Logo
শিরোনাম

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হবে ২৬ মে থেকে। আবেদন করা যাবে ১১ জুন পর্যন্ত।

আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।


শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একই দিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে।

দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত শিডিউলে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

সব ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ হয়। ওয়াশিংটন ডিসির সামনে জড়ো হন হাজার বিক্ষোভকারী। একইসঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ দেখা যায়।

৫ এপ্রিল দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে প্রায় ১২০০ বিক্ষোভ-সমাবেশ আয়োজন করার কথা ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ওয়াশিংটনের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। হালকা বৃষ্টিও ছিল। এরইমধ্যে শহরটিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হতে শুরু করেন। ওয়াশিংটনের কানেটিকাট অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভকারীদের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। শহরের ন্যাশনাল মল এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। এই বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’, ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড। গতকাল ন্যাশনাল মল এলাকায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ একত্র হবেন বলে আশা করছিলেন বিক্ষোভের আয়োজকরা।

এই বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’। এর একটি অর্থ হতে পারে, ‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও।


আরও খবর



তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রপ্তানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল- জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর

এবার পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫




রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম সৃষ্টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ আল মাইজভান্ডারি :


♦রহমতে আলম,নূরে মুজাস্সাম, হুজুর পূরনুর (ﷺ) হলেন সর্বপ্রথম সৃষ্টি, যাঁকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না।[৪র্থ পর্ব দেখুন]

★১৭. হযরত কাব আহবার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন যখন সৃষ্টি জগত সৃজন করার ইচ্ছা করলেন তখন মাটিকে সস্প্রসারিত করলেন,আকাশকে উঁচু করলেন এবং আপন নূর হতে এক মুষ্ঠি নূর গ্রহন করলেন। তারপর উক্ত নূরকে নির্দেশ দিলেন‘ তুঁমি মুহাম্মাদ হয়ে যাও।’অতএব সে নূর স্তম্ভের ন্যায় উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং মহত্বের পর্দা পর্যন্ত পৈাছে সিজদায় পরে বলল,‘আলহামদুলিল্লাহ্’ তখন আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে ইরশাদ হল,এজন্যই তোঁমাকে সৃষ্টি করেছি আর তোঁমার নাম মুহাম্মাদ রেখেছি। তোঁমার হতেই সৃষ্টি কাজ শুরু করব এবং তোঁমাতেই রিসালাতের ধারা সমাপ্ত করব ।

[সিরাতুল হালাভিয়া ১ম খন্ড,পৃঃ ৫০]


★১৮. ইবনে জাওজী (রহ:) বলেন,

রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এঁর বানী : “আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আঁমার নুর মোবারক সৃষ্টি করেছেন আর আঁমার নুর থেকে কুল কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন।

[ইবনে জাওজী : বয়ানুল মীলাদুন্নবী (ﷺ) :২২ পৃ:]


★১৯. হযরত আব্দুল কাদীর জিলানী (রহ:) বলেন,পরম গৌরবান্বিত ও মহিমান্বিত আল্লাহ পাক বলেছেন,আঁমি আঁমার নিঁজ জাতের কুদরতী জামালের নুর হতে মুহাম্মদ (ﷺ)-এঁর রুহ সৃষ্টি করেছি। এর প্রমান হল রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এঁর হাদিস আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হল আঁমার নুর মুবারক।

ইমাম শাতনুফী : বাহজাতুল আসরার : ১২ পৃ:]


★২০. মাওলানা সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানী বলেন-


غرضیکہ حقیقت محمد صلی الله علیه وسلم التحیۃ واسطہ جملہ کمالات عالم عالمیہ ہے یہ ھی معنی لولاک لما خلقت الافلاک اور اول ما خلق اللہ نوری اور انا نبی الانبیاء کے ہیں


মোট কথা হলো সমস্ত কায়েনাত বা আলম হাকীকতে মুহাম্মদী তথা নূরে মুহাম্মদী থেকে সৃষ্ট। যেমন হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন, যদি আঁপনি না হতেন তবে আঁমি সকল আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। রাসূল صلی الله علیه وسلم এর বানী, মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম আঁমার নূর সৃষ্টি করেছেন এবং আরও বলেন আঁমি নবীদেরও নবী।

