Logo
শিরোনাম

এমপি আনার হত্যা : সিয়ামকে নিয়ে অভিযান

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিআইডি। এ অভিযানে হাড় উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, রবিবার সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড় এলাকায় গিয়ে বাগজোলা খালে নামেন সিআইডি কর্মকর্তারা। সেখান থেকেই হাড় উদ্ধার করা হয়। তবে, সেই হাড় এমপি আনারের কি না, তা স্পষ্ট নয়। ফরেনসিক পরীক্ষায় তা জানা যাবে।

এর আগে, শনিবার সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ড দেন কলকাতার বারাসাতের আদালত। এরপর রবিবার সকালে তাকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে কলকাতা পুলিশ।

গত শুক্রবার আনার হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নেপালে আটক সিয়াম হোসেনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে যে বা যারাই জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে সিয়ামকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতে যাবে ডিবি।


আরও খবর



অনলাইনে রিটার্ন দাখিল ১৫ লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১৫ লাখ অতিক্রম করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ১৯ লাখ অতিক্রম করেছে। www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত তাদের ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিলপূর্বক রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।

একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। এই বিষয়ে কল সেন্টার ও ই-মেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর সনদ প্রাপ্তিতে অনলাইন সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করছে বলেও জানান মো. আল আমিন।


আরও খবর



মবে জড়িতদের সতর্ক করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে বেশ কিছুদিন ধরে মব তৈরি (সংঘবদ্ধ জনতার নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া) করে লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি মব তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মারধরের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত ১২ জন আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) জনতা মব সৃষ্টিকারী দু'জনকে তৎক্ষণিক পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করেন।

গত শনিবার (০১ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পতেঙ্গা সি-বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্থা সহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত। এছাড়াও তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত।

জনগণকে সতর্ক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে সবাইকে সতর্ক করছে যে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।


আরও খবর



সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিনের আমল (মাগফিরাতের ১০ দিন)

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

১. তওবা ও ইস্তিগফার বৃদ্ধি করা

রমজানের দ্বিতীয় দশক হলো মাগফিরাত বা আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিশেষ সময়। এই সময়ে আমাদের উচিত আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তাঁর দরবারে প্রার্থনা করা।

তওবা করার পদ্ধতি:

প্রথমে নিজের কৃত গুনাহ সম্পর্কে অনুতপ্ত হওয়া

সত্যিকারের মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

ভবিষ্যতে ওই গুনাহ পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা

যদি গুনাহের কারণে কারো প্রতি অন্যায় করা হয়ে থাকে, তবে তাকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া বা তার হক ফিরিয়ে দেওয়া

ইস্তিগফারের দোয়া-

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’আফু ‘আন্নি।

অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করো।


অন্য একটি ইস্তিগফারের দোয়া-

أستغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বত্র বিরাজমান। আমি তাঁর দিকে ফিরে আসছি।


২. তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা-

তাহাজ্জুদ নামাজ হলো রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ। এটি আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়। বিশেষত রমজানের দ্বিতীয় দশকে এই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কারণ এটি গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের অন্যতম মাধ্যম।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন— ‍‍`কে আছো আমাকে ডাকবে, আমি তার দোয়া কবুল করবো? কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো?’ (বুখারি, মুসলিম)


৩. কুরআন তিলাওয়াত বৃদ্ধি করা

রমজান হলো কুরআন নাজিলের মাস। তাই এই মাসে আমাদের বেশি বেশি কুরআন পড়া উচিত, অর্থ বুঝে পড়া উচিত এবং কুরআনের শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা উচিত।

কুরআন তিলাওয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক-

প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা বোঝার চেষ্টা করা

কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠনের চেষ্টা করা

তিলাওয়াতের পর কুরআনের দোয়া ও জিকির করা


উত্তম আমল-

প্রতিদিন অন্তত এক পারা কুরআন তিলাওয়াত করা

কুরআনের ছোট ছোট সূরা মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তোলা


৪. দোয়া ও জিকির করা-

রমজানের দ্বিতীয় দশক দোয়া ও জিকিরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এটি মাগফিরাতের সময়, তাই এই সময় বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিকির-

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

লা হাওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

৫. দান-সদকা বৃদ্ধি করা-

দান-সদকা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—

দান-সদকা গুনাহগুলোকে এমনভাবে দূর করে দেয়, যেভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয়। (তিরমিজি)


৬. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা-

শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকলেই রোজা পূর্ণ হয় না। বরং চোখ, কান, মুখ, হাত-পা সবকিছুকে সংযত রাখতে হবে।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও সে অনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো দরকার নেই। (বুখারি)


৭. শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া-

রমজানের শেষ দশকের মধ্যে লাইলাতুল কদর (শবে কদর) রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। তাই দ্বিতীয় দশক থেকেই শবে কদরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

রাতের ইবাদতের পরিমাণ বৃদ্ধি করা

আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আরও বেশি ইবাদত করা

শেষ দশকের জন্য একটি ইবাদতের রুটিন ঠিক করে রাখা

রমজানের দ্বিতীয় দশক আমাদের জন্য ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। এই সময়ে আমাদের উচিত গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশি করে দোয়া করা, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং দান-সদকা করা। আল্লাহ যেন আমাদের এই রমজান কবুল করেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন। আমিন!


আরও খবর



প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করে  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে বেড়েছে ধর্ষণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মানসম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বাদ পড়ছে না একরত্তি শিশুও।

সমাজের অস্থিরতার এই সময়ের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা -এ কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে পিটিয়ে আহত ও ধর্ষণ করা হয়। ওই নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর ওই নির্যাতন চালিয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেছেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে।

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃতিতে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক বিহব্বল পরিবার, নিকটজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর