Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

একসময়ের মূল্যবান জিনিস আজকের সময়ে এসে মূল্যহীন হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ০২ নভেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ঃ

মানুষের জীবনটাকে কতটা আমরা জানি। সবটাই কি অভিনয় নাকি সবটাই জীবন। একটা হাসিমুখ আমরা দেখি তবে সেই হাসিমুখের পিছনে মানুষের প্রতিদিনের জীবনের সাথে যুদ্ধটা কি আমরা দেখি। হয়তো দেখি না।

মানুষের সেটা দেখার মতো যে একটা মন থাকতে হয় সেটা তো আমাদের অনেক আগেই মরে গেছে। যেমন সময়ের সাথে অনেক কিছুই মরেছে। সময়ের সাথে লাল চিঠির বাক্সটা এখন আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। চিঠিটাও এখন ইতিহাস।

খট খট শব্দে  আঙুলের বেদনায় আহত টাইপ রাইটার আর নেই। যে মানুষটা  টাইপ রাইটার দিয়ে একদিন কালো অক্ষরের জাদুতে মাতিয়ে তুলতো মানুষকে সে মানুষটাও সময়ের সাথে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। কম্পিউটার মতো আধুনিক প্রযুক্তি এসে টাইপ রাইটারকে অপ্রচলিত পণ্যে পরিণত করেছে।  

আগে গ্রামে যাত্রাপালা হতো। কত মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল সে যাত্রাপালা। হায়, সেটাও তো আর নেই। একসময়ের মূল্যবান জিনিস আজকের সময়ে এসে মূল্যহীন হয়েছে। বায়োস্কোপ এখন আর চোখে পড়ে না। একটার পর একটা নির্বাক ছবি টেনে বায়োস্কোপওয়ালা আনন্দচিত্তে বলতেন, “এই বারেতে দেখা গেল, জরিনা সুন্দরী এলো। কোমরেতে বিছা ছিল, কানে তাহার দুল ছিল। আহা কি চমৎকার দেখা গেল। কি চমৎকার দেখা গেল, আরও কিছু রইয়া গেল, তারা জ্যোতি চইলা গেছে, দেখতে কত বাহার আছে, এইবারেতে দেখেন ভাল, আপন রাজা সামনে আছে। তীর-ধনুক হাতে আছে। ” মানুষকে আনন্দ দেবার সে মানুষটাও আর নেই।  

একসময়ের দুরন্ত সময় আজ কেবল বিবর্ণ স্মৃতি। সময়ের সাথে সাথে মানুষ প্রযুক্তির জাদুকরী শক্তিতে বদলেছে। কিন্তু মাটির গন্ধও হারিয়েছে। সে মাটির গন্ধে বেগ হয়তো ছিল না তারপরও আবেগ ছিল। মনে পড়ছে পুতুল নাচের কথা। মানুষের অদৃশ্য আঙুলের নিপুণ কারুকাজে বোবা পুতুলগুলো নাচতো। মানুষ যেভাবে চাইতো সেভাবে পুতুলগুলো আছাড়ি-বিছাড়ি করে নেচেছে। অদৃশ্য মানুষটা এখন আর নেই, যেমন নেই পুতুল নাচের সেই ফেলে আসা দিনগুলো। তবে পুতুল নাচ আমাদের জীবনবোধের সামনে এসে থমকে দাঁড়ায়। কখনো মনে হয় আমরাও যেন সেই পুতুলদের মতো নেচে চলেছি কোনো এক অদৃশ্য শক্তির আকর্ষণে। এমন করেই হয়তো শক্তির পিছনে শক্তি, তারও পিছনে শক্তি এ খেলায় মেতে উঠেছে। সবাই হয়তো তা জানে তবে বুঝতে পারে না।  

সার্কাসের রং মেখে সং সাজা জোকারটার মুখটা খুব বেশি মনে পড়ছে। একটা কৃত্রিম হাসি মুখে ধরে রেখে জীবন যন্ত্রনায় জ্বলে-পুড়ে ছাই হওয়া মানুষটার ভিতরের বোবা আর্তনাদ বুকটাকে এখন কেমন যেন বুলেটবিদ্ধ করে যায়। জীবনকে বাজি রেখে জোকার নামের মানুষটা মানুষের মনোরঞ্জনের উপাদান হলেও তার ভিতরের কান্নাকে কেউ কখনো বুঝেও বুঝেনি।

সাদাকালো সিনেমার সময় যে মানুষটার অভিনয় সিনেমাকে রঙিন করেছিল সে মানুষটার নাম চার্লি চ্যাপলিন। চার্লি চ্যাপলিন সেই মহান অভিনেতা যিনি বুকে কষ্ট চেপে দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। পরনে নাক সিটকানো কোট-টাই, ঢিলেঢালা  জরাজীর্ণ প্যান্ট, মাথায় কালো রঙের ডার্বি হ্যাট, হাতে একটি পাতলা ছড়ি, পায়ে এবড়ো  থেবড়ো এক জোড়া বুট এবং ঠোঁটের ঠিক উপরে খাটো  গোঁফ মানুষটার। নিজের জীবনকে টুকরো কাচের আয়নায় দেখে উপহাস করে তিনি বলেছেন “এমনকি একটি জেলীফিশের কাছেও জীবন অনেক সুন্দর ও দারুণ একটা জিনিস”। চার্লি চ্যাপলিন সব সময় বলতেন তার মা’ই তার অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। মায়ের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চার্লি চ্যাপলিন তাকে পরম যত্নে আগলে রেখেছিলেন; কোনো কষ্ট তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।  

অথচ তিনি আজীবন কষ্টকে ধারণ করে জীবনকে এগিয়ে নিয়েছেন। এখন তো সময় বদলেছে। মানুষ খুব কমার্শিয়াল হয়েছে। নিজের স্বার্থ নিয়ে যে মানুষরা প্রতিদিন একে অন্যের সাথে লড়ছে তারা কি মমতাময়ী মায়ের সেই ভালোবাসার মুখটা কখনো খুঁজেছে। না, তেমনটা ঠিক দেখছি না। মায়ের নাড়ি ছেঁড়া ধন সে নাড়ির টানকে গলা টিপে হত্যা করেছে। নিজে ক্রীতদাসের হাসি হেসেছে আর মায়ের হাসিকে বৃদ্ধাশ্রমের চার দেওয়ালে আটকে রেখে নিজের শেকড়কে লাথি মেরে ছুড়ে ফেলেছে পিচ ঢালা রাজপথে। সত্য মিথ্যার গল্পটা বার বার বলতে ইচ্ছে করে।  

আমরা যেটা হাসি সেটা সত্য না মিথ্যা। নাকি সেটা একটা নগ্ন রহস্য। ফেলে আসা পুরাতন কিছু। হয়তো একটা মানুষ, তার পিছনের মানুষ, তার সামনের মানুষ, তার ভিতরের মানুষ সবকটাই একটা মানুষ তবে  অভিন্ন মানুষ নয়। যেমন যে সত্যকে  আমরা দেখি তা  হয়তো সত্য নয়। যা দেখি না সেটাই সত্য। মানুষের বাইরের শরীরের চেয়ে যেমন ভিতরের হাড় দিয়ে গড়া কংকালটা সত্য। 

সত্য এমন আগুনে পোড়া নদীর মতো। জলীয় বাষ্পের মতো। মেঘে ঢাকা তারার মতো। যার গতিপথ জীবনের গতিপথকে হার মানায়।

সব কিছু মানুষের আজ কেমন করে যেন হারিয়ে গেছে। এক একটা মানুষ জীবন্ত লাশ হয়ে রাজপথের কোলাহলে নিজেদের অস্তিত্ব হারাচ্ছে। ঝুলন্ত বাদুড় হয়ে সত্য মিথ্যার পোশাক পড়ে মানুষের বিবেক বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন। তাও খুব চড়া দামে। তারপরও সব হারিয়েও জীবনবোধের বিশ্বাস তো কখনো হারাতে নেই। আবেগ তো কখনো হারাতে নেই। স্বপ্ন জয়ের হাসি তো কখনো হারাতে নেই। প্রতিদিন মানুষের মৃত্যুর খবর যেমন আসে তেমনি নবজাতকের ভূমিষ্ঠের খবরও আসে। সব পুরাতন পচে যায় না। নষ্ট হয়ে নষ্টের দড়িতে ঝুলে পড়ে না। যেমন সময়। যেমন সততা। যেমন মানবিক মূল্যবোধ। এমন আরও অনেক মূল্যহীন মানুষের বাজারের অনেক অদেখা মূল্যবান জিনিস। 

চলন্ত ট্রেনটা মানুষকে পিষে ফেলার আগেই মানুষ সেখান থেকে বেরিয়ে আসুক। সব মানুষ রক্ত মাংসের মানুষ হোক। যেমন মানুষ, মানুষ তেমনটাই থাকুক। সবটাই এক ঝাপটায় মানবিক নগর হয়ে উঠুক মানুষের অতৃপ্ত যন্ত্রনায়। সেটা চোখে না দেখে মন দিয়ে দেখাটাতেই আনন্দ। তার থেকে বেশি কিছু নয়।


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




রমজানে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস নামক একটি প্রতিষ্ঠান। ত্রাণ সহায়তায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ। রোজা উপলক্ষে প্রায় ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।

আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালান বৃহত্তম। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানির ত্রাণ এ চালানে যুক্ত হয়েছে।

আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে।


আরও খবর



অপহরণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কিশোরী উদ্ধার সহ অভিযুক্ত যুবক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

যুবক কর্তৃক ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরী কে অপহরণের মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত যুবক কে আটক করেছে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের চৌকস অভিযানিক দল। সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়,

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস অপারেশনাল দল শুক্রবার পূর্বরাতে অভিযান চালিয়ে 

ভিকটিম কিশোরী (১৪) কে উদ্ধার সহ অপহরণকারী মানিক হোসেন (২০) নামে যুবক কে আটক করা হয়। আটককৃত মানিক হোসেন হলেন, জয়পুরহাট জেলা সদরের খাসপাহুনন্দা এলাকার মামুনুর রশিদ এর ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়,

জয়পুরহাট জেলা সদরের ভিকটিম (১৪) বুধবার বিকেলে জয়পুরহাট সদর থানাধীন চকবরকত ইউনিয়ন এর খাস পাহুনন্দা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজা-খুজি করেও তাকে না পেয়ে  তার বাবা রবিউল ইসলাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সাধারণ ডায়েরী করার পর থেকেই র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল অপহরনকারী মানিক কে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অবশেষে মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই শুক্রবার পূর্বরাতে জয়পুরহাট জেলা সদর থানাধীন কাশিয়াবাড়ী এলাকা হতে ভিকটিম কিশোরী (১৪) কে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত অপহরণকারী মানিক কে আটক করতে সক্ষম হয়।

পরে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটককৃত যুবক কে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন র‌্যাব।


আরও খবর



শেহবাজ শরিফ আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শরিফ-জারদারি জোটের শেহবাজ শরিফ। ৩ মার্চ দেশটির জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে এই পদে নির্বাচিত হন তিনি। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন।

পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

ডন বলছে, পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট।

এরপর আয়াজ সাদিক শেহবাজকে সংসদ নেতার আসনে ডেকে নেন। নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই সংসদে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঘোষণার পর বড় ভাই নওয়াজকে জড়িয়ে ধরেন শেহবাজ।

এর আগে কয়েকদিনের টানা আলোচনার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানে সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছায় নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।

পরে দলীয়ভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য শেহবাজ শরিফকে মনোনয়ন দেয় পিএমএল-এন। পিএমএল-এন ছাড়াও শেহবাজের পেছনে পিপিপি, এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ, বিএপি, পিএমএল-জেড, আইপিপি এবং এনপির মোট ২০৫ সদস্যের সমর্থন ছিল বলে জানানো হয়েছিল।

এছাড়া পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে শেহবাজ শরিফের বিপরীতে ছিলেন পিটিআই-মনোনীত ওমর আইয়ুব খান। তিনি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে শেহবাজ শরিফের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আপত্তি জানালেও পরে তা খারিজ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে লাহোরে জন্ম নেওয়া শেহবাজ শরিফ পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা এবং তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। তিনি পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

রাজনীতি শুরুর পর উত্থান-পতনের ৩৪ বছরে এসে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার মাধ্যমে মিয়া মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফ ২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেবারই প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

এছাড়া পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মুশাররফ শরিফ ভাইদের সৌদি আরবে নির্বাসিত করার আগে ১৯৯৭-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ শরিফ। পরে আরও দুই দফায় ২০০৮-২০১৩ এবং ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্তও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শেহবাজ ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে জাতীয় পরিষদের আসনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি এবং এমএনএ নির্বাচিত হন। তবে ১৯৯৩ সালে তিনি আবারও প্রাদেশিক পরিষদের আসনে নির্বাচন করেন এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলে তার মেয়াদ শেষ হয়।

১৯৯৭ সালের নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর শেহবাজ পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশটির শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব পান। ১৯৯৯ সালে পারভেজ মুশাররফের সামরিক অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে পাঞ্জাব প্রদেশে পিএমএল-এন সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পায়। প্রায় এক দশকের নির্বাসন থেকে ফিরে সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেহবাজ দ্বিতীয়বারের মতো পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন।

২০০৮ সালে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের তিনটি আসন (পিপি-১৫৯, পিপি-১৬১ এবং পিপি-২৪৭) এবং জাতীয় পরিষদের একটি আসনে (এনএ-১২৯) জয় পান শেহবাজ শরিফ। তবে সব আসন ছেড়ে দিয়ে ১৫৯ নম্বর আসন ধরে রাখেন তিনি। শেহবাজের ৩৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাঞ্জাবে মেট্রো বাস প্রকল্প বাস্তবায়ন।

পাকিস্তানের মিয়া পরিবারের মিয়া মোহাম্মদ শরিফের দ্বিতীয় ছেলে শেহবাজ শরিফ। দেশটির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং ইত্তেফাক গ্রুপ অব কোম্পানির যৌথ মালিক ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৮৫ সালে লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

কাজপাগল হিসেবে পরিচিত শেহবাজ শরিফ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে নিজেকে খাদিম-ই-আলা (প্রধান কর্মচারী) বলতেই বেশি পছন্দ করতেন।

 


আরও খবর



মহানায়কের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ দেশে তার আগে, তার সময়ে এবং তার পরেও অনেকে রাজনীতি করলেও সবাইকে ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। অনুচ্চ আকৃতির মানুষের এই দেশে তিনি কাঁধে, মাথায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন, আক্ষরিক এবং গূঢ়উভয় অর্থেই।

বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর এবং বাচন-ভঙ্গিতে ছিল সম্মোহনী ক্ষমতা। জনসভা কিংবা কর্মিসভায় দেওয়া বক্তব্যে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের পেছনে ছিল তার বিশ্বাস এবং প্রত্যয়। পুরো বাঙালি জাতির কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হতো তার বক্তৃতায়। ওই বক্তৃতার যে ভাষা, তা ছিল সহজ, অনাবিল এবং দেশীয়।

বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা করতেন সাধারণ মানুষের ভাষায়। লোকজচিন্তা, প্রবাদ-প্রচলন, বাগধারা এবং গ্রামীণ কৌতুকের ব্যবহার করতেন। তার বক্তৃতায় কঠিন কোনো শব্দ কখনো শোনা যায়নি, তাত্ত্বিক কোনো বাতাবরণ তৈরির প্রয়াসও দেখা যায়নি। অথচ কত সহজভাবে কত বড় বড় তত্ত্বের তিনি নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে যেতেন।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্যারিশমাটিক নেতা। তার প্রবল ব্যক্তিত্ব, অসাধারণ বাগ্মিতা, অতুলনীয় কণ্ঠস্বরএ সবই ছিল ওই ক্যারিশমার উপাদান। বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথার পেছনে সততা ছিল। তার উচ্চারণ আর বিশ্বাসের মধ্যে কোনো ফাঁক ছিল না। তিনি সংগ্রামের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকতেন না। জীবনের ১৩টি বসন্ত তাকে জেলে কাটাতে হয়েছে।

বাঙালি জাতির ইতিহাসের নায়ক বঙ্গবন্ধু। এ ইতিহাসে তার স্থান চির অমলিন, অমোঘ। তিনিই ছিলেন বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের ঘটনার রূপকার, বাঙালির দুঃসময়ের কান্ডারি, ইতিহাসের মহানায়ক। ওই স্থানটি শুধু তারই জন্য তোলা। তাঁকে যতই ভুলে যাওয়ার, ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হোক; কিংবা তার জায়গায় বা তার ওপরে কাউকে বসিয়ে দেওয়ার কসরত করা হোক, তাতে লাভ কিছুই হবে না। কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা, গৌরব আর অহংকারের প্রতীক।


আরও খবর



মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটে মাদক সেবনরত অবস্থায় আদিতমারি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। 

সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে লালমনিরহাট শহরের কোর্ট বিল্ডিংয়ের দক্ষিন পার্শ্বে মডেল মসজিদ সংলগ্ন রেলের পরিত্যাক্ত ভবন থেকে মাদক সেবনরত অবস্থা তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আদিতমারি উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাসেল মাহফুজ ওরফে ডেন্টিস্ট (৩৮)। তালুক খুটামারা এলাকার মৃত অপুর আলীর ছেলে নুর ইসলাম (৩৬)। মডেল মসজিদ এলাকার মৃত হোসেন আহমেদের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৫২)। মদিনাপাড়া এলাকার মৃত ফজলার রহমানের ছেলে নুরে হাসান সিদ্দিক (৩২)। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, আসামীদের  পুলিশ আইনের ৩৪ (৬) ধারা মোতাবেক গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর