Logo
শিরোনাম

একাত্তরে পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে ইমরানকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বিডি  ডিজিটাল ডেস্ক:



১৯৭১ সালের পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে ইমরান খানকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।


 তিনি বলেছেন, এ ইস্যুতে বেশিদূর কথাবার্তা চললে দেশের রাজনীতিতে উদ্বেগ উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।


কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া খান না কি শেখ মুজিবুর রহমান তা জানার জন্য প্রত্যেক পাকিস্তানির উচিত হামুদ উর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি পড়া।’


১৯৭১ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান খোয়ানোর পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার।


 এই কমিশনের মূল দায়িত্ব ছিল, কেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব সৃষ্টি হলো এবং এই যুদ্ধ হলো তার কারণ অনুসন্ধান করা।



হামুদ উর রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে আজ পর্যন্ত সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।


দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা জেলে রয়েছেন ইমরান খান। কারাগারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ নেই।


 তাই পোস্টটি তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। জানা গেছে, ইমরানের এক্স একাউন্টটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের সোশ্যাল মিডিয়া টিম।



জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধ পাকিস্তানের একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্র্যাজেডি এবং ইমরান খানও এ সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। 


কিন্তু তারপরও তিনি ইস্যুটি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’


‘ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ এবং আহ্বান থাকবে, তিনি যদি দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করতে না চান, তাহলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।’




আরও খবর



সোনারগাঁওয়ে অস্ত্রসহ এক যুবককে গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সোনারগাঁও প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অস্ত্রসহ আলী আকবর খান(৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত যুবক মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খানের ছেলে ।গ্রেফতারকৃত যুবক একজন মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল ছিলো এবং প্রায় সময় মাদকের টাকার জন্য তার বাবার ওপর নির্যাতন করতো বলে জানায় তার পরিবার।

শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাত পৌঁনে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় ঢাকাগামী লেনে গাড়ি তল্লাশিকালে একটি মোটরসাইকেলসহ পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ৮ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করে পুলিশ।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন"মহাসড়কে চেকপোস্ট করার সময় একটি মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করে ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করে পুলিশ।তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম শেষে শনিবার বিকেলে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। অধ্যাদেশ অনুসারে বিষয়টি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।

জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার যুক্তিসঙ্গতভাবে মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দরকার।

এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লিখিত অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহু মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং অন্যদেশে পলাতক তাদের নেতাসহ অন্য নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে যে, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

এ অবস্থায় সরকার মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।


আরও খবর



স্যানিটারি ন্যাপকিন এখনো বেশিরভাগ নারীর সামর্থ্যের বাইরে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

দেশে নারীদের মাত্র ১৭ দশমিক ৪ ভাগ স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। এর ফলে শুধু তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিই বৃদ্ধি পাচ্ছে না, অনেক কিশোরী শিক্ষা ও সামাজিক সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

এছাড়া অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে এবং সুগন্ধিযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের কারণে নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি সংক্রমণের হারও আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে নারীর শারীরিক সুরক্ষা ও মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে ‘ইনসিওরিং সেইফ মেন্সট্রুয়াল হাইজিন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ওজিএসবি এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড সেনোরা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অর্গানাইজেশন অব গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সভাপতি প্রফেসর ডা. ফারহানা দেওয়ান, দেশের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, ওজিএসবি-এর সদস্য এবং স্কয়ার গ্রুপের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, ক্যান্টার-এর ২০২৪ সালের হাউসহোল্ড পেনিট্রেশন ডেটা অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে মাত্র ১৭.৪% নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন।

আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে পিরিয়ডের সময় পুরনো কাপড়, তুলা কিংবা রাসায়নিক সুগন্ধিযুক্ত ভ্যাজাইনাল প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে ৯৭% নারী তাদের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময় সার্ভিকাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হন।

এছাড়া, দেশে ৬৮% কিশোরীর প্রথম পিরিয়ড শুরুর মাত্র চার বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়, যা তাদেরকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়। একইভাবে, ৪০% স্কুলছাত্রী মাসিকের সময় গড়ে তিনদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, যা তাদের শিক্ষাজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ৬০ লাখ নারী কর্মী পিরিয়ডের সময় গড়ে ছয় দিন কাজে অনুপস্থিত থাকেন, যা শুধু তাদের আর্থিক অবস্থার উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না, বরং শিল্পখাতের উৎপাদনশীলতাকেও ব্যাহত করে।

সেনোরা গত ৩০ বছর ধরে নারীদের জন্য ১০০% স্টেরিলাইজড, রাসায়নিক ও সুগন্ধিমুক্ত এবং বিভিন্ন মূল্যস্তরের স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করে আসছে, যা সকল আর্থ-সামাজিক শ্রেণির নারীর জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য। কেবল পণ্য বিতরণই নয়, মাসিক স্বাস্থ্যবিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্কুল, গার্মেন্টস কারখানা এবং শহরাঞ্চলে স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় যন্ত্র (ভেন্ডিং মেশিন) স্থাপনসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মালিক মোহাম্মদ সাঈদ উল্লেখ করেন যে সেনোরা ও ওজিএসবি-এর যৌথ লক্ষ্য হালো, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৬০% নারীকে নিরাপদ মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আনা। এই মহৎ উদ্যোগে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা একটি সুস্থ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক। সভার আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

ইমদাদুল হক বলেন, আজ থেকেই গ্রাহকেরা আগের ৫ এমবিপিএসের পরিবর্তে ১০ এমবিপিএস গতি উপভোগ করবেন, মাসিক মাত্র ৫০০ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, একই টাকায় শিগগির সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন ১ কোটি ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক।

এ সময় ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ ৫ টাকায় নামিয়ে আনা ও অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা। ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ কমানোর আশ্বাস দেন বেসরকারি ফাইবার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। তাই এই সেবার দাম আরও কমানো উচিত।

বাংলাদেশে আর কোনো দিন ইন্টারনেট বন্ধ হবে না জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউনের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা হলে তা হবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা। আইএসপিএবির সভাপতির বক্তব্যের পর এক বার্তায় এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে সাবমেরিন কেব্‌ল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশের গ্রাহকেরা আইটিসির মাধ্যমে যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেন, তা আসলে ইন্টারনেট নয়। এটি একধরনের এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট বলা যেতে পারে। ভারত থেকে কিনে আনছে মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস। অথচ আমরা কিনছি লাখ টাকায়। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস ও সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস। বিটিআরসি যদি এই সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তা হবে অন্যায় ও অযৌক্তিক।


আরও খবর



দেশে ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হতে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে বাংলাদেশে চলতি বছর নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমা ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাংকটি।বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেছে।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে কোনো মানুষের দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম হলে তাকে হত দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালে হতদরিদ্রের হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক জাতীয়ভাবে হিসাব করা দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি বছরে তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। বিশ্বব্যাংক বলেছে অর্থনৈতিক ধীর গতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া শ্রম বাজার পরিস্থিতি চলতি বছর দুর্বল থাকতে পারে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এর পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। নতুন পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে।


আরও খবর