Logo
শিরোনাম

ফের বাড়লো তেল-চিনির দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

তেল চিনির দাম বাড়ার বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল য়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সয়াবিন তেল চিনির দুষ্প্রাপ্যতার মধ্যেই পণ্য দুটির দাম বাড়িয়েছে সরকার।

দুটি সংগঠনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন দাম সমন্বয় করেছে, যা কার্যকর হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯০ টাকা। অন্যদিকে কেজিতে ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্যাকেটজাত চিনির দাম ঠিক করা হয়েছে ১০৮ টাকা।

সয়াবিন তেলের লিটারের বোতলের দাম ধরা করা হয়েছে ৯২৫ টাকা। ছাড়া লিটারপ্রতি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭২ এবং পাম তেলের দাম ১২১ টাকা করা হয়েছে।

এখন থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনি কিনতে হবে ১০২ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনি কিনতে কেজিপ্রতি খরচ করতে হবে ১০৮ টাকা।

আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তেল চিনির দাম বাড়ার বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে সমন্বয় করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নভেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করা হয়। পরে দুই দফায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড কমিশনের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। দাম সমন্বয়ে সম্মত হয় কমিশন।

চিনির দাম বাড়ার বিষয়ে সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত নভেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করা হয়। পরে দুই দফায় ট্রেড অ্যান্ড কমিশনের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়ে সম্মত হয় কমিশন।

বাজারে সংকট ছিল চিনি-তেলের

লম্বা সময় ধরেই চিনি নিয়ে সংকটে পড়েছে ক্রেতা। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দেখা মিলছে না। যাও দুই-এক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, তার কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।

চিনি সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসা পরিচালনা। বাসাবাড়িতেও স্পষ্ট চিনির শূন্যতা, কিন্তু সরবরাহ নিশ্চিতে নেয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।

চলতি মাসের প্রথমেই দাম বৃদ্ধির আবেদন করা হলে ট্যারিফ কমিশনকে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী দাম প্রস্তাব হলে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে কোনো দাম নির্দিষ্ট করা হয়নি। ফলে দাম কার্যকর না করায় তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




শান্তি চুক্তির ২৬ বছর আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি আজ। পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে; সূচিত হয় শান্তির পথচলা। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকার সব অধিবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষ বা বহিঃশক্তির মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এ ঐতিহাসিক শান্তির দলিলটি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এ চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি তিনি বলেন, যা শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, আমাদের প্রশিক্ষণেরও অংশ নয়, এমন ভিডিওসহ বিভিন্ন বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ব্যাপকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে

অতীতের কোনও প্রশিক্ষণে (যা মাধ্যমিকের নয়) প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজেরা নিজেরা বিনোদনের অংশ হিসেবে নিজেরা যে প্রাকটিস করেছে সেই রকম কিছু ভিডিও সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে এইগুলো প্রশিক্ষণ। এমনকি নতুন ভিডিও তৈরি করেও ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে

তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। তারসঙ্গে এখন তো নির্বাচনের সময়। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকেন, তাদের উস্কানি যুক্ত হয়ে গেছে। অতিডান, অতিবামের উস্কানিও যুক্ত হয়ে গেছে

রবিবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস উন্নয়নে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই (পাঠ্যপুস্তক ছাড়া) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন

অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ অন্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন

 শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বাচ্চা কত নম্বর পেলো, জিপিএ- পেলো কিনা, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হলো কিনা, অন্যের বাচ্চার চেয়ে আমার বাচ্চা বেশি নম্বর পেলো কিনা এই বিষয়গুলো নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন বাবা-মায়েরা। সে জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরিতে বর্তমান শিক্ষাক্রম প্রনয়ণ করা হয়েছে।এই বিষয়গুলোর জন্য বাবা-মায়ের কিছু সংশয় তো কাজ করছেই। সেগুলোকে এই গোষ্ঠী (মিথ্যাচারকারী) কাজে লাগাচ্ছে

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি অভিভাবকদের বলবো একটু দেখুন, আপনার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার বাচ্চা যদি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে থাকে তাহলে তার আচার-আচরণ পরিবর্তন হয়েছে কিনা। সে কত নম্বর পেয়েছে সেদিকে নজর না দিয়ে সে শিখলো কিনা, সেদিকে নজর দিন। একটু ধৈর্য্য ধরুন

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দেশের শতাধিক বিশেষজ্ঞ নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সবাইকে কোনও না কোন ভাবে এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে রেখে জনগণের মতামত, পরামর্শ নেয়া হয়েছে, সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে

সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিছু পরামর্শসহ তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। মরা পাইলটিং করেছি। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে


আরও খবর



হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে ৭৮৬ এজেন্সি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রথম পর্যায়ে ৭৮৬টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। ১৩ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, প্রত্যেক হজযাত্রীর সাথে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক এজেন্সি সৌদি সরকার নির্ধারিত হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে।

অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সি দণ্ডিত হলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানায়, প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করে পরিচালক হজের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সৌদি সরকারের নির্ধারিত সংখ্যক হজ এজেন্সি সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।

যেসব এজেন্সির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, ঠিকানায় ভিন্নতা রয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন, সেসব এজেন্সির নাম প্রথম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। হজ এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সাথে সমন্বয় করে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে।


আরও খবর

হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩

খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা

শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩




নৌকার মনোনয়নে বিবেচনা করা হচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ, উচ্চ শিক্ষিত ও করোনাকালীন ভূমিকা। এ কারণে বাদ পড়ছেন বর্তমান অনেক এমপি। 

একই পরিবারের দুই বা ততোধিক সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মূলেও রয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কা । এমন আসনের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৫টি।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের ২ জন সদস্য  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ১/১১-এ ভূমিকা বিবেচনা করা হয়েছিল। 

তিন ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।

 তিনি বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার না থাকলেও উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

 তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ থানার সমন্বয়ে গঠিত এই আসনটি। বর্তমানে এই আসনে সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। 

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। পরে তিনি সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হন।

আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এবার তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। 

ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে রয়েছেন। উচ্চ শিক্ষিত হ্যাপি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন।

 ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই বার্তা নিয়ে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের জন্য চালু করেছিলেন ‘মানবতার ডাকঘর’। সেই ডাকঘরের সন্ধান পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন নম্বর। 

ফোন করে অসহায় কোনও মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানালেই তার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য অনুষঙ্গ। এমনকি কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি রাতের বেলাও অনেকটা গোপনে মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। 

এদিকে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বাবা-ছেলে,  ভাই ভাই, স্বামী স্ত্রী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) ও তার বড় ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু)। 

একই পরিবারের সবচেয়ে বেশি সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে।

 ঠাকুরগাঁয়ে দলীয় মনোনয়নের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে, মেজো ভাই, ভাতিজাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

 দবিরুলের বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, এ নেতার মেজো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এবং ভাতিজা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েলও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

পাবনা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর দুই ছেলে ও মেয়ে, জামাতাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। 

পরিবারের বড় মেয়ে মাহজেবিন শিরিন পিয়া, দুই ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ, সাকিবুর রহমান শরীফ, জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন সহোদর। তারা হলেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, তার বড় ভাই ও রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং তাদের ছোট বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। 

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেন প্রয়াত সংসদ সদস্য (এমপি) আফাজ উদ্দীন আহমেদের তিন ছেলে। নৌকার প্রার্থী হতে চাওয়া তিন ভাই হলেন আফাজ উদ্দীন আহমেদের বড় ছেলে নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, মেজো ছেলে আরিফ আহমেদ বিশ্বাস ও ছোট ছেলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস। 

যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন বাবা ও ছেলে। বাবা-ছেলে হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশিষ ইসলাম। 

একই ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের বেলায়ও। এখান থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তার ছেলে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন। 

জাসদের এক সময়ের আধ্যাত্মিক নেতা প্রয়াত কর্নেল তাহেরের এক ছোট ভাইয়ের আসনে এবার মনোনয়ন চেয়েছেন আরেক ছোট ভাই। 

নেত্রকোণা-৫ আসনের (পূর্বধলা উপজেলা) জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। 

আবার এমন ঘটনাও আছে যে, নিজের আসনে ছেলে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে বাবা নিজেই দলীয় কার্যালয়ে ছেলের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমের মনোনয়নপত্র জমা দিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজি সেলিম। তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছেন বলে দাবি সোলায়মান সেলিমের।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




রামগড়ে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ২৩-২৪ অর্থ বছরে বরি মৌসুমে বোরো ধানের উফশি আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের যৌথ আয়োজনে কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন রামগড় ১নং ইউপির চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আঞ্জুম, সহকারি উদ্ভিদ ও সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.সানাউল হক, উপ-সহকারী মো.তসলিম উদ্দিন বাহার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চাষীদের মধ্যে হাইব্রিড ধান-৫ কেজি, এমওপি-১০ কেজি, ডিএপি-১০ কেজি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর