Logo
শিরোনাম

একটানা বৃষ্টিতে নাকাল রাজধানীবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে এখন খুলনা ও কয়রার দিকে অবস্থান করছে। 


ঘূর্ণিঝড়টির পুরো প্রভাব শেষ হতে আরও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার মধ্যরাত থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে এমন বৃষ্টি আরও ভোগান্তিতে ফেলেছে নগরবাসীকে।


সোমবার (২৭ মে) বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে অফিসগামী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 


পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ফুটপাতের দোকানিরাও সমস্যায় পড়েছেন। তারপরও এক ধরনের যুদ্ধ করেই গন্তব্য যেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।


এর ওপর রাস্তায় স্বাভাবিকের তুলনায় যানবাহন অনেকটা বেশি দেখা গেছে। ফলে বৃষ্টির মধ্যেই অনেক জায়গায় আরেক ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট।



রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে। বাড্ডা, বিজয় সরণী, শেওড়াপাড়া, জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, তালতলা, মগবাজার ও খিলক্ষেতসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে অফিসগামী মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।


সড়কে চলাচলরত অনেকের ছাতা থাকলেও শরীরের নিচের ও পেছনের অংশ ভিজে একাকার হয়ে গেছে। কারও পুরো শরীর ভিজে একাকার। অনেকেই কাকভেজা শরীরেই চলছেন অফিস কিংবা গন্তব্যে।


এদিকে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যান যাত্রীরা। তবে সকাল ১০টা ৮ মিনিটে চলাচল ফের শুরু হয়েছে।


আরও খবর



জরিপে এগিয়ে বিএনপি, জামায়াতের পরে তরুণদের দল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

এখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি সর্বোচ্চ ৪১.৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের জরিপে উঠে এসেছে।

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, জরিপ কাজে সহযোগিতা করেছে ব্রেন (BRAIN) এবং মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফর্ম ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’। চলতি বছরে সারাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৯৬ জন এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, এখনই ভোট হলে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী পাবে ৩১.৬ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে আওয়ামী লীগ ১৩.৯ শতাংশ। আর ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ৫.১ শতাংশ ভোট।

এ ছাড়া, জরিপের ফল অনুযায়ী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২.৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১ শতাংশ, গণঅধিকার পরিষদ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, গণসংগতি আন্দোলন শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং অন্যান্য দল ৩.৩ শতাংশ ভোট পাবে।

জরিপের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেনারেশন এক্স ও বুমার প্রজন্মের ৪৭ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ৩৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দলটি জেনারেশন জি-এর ৩৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল দল হিসেবে পরিচিত হলেও জামায়াত তরুণদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জরিপ থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, গ্রাম ও শহরের ভোটারদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের জনপ্রিয়তায় কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপি গ্রামাঞ্চলে ৪২ শতাংশ এবং শহরে ৪০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। অন্যদিকে, জামায়াত গ্রামে ৩২ শতাংশ ও শহরে ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির সমর্থন পুরুষ ও নারীদের মধ্যে প্রায় সমান। দলটি পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ এবং নারী ভোটারদের মধ্যে ৪১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। তবে, জামায়াতে ইসলামী পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয়, যেখানে দলটি ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ নারী ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

জরিপের অংশ নেওয়া ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোটার ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চান। তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার জুনের মধ্যে এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে। ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আর ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

কাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি যে তারা কাকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বলছেন যে তারা প্রার্থী সম্পর্কে জানার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এক্ষেত্রে নারী ভোটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বেশি (৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ স্পিকসর প্রধান মো. রুবাইয়াৎ সারওয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনোভিশন কনসালটিং বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী শাহেদ এইচ ফেরদৌস, ইনোভিশনের প্র্যাকটিস এরিয়া লিড আবদুর রব ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর।


