Logo
শিরোনাম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না: সৌদি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন না করার কথা আগেই জানিয়েছে সৌদি আরব। 


এবার মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সম্পদশালী ও প্রভাবশালী এই দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলও থাকতে পারে না। একই সঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব। 


এদিকে রাফাহ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছে।


সোমবার সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ব্রাসেলসে আরব ও ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরায়েলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না। 



তিনি বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে তারা যে নিরাপত্তা চায় সেটি ইসরায়েল স্বীকার করে না—যা খুবই উদ্বেগের বিষয়। সৌদি আরবের শীর্ষ এই কূটনীতিক সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছাড়া ইসরায়েলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না এবং এটা সম্পূর্ণরূপে মেনে নেওয়াই প্রয়োজন ইসরায়েলের।’



 সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান আরো বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নিরাপত্তা পাবে ইসরায়েল। তাই আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, ইসরায়েলের নেতারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে কাজ করাটা তাদের স্বার্থেই ভালো। 



আর সেটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করাই নয়, বরং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানিয়েছিল সৌদি আরব। 


সৌদি প্রেস এজেন্সির বিবৃতিতে সেসময় বলা হয়, ১৯৬৭ সালে সীমান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক হবে না বলে সৌদি আরব বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে। 


বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং অবরুদ্ধ এলাকা থেকে সকল রকমের ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে। মূলত গাজা ভূখণ্ডের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত্ স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল অংশ হিসেবে চায়।


 এছাড়া ফিলিস্তিনিরা ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরের পূর্ব অংশকে নিজেদের ভবিষ্যত্ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে থাকে।


আরও খবর



বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৭০ ভাগই শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

শীত তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০-এর মতো শিশু। এমন অবস্থা যে, হাসপাতালের সামনে তাঁবু গেড়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্তদের।

মহাখালীর হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান গেটের পরই বড় করে টানানো হয়েছে তাঁবু। যদিও এখনো সেখানে বেড করার প্রয়োজন পড়েনি। হাসপাতালের প্রধান ভবনের শুরুতেই নার্সরা এন্ট্রি নিচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা রোগীদের দেখভাল করছেন। এই দুই বুথে ভিড় লেগেই আছে সারাদিন। এর ভেতরেই ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা। আর আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) এ শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে স্যালাইন।

ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ইমার্জেন্সি রুমের বেডে তিন বছরের শিশু মুসাকে নিয়ে শুয়ে আছেন তার বাবা মো. বিপ্লব হোসেন। তারা এসেছেন কেরানিগঞ্জ থেকে। দুদিন ধরে ছেলের মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। শুক্রবার অনেক বেশি বেড়ে যায়, সঙ্গে জ্বরও আসে। এজন্য রাতেই তাকে নিয়ে আইসিডিডিআর, বিতে ছুটে আসেন তিনি।

পাশের আরেকটি বেডে ছেলে ইউসুফ আলীকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা শারমিন আক্তার। তারা এসেছেন জামালপুর থেকে। ছেলে ইউসুফ আলীর বয়স ১১ মাস। প্রায় ছয় দিন ধরে পাতলা পায়খানা ইউসুফের। জামালপুরে চিকিৎসক দেখানো হলেও লাভ হয়নি। তাই ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে স্যালাইন খাওয়াতে।

হাসপাতালে আগত শিশুদের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে গুরুতর না হলে কিছু সময় চিকিৎসা ও স্যালাইন খাইয়ে ও পরামর্শ মোতাবেক ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিডিডিআর,বির তথ্য বলছে, শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৬৭ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৬৪৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসেন। ২০২৫ সালের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি চিকিৎসা নেন ৮৫০ জন।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮৯১ জন, ২৯ ডিসেম্বর ৮২৬ জন, ৩০ ডিসেম্বর ৯১৩ জন, ৩১ ডিসেম্বর ৮৮৪ জন।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে গড়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৮০ শতাংশই শিশু।

আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান বলেন, প্রতি বছর শীত এলেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। বিশেষ করে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই চার মাস রোটাভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকে।

তিনি আরোা বলেন, আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি ৫০তম রোগীর টয়লেট পরীক্ষা করে দেখা হয়— ডায়রিয়ার কারণ ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়াজনিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান সময়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগীর ডায়রিয়া হচ্ছে রোটাভাইরাসের কারণে। বাকি ৫০ শতাংশ অন্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার কারণে।



আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মগলিশপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ৫টি ক্যাটাগরিতে অংশ নেই ২৪ টি ঘোড়া। 

এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন, হালিমা আক্তার, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, মজিবর রহমান ও তৃতীয় কামরুল হাসান। যুব সমাজকে মাদক থেকে বিরত রাখতে ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার রীতি ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষদের বাড়তি বিনোদন দিতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। এ প্রতিযোগিতা দেখতে দুপুর থেকে আশে পাশের এলাকাগুলো থেকে সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশু আসতে থাকে। বিকেলে মাঠে হাজারো মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে মোঃ রাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় ও মোহাম্মদ মিলন হোসেনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথির পক্ষে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাশমত আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মোঃ আঃ সাত্তার নান্নু, মোঃ শহিদুল ইসলাম সাগর, মোঃ আক্কাস আলী, মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, দুলাল হোসেন, আবুল কালাম সাবেক, মোজাফফর হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান টিক্কা, মাহফুজ আলম, শামীম আহম্মেদ, আইনুল হক, আবুল কালাম দুলাল, ইফতে খারুল আলম ইপু, মহসিন রেজা যুগ্ম, মর্জিনা আক্তার, বিদ্যুৎ হোসেন, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের আহবায়ক নুরুদ্দিন নরু প্রমুখ।


আরও খবর



রাজাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জমি দখল ও ঘর নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পৈত্রিক ও কবলাকৃত জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মান করে দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত ওফাজ উদ্দিন ফরাজির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, বড় কৈবর্তখালী গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে সোহরাফ হোসেন খোকন কিছুদিন পূর্বে তাদের অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে গোপনে বড় কৈবর্তখালী মৌজায় বিএস ৭৬৯ নং খতিয়ানের ২২৭০ ও ২০৯২ দাগে ৬.১০ শতাংশ ও ৪.৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহসড়কের পূর্ব পাশে ২২৭০ দাগ থেকে প্রায় ৬.৫৩ শতক জমি ক্রয় করে। কিন্তু সোহরাফ হোসেন খোকন তার কবলাকৃত সম্পূর্ণ সম্পত্তির চেয়েও বেশি জমি রাস্তার পার্শ্বের দামী পজিশন থেকে আপোষ মিমাংসা না করে জোরপূর্বক রাতের আধারে দখল করে বেড়ি বাধ দেয়। মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, তার পিতা ওফাজ উদ্দিন ফরাজী এর ওয়ারিশ ও রাশিদা আক্তারের কাছ থেকে একই তফসিলভূক্ত জমি সাব কবলা সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। ওই বিরোধীয় জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক তারিকুল ইসলাম ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হয়ে ঝালকাঠি আদালতে ঝালকাঠিতে প্রিয়েমশন (জমি অগ্রক্রয়) আইনে মামলা নং ১১/২০২৪ এবং ১৬/২০২৪ দায়ের করলে আদালত গত ১ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাই মাহাবুবুর রহমান ওই জমি নিয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা নং ১১২/২০২৪ দায়ের করেন। যা শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে উভয় পক্ষকে নির্মান কাজ পরিচালনা করতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রাজাপুর থানার পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মানের লক্ষ্যে পিলার তৈরী করে এবং পরবর্তীতে তাদের হয়রানী ও ফাসানোর জন্য জমির এক পার্শ্বে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পূর্বে নির্মিত একটি ছোট কুঁড়েঘর নিজে ভাংচুর করে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মান ও পিলার তৈরি কাজ বন্ধ পূর্বক আইন আমান্যকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বিষয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাফ হোসেন খোকন জানান, তিনি দলিলমূলে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে ৬.১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু তারা তো পুরো জমির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে না। আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিতে তো আমরা বাধ্য। তিনি দাবি করেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্য অংশে কাজ শুরু করলে তারা কিছু পোলাপান নিয়ে সবকিছু মেচাকার করে ফেলছে। রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙখলা বজায় রাখতে জমিতে প্রবেশে বারন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আদালতের রায়ের আদেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু সম্পূর্ণ বিষয়টাই আদালতের তাই আদালতের নির্দেশনা কোন পক্ষ উপেক্ষা করলেও তা ওই আদালতে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



২২৭৬ নেতাকর্মী হত্যা-গুমের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে দলটির মামলা ও তথ্য বিষয়ক প্রতিনিধি দলের তিনজন সদস্য ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন।

এ সময় তারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমগীরের সই করা চিঠি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আসেন। এতে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের জেলা উপজেলা,মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যন্ত ক্রসফায়ার ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

এছাড়া ১৫৩ জনকে গুম করা হয়, যাদের মধ্যে অনেকে এখনও নিখোঁজ বলে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

ঢালাও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

বাংলাদেশে দ্রুত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তিনি বলেন, আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। আর এটি বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সহায়তা করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউওআইএনকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক গারসেটি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ডব্লিউআইওএনের ‘ভিডিও জার্নালিস্ট’ ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ছে চীনের। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা উভয়েই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথাও বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একক নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউওআইএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশ—ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনই নির্যাতনের শিকার না হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটি ধারণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।

তবে তার ঘোষিত সময় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে অসন্তোষ রয়েছে। দলটির নেতারা আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জানিয়েছেন।


আরও খবর

ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