Logo
শিরোনাম

একই দিনে ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ''বিআরটিএ'' এর কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে ও সেবা গ্রহীতা সহ সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ লাঘবে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁতেও একই দিনে ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম এর উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার সকাল সারে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ। 

নওগাঁর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক (এডি) হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে এসময় নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রে আব্দুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর মোটরযান ইন্সপেক্টর ফয়সাল হাসান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) বিকর্ন কুমার চৌধুরী, ডা. আশিষ কুমার সরকার সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বিআরটিএ এর উধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর মোটরযান ইন্সপেক্টর ফয়সাল হাসান জানান, একই দিনে ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি লাঘব হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন হওয়ার ফলে সেবা গ্রহীতাদের বার বার বিআরটিএ অফিসে এসে ধর্না দিতে হবে না। সেবা গ্রহীতারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে, ব্যাংকে সরকারী ফি জমা দিবেন এবং এক দিনই বিআরটিএ 

অফিসে আসবেন। ওই দিনই তার ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শেষ করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন। লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং ফিল্ড টেষ্টে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সেবা গ্রহীতার ড্রাইিভিং লাইসেন্স তৈরী হয়ে যাবে। ড্রাইিভিং লাইসেন্স তৈরী হয়ে গেলে সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে একটি মেসেজ যাবে সেবা গ্রহীতার মোবাইলে সেদিন এসে সেবা গ্রহীতা তার ড্রাইিভিং লাইসেন্স উত্তোলন করে নিয়ে যাবেন। আবার কেউ যদি মনে করেন সরকারী ফি প্রদানের মাধ্যমে বাড়ীতে বসে ড্রাইিভিং লাইসেন্স গ্রহন করবেন তাও সম্ভব। সেবা গ্রহীতা সরকারী ফি এবং তার বাড়ীর সঠিক ঠিকানা প্রদানের মাধ্যমে পোস্ট অফিসের সেবার মাধ্যমে বাড়ীতে বসেই লাইসেন্স গ্রহন করতে পারবেন। 

উদ্বোধনী দিনে নওগাঁয় পেশাদার ও অপেশাদার মিলিয়ে মোট ২২৫ জন সেবা গ্রহীতার ড্রাইিভিং লাইসেন্স এবং বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।


আরও খবর



ভোটের জন্য প্রস্তুত গাজীপুর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা মঙ্গলবার রাত থেকে শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম সিটির প্রায় ১২ লাখ ভোটার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইভিএম মেশিনে ভোট দেবেন। এখন সব ভোটারের অপেক্ষা ভোট উৎসবের জন্য।

নির্বাচনে আট মেয়র প্রার্থী, ২৪৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৭৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্য একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। প্রায় ৪০ লাখ নগরবাসীর সেবার জন্য কারা হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি, এটাই নির্ধারণ হবে ২৫ মের এ নির্বাচনে। অবশ্য এরই মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের দিকে শুধু নগরবাসী নয়, সারা দেশ এমনকি বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের মানুষ তাকিয়ে আছে। অবশ্য এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। প্রথমে মানুষের ধারণা ছিল নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। কিন্তু বিএনপি পরিবারের সন্তান এবং সাবেক মেয়রের মা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এ নির্বাচন পেয়েছে নতুন মাত্রা। অনেকের মতে, এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমারা প্রস্তুত। এরই মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। নির্বাচনে ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার বা ভিডিপি সদস্যসহ ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স সিটির প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে স্ট্রাইকিং ফোর্স একটি এবং মহানগরের আটটি থানায় একটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে টিমসহ র‌্যাবের ৩০টি টিম, পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন হিসেবে বিজিবির ১৩ প্লাটুন সদস্য এবং ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটগ্রহণের পূর্বের দুই দিন (মঙ্গলবার থেকে) ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন (২৭ মে) পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্তরা আসতে শুরু করেছেন গাজীপুরে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এবং আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ বিষয়ে জিএমপির জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার (২৪ মে) রাত ১২টা থেকে ২৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত যে কোনো ধরনের ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (২৩ মে) রাত ১২টা থেকে ২৬ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ২৩ মে ভোর ৬টা থেকে ২৭ মে রাত ১২ পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




শিক্ষার্থীদের মারপিট

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এর ১০ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ।

প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মারপিট ও রক্তাক্ত করার দিনই স্থানীয়দের মাধ্যমে মুঠোফোনে জানার পর সাথে সাথেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত জখম (নির্যাতন) এর সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশের পর নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান ঘটনাটি অবগত হয়ে মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার নির্দেশ দেন।


স্থানীয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে ১৪০ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ঘটনার দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলো ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তৃতীয় ঘন্টার গণিত ক্লাসে প্রধান শিক্ষক যাওয়ার পর পড়া না হওয়ায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে মারপিট করেন। মারপিটে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ভাবে ক্লাস ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানালে মারপিটে ক্ষতের দৃশ্য দেখে স্থানিয়রা মুঠোফোনে ঘটনাটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খবর পেয়ে সাথে সাথেই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান এবং ঘটনার সত্যতা দেখে আসেন। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশ পাওয়ার পর ঘটনার দিন সরেজমিনে বিদ্যালয়ের গিয়ে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের মুখে ঘটনার বর্ণনা দেখে-শুনে আসা এবং এক শিক্ষার্থীর দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের নির্দেশ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয়। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষত-বিক্ষত শরীর দেখে ও প্রধান শিক্ষকের কাছে জেনে সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষানীতি অনুসারে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইমেইলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ব্যস্ততার কারণে আমি এখনো সেটা দেখতে পারিনি। প্রতিবেদন দেখে তিনি যা রিপোর্ট দিয়েছেন সে মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



ভালো ঘুম না হলে করণীয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

কখনো কখনো মনে হতে পারে ঘুমানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ঘুম হচ্ছে না। এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক খবরে বলা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ফলে মস্তিষ্কে উঁকি মারতে পারি আমরা। মাথার খুলির ওপর ইলেকট্রোড মস্তিষ্কের তরঙ্গ নথিভুক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে পেশির টান, নড়াচড়া ও নিশ্বাস-প্রশ্বাসও রেকর্ড করা হয়।

একজন মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার প্রতি ১০০ মিনিট পরপর শুরুতে কম গভীর, এরপর গভীর এবং শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের ঘুমে আচ্ছন্ন হয়। প্রতি একরাতে এ রকম চক্রের কয়েকবার পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে।

ঘুম বিজ্ঞানী আলিনে লিপ্স বলেন, ভালো ঘুম ও খারাপ ঘুমের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার জন্য শেষে এক হিপনোগ্রাম বিশ্লেষণ করা হয়। এতে গুমের ধরণ সম্পর্কে জানা যায়। রাতে ঘুমের পর্যায়ের ধরনও শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে রাতে গভীর ঘুমের পর্যায় কতটুকু যথেষ্ট ছিল, সেটি স্পষ্ট বোঝা যায়। হালকা ঘুমের জন্য শরীর চাঙা হয়ে না উঠলে, এর কারণ সম্পর্কেও জানা যায়। আর রাতে যদি ভালো ঘুম না হয় তাহলে দিনে এর প্রভাব পড়ে।

কোলবালিশ: অধিকাংশ মানুষ পাশ ফিরে ঘুমাতে পছন্দ করেন। এ কারণে দুই হাঁটুতে ঘষা লাগে এবং পশ্চাৎদেশ কাত হয়ে থাকে। ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা দুই হাঁটুর মাঝে ছোট একটি বালিশ কিংবা কোল বালিশ রাখতে বলে থাকেন। এতে পশ্চাৎদেশের অবস্থান ঠিক থাকে এবং হাঁটুতে ঘষা লাগে না।

তোশকের অবস্থান পরিবর্তন করা: ভালো ঘুমের জন্য তোশকের অবস্থান ঠিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ঘুমানোর সময় তিন আঙুল পরিমাণ ব্যবধান থাকলে সেটি আরামদায়ক হয় না। এ কারণে প্রতি ছয় মাসে একবার করে তোশক উল্টানো উচিত। আবার ঘাড়ে বা শরীরে যদি কখনো ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে তোশক উল্টিয়ে দেয়া ভালো।

আকস্মিক শব্দ: রাতে ঘুমানোর সময় কিছু শব্দ ঘুমে বাধা হতে পারে। যেমন হঠাৎ রেলগাড়ি বা উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজানোর কিছু শব্দ। যদি এ শব্দ প্রতিদিন একই সময়ে হয়, তাহলে অনেকে অভ্যস্ত হয়ে যান এর সঙ্গে। হঠাৎ বিড়াল বা কুকুর ডেকে উঠলেও ঘুম ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড চালানো। যাতে করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়।

বাতি বন্ধ করা: রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি বন্ধ করা একটি জরুরি বিষয়। ঘুমের জন্য মেলাটোনিন হরমোনের প্রয়োজন হয়। তাই ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বাতি নিভিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি বন্ধ রাখা উচিত।

অতিরিক্ত খাওয়া: গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত খাওয়ার পরে কখনোই ভালো ঘুম হয় না। কারণ, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পাকস্থলী এতটাই ভরা থাকে যে, মস্তিষ্ক তখন দুঃস্বপ্নের জন্ম দিয়ে থাকে।


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




সুদান থেকে ফিরলেন ১৩৬ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় পৌঁছালেন ১৩৬ বাংলাদেশি। সোমবার (৮ মে) সকালে তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বাংলাদেশি বর্তমানে পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

রিয়াদের অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে রবিবার রাতে তারা জেদ্দা থেকে ঢাকা রওনা হন।

বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে ১৩৬ বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ তিনটি বিমানে জেদ্দা পৌঁছেছেন। দুপুরে দুটি বিমানে ৭০ জন, বিকেলে আরও একটি বিমানে ৬৫ জন বাংলাদেশি জেদ্দায় পৌঁছান।

এই ১৩৬ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী, ১১টি শিশু ও অন্তত ৮ জন অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন বলে কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




বাবা হওয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে কেন ?

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

সারা বিশ্বেই পুরুষদের মধ্যে আজকাল স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ হলো ভুলভাল জীবনযাত্রা। স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া মানেই তা পরিবার পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো।

ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, স্ট্রেসের কারণে সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে প্রতিদিনের কিছু ভুলের কারণে। বিশেষ কিছু অভ্যাস এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যেমন-

আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার পরা

আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। এই ভুল করবেন না। দিনে অন্তত ৯-১০ ঘণ্টা অন্তর্বাস ছাড়া থাকুন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালের রিপোর্ট বলছে, টাইট আন্ডারওয়্যার স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়।

কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা

নারী পুরুষ অনেকেই অফিস থেকে বাসায় ফিরে কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু পুরুষরা ভুলেও এই কাজটি করবেন না। কারণ কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করার ফলে তার থেকে যে তাপ উৎপাদন হয়, তা স্পার্মের স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা প্রদান করে।

অত্যাধিক ধূমপান

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চেইন স্মোকার তাদের স্পার্মকাউন্টেও অনেক সময় সমস্যা থাকে। কারণ নিকোটিন শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। সঙ্গে ধূমপানের ফলে শরীরের স্বাভাবিক ফলুইডের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে কমে স্পার্ম কাউন্টও।

মদ্যপান

ধূমপানের সঙ্গে কমাতে হবে মদ্যপানও। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই বাবা হতে চাইলে এই স্বভাবেও রাশ টানুন। ধূমপান আর মদ্যপান কিন্তু ক্যানাসারেরও কারণ।

অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল

শীতকালে অনেকেই অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। গরমেও অনেকে গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করেন। গবেষকরা বলছেন, এই অভ্যাস শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলে। তাই যাদের এই অভ্যাস আছে, তারা এখনই তা ত্যাগ করুন।

এর পাশাপাশি হেলদি ডায়েট ফলো করুন। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করুন। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন পরবর্তী জীবনে আর কোনো সমস্যাই আসছে না। জীবন হবে সুন্দর, সমৃদ্ধ।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3