Logo
শিরোনাম

ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় শিবিরের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে শহরের কাচারী মসজিদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। এ হামলায় মাধ্যমে তারা শুধু শান্তি চুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি বরং পবিত্র মাহে রমজানে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে সীমিত সামর্থ ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই চূড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে। 

এ সমাবেশে ছাত্রশিবির নওগাঁ জেলা শাখার  সভাপতি সারওয়ার হোসেন, সেক্রেটারি আব্দুর রাকিব অফিস সম্পাদক আজফারুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



গজারিয়ায় উদ্ধারকৃত মর্টাল শেলের অপরিকল্পিত বিস্ফোরণ!

কেঁপে উঠলো গোটা গ্রাম,ক্ষতিগ্রস্থ অর্ধশত বসতবাড়ি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এতে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের ৫০-৬০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তীব্র শব্দে মারা গেছে তিনটি গরু। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন চড়াও হয় পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর।জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করতে বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। রাত ৭টা ৫৬ মিনিটে মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোটাই বেশী ছিল যাতে গ্রামটির অর্ধশত ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে সেলিম, হারেস, রশিদ, রফিজ, রেনু মিস্ত্রী, ফরিদ হোসেন, আব্দুল হান্নান, মানিক মিয়া, জলিল, মুক্তার হোসেন, আব্দুল গাফফার, সেলিম মিয়া, বারেকের বাড়িসহ গ্রামটির অর্ধশত বাড়ি ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তীব্র শব্দ আশিক নামে এক চাষীর ৩টি গরুসহ মোট ১৭টি গবাদি পশু মারা গেছে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানী আব্দুর রশিদ বলেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল, প্রায় তিনশ মিটার দূরের আমার দোকানের প্রায় সব কিছু উড়ে যায়। শুধু আমার নয় আশপাশের অন্তত ৫০-৬০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদ ও বিল্ডিং-এ ফাটল ধরেছে। তীব্র শব্দে মারা গেছে গোয়ালে থাকা গরু বাছুর।ঘটনাস্থলের চার কিলোমিটার দূরে বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা তানিয়া আক্তার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ঠিক ৭টা ৫৬ মিনিটে আমরা তীব্র ঝাকুনি অনুভব করি। প্রথমে বিষয়টিকে আমরা ভূমিকম্প ভাবলেও পরে জানতে পারি আড়ালিয়া গ্রামের উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয়দের জনরোষে পড়ে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা। গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে স্থানীয় কয়েকজন।বিষয়টি সম্পর্কে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল বলেন, মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানোর পরে আশেপাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা আমাদের ওপর চড়াও হয়। কেন আমরা বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের মর্টার শেলটি দূরে কোথাও নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে বললাম না সেজন্য তারা আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করায় আশেপাশের কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে, সেনাবাহিনী সেখানে যাচ্ছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, বিস্তারিত পরে জানাবো।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন হানিফের কৃষি জমিতে মাটি কেটে আইল বানাতে গিয়ে একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা এটিকে প্রথমে সীমানা পিলার মনে করলেও পরবর্তীতে পুলিশ জানায় এটি একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল।


আরও খবর



নওগাঁয় কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার সকাল ১১ টারদিকে মান্দা উপজেলার চকউলী গ্রাম থেকে আম গাছের ডালের সাথে দড়ির ফাঁস লাগানো কলেজ পড়ুয়া ছাত্র

রায়হান মোল্লা (২৩) এর মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। নিহত রায়হান মোল্লা মান্দা উপজেলার চকউলী গ্রামের আব্দুল খালেখ মোল্লার ছেলে এবং স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত রায়হান মোল্লা 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক বিরোধের জেরে বাবা মায়ের উপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বাহিরে যায়। আজ বুধবার ৯ এপ্রিল সকালে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় লোকজন। ঘটনাটি ফোন করে থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাদা ও চাচা কর্তৃক শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে দাদা ও চাচার বিচার দাবিতে শুক্রবার ১৮ এপ্রিল নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা'র স্বজনরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা (১৬) এর মামা ফজলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সানজিদা'র মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামানিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল ও মামা হামিদুল প্রামানিক।

লিখিত বক্তব্যে স্কুল ছাত্রী সানজিদার মামা ফজলুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কিশোরী সানজিদা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে ও উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী ছিলো। সানজিদার

বাবা দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে ও আরব আমিরাত (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল তার বসত-ভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মা বসবাস করাকালে সেই জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এতে প্রবাসী শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধা দেয় এবং বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গাঁয় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বলে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এরপর থেকে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মায়ের সাথে তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক বিরোধ লেগে থাকতো। সেই জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে সানজিদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্কুল ছাত্রী সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। 

এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন। এসময় আরে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সানজিদা প্রাইভেট পড়ে সকাল ১১টারদিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে এক পর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর করে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় মেয়ে সানজিদাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঐ দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যায় জড়ীত তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের বিচার দাবি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। অপরদিকে এব্যাপারে জানতে চাইলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ

