মহননকারীর প্রতি সহানুভূতি মিশ্রিত সংবাদ পরিবেশন অন্যকেও এধরনের অপকর্মে উৎসাহিত করতে পারে। এধরনের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানভূতিব্যঞ্জক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাইরাল হলে তা সমাজের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হয়।

যতই সংবেদনশীল হোক, এই নিউজ পত্রিকার প্রথম পাতায় কভার করা উচিত নয়। ভেতরের পাতায় দিতে হবে, যাতে এর ফোকাস কম হয়। সংবেদনশীলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে সংবাদটি উপস্থাপন করতে হবে। গণপাঠক টার্গেট করে নয়, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং একাডেমিক প্রয়োজনে সতর্কতার সাথে সংবাদটি যাবে।

এধরনের সংবাদ টেলিভিশনে প্রচার না করাই ভাল।

আত্মহত্যার বহুবিধ কারণ থাকে। সেগুলো নিরসন করতে না পারা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। ঘটনার তদন্ত করে কারণ খুঁজে বের করা এবং প্রতিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।



আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং আমরা তাদের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক রাখতে চাই।

একইসঙ্গে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলো একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এস জয়শঙ্কর এসব কথা বলেছেন বলে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তন সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে যে স্থিতিশীল সম্পর্ক ছিল তা অব্যাহত রাখতে ভারত আগ্রহী বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বিকেলে এনডিটিভিকে জানিয়েছেন

তিনি বহুলপ্রচলিত সেই প্রবাদবাক্যের ওপরই জোর দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো একে অপরের ওপর নির্ভরশীল

এনডিটিভি বলছে, বিস্তৃত এই সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ এবং সেই সংঘাতে দিল্লির সম্ভাব্য শান্তিরক্ষাকারী ভূমিকা, সেইসাথে ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সমালোচনামূলক মন্তব্য, গাজা যুদ্ধ এবং তৃতীয় মেয়াদে প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরের বিষয়ে কথা বলেন এস জয়শঙ্কর

বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, (বাংলাদেশে) যা ঘটছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক রাখতে চাই। আমাদের ভালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে... আমাদের জনগণের মধ্যেও সম্পর্ক ভালো... আমি সম্পর্কটা এভাবেই রাখতে চাই।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত আগস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে

অন্যদিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর একইদিন বিকেলে শেখ হাসিনাকে বহনকারী সামরিক বিমান দিল্লির কাছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেখানে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তিনি সেসময় হাসিনার কথাও বলেন

রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে হাসিনা ভারত থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যাবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ হোম অফিস সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই

এর বদলে শেখ হাসিনাকে ভারতেই আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এরপর থেকে হাসিনা আপাতত চল্লিশ দিনেরও বেশি সময় ধরে ভারতে রয়েছেন এবং সেখানে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে

গত মাসে এস জয়শঙ্কর ভারতীয় পার্লামেন্টকে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা খুব স্বল্প নোটিশে দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে পালানোর অনুমতি চেয়েছিলেন। পার্লামেন্টে সর্বদলীয় ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছিলেন, নিজের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে সময় দিতে চায় ভারত সরকার

যার মধ্যে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, তার দেশও ভারতের সাথে আগের মতোই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, কিন্তু সেই সম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে। এছাড়া সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে অভিনন্দন ফোনকল পেয়েছিলেন বলেও জানান তিনি

এছাড়া হাসিনার ভারতে পলায়নের পর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূস সাবেক এই সরকারপ্রধানের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ তাকে (হাসিনাকে) ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতেই চায়, তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকবে তাকে চুপ থাকতে হবে।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ড. ইউনূস স্পষ্টতই গত ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনার বক্তব্যের কথাই উল্লেখ করেছেন। ওই সময় শেখ হাসিনা ন্যায়বিচার দাবি করেছিলেন এবং বলেছিলেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যা ও ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের অবশ্যই তদন্ত, চিহ্নিত এবং শাস্তি দিতে হবে

হাসিনার এই বক্তব্য বাংলাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল এবং এরপর থেকে তিনি (হাসিনা) আর কোনো প্রকাশ্য বক্তব্য বা বিবৃতি দেননি


আরও খবর



সেপ্টেম্বরে ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা, ৪৪ ধর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে অন্তত ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকারের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও সামগ্রিকভাবে এ অগ্রগতি অপর্যাপ্ত। কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশজুড়ে ৮৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং ২৩টি ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের আরও আটজন নিহত হয়েছেন

এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বা হেফাজতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে গুলিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুইজন এবং আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হন। সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে নির্যাতনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এ মাসটিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন

গত মাসে অন্তত ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫ জন কিশোরী, ১৮ নারী ও কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। একজন আত্মহত্যা করেছেন


আরও খবর