[আশ শিহাবুস সাক্বিব- পৃ: ৫০।

কুতুবখানায়ে রহিমিয়্যাহ,সাহানপুর, ভারত থেকে প্রকাশিত]


রাসুল (ﷺ)-এঁর নূর সম্পর্কে আমাদের নতুুুন করে বলার অবকাশ রাখে না কী চমৎকার করে বলে দিলেন দেওবন্দের মুহতারাম শায়খুল হাদিস! সবচেয়ে বড় কথা হল হুসাইন আহমদ মাদানী ওহাবীদের গুরু “আহমদ শফীর” পীর সাহেব!ওহাবীরা কি নিজেদের পীরের কথাও মানবে না?


★২১. আশরাফ আলী থানবী নিজেই উক্ত হাদীস শরীফকে তার কিতাব “নশরুত তীব” উল্লেখ করেছেন। তিনি সেখানে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন, তার নাম দিয়েছেন ” নূরে মুহম্মদীর বিবরন”।তাছাড়াও প্রথমে তিনি যা লিখেছেন তা হলো: “আব্দুর রাজ্জাক তাঁর সনদসহ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ননা করেছেন যে, আমি আরজ করলাম : ইয়া রসূল্লাল্লাহ আমার পিতা মাতা আঁপনার জন্য কোরবান হউক, আমাকে এই খবর দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন?


জবাবে আশরাফ আলী থানবী তার কিতাবে লিখেছেন


يا جابر ان الله تعالي قد خلق قبل الاشياء نور نبيك

অর্থ: হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ মুবারক করেন, হে জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সব কিছুর পূর্বে আঁপনার নবীর নূর মুবারক সৃষ্টি করছেন।”

[ নশরুততীব ৫ পৃষ্ঠা]


✌এবার আসুন।একটু গভীর থেকে দেখা যাক; রাসুল (ﷺ)-এঁর সৃষ্টি বিষয়ে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী’র দৃষ্টিভঙ্গি কি রকম??


দেওবন্দের ওলামাগণ অর্থাৎ ওহাবীরা যাকে হাকিমুল উম্মত উপাধিতে ভূষিত করে থাকেন তিনি হলেন মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (মৃতঃ১৩৬২ হি.)।মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব এর অন্যতম সিরাত গ্রন্থ “ নশরুত্তীব ফি যিকরেন্নাবিয়িল হাবিব” এর ২৫ পৃষ্টায় রাসূল (ﷺ) নূরের সৃষ্টি মর্মে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন।এই কিতাবটি বাংলা অনুবাদও করেছে বেহায়া ওহাবীরা, নাম দিয়েছে “যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা” অনুবাদ করেছেন সাবেক ইমাম ও খতিব লালবাগ শাহী মসজিদ, মাওলানা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।


✌যাক আশরাফ আলী থানবী অধ্যায়টির নাম দিয়েছেন, “নূরে মোহাম্মদী (ﷺ)-এঁর বর্ণনা”।👏


তারপর মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব হযরত জাবের (রা:) এর হাদিস এভাবে বর্ণনা শুরু করেন-


“প্রথম বর্ণনাঃ জাবের رضي الله عنه হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমি আরজ করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার মাতা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ।আমাকে বলুন,আল্লাহ তা’আলা সবকিছুর পূর্বে কি সৃষ্টি করেছেন? হুজুর (ﷺ) ফরমালেন, হে জাবের! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সবকিছুর পূর্বে তাঁর নূরের ফয়েজ হতে তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন।অতঃপর ঐ নূর খোদায়ী কুদরতে যেখানে আল্লাহর ইচ্ছা ভ্রমণ করতে থাকে।তখন লওহ,কলম,জান্নাত,জাহান্নাম, ফেরেশতা,আসমান,জমীন,সূর্য,চন্দ্র,দানব,মানব কিছুই ছিল না।অতঃপর যখন আল্লাহপাক বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করলেন,তখন ঐ নূরকে চারভাগে বিভক্ত করেন।একভাগ দ্বারা কলম সৃষ্টি করলেন,দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা লওহ,আর তৃতীয় ভাগ দ্বারা আরশ সৃষ্টি করেন……….” এরপর সুদীর্ঘ হাদিস রয়েছে।“


[আশরাফ আলী থানবী,নশরুত্তীব ফি যিকরেন্নাবিয়িল হাবিব,২৫ পৃঃ, মারকাযে মা’রিফ হাকিমুল উম্মত, বায়তুশ শরফ,থানাবন,মুজাফফর নগর,ইউপি, ভারত থেকে প্রকাশিত]


✌হযরত জাবের رضي الله عنه এর বর্ণিত হাদিসটি বর্ণনা করে তিনি এর ব্যাখ্যায় লিখেন-“এ হাদিস দ্বারা বাস্তবিক পক্ষে সর্বপ্রথম নূরে মুহাম্মদী (ﷺ)-সৃষ্টি হওয়া প্রমাণিত।কেননা যেসব সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রথম সৃষ্টি বলে হাদিসে বর্ণনায় এসেছে।ওইসব সৃষ্টি ‘নূরে মুহাম্মদী’ থেকে পরে সৃষ্টি হবার বিষয়টি আলোচ্য হাদিস দ্বারা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।“

[নশরুত্তীব ফি যিকরেন্নাবিয়িল হাবিবঃ ২৫ পৃঃ]


✌শুধু তাই নয়, আশরাফ আলী থানবীকে সর্মথন করে তার বরাত দিয়ে দেওবন্দী ইউসুফ লুদইয়ানবী তার কিতাবে লিখেন:


اپ صلي الله عليه و سلم نے فرمايا-اءے جابر اللہ تعالي نے تمام اشیاء سے پھلے تیرے نبي كا نور اپنے نوسے… اس حديث سے نور محمدي صلي الله عليه و سلم كا اول الخلق هونا باوليت حقيقت ثابت هوا


অর্থ: হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, হে জাবের রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ! আল্লাহ পাক সব কিছুর পূর্বে আঁপনার নবীর নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। এ হাদীস শরীফ দ্বারা হাক্বীক্বী ভাবে প্রমানিত হলো যে , নূরে মুহম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন প্রথম সৃষ্টি !”

[ আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩ খন্ড ৮৩ পৃষ্ঠা]


★২২. বাংলাদেশের দেওবন্দীদের গর্ব শায়খুল হাদিস আজিজুল হক বুখারী শরীফে অনুবাদ করতে গিয়ে লিখেছেন: “নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম আল্লাহ পাক আঁপনার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন।”

[আজিজুল হক অনুদিত বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড, ৩-পৃষ্ঠা]


আরও খবর



ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রহী পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রাহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফ। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য আগ্রহী।তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পুতিনের সাথে আলোচনার পর স্টিভ উইটকফ একথা বলেন।

ট্রাম্প মস্কো ও কিয়েভকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে রাশিয়ার ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বারবার আলোচনা সত্ত্বেও ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনও বড় ছাড় পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

শুক্রবার, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত জানুয়ারিতে রিপাবলিকান দলের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে এটি তাদের তৃতীয় বৈঠক।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, তিনি একটি শান্তি চুক্তি উদীয়মান দেখছেন। পুতিনের দুই প্রধান উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ ও কিরিল দিমিত্রিভ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

উইটকফ বলেন, পুতিনের অনুরোধ হলো এখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তাই যুদ্ধবিরতির বাইরেও আমরা এর উত্তর পেয়েছি। এই জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমরা এমন কিছুর দ্বারপ্রান্তে এসে পড়েছি, যা বৃহত্তরভাবে বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।


আরও খবর



স্নিগ্ধ সাজে নতুন বছরকে বরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বিশ্বজুড়ে কোটি বাঙালি এই দিনটি উৎসবে-আনন্দে পালন করেন। নতুন পোশাক এবং সাজ-গোজ যেন সেই আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। বৈশাখে বাঙালিরা সাধারণত শহরে কিংবা গ্রামের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশিদের সঙ্গে বর্ষবরণের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বিশ্বজুড়ে কোটি বাঙালি এই দিনটি উৎসবে-আনন্দে পালন করেন। নতুন পোশাক এবং সাজ-গোজ যেন সেই আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। বৈশাখে বাঙালিরা সাধারণত শহরে কিংবা গ্রামের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশিদের সঙ্গে বর্ষবরণের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

