Logo
শিরোনাম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দুঃসংবাদ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস বাংলা:



অবসরের ছয় মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবসরভাতা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।



 তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব সমাধানে সরকার আন্তরিক রয়েছে।



গতকাল বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।



স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থ সংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে।


অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা বিবেচনায় ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অনুকূলে ৩০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।


তাই এখন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ সব শিক্ষকদের অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসরভাতা দেয়া সম্ভব নয়।


এদিকে, ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৮৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।


আরেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত মাদরাসা ৮ হাজার ৩১৪টি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত মাদরাসা ১৬ হাজার ১৭৯টি, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা ৬ হাজার ৮৮৯টি, দাখিল ও আলিম মাদরাসা ৯ হাজার ২৯০টি, এমপিওভুক্ত দাখিল মাদরাসা ৮ হাজার ২২৯টি এবং এমপিওভুক্ত আলিম মাদরাসা ৮৫টি।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




দাবানলে পুড়ে যেতে পারে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টো দাবানলের আগুনে নতুন নতুন এলাকা পুড়ছে। এর মধ্যে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাসে দেওয়ায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসে আরও তীব্র বাতাসের প্রভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং এর আশপাশে এখনও জ্বলন্ত ভয়াবহ দাবানল আরও তীব্র হতে পারে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্যালিসেডস এবং ইটনের প্রধান দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হচ্ছে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টির ফায়ার প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন বাসিন্দাদের যেকোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন যে এই দাবানল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

ঝড়ো বাতাসের হুমকির মুখে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা, যা সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ জারি করা হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র বলেছেন,ঝড়ো বাতাস ফিরে আসার আগেই জরুরি সব প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কর্মীরা পুরোপুরি ভাল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ৯২ হাজারের বেশি মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮৯ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা।

ঝড়ো বাতাসের কারণে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়লে তা বিপর্যয়কর হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে গোটা লস এঞ্জেলসই দাবানলের হুমকির মুখে পড়েছে।

পাসাডেনার দমকল বিভাগের প্রধান চাদ অগাস্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা হয়ত আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছি। কারণ মঙ্গলবার বাতাসের গতি সর্বোচ্চ হতে পারে।’

এরই মধ্যে আগুনে সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউসম এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্থনি বলেন, ফিরে আসার পূর্বাভাস থাকা ঝড়ো বাতাসে আর্দ্রতা খুবই কম থাকায় লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে অনেক বেশি।

লস এঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি আগুন নেভানোর কাজে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের আরও সদস্য চেয়েছেন। চারশ’সদস্য এর মধ্যেই কাজ করছে।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় কারফিউ বলবৎ আছে বলে কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে জানানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন উইলিয়ামস কারফিউ পালনের জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উইলিয়ামসন আরও বলেন, পুলিশ কারফিউ ‘কঠোরভাবে প্রয়োগ’ করছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের এক হাজার ডলার জরিমানা অথবা জেল হতে পারে।


আরও খবর

ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫




নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা আরো বাড়বে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা আরো বাড়বে। কারণ, সরকারি দপ্তরগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদীরা বসে রয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য ধারাবাহিক প্রতিটি সংগ্রামকেই স্মরণে রাখা দরকার।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে আন্তরিক। রাজনৈতিক সংস্কারের চিন্তা থেকেই ২০১৬ সালে ভিশন-২০৩০ এবং ২০২২ সালে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করতে হবে। তবে জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে আমরা নই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত ১৬ বছরে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, সাত শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে এবং ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।

এ সময় সংস্কার নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসলে ভালো হতো। তাহলে সংস্কারকাজ এগিয়ে যেত।


আরও খবর



৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার যেকোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবনায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা:

(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।

(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা ।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুন:নির্বাচন করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটের’ বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুন:নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিওর ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তি প্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশান্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে।)

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়নপত্র:

(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা ।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

২.৩ হলফনামা:

(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনী ব্যয়:

(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

২.৬ নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি'কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে’ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।’

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনি মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনি বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৭ হলে ভালো হয়- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আপত্তি তোলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন তাহলে আবার নতুন করে ভোটার তালিকা করতে হবে। আপনি প্রধান উপদেষ্টা, প্রথমেই বলে দিচ্ছেন- ভোটারের বয়স ১৭ হলে ভালো হয়। আপনি যখন বলছেন, তখন নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ, তাদের ওপর ছেড়ে দিন। ১৮ বছর তো আছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। যদি কমাতে চান, সেটা নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব করুক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। ’

তিনি বলেন, ‘এভাবে না বলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টা আনা উচিত ছিল, এটা ভালো হতো। তাহলে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। মানুষের মনে এখন বেশি করে আশঙ্কা তৈরি হবে, এটা করতে গিয়ে আরও সময় যাবে, কালক্ষেপণ হবে। মানুষের মনে ধারণা তৈরি হচ্ছে, আমার না। তাদের মনে ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে, কেন যেন এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে।’

রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, কেউ যদি দাবি করে আমরা (যারা বর্তমানে সংস্কারের কথা বলছেন) সংস্কার দফা নিয়ে আসছি, এটা ভুল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সে জন্য তো নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলছে, আমরা বলছি সংস্কার চলুক, সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন করেছে সরকার, কাজ করছেন কিন্তু তারা কাদের সঙ্গে কাজ করছেন? একই সঙ্গে জনগণের কাছে যান, তারা কী চায় জানুন। সংস্কার করেন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীলতা অনেকটাই কমে যাবে যদি একটি নির্বাচিত সরকার থাকে। কারণ নির্বাচিত সরকারের পেছনে জনগণ থাকে। আমরা সংস্কার চাই, বেশি চাই। তবে দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। ’

সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তারা রাজনীতিবিদদের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন কটাক্ষ করে। রাজনৈতিক দল আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তারা আপনাদেরকে সহযোগিতা করছে, করে যাচ্ছে। আপনারাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের কথাবার্তা বলছেন না। সহযোগিতা সেভাবে করছেন না।

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। শুধু কথা বলেই কাজ হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে। সংস্কার তো সবাই চায়, সেই সঙ্গে শান্তি চাই মানুষ, বাঁচতে চায়।


আরও খবর



একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

একই ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি থাকতে না পারা, স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী (ক) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করা।

(খ) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দুবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা।

(গ) একই ব্যক্তি একইসঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা। এবং দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (ক) দল-নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।

(খ) জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা। কার্যকর সংসদের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের প্রত্যাহারের (রিকল) বিধান করা।

সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা (ক) সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসিক প্লট, সব ধরনের প্রটোকল ও ভাতা পর্যালোচনা ও সংশোধন করা।

(খ) একটি সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাৎসরিকভাবে সম্পদের হিসাব দেওয়া এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়সমূহ ঘোষণা করা।

(গ) সংবিধান লঙ্ঘন করে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় উন্নয়নে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলার রায় কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা এবং ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করা।

(ঘ) সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রটোকলের অবসান করা।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ/গণমাধ্যম

(ক) নিশ্চল (স্টেশনারি) পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া, যাতে পর্যবেক্ষকরা সারাদিন কেন্দ্রে থাকতে পারে, কিন্তু ভোটকক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে নয়।

(খ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রাক-নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষণের অফিসিয়াল অনুমতি দেওয়া।

(গ) পক্ষপাতদুষ্ট ভুয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা।

(ঘ) ব্যক্তি পর্যায়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিধান চালু করা।

(ঙ) পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ভবিষ্যতে নির্বাচন ভালো করার জন্য কাজে লাগানোর বিধান করা।

(চ) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য সুস্পষ্ট করা। সরকারের পরিবর্তে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

(ছ) নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকদেরকে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, দিনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা।

নির্বাচনী আচরণবিধি

(ক) ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রচারের সম-সুযোগ দেওয়ার বিধান করা।

(খ) সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান করা।

(গ) ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।


আরও খবর