আরও খবর



ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে দেশের ব্যাংকখাতে। এতে দীর্ঘদিন ধরেই আস্থা সংকটে ভুগছিল ব্যাংকগুলো। তবে সম্প্রতি আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে। টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দেওয়া দিয়েছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি কম। সরকার পতনের মাস অগাস্টে দেশে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতেও ব্যাংক আমানতে ৯.৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝে কিছুটা কমে তা আবারও বাড়ছে যা ইতিবাচক।


আরও খবর



ঢাকা শহরের যানজটের সমাধানের আর কোন আশা আমি দেখি না

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ড. কাজী সাইফুন নেওয়াজ, যোগাযোগ বিশ্লেষক :

আমরা শুধু শুধু ট্রাফিক পুলিশের উপর একটা পাহাড় ঠেলে সরানোর কাজ দিচ্ছি যে পাহাড়ের উপরে আমারাই ক্রমাগত পাথর বোঝাই করে ওজন বাড়াচ্ছি...  

১) ব্যাটারি রিক্সা আর প্যাডেল রিক্সা যেভাবে এবনারমালি আমরা বাড়াচ্ছি তা আমাদের জন্য অভিশাপ হবে। না পারব সরাতে না পরব রাখতে...। এরা অগণিত...।  যে কোন ইন্টারসেকশনের সিগ্ন্যালে ৮০% তারা। এরা না দিচ্ছে ট্যাক্স বরং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এ আমার উপর বিলের বোঝা চাপাচ্ছে। এরা নিয়ম মানেও না। হুটকরে উল্টা পথে চলে যায়, আর আমি লজ্জায় থাকি। এদের নিয়ন্ত্রণ করেন , না হলে দয়া করে আপনারা চলাচলের সময় প্রটোকল দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে চলে না গিয়ে আমাদের মত চলেন... আপনাদের জীবন/সময়ের দাম আছে তেমন আমাদের ও আছে...। নিজে উপলব্ধি করলে বুঝবেন যানজট কতটা ক্ষতিকর একটা মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এর উপর...। 


২) বাস রুট ফ্রাঞ্চাইসি হলে তখন অনেকের অনেক হিসাব-নিকাশ বন্ধ হয়ে যাবে... তাই ক্রমাগত চেষ্টা হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইসি বন্ধ করার। যখন DTCA , এ বিষয়ে তোড়জোড় করে কাজ শুরু করছিল তখন একপক্ষ নিয়ে আসল "গোলাপি কালার বাস"... একই জিনিস শুধু নাম বদল... । সিস্টেম এর কোন চেঞ্জ নাই।  কারন সিস্টেম ভালো হলে যাত্রীদের লাভ কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের লস ... । এটা আপনারা জানেন কিন্তু করেন না কারন শেষ কবে আপনি বা আপনার পরিবার বাসে চড়ছেন সেটা আপনি ভুলে গেছেন...।

আজ বিকাল ৫ টা নাগাদ পলাশী মোড়ে মোটরসাইকেল ( বর্তমান সময়ের ক্রেজ ব্র্যান্ডের) কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল ব্যাটারি রিক্সা... ২ জনেই টান দিলে থামাতে চায় না , থামায় না...  এই ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে, আরও বাড়বে...। আপনারা ধাক্কা খান না, কারন আপনারা যে রাস্তায় চলেন সে রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হয়,... আর যারা ফাঁকা করে দেয় আর যারা আপনাদের চলে যাওয়া দেখে তারা ধাক্কা খায়... আর ট্রাফিক পুলিশকে গালি দেয়। অথচ আমরা পাহাড় কে পর্বত বানাচ্ছি ক্রমাগত। যতটুকু ছিল তার চাইতে ভালো করতে না পারেন কিন্তু খারাপ কইরা দিয়ে যাইয়েন না। দেশেই থাকতে হবে আমাদের। আপনাদের মত সবার পরিবার আছে, সবার ছেলে-মেয়েই চায় তাদের বাবা একটু আগে বাসায় ফিরে আসুক...।  

কিছু একটা করেন আপনারা, এভাবে চলতে পারে না... এভাবে চলতে পারে না।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১৪'ই মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মিরকাদিম পৌরসভার দরগাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত সানাই কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী মুশফিক শিহাবের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়ার মাহফিলের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল (প্রকৌশলী)।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলায় কর্তব্যরত প্রায় ৭০টি সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের প্রায় পাঁচশতাধিক নেতৃবৃন্দ।


এসময় বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিকে  ফুল দিয়ে বরণ করেন বিডি ক্লিন বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা ও বিক্রমপুর রক্তদান সংস্থার সভাপতি মানবিক নেতা এড. মাহামুদ হাসান। এছাড়াও বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মাননা স্মারক দিয়ে মানবিক কাজে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি রুবেল মাদবর

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি প্রকৌশলী সাইফুল বিন বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আব্দুল বারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজন হায়দার জনি, মুন্সীগঞ্জ জেলা সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাহাঙ্গীর ঢালী, ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক শফিউল্লাহ্ শিকদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম শাওন শিকদার, মুন্সীগঞ্জ রক্তদান সংস্থার সভাপতি রায়হান রাব্বি, জাতীয় নাগরিক পার্টির গজারিয়া উপজেলার শাখার সংগঠক প্রকৌশলী নূর আলম হোসেন।

ইফতার পূর্বে মুসলিম উম্মাহ্ শান্তির কামনায় দোয়া করেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি আবু সাঈদ ভূঁইয়া।

এছাড়াও অনান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহাম্মেদ পরাগ সহ কেন্দ্রীয় ও তৃনমূল কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।


আরও খবর



ঝলকাঠিতে ভুয়া পরিচয়ে দুটি খেয়াঘাটের ইজারা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি শহরের রোনালছে রোড (পৌরসভা) খেয়াঘাট ও স্টিমার ঘাট খেয়া পারাপারের ভুয়া পরিচয়ে ইজারা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইজারা পাওয়া আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভা ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিচয়ে ইজারাদাতা ঝালকাঠি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যয়য়নপ‌এ জমা দিয়েছে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে ইজারা পাওয়ায় পেশাদার মাঝি-মাল্লা (পার্টনিদের) মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রকৃত পার্টনিরা ভুয়া পরিচয়দানকারীর ইজারা পরিবর্তন করে বিধি অনুযায়ী খেয়াঘাটের ইজারা দেয়া দাবী জানিয়েছেন। নয়তো তারা উচ্চ আদালদের "স্বরণাপন্ন হবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, ঝালকাঠি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পূরাতন কলেজ, রোনালছে বোড খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট), স্টিমার খেয়াঘাট ইজারা আহ্বান করেন। ইজারা নোটিশ অনুযায়ী বেশ কিছু লোকজন টেন্ডারে অংশ নেয়। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ইজারাদার ঘোষণা করা হয়। রোনালছে রোড  খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট) এবং স্টিমারঘাট খেয়াঘাট ইজারাদার হিসেবে আব্বাস আলীর নাম ঘোষণা করা হয়। আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পুরাতন কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা হিসেবে এক বছর আগের দেয়া পৌর কাউন্সিলর হুমাউন কবীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দেন । আবার সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউপি সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন শরীফ স্বাক্ষরিত কিস্তাকাঠী এলাকার বাসিন্দা হিসেবে প্রত্যয়নপত্র জমা দেন আব্বাস আলী। ওই প্রত্যয়নপত্রের কোনোটাতেই দুজন জনপ্রতিনিধির একক স্বাক্ষরের বাইরে আরো স্বাক্ষর নেই। দু'স্থানের বাসিন্দা, দুজনের কাছ থেকেই খেয়াঘাটের মাঝি হিসেবে একই ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এ দোদুল্যমান অবস্থা কাটাতে হালনাগাদ প্রত্যয়নপত্র পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক কুমার সমদ্দার জানান, আমরা দরপত্র বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্ণয় করেছি। এখনও কারো নাম চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি। সব কাগজগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চুড়ান্ত ইজারাদারের নাম ঘোষণা করা হবে।


আরও খবর