Logo
শিরোনাম

ফেঁসে যাচ্ছেন সানজিদাসহ ৫ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মারধরের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রথমে তদন্ত শেষ করতে না পারায় আমরা সময় নিয়েছিলাম। দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনার তদন্তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কার কার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবো।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওই দিন রাতে এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান তিনি। যেখানে তাদের পেটানো হয়। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সানজিদার ভাষ্যমতে তার বুকে ব্যথা হওয়ায় তিনি তার ঊর্ধ্বতন স্যার এডিসি হারুনকে ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বারডেম হাসপাতালটি ওই এলাকায় হওয়ায় স্যার রমনা থানার ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল নেন। শনিবার সন্ধ্যায় সময় মতো চিকিৎসক না পেয়ে তিনি হারুন স্যারকে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে তার স্বামী (মামুন) গিয়ে হারুন স্যারকে মারধর করেন। ওই সময় স্বামীর সঙ্গে আসা আরও দুইজন হামলায় অংশ নেয় এবং ঘটনার ভিডিও করতে থাকে। তখন তিনি ইটিটি কক্ষে ছিলেন।

ওই ঘটনার পর এডিসি হারুন ফোর্স নিয়ে মামুন ও ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকেও থানায় ডেকে নেন। এরপর ওই দুই ছাত্রনেতার উপর নির্যাতন চালানো হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) গোলাম মোস্তফাকে ডিএমপির সংরক্ষণ দপ্তরে বদলি করা হয়।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দফতরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

এই তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। পরে তাদের পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়। সোমবার পাঁচ দিন সময় শেষ হয়েছে।

ঘটনার আলামত পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বলছে, বারডেম হাসপাতালে স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় এডিসি হারুনের সঙ্গে। পরে হাতাহাতিতে জড়ায় দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ইটিটি রুমে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করে হারুন ও তার সহযোগীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। আজ (মঙ্গলবার) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




মানিকগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম আটিগ্রাম এলাকার একটি পুকুর থেকে লাকি আক্তার (১২) নামের এক বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরনে পোশাক না থাকায় তার মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার।

লাকি আক্তার সদর উপজেলার পশ্চিম আটিগ্রাম এলাকার মৃত তুলু মিয়ার মেয়ে। লাকি আক্তারের বাবা প্রায় ১০ বছর আগে এবং তার মা  ৯ মাস আগে মারা যান। বাবা-মা বেঁচে না থাকায় লাকি আক্তার একই গ্রামে তার নানা মহর আলীর বাড়িতে থাকত।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে মহর আলীর মেয়ের ঘরের নাতিন লাকি আক্তারকে পাওয়া যাচ্ছে না। 

এরপর তাদের বাড়ির পাশের এক নারী বলেন ওই মেয়েকে পুকুরে গোসল করতে যেতে দেখেছেন। তার কথার ভিত্তিতে পরিবারের লোকজন তাকে পুকুরে খুঁজতে থাকেন। কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পরে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের খবর দেন তারা।

পরে (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ডুবুরি ও স্থানীয়রা আবার খুঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে লাকির চাচাতো নানা দুলাল হোসেন পুকুরে পড়ে থাকা কলাগাছের স্তুপের নিচে থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসীরা জানান, এসময় লাকির গায়ে জামা থাকলেও পরনে কোনো কিছু ছিল না। লাকি আক্তার ভালোভাবে সাঁতার জানতো। এ জন্য এই মৃত্যুকে রহস্যজনক মৃত্যু বলে মনে করছেন তারা।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলতে পারব কীভাবে তার মুত্যু হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল : মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রবিবার দুপুরে  উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাঁও এলাকার ভূঁইয়া বাড়িতে  বসতঘর হতে মরদেহ টি উদ্বার করা হয়। 

এলাকার সূত্র জানা যায় ঘরে আড়ালে  সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তরিকুল ইসলাম নাহিন (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। একই এলাকার আসাদুর জামান বাবুর পুত্র। 

নাহিনের দাদী আলেয়া বেগম জানান রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরে। সকাল ৯টার দিকে নাহিনের কোন সারা শব্দ না পেয়ে দরজা খুলার চেষ্টা করি। পরে ঘরের পিছনের দিকের দরজার ফাক দিয়ে দেখতে পাই নাহিন ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। 

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর  জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



একমি ল্যাবরেটরিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার)

ঢাকার ধামরাইয়ে একমি ল্যাবরেটরিজ নামে একটি ওষুধ কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঢুলিভিটা এলাকায় কারখানার ভেতরে নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার রিভাইদপুর এলাকার মো. সালাম (৪২) ও মমিন (৩০)। আহতরা হলেন- একই এলাকার মো. শরিফুল (২৮) ও মো. মোস্তফা (৩০)। হতাহতরা ভবন নির্মাণের পাইলিং শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, একমি ল্যাবরেটরিজের কারখানার ভেতরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। সেখানে অসাবধানতার কারণে রড বিদ্যুতায়িত হয়। এতে চার শ্রমিক আহত হন। উদ্ধার করে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর আহত দুইজনের মৃত্যু হয়। অন্য দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বাকি দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অসাবধানতার কারণে বিদ্যুতায়িত হন তারা। বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, একমি ল্যাবরেটরিজের দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কারখানায় জ্যেষ্ঠ্য কোনো কর্মকর্তা নেই জানিয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। তথ্য পেতে পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। এমনকি নিজের নামও প্রকাশ করেননি তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে দু' জন আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁয় 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর' এর অভিযানে এক নারী সহ দু' জন মাদক ব্যবসায়ী আটক।

নওগাঁর মান্দা উপজেলাধীন জোত বাজার ঋষিপাড়া ও মহানগর গ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ ও হেরোইন উদ্ধার পূর্বক এক নারী সহ দু'জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর' এর অভিযানিক দল।

বুধবার সকালে 'নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর' এ অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ ও হেরোইন সহ তাদের আটক করেন। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, নওগাঁর মান্দা  উপজেলার মহানগর গ্রামের মৃত আব্বাস উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে আলাউদ্দিন মন্ডল আলা (৫১) কে ৬০ গ্রাম হেরোইন সহ ও জোত বাজার ঋষিপাড়া গ্রামের লবা ঋষির মেয়ে গায়েত্রী ঋষি (৩৪) কে ৫ লিটার চোলাই মদ সহ আটক করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গায়েত্রী ঋষি কে ৬ মাসের কারাদন্ড ও দু' হাজার টাকা জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড রায় দেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। অপরদিকে হেরোইন সহ আটককৃত আলাউদ্দিন  আলা'র বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

নওগাঁ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর পরিদর্শক খলিলুর রহমান বলেন, অভিযান কালে ২শ' লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার পূর্বক ধ্বংস করা হয়।

তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু ঋষি পল্লীতে উপস্থিত থেকে গায়েত্রি ঋষি কে ৬ মাসের কারাদন্ড সহ ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ড রায় দেন।


আরও খবর



হংকংয়ে তুমুল বৃষ্টি, ভাঙলো ১৪০ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের মুখে পড়েছে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হংকং। ভারী এই বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরের বিভিন্ন রাস্তা, শপিং মল ও মেট্রো স্টেশন।

এমনকি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙেছে ১৪০ বছরের ইতিহাস। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুষলধারে বৃষ্টির পর হংকংয়ের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমনকি বৃষ্টির জেরে রাস্তা, শপিং মল এবং মেট্রো স্টেশনজুড়ে ব্যাপক রন্যা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় হংকং কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং কর্মীদের বাড়িতে থাকতে বলেছে।

রয়টার্স বলছে, ১৪০ বছর আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের এই বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরের পাহাড়ি এলাকায় পানির ব্যাপক স্রোত দেখা দিয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ ভূমিধসের ঝুঁকির সতর্কতা জারি করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বেশ কিছু ভিডিওতে মুষলধারে বৃষ্টির পর শহরের রাস্তাগুলো কার্যত জলস্রোতে পরিণত হতে দেখা গেছে। অন্য একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, মেট্রো কর্মীরা একটি স্টেশনের নিচে রাস্তার স্তর থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহকে থামানোর চেষ্টা করছেন।

হংকং শহরের ক্রস হারবার টানেলও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া শহরের চা ওয়ান এলাকায় জলাবদ্ধ শপিং সেন্টারের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। হংকং অবজারভেটরি স্থানীয় সময় রাত ১১ টা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত শহরে ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে।

এছাড়া আবহাওয়া ব্যুরো ভারী ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে এবং বলেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হংকংয়ের প্রধান দ্বীপ কাউলুন এবং শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, গত সপ্তাহে আছড়ে পড়া টাইফুন হাইকুইয়ের অবশিষ্টাংশের সাথে যুক্ত নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে চীনের গুয়াংডং উপকূলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে। আবহাওয়ার চরম এই পরিস্থিতি শুক্রবার অন্তত দুপুর পর্যন্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই চলমান দুর্যোগ পরিস্থিতিতে হংকংয়ের স্টক এক্সচেঞ্জ শুক্রবার সকালে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এমনকি দুপুর নাগাদ ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা বহাল থাকলে বিকেলের সেশনেও এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

হংকং শহরের নেতা জন লি বলেছেন, ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশে ভয়াবহ বন্যার বিষয়ে তিনি খুব উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত বিভাগকে ‘জোর প্রচেষ্টা’ দিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সরকার বলেছে, ‘বিস্তৃত বন্যা এবং যানবাহন চলাচলে গুরুতর ব্যাঘাতের কারণে শুক্রবার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।’


আরও খবর