Logo
শিরোনাম

একাত্তর উপেক্ষার চেষ্টা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাঁই পাবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রুহিন হোসেন প্রিন্স:

সাতচল্লিশে পাকিস্তান সৃষ্টির পথ প্রত্যাখান করে একাত্তরে বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, যারা একাত্তরকে উপেক্ষা করে সাতচল্লিশকে পুনঃস্থাপন করতে চায়, চব্বিশ আনতে চায়, আমার ধারণা তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।  বুধবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্বপ্ন গণতন্ত্র এবং বৈষম্যমুক্তির আকাঙ্ক্ষা অর্জিত হয়নি। এ সময়ে যারা শাসক ছিল, তারা আমাদের তা উপহার দিতে পারেনি। সুতরাং জনগণ এখন বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ৯০-এ একটি গণঅভ্যুত্থান করতে হলো, ২৪-এ আরেকটি গণঅভ্যুত্থান করতে হয়েছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের সাড়ে সাত মাস পরে এসে দেখছি, গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে নানা উগ্র শক্তির আবির্ভাব ছিল, তারা শুরুতেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্যের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। আমরা মনে করি, যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরিপন্থী।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। মুক্তিযুদ্ধের ওপর যে আঘাতগুলো এসেছে, সরকার সেগুলো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার যে আকাঙ্ক্ষা আছে, সে প্রচেষ্টায় তারা ভূমিকা রাখবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে লাভ নেই বলে মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন,  ‘দ্রুত একটি নির্বাচন চাই, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে, আমরা আশা করব তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণ করে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার দিকে এগিয়ে যাবে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হলেও সেই আলোচনায় না গিয়ে তারা সংবিধান নতুন করে লেখার বিষয়ে কথা বলছে। সংবিধান নতুন করে লেখার নামে ইতিমধ্যে সংস্কার কমিটি আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই কিছু বিষয় সামনে এনেছে, যার অন্যতম হলো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যেন ২৪-কে তুলনা করা হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত চার মূলনীতিকে বাদ দেওয়ার কথা বলছে। প্রকৃতপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে। আমি মনে করি, তাদের এই অবস্থান থেকে সরে আসা দরকার। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো বিতর্কিত বিষয়ে যাবে না।মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যে কোনো আঘাত এলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াব।


আরও খবর



শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের এনআইডি লক

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করেছে । সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, একটি চিঠির মাধ্যমে এ তালিকাভুক্ত ১০ জনের এনআইডি লক করা হয়।

নথিপত্র অনুসারে, ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো নির্দেশ ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে, শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে।


আরও খবর



দেশে নতুন ভোটার ৬৩ লাখ : ইসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৬৩ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য। অন্যদিকে মারা যাওয়ায় তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ২৩ লক্ষাধিক ভোটার।

শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের পরিচালক আব্দুল মমিন সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ পর্যন্ত ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৭; নারী ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৯৪ জন। তাদের মধ্যে ছবি তুলে ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মারা যাওয়ায় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭২, নারী ৯ লাখ ২২ হাজার ৭৮১ ও তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৩২৬ জন।

জানা যায়, নির্বাচন কমিশন গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ৫২২টি থানা/উপজেলার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেছে। এ সময়ের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন, তারা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হয়েছেন।

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী জুনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের নবীনবরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে নবীনবরণ এবং বিদায়ী কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ক্লাবের বর্তমান সদস্য, শিক্ষকবৃন্দ এবং নবীন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ার ক্লাবের অন্যতম সফল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয় ও পূর্বের কমিটির সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রথমবারের মতো ক্লাবের নিজস্ব মাসকট -ক্যারিয়ন দ্য লিডার উন্মোচন করা হয়। এই মাসকটের প্রতীকী অনুপ্রেরণার রূপ। মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের মধ্যে এটি এক অনন্য সংযোজন। সবশেষে ক্যারিয়ার ক্লাবের ওয়েবসাইট উন্মোচন করা হয়, যেখানে নিয়মিত ক্যারিয়ার গাইডলাইনভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে ক্লাবটি।

ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি তাহমিদ আলিফ বলেন, এই অনুষ্ঠানটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি প্রজন্মের দায়িত্ব গ্রহণের সাক্ষী। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাব আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা শুধু একটি সংগঠন নয়,  তারা ক্যারিয়ার সচেতনতা, নেতৃত্ব এবং সৃজনশীলতার এক নির্ভরযোগ্য পথপ্রদর্শকও বটে।

ক্যারিয়ার ক্লাবের নুসরাত আমিন তূর্ণা বলেন, ক্যারিয়ার ক্লাব হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন হতে পারে, দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। এই ক্লাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ, যোগাযোগ দক্ষতা, পেশাগত নৈতিকতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে। ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাই। এতে আমরা জানতে পারি কীভাবে একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়, নিজের আগ্রহ ও যোগ্যতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক পেশা নির্বাচন করা যায়।


আরও খবর

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




ঝালকাঠির রাজাপুরে গুম-খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করলো গুম-খুন কমিশন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ,ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে ২০১০ সালে গুম হওয়া একাধিক ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন গুম-খুন কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান এবং তাদের ভাগ্য নির্ধারণে গঠিত পাঁচ সদস্যের গুম-খুন তদন্ত কমিশন। 

কমিশনের সদস্যরা হলেন হাইকোর্টের দুই অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান।

রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার আলোচিত বেলায়েত জমাদ্দারের দুই ছেলে মিজান ও মোর্শেদ জমাদ্দার, ইন্দ্রপাশা এলাকার আঃ ছালাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ অসীম (৩৫) ও মোঃ রাজীব হাওলাদার (২৫), দক্ষিণ সাউদপুর এলাকার ফোরকান এবং পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার পার সাতুরিয়া এলাকার মোঃ মুরাদের পরিবারের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেন তদন্ত কমিটি। 

তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ্র, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. শাহ আলম, রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন এবং কাউখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে উল্লেখিত ব্যক্তিরা রহস্যজনকভাবে গুম-খুনের শিকার হন। এর আগে প্রশাসন বিভিন্নভাবে তদন্ত পরিচালনা করলেও কোনো চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত গুম-খুন কমিশন এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনার পুনঃতদন্ত শুরু করায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশার আলো জেগেছে।

এ ঘটনায় কমিশনের সদস্যরা সাতুরিয়া, ইন্দ্রপাশা এবং পার সাতুরিয়া এলাকার গুম-খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছ থেকে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেন।

তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাইনি। তবে শুনেছি, ৭টি গুম-খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য কমিশনের সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। আমরা তাদের সাথে ছিলাম, তবে কোন কোন ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না।


আরও খবর



সবজির দাম বাড়তি, সংকট সয়াবিনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের পর থেকে বাজারের প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কম-বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে, যা আগের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা বেশি। আগে ছিল ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। তবে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ ছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। আগের চেয়ে নির্ধারিত দাম না বাড়লেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে কারণে অনেকে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। শীতের অধিকাংশ সবজি শেষ হয়ে গেছে আর গ্রীষ্মের অনেক সবজি এখনো বাজারে কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে গিয়েও সবজির বাজার বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বেসরকারি চাকরি করা মো. বুলবুল জানান, ১০০ টাকা দরে আধা কেজি বরবটি ও করলা কিনেছেন তিনি। বলেন, ঈদের আগে সব সবজি ৬০ টাকার আশপাশে ছিল। ঈদের পরে দাম প্রায় ২০ টাকার মতো বেড়ে গেছে।

এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন, চাল ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে বাজারে আবারও সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা রাজীব আহসান বলেন, কোম্পানি তেল দেয় না। ঈদের পর থেকে অর্ডার নিচ্ছে না। যে কারণে ৫ টাকা বেশি দিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনি।

আরেক বিক্রেতা বলেন, আজ ঈদের পর প্রথম একটা কোম্পানি তেল দিয়ে গেছে। দুই লিটারের মাত্র তিন কাটন তেল। আর বলেছে, দাম বাড়ানোর আগে মাল দেবে না। নতুন রেট এলে তেল পাবেন।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