Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ফাইনালে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে অদম্য ছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। সেই ধারা তারা বজায় রাখল সেমিফাইনালে ওঠে। ফাইনালে আজ নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। আসরের ফাইনালে এই প্রথম পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপাল। বিকাল সোয়া ৫টায় দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম ভারতবিহীন ফাইনাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেপাল-বাংলাদেশ এর আগে কোনো আসরে শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি।

সেমিফাইনালে নেপালের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ৮-০ গোলে ভুটানকে গুঁড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

দুই দলেরই এর আগে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও জয়ের মুখ দেখেনি একবারও। এরই মধ্যে নেপাল চারবার এবং বাংলাদেশ একবার ফাইনাল খেলেছে। প্রতিবারই তারা হেরেছে শক্তিশালী ভারতের কাছে। তবে প্রথমবারের মতো ভারতকে বাইরে রেখে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ এবং নেপাল। সেই হিসেবে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে সাফ। গ্রুপ পর্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত ৩-০ গোলে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়। এতে ভারতীয়দের মনোবল এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, সেমিফাইনালে এসে নেপালের কাছে হেরে যায় ০-১ গোলে। এতেই বিদায় ঘটে চ্যাম্পিয়নদের।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে মেয়েরা ভালো খেলেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। প্রতিটি ম্যাচেই ভালো ব্যবধানে জিতেছি আমরা। নিজেদের পুরো শক্তি দিয়েই খেলেছি। ভুটানের বিপক্ষে সবাইকে পরখ করে দেখা হয়েছে। যে যখন নামবে সেরাটাই দেবে। মেয়েরাও তাই দিয়েছে। কৃতিত্ব দেব খেলোয়াড়দের। প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টেই দুর্দান্ত খেলেছে। সব বিভাগেই সমানতালে যুদ্ধ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে গোল আসবে। আমাদের কাছে জেতাটাই জরুরি ছিল। ঢাকা থেকে আসার সময় আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফাইনালে যাব এবং ট্রফি নিয়ে ফিরব। নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ ট্রফি উঁচিয়ে দেশে ফিরতে চান কোচ ছোটন।

এদিকে নেপালের কোচ কুমার থাপা বলেছেন, নতুন একটি ইতিহাসের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। তাই আমরা সেই সুযোগ নষ্ট করতে চাই না। আমরা ভালো ফুটবল খেলে সেই গল্প লিখতে চাই। টুর্নামেন্ট থেকে ভারতের বিদায়ে স্বাগতিক কোচের এমন উচ্ছ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমাদের সুযোগ ৯০ মিনিট। আমরা স্বাগতিক। কাপ এখানেই আছে। এখানেই রেখে দিতে চাই। দুই বছর এখানে ট্রফি এসেছে। আমি খুশি মেয়েদের সেমিফাইনালের খেলা দেখে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ট্রফি রাখতে চেষ্টা করব।


আরও খবর



নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি সংকট বিষয়ে শিশুদের চিত্রাংকন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

'শান্তির জন্য পানি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি সংকট বিষয়ে শিশুদের চিত্রাংকন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার(২২ মার্চ) জেলা শহরের সাতপাই কালীবাড়ি এলাকার নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র সভাপতি জনাব নাজমুল কবীর সরকার, নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব লুৎফর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় অতিথিরা বলেন, হাওর—পাহাড় আর বৈচিত্রের লীলাভূমি নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী মানুষের পানি সংকট দীর্ঘদিনের। কখনো পাহাড়ি ছড়া থেকে, কখনো বালু খুঁড়ে, কখনো বা কয়েক কিলোমিটার ঘন ঝঙ্গল পাড়ি দিয়ে সীমান্তবর্তী বাসীন্দাদের যেতে হচ্ছে ব্যবহার্য পানি সংগ্রহের জন্য। দিনকে দিন সে সংকট আরো তীব্রতর হচ্ছে। অন্যদিকে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে দিন দিন ভূর্গভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে সেখানেও দেখা দিচ্ছে খাবার পানির সংকট। দিন দিন দূষণে—দখলে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো। নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি’র সংকট ও সম্ভাবনার এই দৃশ্যগুলোই ফুটিয়ে তুলেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ব পানি দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় এ সমস্ত দৃশ্য অংকন করে শিক্ষার্থীরা। 


আরও খবর



উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের   সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের  আয়োজনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার  (২৭ মার্চ ) নানা আয়োজনে সালামের রান্নাঘর জমজম টাওয়ার  ঢাকা উত্তরায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী, টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন  সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার, টেক্সটাইল ক্লাবের সভাপতি আল রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক  সম্পাদক মাহবুব আলম তাছাড়া এই সময় বিভাগটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, শিক্ষক এবং টেক্সটাইল ক্লাব, সমন্বয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এগিয়ে যাবে,টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের  পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

টেক্সটাইল  অ্যালামনাই এসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিফুল রহমান রাকেশ বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এবং সামনের দিনগুলোর চ্যালেন্জ মোকাবেলা করবার জন্য “সংঘবদ্ধতা থাকা ” জরুরী এবং আবশ্যক ! আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ব্যক্তিগত সাফল্যের ঊর্ধ্বে সামষ্টিক তথা সংঘবদ্ধ  সাফল্যই পারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের সুনাম উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করতে ! সেই সূত্রে গ্রন্থিবদ্ধ হয়ে  বিভাগের শিক্ষকমহোদয়গণ, এলামনাই এসোসিয়েশন এবং নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবসহ সকলকে একত্রে কাজ করবার অনুরোধ জানাই !

এসময় টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহকে নজরদারিতে রাখতে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের খবরে কোনো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তবে অভিযান পরিচালনা না হলেও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন পরিস্থিতি উত্তরণে প্রভাব রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইইউ নেভাল ফোর্সের পক্ষ থেকেও কেবল অবস্থান নেয়ার কথাই জানানো হয়েছে, অভিযানের বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি তারা। জাহাজের মালিকপক্ষ বলেছে, কোনো অবস্থাতেই তারা সশস্ত্র অভিযানের পক্ষে নন।

তবে ওই উপকূলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন এই পরিস্থিতিতে কিছু ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী।

যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি যে সুবিধা দেবে
উত্তর-পশ্চিম ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তায় ইউরোপিয়ান নৌবাহিনী পরিচালিত কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত নাম
ইইউ ন্যাভ ফর আটালান্টা

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বাহিনীটি এমভি আব্দুল্লাহর কাছে তাদের অবস্থানের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করে।

ইইউ নেভাল ফোর্সের সদস্যদের নজরদারির পাশাপাশি ওই আকাশসীমায় তাদের হেলিকপ্টারও টহল দিতে দেখা যায় ভিডিওতে। এমন অবস্থান জিম্মি মুক্তিতে প্রভাব রাখতে পারে বলে বিবিসি বাংলাকে জানান মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাম চৌধুরী।

প্রথমত, এত কাছে ইউরোপিয়ান বাহিনীর মতো শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি দস্যুদের ওপর একটা চাপ তৈরি করবে। যা সমঝোতার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

দ্বিতীয়ত, পূর্ব আফ্রিকার ওই উপকূল থেকে নতুন কোনো দস্যুদল সাগরে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে, দস্যুদের তৎপরতা কমে আসবে।

গত দুদিনে আরো দুটি সম্ভাব্য দস্যুতার ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে ইইউ ন্যাভ ফর। দুটি জাহাজই লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী।

এ নিয়ে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে গতকাল ২১ মার্চ পর্যন্ত ২৪টি জাহাজ এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যার মধ্যে ১২টিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

নাবিকদের সর্বশেষ অবস্থা
বুধবার সেহরির পর পর ছেলের ফোন পান শাহনুর বেগম। তার ছেলে এমভি আব্দুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান। 
শাহনুর বেগম জানিয়েছেন কতটা দুঃসহ দিন পার করছেন তার ছেলেসহ অন্য নাবিকরা। ঠিকমতো পানি দেয় না, খাবার দেয় না। হয়তো একবেলা ইফতার করলো, আরেক বেলা খাবার নেই। ডাকাতরা ৯-১০ দিনে প্রায় সব খাবার শেষ করে ফেলেছে বলে ছেলের কাছে শুনেছেন তিনি।

জিম্মি থাকা ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের সাথে তার বড় ভাই ওমর ফারুকের সর্বশেষ কথা হয় এই সপ্তাহের শুরুতে।

ওমর ফারুক  জানান, জলদস্যুরা প্রতিদিন খাবার নষ্ট করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বড় সংকটে পড়তে হবে তাদের।

তার ওপর দস্যুদের সংস্পর্শ এবং অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে বলে অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দিয়েছে।এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করেছিল।

আতিকুল্লাহ খান জানিয়েছেন, সেই সময় থেকে তাদের কেবিনের পরিবর্তে এমনকি ঘুমের সময়েও ব্রিজেই (জাহাজ চালানোর কক্ষ) অবস্থান করতে হচ্ছে।

শাহনুর বেগম উল্লেখ করেন, তিন নাতনি বলেছে, বাবা কথা দিয়েছে তাদের সাথে ঈদ করতে আসবে। ঈদের আগেই ছেলের ফিরে আসার অপেক্ষায় তিনি।

দস্যুদের সাথে আলোচনা
দ্রুত নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় জাহাজের মালিক পক্ষও। কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম  বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগের পর প্রাথমিক পর্যায়ের আলাপ শুরু করেছেন তারা। আনুষ্ঠানিক আলোচনা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবেই সশস্ত্র অভিযানের পক্ষে নই। নাবিকদের জীবন সংশয়ে পড়বে এমন কোনোকিছুর প্রতি আমাদের সমর্থন নাই।

তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোকে একই বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। জিম্মি করার আট দিন পর বুধবার দুপুরে প্রথমবারের মতো এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে সোমালি জলদস্যুরা।

জাহাজটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার হাতবদল করা হয়েছে। মালিকপক্ষের ধারণা, এখন অপহরণের মূল হোতাদের দখলে রয়েছে জাহাজটি।

মিজানুল ইসলাম বলেন, শুরুতে যারা অপহরণ করেছিল তারা ছিল মূলত ভাড়াটে। এখন মূল পক্ষের সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে।

তবে নাবিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে দস্যুদের সাথে আলোচনার ব্যাপারে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি মালিকপক্ষ। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ জন নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সোমালি জলদস্যুরা।

এরপর থেকেই জলদস্যুদের সাথে যোগোযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে আসছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ। এ লক্ষ্যে তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তৃতীয় একটি পক্ষের সহায়তাও নিচ্ছিল।

মূলত সেই মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমেই দস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন মিজানুল ইসলাম।

আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীগুলোর তৎপরতা
এমভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর থেকে সোমালিয়া উপকূলে প্রবেশের আগ পর্যন্ত অনুসরণ করে আসছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ।

গত শুক্রবার বিকেলে ভারতীয় নৌবাহিনীর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে চারজন অস্ত্রসহ টহল দিচ্ছে। তাদের সবার অবস্থানই ছিল জাহাজের মাস্টার কেবিনের ছাদে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানায়, গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ থেকে সাহায্যের সিগন্যাল পেয়ে তারা একটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট-এলআরএমপি পাঠিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় বিমানটি পরে আর এমভি আব্দুল্লাহর সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারেনি।

পরবর্তী সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে। এই জাহাজটি পরের কয়েকদিন এমভি আব্দুল্লাহকে নজরদারি করে।

ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ওরা লং রেঞ্জ সার্ভিলেন্সের জন্য হেলিকপ্টার পাঠিয়ে ছবিটি নিয়েছে। কোনো দেশের পানিসীমায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সে দেশের নৌবাহিনী এসেসমেন্টের জন্য ফ্লাইট পাঠিয়ে এমন ছবি নিয়ে থাকে।

কোনো দেশের দস্যুরা নিজস্ব পানিসীমায় ঢুকে গেলে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই, সশস্ত্র পদক্ষেপ ভালো ফল বয়ে আনে না বলে অভিমত তার।

নিজ দেশের উপকূলে থাকে বলে জলদস্যুরা লজিস্টিক সাপোর্টও বেশি পেয়ে থাকে।

এর আগে সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশে বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভারতীয় কমান্ডোরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে উদ্ধারের পর এমভি আব্দুল্লাহতে অভিযানের এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

পান্টল্যান্ড পুলিশও জানায়, তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত। এর আগে এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সাথে অভিযুক্ত দুজনকে আটকের কথাও জানায় অঞ্চলটির পুলিশ বিভাগ।

 


আরও খবর



দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অন্যথায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী ২০ মার্চ (বুধবার) মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে প্রতীকী হিসেবে ১ দিনের জন্য সারা দেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান।

সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সকল সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় ব্যবসায়ীদের উপর চাপানো হচ্ছে। ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ সেক্টরটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার কারা হয়েছে। অনেক কাগজ-ডকুমেন্ট থাকার পরও রাজউক অনধিকার চর্চা করছে। স্বাধীন দেশে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সময় বেধে দিতে হয় কিন্তু বিনা নোটিশে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, এই প্রথম আমরা রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ বিষয়টি শুনেছি। রাজউক যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা সঠিক নয়। রাজউক যে উদ্দেশ্যে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, সেইভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলেও আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

রেস্তোরাঁ সেক্টরটি ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারি কোনো প্রণোদনা বা কোনো রকমের সহায়তা আমরা পাইনি। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ব্যবসায়ীকভাবে এই সেক্টরটি পিছিয়ে পরে। অনেক চেষ্টা করে ঘুরে দাড়াতে চাচ্ছে এই সেক্টরটি কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবার ভয়াবহ সঙ্কটে এই সেক্টর। রমজানের মধ্যেও শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ অভিযান বন্ধ হয়নি। এছাড়া নীতিবাচক প্রচার-প্রচারণার প্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁয় গ্রাহক আসা কমে গেছে। রাতারাতি এই সেক্টর গড়ে উঠেনি। নানা ধরনের লাইসেন্স বা অনুমতি নিয়ে এবং সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে এই সেক্টর গড়ে উঠেছে।

প্রায় ১২টি সংস্থা রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএ এর আদলে রেস্তোরা সেক্টরকে যুগোপোযুগী ও কর্মমুখী করে এগিয়ে নিতে চাই। এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁয় হয়রানি বন্ধ করে খুলে দেওয়ার। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কিভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতা ও বোনাস প্রদান করবে? আইনি নোটিশ, গ্রেপ্তার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেক্টরে যে অবিচার ও জুলুম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট উত্তরণের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ বন্ধের মাধ্যমে কোনো সুফল বয়ে আসবে না। ফায়ার সেফটি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে এসওপি প্রদান করা যেতে পারে।

সঙ্কট সমাধানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়ে ইমরান হাসান বলেন, এ সঙ্কট উত্তোরণের রাস্তা বের করতে হবে। মাথা ব্যথা হয়েছে বলে মাথা কাটা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সে অনুযায়ী টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট একটি এসওপি তৈরি করবে। দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা একই ব্যবসার জন্য একাধিক সংস্থার নিকট যেতে চাই না, এতে আমাদের খরচ ও হয়রানি দুটাই বৃদ্ধি পায়।

একইসঙ্গে সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশার কথাও বলেন তারা।

এর আগে গত ৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাজধানীতে কয়েকদিনের অভিযানে প্রায় ৪০টির মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তার কার্যালয়ে সংগঠনটি চিঠি পাঠিয়েছে বলেও জানানো হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন।

 


আরও খবর



পুরো দেশটাই যেন অগ্নিঝুঁকিতে : জিএম কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

পুরো দেশটাই যেন অগ্নিঝুঁকিতে মন্তব্য করে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আমাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রমাণ হয়েছে অগ্নিনির্বাপণে বর্তমান সক্ষমতা একেবারেই অপ্রতুল। প্রতি বছর শতশত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে ভয়াবহ আগুনে। অগ্নিকাণ্ডের নির্মম বাস্তবতা থেকে জাতি মুক্তি চায়।

এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তথ্যে জানা গেছে গেল বছর ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ১০২ জন আর আহত হয়েছেন ২৮১ জন। যদিও সাধারণ মানুষের ধারণা এই সংখ্যা আরও বেশি।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ৪ মার্চ চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানা এলাকায় একটি চিনি কলের আগুন পুড়েই নিভেছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের অসহায় মনে হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৪৬ জন। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন। ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে চানখারপুলের নিমতলীতে ক্যামিকেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অর্ধশত এবং কারখানা ও বাড়ি পুড়েছে ২৩টি। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যায়। আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ।

তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ২৬ জন, আহত হয় অন্তত ৭০ জন। ২০২১ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজারের রাখি নীড়ে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ১২ জন, আহত হয় দুই শতাধিক। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২২৬টি দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ আজ কোথাও নিরাপদ নেই। দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু, লঞ্চ দুর্ঘটনায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া হরহামেশাই ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনার ফিরিস্তি ও এতে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই নতুন উচ্চতায় উঠছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সু-শাসনের অভাব। জবাবদিহিতা নেই কোনো স্তরে। দুর্নীতির বিস্তার হচ্ছে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে। কারোরই নিয়মকানুন মানার প্রয়োজন নেই যদি ক্ষমতা বা অবৈধ অর্থের যোগান থাকে।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কোনো ভাল কিছু ঘটলে তার কৃতিত্ব নেওয়ার ও দেওয়ার লোকের অভাব নেই। দুর্ঘটনার জন্য কেউই দায় নিতে চায় না। একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সময়ক্ষেপণ করে। তাই, দুর্ঘটনা আবার স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে অন্য কোথাও ঘটতে শুরু করে।


আরও খবর