বৈশাখের সাজের ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও সংস্কৃতি কেমন সে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বৈশাখে সাজ ভারী হলেও ন্যাচারাল লুক যেন বজায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পহেলা বৈশাখের আগের রাতে কিংবা সকালে উঠেই মেহেদি দিতে হবে। মেহেদি সব উৎসবে বাড়তি আনন্দ যোগ করে। পোশাকের দিকে খেয়াল রেখে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে মেকআপ করতে হবে।

বৈশাখের দিন সকালে গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে এরপর সিরাম লাগাতে হবে।

সকালে সাজলেও বাসায় ফিরতে ফিরতে দুপুর কিংবা বিকেল হতে পারে। এজন্য অবশ্যই ত্বকে সানক্রিন লাগাতে হবে। এতে সারাদিন রোদে ঘুরে বেড়ালেও ত্বক ভালো থাকবে।

ত্বক টোনার দিয়ে পরিষ্কার করার পর কিছুক্ষণ সিরাম লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর ময়েশ্চারাইজ লাগিয়ে বিবি ক্রিম লাগাতে হবে। এরপর ড্যাব ড্যাব করে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ফেস পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। হালকা করে ব্লাশন লাগাতে হবে।

ভ্রু একে নিতে হবে। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চোখে আইশ্যাডো দিতে হবে। চোখের সাজের ক্ষেত্রে হাইলাইটার ব্যবহার করলে সাজ গর্জিয়াস দেখাবে। চোখে চিকন কিংবা মোটা করে আই লাইনার ও মাশকারা লাগাতে হবে। ঠোটে লিপস্টিক কিংবা লিপগ্লস লাগিয়ে নিতে হবে। নখে নেইলপলিশ লাগাতে পারেন।

দিনের বেলায় মেকআপের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল লুক বেশ ভালো লাগবে। চুল খোলা রাখতে পারেন। ফ্রেঞ্চ বেণি অথবা চুলে ক্লিপ লাগাতে পারেন। শাড়ি পরলে খোপা করে ফুল গুজে দিলেও বেশ ভালো লাগবে।

বিউটিবক্স ওমেন্স পার্লারের বিউটি এক্সপার্ট ফাতেমা আক্তার বলেন, পহেলা বৈশাখের দিন সকালের সাজ খুব হালকা হতে পারে। প্রথমে ময়েশ্চারাইজার এরপর মেকআপ লং লাস্টিং রাখার জন্য প্রাইমার ব্যবহার করবো। তারপর প্রত্যেক মানুষের স্কিনশেড অনুযায়ী একশেড ব্রাইট ফাউন্ডেশন নির্বাচন করতে হবে। কনসিলার দিতে হবে। তারপর (ফেস পাউডার বা লুস পাউডার) দিয়ে মেকআপ সেট করে নিতে হবে। তারপর আই ভ্রু একে নিয়ে নিজস্ব ড্রেস কালার অনুযায়ী আইমেকআপ করে নিতে পারে। মাশকারা, আইলাইনার, কাজল, ব্লাশন, হাইলাইটার, লিপস্টিক। মেক আপ ধরে রাখার জন্য সেটিংস স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এতে মেকআপ লং লাস্টিং হবে।

বর্ষবরণে সাজের সঙ্গে পোশাক নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই চাইলে সুতি পাতলা কাপড়ের পাশাপাশি যেকোন কাপড়ের পোশাক পরা যেতে পারে। নারীরা থ্রি-পিস, শাড়ি কিংবা লেহেঙ্গা পরতে পারেন। ছেলে শিশুরা শার্ট-প্যান্ট, পায়জামা ও পাঞ্জাবি পরতে পারে। মেয়ে শিশুরা ফ্রক, টপস, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা পরতে পারে। তবে বৃদ্ধদের পোশাকের ক্ষেত্রে আরামের বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ঢিলেঢালা নরম ও পাতলা কাপড়ের পোশাক নির্বাচন করতে হবে।

বিশ্বরঙ এর সত্ত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা বলেন, দেশীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চলের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাহারি নকশা ও বৈচিত্রময়তায় উপস্থাপন করা হয়েছে পোশাকে। উৎসবের রঙে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে বরাবরের মতোই দেশীয় কাপড়, উপকরণ ব্যাবহার করে বিশ্বরঙ। এবারের বর্ষবরণের আয়োজনে পোশাকে ট্রেন্ডি এবং ট্রেডিশনাল লুকের নান্দনিকতা উপস্থাপন করেছে। দেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক কাপড় যেমন সুতি, ধুপিয়ান সিল্ক, তসর সিল্ক, লিলেন, কাতান, জ্যাকার্ড কাপড় ব্যবহার করেছে, রঙের ব্যবহারেও কনট্রাস্ট কালারের পাশাপাশি রঙের ম্যাচিউরড টোন এর পরিমিত ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।

তিনি বলেন, এবারের বর্ষবরণে কাজের মাধ্যম হিসাবে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, ডিজিটাল প্রিন্ট, মেশিন এমব্রয়ডারী, কম্পিউটার এমব্রয়ডারী, হ্যান্ড এমব্রয়ডারী, কারচুপি, নকশী কাঁথা জারদৌসীসহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল। উৎসবে বিশ্বরঙ প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের জন্যই ভিন্ন কিছু যোগ করেছে। বাচ্চাদের জন্য এনেছে নান্দনিক সব কালেকশন সেই সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং নারীদের জন্য আছে ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের ছোঁয়া। স্বাধ ও সাধ্যের সমন্ময়ে প্রিয়জনকে খুশি করতে বিশ্বরঙ নিয়ে এসেছে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে আকর্ষনীয় শাড়ী।

দেশীয়ার সত্ত্বাধিকারী রবিন মুশফিক বলেন, এবার বৈশাখী পোশাকের রঙ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কালারফুল রাখার চেষ্টা করেছি। সব রঙের পোশাক তৈরি করলেও পোশাকে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে লাল, সাদা, বেগুনি, নীল, হলুদ, গ্রীন, ম্যাজেন্ডা, পেস্ট।

তিনি বলেন, পোশাকের ক্ষেত্রে কাটিংয়ে নতুনত্ব এসেছে। মেয়েদের ওয়ানপিস পোশাকে পকেট কুর্তি রয়েছে। ছেলে শিশু, তরুণ ও প্রবীণদের জন্য পাঞ্জাবি ও পায়জামা রয়েছে। নারী ও তরুণীদের জন্য শাড়ি, ওয়ান পিস ও থ্রিপিস রয়েছে। এছাড়া মেয়ে শিশুদের জন্য থ্রিপিস, ওয়ান পিস, সারারা, ঢোল সালোয়ার, ধুতি সালোয়ার ও স্কার্ট রয়েছে।

শিশু ও বৃদ্ধদের পোশাক ও জুতার ক্ষেত্রে আরামের বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

যুগে-যুগে, কালে-কালে নতুন বছর আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে। কিন্তু সবার ঘরে একইভাবে উৎসবের আনন্দের বার্তা পৌঁছায় না। গরীব-দুঃখী, বস্তিবাসী, তাদের ঘরের হাড়িশূন্য। উনুনে ভাতের হাড়ি উঠে না। হা-ভাতে, জীর্ণবস্ত্রে মানবেতর জীবন কাটায়। উৎসবের বার্তা ঘোষিত হয় আমরা সকলে সমান। একে অপরের পরমাত্মীয়। নীতিকথায় মানবতার কথা উঠে আসলেও বাস্তবে সামাজিক চিত্র ভিন্ন। তখনই নতুন বছরের আনন্দ অর্থবহ হয়ে ওঠবে, সার্থক হবে; যখন সবাই একই কাতারে সামিল হয়ে উপভোগ করতে পারবো উৎসবের আনন্দ।


আরও খবর

যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