Logo
শিরোনাম

এক নজরে ঈদের পাঁচ চলচ্চিত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুক্তি পেয়েছে 'তুফান', 'ময়ূরাক্ষী', 'রিভেঞ্জ', 'ডার্ক ওয়ার্ল্ড', ও 'আগন্তুক'।


শাকিব-চঞ্চলের তুফান

পাঁচ সিনেমার মধ্যে প্রচার দৌড়ে এবং দর্শক আগ্রহে এগিয়ে রয়েছে রায়হান রাফি পরিচালিত তুফান। এর মূল আকর্ষণ কেবল শাকিব খান নন। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এবং কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তীসহ, দেশের নাটক-সিনেমা জগতের দর্শকপ্রিয় কিছু শিল্পীকে এক পর্দায় এনে হইচই ফেলে দিয়েছেন রাফি। প্রকাশ হয়েছে সিনেমার ট্রেইলার। তাতে শাকিবের দ্বৈত চরিত্রের আভাস মিলেছে।

পুলিশ বুবলীর 'রিভেঞ্জ'

শবনম বুবলী ও জিয়াউল রোশান অভিনীত 'রিভেঞ্জ' মুক্তি পাচ্ছে দেশের প্রায় ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে।

নির্মাতা ও প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল গ্লিটজকে বলেন, "এখন পর্যন্ত ৩০টার মত হল বুকিং হয়েছে। এই সংখ্যা বাড়বে বলে বুঝতে পারছি। চূড়ান্ত হলে সবাইকে জানানো যাবে।"

ময়ূরাক্ষী' কেবল সিনেপ্লেক্সে

জাজ মাল্টিমিডিয়ার পরিবেশনার মুক্তি পাচ্ছে 'ময়ূরাক্ষী'। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ গ্লিটজকে বলেন," 'ময়ূরাক্ষী' সিনেমাটি স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাসসহ মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পাচ্ছে। সিঙ্গেল হলগুলো টার্গেট করা হচ্ছে না।

কলকাতার অভিনেত্রী নিয়ে 'ডার্ক ওয়ার্ল্ড'

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দ্য অভি কথাচিত্র থেকে মুক্তি পাচ্ছে 'ডার্ক ওয়ার্ল্ড' 'আগন্তুক' নামের দুই সিনেমা।

অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি বলেছেন, ডার্ক ওয়ার্ল্ড যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ছাড়াও ময়মনসিংহের পূরবী, ফতুল্লার বনানী, জয়পুরহাটের নাজমাসহ ১২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। অভিনয় করেছেন নবাগত মুন্না খান ও কলকাতার অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়।

আগন্তুক', জুটি বেঁধেছেন পূজা ও শ্যামল

পূজা চেরি ও শ্যামল মাওলাকে জুটি করে আগুন্তক সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরি করেছিলেন সুমন ধর। সিনেমা পরিচালানও করছেন তিনি।


আরও খবর



সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড : নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

সচিবালয়ে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির সদস্যরা আজ শুক্রবার সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তের পর বলা যাবে।

তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ড নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো অবস্থা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছি। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি কথা বলা যাবে।

এদিকে সচিবালয়ে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে আগের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সদস্য সচিব করে বৃহস্পতিবার রাতে আট সদস্যের এই কমিটি গঠনের তথ্য এক অফিস আদেশে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম" এই মূলনীতিকে সামনে রেখে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে "শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি"র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু করা হয়।

আজ ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস ভবনের সামনে বিভিন্ন বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় এই পাঠচক্রের শুভ যাত্রা ঘোষণা করা হয়।

এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, "আমরা সবাই একটা কথা জানি যে, পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে সুন্দর সমাজ, রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল অন্যায়, শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তুলতে, দেশ ও বহির্বিশ্বের ইতিহাসকে জানতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের কণ্ঠস্বরকে জাগিয়ে তুলতেই আমাদের এই শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু করেছি।  ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সময়ে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে বিশেষ করে ১৯৫২,১৯৬৯,১৯৭১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ এ যতজন শহীদ হয়েছেন সকল শহীদদের স্মরণে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা এ সংগঠন তৈরির প্রয়োজনীয়তা মনে করেছি। সবাইকে এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।"

ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান সাজু বলেন, "ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সহ জুলাই গনঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ স্মরণে আমরা 'শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র' এর উদ্যোগ নিয়েছি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি শোষণমুক্ত রাষ্ট্র কায়েম করা। আর শোষণ মুক্ত রাষ্ট্র গঠনে নাগরিকের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার বিকল্প নেই । আমরা মনে করি, আমাদের এই সংগঠন নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাখবে। আশা করি সবাই সাথে থাকবেন।"

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর শিক্ষার্থী মুত্তাকী বলেন, "শহিদ স্মৃতি পাঠ চক্র একটি প্রগতিশীল শিক্ষামূলক সংগঠন, যা তরুণ সমাজকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে।  এটি পাঠচক্র, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।  ২৪ এর চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাসের শিক্ষা এ সংগঠনের মূল প্রেরণা।

আমি এ সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ও ক্যাম্পাসের পরবর্তী প্রজন্মকে এই সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে আকুল আবেদন করি।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।


উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের খেজুর গাছি, মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবারে খেজুরের রসের চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি যেটা তরল গুঁড় প্রতি কেজি ২৫০ টাকা আর পাঁঠালি গুঁড় ২৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আমি সবসময় ভালো মানের গুঁড় তৈরি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এবছর ৮০ টি খেজুর গাছ এভাবে কন্টাক্ট নিয়েছি যে গাছের প্রকারভেদে গাছ প্রতি দুই, আড়াই, সর্বোচ্চ তিন কেজি গুঁড় দেওয়া লাগবে। তিন দিন পর পর ৪০টি গাছের রস সংগ্রহ করে জাল দিয়ে গুঁড় তৈরি করি। আশাকরি গাছের মালিক খড়ের দাম সহ সবকিছু মিটিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভবান হবো। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি জানান, আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ এবারে ৪০টি খেজুর গাছ লিজ নিয়েছি মালিক ও খড়ের খরচ মিটিয়ে গুঁড় বিক্রি করে ৩০/৪০ হাজার টাকা কামাই হবে আর কি।

কুরুষা ফেরুষা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চওড়া বাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র রায় কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের সোহেল মাষ্টার জানান, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের পাঁচ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।এসময় এটি খুব সুস্বাদু খাবার, বিশেষ করে সামনে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি, পায়েস, পাটিসাপটা, ক্ষীর ইত্যাদি। গ্রামীণ পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে এইসব পিঠা পুলি পায়েস খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত করা হয় নতুন পুরাতন জামাই সহ আত্নীয় স্বজনদের। সত্যি পৌষের শীতে এটি একটি মজাদার খাবার, যার কারণে এই সময়টাতে রস ও গুড়ের চাহিদা একটু বেশি।

শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের খেজুর গুড় ক্রেতা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত জানান, আমার জানামতে রেজাউল গাছি ভাইয়ের খেজুর গুড়ে কোন ভ্যাজাল নাই,খাবার উৎকৃষ্ট সুস্বাদু বটে।তারপর সামনে আসছে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি এই দিনটি কে আমরা পিঠা উৎসব হিসেবে উপভোগ করি ওই দিনে আমার বাড়িতে সবার পছন্দ খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা পুলি পায়েস পাটিসাপটা ক্ষীর, অনেক আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করতে হবে সেই উপলক্ষে রেজাউল গাছি ভাইয়ের নিকট থেকে পনের কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করলাম। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খাবার একদিন না বিলীন হয়ে যায়। যাতে এটিকে রক্ষা করা যায় সেই কারণে  সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে খেজুর গাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তা নাহলে গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুরের রস গুড় একদিন বিলীন হয়ে যাবে।


আরও খবর



দেশের স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়াস্থল নাফ নদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনো সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‌মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদকরোধে সবার সহযোগিতা দরকার। এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছশিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খোলা হবে।

তিনি বলেন, ‌সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। কিছু অসাধু বাংলাদেশি দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালালচক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সবশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।


আরও খবর



রাজধানীতে পটকা ও আতশবাজির আগুনে দগ্ধ ৫

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইংরেজি বর্ষবরণের আনন্দ উদযাপনে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর সময় রাজধানীতে পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছে; তাদের মধ্যে তিনজন শিশু।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পর বিভিন্ন সময়ে তারা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছে। একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আগুনে ফারহান নামে ৮ বছর বয়সী একটি শিশুর শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এছাড়া শিফান মল্লিকের (১২) শরীরের ১ শতাংশ, সম্রাটের (২০) শরীরের ১ শতাংশ, শান্তর (৪৩) শরীরের ২ শতাংশ এবং তাফসির (৩) নামে এক শিশুর শরীরের ২ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ডা. শাওন বলেন, দগ্ধরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালে এসেছেন। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা পোড়ানোর সময় তারা আগুনে দগ্ধ হয়েছে। তাদের একজন শরীরের ১৫ শতাংশ বার্ন নিয়ে এসেছে। বয়স্ক হলে তেমন আশঙ্কা ছিল না, শিশু তাই তার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বছরের শেষ রাত উদযাপনের এমন বিপত্তি এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পটকা-আতশবাজির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কয়েকদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকেও বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, পটকা ফাটিয়ে যেন শব্দ ও বায়ুদূষণ করা না হয়।

তবে ঢাকাবাসী তা কানে তোলেনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই পাড়া মহল্লার চারপাশে শুরু হয়ে যায় হৈ চৈ, থেমে থেমে ভেসে আসতে থাকে পটকার শব্দ। ঘড়ির কাঁটা ১২টায় পৌঁছালে তা চরমে ওঠে। রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজির রঙিন আলোয়।

গত কয়েক বছরে এরকম উদযাপনের রাতে জ্বলন্ত ফানুস থেকে অগ্নিকাণ্ডও ঘটেছে অনেক জায়গায়।

২০২২ সালে পটকা ও আতশবাজির বিকট শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়ে তানজীম উমায়ের নামের ৪ মাস বয়সী এক শিশু। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