Logo
শিরোনাম

এমি জাদুতে সেমিফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

 


সদরুল আইন:


শেষ চারে ওঠার মিশনে নিশ্চিতভাবে ফেভারিট আর্জেন্টিনা। ধারে-ভারে তো বটেই চলমান ছন্দে রীতিমতো উড়ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। 



কিন্তু সেই ইকুয়েডরের বিপক্ষেই এমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে কে জানতো! আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জমে ওঠে আর্জেন্টিনার লড়াই। ম্যাচের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।



 সেখানেও লিওনেল মেসির গোল মিস হতাশায় ডোবায় আর্জেন্টিনাকে। তবে বাকিদের সফল স্পট কিক ও এমি মার্টিনেজের জাদুকরি হাতের ছোঁয়ায় টাইব্রেকার পরীক্ষায় উতরে যায় আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে লিওনেল স্কালোনির দল।  



হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে শেষ করে আর্জেন্টিনা। এরপর টাইব্রেকারে গিয়ে জয় পায় ৪-২ গোলের ব্যবধানে।  



এদিন ইকুয়েডরের বিপক্ষে শুরুতে যেন চেনাই যায়নি আর্জেন্টিনাকে। বরং আক্রমণে ভীতি ছড়িয়ে প্রথম ১৯ মিনিট আর্জেন্টিনার রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় ইকুয়েডর। এনার ভ্যালেন্সিয়া, কেইসোডো এবং ১৭ বছরের তরুণ কেন্ড্রি পায়েজ মিলে পরীক্ষা নেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। প্রথম ১০থেকে ১৯তম মিনিটে বলা চলে এক চেটিয়া আধিপত্য চলে ইকুয়েডরের।  



বিরতির আগে আর্জেন্টিনা ৬৪ভাগ সময় বল দখলে রাখলেও প্রথম আক্রমণটা করে ইকুয়েডর। ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে যায় তারা। তবে, সারমিনতোর নেওয়া কঠিন শট ফিরিয়ে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন এমি মার্টিনেজ। 


পরের মিনিটের মাথায় আবারও ইকুয়েডরের আক্রমণ। এবারের শটটি যায় বারের উপর দিয়ে। সময়ের সাথে আর্জেন্টিনাও ফেরে আপন ছন্দে। ২৬তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। তবে, এঞ্জোর মার্টিনেজ সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন। কিছুক্ষণ বাদে ফের একবার সুযোগ মিস হয় এঞ্জোর। 


পর পর দুবার সুযোগ হাতছাড়া করা আর্জেন্টিনা উৎসবের উপলক্ষ্য পেয়ে যায় দ্রুতই। ৩৫তম মিনিটে সেই উৎসব এনে দেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। লিওনেল মেসির কর্নার কিক থেকে পাওয়া বল ডি ব্ক্স থেকে লেসান্দ্রোকে বাড়িয়ে দেন অ্যালিস্টার। লেসান্দ্রো আর মিস করেননি। দারুণ হেডে স্কোরশিটে নাম বসান লেসান্দ্রো। 



এগিয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েক দফায় আক্রমণ চালিয়েও আর জালের দেখা পায়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। উল্টো বিরতির পর  ৫৪তম মিনিটে গোল খেতে বসে আর্জেন্টিনা। এমির হাত আরেকবার রক্ষা করে তাদের। ইকুয়েডরের বড় সুযোগটা আসে ৬০তম মিনিটে।



 প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা। কিন্তু এনার ভ্যালেন্সিয়ার ব্যর্থ পেনাল্টি কিকে হতাশায় ডোবে ইকুয়েডর। 



চোট কাটিয়ে ফেরা মেসিকেও দেখা যায়নি চেনা ছন্দে। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে নিজের প্রথম সুযোগটি পান মায়ামি তারকা। প্রতিপক্ষের ডি বক্স থেকে দারুণ শট নেন বিশ্বসেরা ফুটবলার। তবে ভ্যালেন্সিয়ার গোলকিপার বল ঠেকিয়ে দিয়ে মেসিকে রাখেন গোলহীন। 



বাকি সময়ে কয়েক দফায় আক্রমণে গিয়েও কেউই নাম লেখাতে পারেননি স্কোরশিটে। ফলে শুরুর ব্যবধান ধরে রেখেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পথে হাঁটে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। 



কিন্তু যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই আর্জেন্টিনাকে স্তব্ধ করে গোল আদায় করে নেয় ইকুয়েডর। ফলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।



আরও খবর



একমত না হওয়া বিষয়গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন,রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের আলোচনায় অনেক বিষয়েই ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তবে একমত না হওয়া বিষয়গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সনদ প্রতিষ্ঠা করা।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের আলোচনায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ প্রায় ৬ মাস হয়ে গেল। এই সময়ে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি, আবার কিছু বিষয়ে একমত হইনি।

সংস্কারের অসীম সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,এই সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে। মানুষের ত্যাগের প্রতি দায় ও দায়িত্বের জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য গঠনে শুধু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক যথেষ্ঠ নয়। এর জন্য নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ ব্যতীত সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির সুযোগ নেই। ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারা বিষয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তর আলোচনা হবে বলেও জানান আলী রীয়াজ। 


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠছে মধ্যরাতে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আজ বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সারা দেশে মাছের জোগান অনেকটাই কমে গেছে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।


আরও খবর



নির্বাচন সুষ্ঠু করাই এখন লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন লক্ষ্য বকলে জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই অধ্যাপক ইউনূসকে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংকটপূর্ণ এক মুহূর্তে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কথা বলেছেন বিভিন্নভাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। অতীতের ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, এটাই এখন লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আজকে এই দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং সেই হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই বৈঠক নিয়ে গোটা জাতি উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমি তো আগেই বলেছিলাম, এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। সত্যিকার অর্থেই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটিকে ভেঙে নতুন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার সময় এখন এসেছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি এবং সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (তারেক রহমান) আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত সব জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকের

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সিনেমাপ্রেমীদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে প্রতি বছর চমৎকার গল্প নিয়ে হাজির হন নির্মাতারা। ঈদে চলচ্চিত্র মুক্তি দিতে তাদের দৌড়ঝাঁপ থাকে তুঙ্গে। এবারের কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছয়টি সিনেমা। এর মধ্যে দেশব্যাপী একাই রাজত্ব করছে শাকিব খানের তাণ্ডব। ঈদে রেকর্ডসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। দেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তাণ্ডব। মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমা হলে তাণ্ডবেরই দর্শক বেশি লক্ষ করা যায়।

ট্রিজার, ট্রেলার রিলিজ হওয়ার পর থেকেই তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ঈদের দিন সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দেখা গেল সে নিদর্শন। সিনেমাপ্রিয় দর্শকরা বলছেন তাণ্ডব সিনেমা দেখে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন শাকিব খানের এর আগের সিনেমা তুফান কিংবা বরবাদকেও ছাড়িয়েছে তাণ্ডব

বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে তাণ্ডব দেখে বের হওয়া এ দর্শক বলেন, সিনেমাটি এত ভালো লাগবে ভাবিনি। তাণ্ডবের পরতে পরতে চমক ছিল। বিশেষ করে শেষের ১০ মিনিট খুব ভালো লেগেছে।

রায়হান রাফীর নির্মাণের প্রশংসা করছেন অনেক দর্শক। তারা বলছেন, রাফীর নির্মাণ অসাধারণ। বাংলা সিনেমায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন রায়হান রাফী। একের পর এক ভালো সিনেমা উপহার দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন রায়হান রাফী। তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে সিনেপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য সিনেমার তুলনায় সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে তাণ্ডব সিনেমার। তাণ্ডবে শাকিব খানের বিপরীতে এবারই প্রথম বড় পর্দায় পা রাখলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। শাকিব খান ও সাবিলা জুটিকে প্রথমবার পর্দায় দেখতে হলে এসেছেন অনেক দর্শক।

রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, অন্য সিনেমার তুলনায় শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকদের। তবে কম বেশি অন্য সিনেমাগুলোও দেখছে দর্শক। তাণ্ডবের পর এবারের ঈদে দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ইনসাফ। সিনেমাটি দেখে দর্শকরা রাজ ও তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। প্রশংসা করছেন তাদের অভিনীত আকাশেতে লক্ষ তারা গানের। এক দর্শক বলেন, শুধু আকাশেতে লক্ষ তারা এ গানের কারণেই সিনেমাটি দেখতে এসেছি।

তানিম নূরের উৎসব সিনেমাটি দেখতেও দর্শক পরিবার নিয়ে হলে আসছেন। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

এছাড়া এবারের ঈদে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে এশা মার্ডার: কর্মফল৷। সিনেমাটিও দেখছেন অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার পক্ষ থেকে এখনো হল লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি টগর সিনেমার। জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমার পাশাপাশি ঢাকার আজাদ সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি। স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় দেখা যাচ্ছে নীলচক্র। দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরেছেন আরিফিন শুভ। শুভ ভক্তরাও প্রশংসা করছেন তার অভিনীত নীলচক্র সিনেমার।


আরও খবর



ইরানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতায় লিপ্ত মুসলিম দেশগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিজেদের আকাশসীমায় ভূপাতিত করছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ জর্ডান। এছাড়াও ইরানের হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্র যখন ইরানের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে জর্ডান কেন এর বিপরীত।

প্রকৃতপক্ষে, জর্ডানের জনসংখ্যার ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত, যার মধ্যে দেশটির রানী রানিয়াও রয়েছেন- যিনি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের স্পষ্ট বিরোধী ছিলেন। তবুও বেশিরভাগ আরব দেশের বিপরীতে, জর্ডান ঠিক বিপরীতভাবে কাজ করছে। জর্ডানের বিমান বাহিনী তাদের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে অভিমুখে আসা ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিচ্ছে এবং গুলি করে ভূপাতিত করছে বলে জানা গেছে।

জর্ডান প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র। ২০২১ সালের শুরুতে জর্ডান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সামরিক প্রশিক্ষণ, অনুশীলন কৌশল এবং ট্রানজিটের মতো বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য মার্কিন সামরিক কর্মীদের জন্য জর্ডানে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে এতে জর্ডানের যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কোনো সামরিক অভিযানে সহায়তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

অন্যদিকে ১৯৯৪ সালের ইসরায়েলের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করে জর্ডান, তবে দুটি দেশের মধ্যে একে অপরকে সামরিকভাবে সমর্থন করার কথা উল্লেখ নেই।

মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার ক্ষেত্রে জর্ডানের সিদ্ধান্তের পিছনে অন্যান্য কারণও রয়েছে। কিছু ড্রোন, অথবা ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েলের ওপর না পড়ে জর্ডানের ভূখণ্ডে পড়েতে পারে। আম্মানের যুক্তি তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করার চাইতে ইরানের ভুলভাবে ছোড়া ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে নিজস্ব ভূখণ্ডকে রক্ষা করছে।

জর্ডানের সেনাবাহিনী বলছে, তারা মূল্যায়ন করেছে ইরানের ছোড়া কোন ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে পারে এবং কোনগুলো জর্ডানে অবতরণ করতে পারে।

তবে ইরানের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় জর্ডানের অংশগ্রহণের কারণ যাই হোক না কেন, তা ইসরায়েল এবং তার বন্ধুদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টাকে সাহায্য করেছে- যার ফলে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া বোশর ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য, ইসরায়েল জর্ডানের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।


আরও খবর