শাহাবুদ্দীন বলেন, ঐ ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে যেহতু রাজশাহী রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এর পরি-প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় জুয়ার আসর থেকে মদ্যপ অবস্থায় ৪ জন আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলায় বৈশাখী মেলা থেকে সেনা বাহিনীর অভিযানে জুয়ার আসর থেকে মদ্যপ অবস্থায় ৪ জন হাতেনাতে আটক।বুধবার পূর্বরাত সাড়ে ১২টারদিকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত ৪ জন হলেন, নওগাঁ সদর থানাধীন বরুনকান্দি গ্রামের খাদিমুলের ছেলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (৫৪), লকাইজানী গ্রামের মৃত খুদা বক্সের ছেলে পিন্টু (৪৪), একই গ্রামের পিন্টু হোসেনের ছেলে তামিম (১৮) ও কুসাডাঙ্গা গ্রামের মৃত চেরু মন্ডলের ছেলে কলিম উদ্দিন (৬৮)।

জানা যায়, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নওগাঁ সদর উপজেলার লখাই জানি বাজারের পাশে বৈশাখী মেলা চলছিল। এ মেলায় প্রশাসনের অগোচরে নিসিদ্ধ জুয়া খেলা চলচ্ছিল। ডিজি এফ আইয়ের এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে মেলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখে বেশ কয়েক জন পালিয়ে গেলেও ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় জুয়া খেলার সামগ্রীসহ তাদেরকে মদ্যপান অবস্থায় আটক করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এবিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় সোপার্দ করেছেন তবে কেউ বাদী না হওয়ায় আটককৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



রাজধানীতে ফিরে এলো ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সুলতানি আমলে পুরান ঢাকায় একসময় ঈদ মিছিল হতো। সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করে এবার ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে, পাশাপাশি আয়োজন করা হবে ঈদ মেলার।

১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হলেও নামাজ, রোজা ও ঈদ উদ্‌যাপনের প্রচলন হয় তার বেশ আগে থেকেই। তবে ঘটা করে ঈদ পালনের রীতি শুরু হয় স্বাধীন সুলতানি আমলে।

ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আনন্দ ভাগাভাগি হতো। তবে বঙ্গদেশে ঈদ উদযাপনকে প্রাণবন্ত করে তোলে মোগলরা। মোগলদের সময় ঈদ উদযাপনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ঈদ মিছিল। রাজধানীতে ঈদের দিন মোগল সম্রাটরা নামাজ পড়তে যেতেন মিছিল করে। মোগলাই জৌলুস প্রকাশিত হতো সেই ঈদ মিছিলে। 

১৬১০ সালে বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে সুবেদার ইসলাম খাঁ চিশতী যখন বাংলা সুবার রাজধানী বিহারের রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। নায়েব-নাজিমদের আমলে ঈদ মিছিল বিস্তৃতি লাভ করে ও বর্ণাঢ্য হয়। ব্রিটিশ আমলেও সগৌরবে বহাল ছিল ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য। পাকিস্তান আমলে এটি অব্যাহত থাকলেও এক পর্যায়ে বন্ধও হয়ে যায়।

এরপর গত শতাব্দীর শেষ দশকের শুরুতে চালু হয় ঢাকার ঈদ মিছিল। তবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবেদন ধরে রাখতে না পেরে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে পুরান ঢাকার ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য।

গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি এই সরকারের পক্ষ থেকে হারানো ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দিন যত যাচ্ছে ঈদ আয়োজনটি ক্রমে কালেক্টিভ, সামাজিক রূপ থেকে ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক উৎসবে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা ঈদের দিন অনেকটাই টিভি দেখে, ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি।

তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে তিনি বলেন, সুলতানি আমল কিংবা মোগল আমলে ঈদের ঐতিহ্য নামাজের পর ঈদ মিছিল, আমরা সেই ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করতে চাই। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে ঈদের জামাতের পর একটি বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করব।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাতের পর ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। ঈদ মিছিলটি হবে বর্ণাঢ্য। মিছিলের সামনে শাহি ঘোড়া ও সামনে-পেছনে ২০টির মতো ঘোড়ার গাড়ি থাকবে। ঈদকে আরো বেশি আনন্দময় ও জমকালো করতে থাকছে ঐরাবত হাতি। ব্যান্ড পার্টি থাকবে, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাসসংবলিত চিত্রকলাও থাকবে। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। অন্যান্য ধর্মামাবলম্বীও আসবেন। এর মাধ্যমে ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, ঈদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ঈদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাতাসা থাকবে আপ্যায়নে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ২০০টির মতো স্টল থাকবে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী, খাবার, চটপটি থাকবে। শিশুদের আনন্দের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমাদের ঈদ আনন্দ উৎসব শুধু পুরুষ বা নারীর জন্য নয়, এখানে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজন থাকবে। পুরো পরিবার নিয়ে সবাই যেন উপভোগ করতে পারেন এই ব্যবস্থা থাকছে ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসবে।


আরও খবর