Logo
শিরোনাম

ফিরতি পথে যাত্রীঢল ও বাড়তি ভাড়া আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরি এবং লঞ্চ ঘাট এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে কর্মস্থলে ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল নামে। লঞ্চ ও ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা-যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন তারা। অনেকেরই ঈদের ছুটি শেষ। আগামীকাল থেকে অফিস করতে হবে। অনেক গার্মেন্ট আগামীকাল খোলার কারণে যাত্রীরা আগেভাগেই বাড়ি থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করছেন।

শুক্রবার পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কর্মজীবী মানুষ রাজধানীর কর্মস্থলে ফিরতে লঞ্চ ও ফেরিতে গাদাগাদি করে উঠেছেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার এসব মানুষ নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে আসছেন। অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ বাস মালিক ও শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন তারা।

স্বাভাবিক সময়ে সেলফি, নীলাচল, হিমাচল, যাত্রীসেবা বাসের ভাড়া পাটুরিয়া থেকে নবীনগর পর্যন্ত ১২০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাটুরিয়া থেকে গাবতলীর ভাড়া স্বাভাবিক সময়ে নেওয়া হয় ১৮০ টাকা। এখন যাত্রীদের কাছে থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে বাস শ্রমিকদের হাতে।

শিবালয় বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আপেল মুন্সী জানান, ১০০ টাকার বেশি জিপি নেওয়ার নিয়ম নেই। অতিরিক্ত জিপির নামে চাঁদা নেওয়া হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন। আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে ঢল নেমেছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১৫টি ও আরিচা-কাজীরহাট-নৌ-রুটে ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী, প্রাইভেট কার ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।

শিবালয় থানার ওসি আবদুর রউফ সরকার জানান, কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেননি। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রেমিকার উপর অভিমান করে প্রেমিকের আত্নহত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে প্রেমিকার উপর অভিমান করে সাগর হোসেন (২০) নামে এক প্রেমিক যুবক আত্মহত্যা করেছে। থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ১০ মে শনিবার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এরপূর্বে শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রেমিক যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত সাগর হোসেন নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার রামরামপুর তেলিপাড়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে বলে জানাগেছে।

নিহতের বাবা রহিদুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত কারনে সাগর তার নিজ ঘরে বিষ পান করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে রাতেই উদ্ধার করে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি দেখে শুক্রবার জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।


প্রেমিক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সুত্রমতে ২০২১ সালে হরিতকীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষায় পাশ করার পর সাগর তার পছন্দের মেয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং এক পর্যায়ে আত্নহত্যা করেন। তার বড় চাচা আব্দুর রহিম সহ প্রতিবেশীরাও ধারণা পোষন করে বলেন, এটি কোনো সাধারণ অভিমান নয়, পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে না পারাই তার আত্মহত্যার প্রধান কারন।

তবে নিহতের বাবা রহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের সাথে আমাদের কখনো কোনো মতবিরোধ হয়নি। সে কারো সাথে বা কোন মেয়ের সাথে সম্পর্কে ছিলো এমনটাও আমার জানা নেই। এব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে যুবকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে শনিবার ১০মে সকালে  ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে সাজানো নাটক চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বললেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, নাসির উদ্দিন পিন্টুকে আজ যেভাবে স্মরণ করা হচ্ছে, এই নাসির উদ্দিনদের মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের এই বিএনপি।

এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলনকে নাটক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে।

তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনো আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে; এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অথচ সরকার কিছু জানে না; তারা কী জানে?

তাছাড়া, প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।

সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে এনসিপি কেন কথা বলছে না— দলটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, বিশ্বের ডিকশনারিতে মানবিক করিডর বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারবো না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি মানবিক করিডর দেওয়া হবে, কেন কার স্বার্থের জন্য করিডোর, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।

এসময় মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ কথা বলছে না। জামায়াত, চরমোনাই কেউ কথা বলছে না। বিএনপিকে শেষ করতে পারলেই আওয়ামী লীগের মত দেশ লুটেপুটে খাওয়া যাবে।

নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।


আরও খবর



পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উত্তেজনা নিরসনসহ সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ভারত এখন সংঘাত এড়াতে নয় বরং পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে — এমনটাই জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মিরে হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পাশাপাশি দিল্লিতে অবস্থিত শতাধিক কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছে।

তবে ভারতের এই প্রচেষ্টা মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতে নয়, বরং (পাকিস্তানে) সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চারজন কূটনৈতিক কর্মকর্তা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক ভাষণে মোদি সরাসরি পাকিস্তানের নাম না নিলেও “সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো ধ্বংস করার” এবং “কঠোর শাস্তি” দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় টানা কয়েক রাত ধরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি হয়েছে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন— গত তিন রাত ধরেই গোলাগুলি হয়েছে, আবার কেউ বলেছেন— গত তিন রাতের মধ্যে দু’রাতে গোলাগুলি হয়েছে।

অন্যদিকে কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। সেখানে শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের দিকে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধ করার ঘোষণা দেয় ভারত। সেই সঙ্গে পাকিস্তানি দূতাবাসের কিছু কর্মী ও ভারতে সফররত পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো — বিশেষ করে কাশ্মির সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতির চুক্তি — স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতে মুসলিম বিরোধী মনোভাবও বাড়ছে। কাশ্মিরের বাইরে অন্য শহরগুলোতে পড়াশোনা করা কাশ্মিরি শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়ছেন এবং অনেকেই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন।

এদিকে হামলার পাঁচ দিন পরও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম ঘোষণা করেনি এবং হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের জড়িত থাকার পক্ষে খুব কম প্রমাণ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার এই হামলায় নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তানের অতীতের সন্ত্রাসবাদে সহায়তার ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তারা জানান, সর্বশেষ এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং হামলাকারীদের পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের মতে, এখন পর্যন্ত শক্ত প্রমাণের অভাব দুটি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়: হয় ভারত আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য সময় নিচ্ছে, নয়তো বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তারা মনে করছে— আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়েই পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

অবশ্য ভারত ও পাকিস্তান — উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ায় সামরিক সংঘাত দ্রুত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে। তবে বর্তমানে ভারতের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক চাপের “তোয়াক্কা অনেক কম”।

ইরান ও সৌদি আরব দুই পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় শক্তিগুলো এখন অন্য সংকট নিয়ে ব্যস্ত, ফলে ভারত অনেক দেশ থেকে “সমর্থন” পাওয়াকে কার্যত তার ইচ্ছামতো ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের বন্ধু হলেও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম তিন মাস পার হয়ে গেলেও এখনও ভারতে কোনও মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আর এটি দক্ষিণ এশিয়াকে ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকারের তালিকায় নিচে থাকার ইঙ্গিত দেয়।

এমনকি যদি যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য শক্তিধর দেশ এই সংঘাতে নিজেদের ঢুকিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে, তবুও তাদের প্রভাব সীমিত থাকতে পারে। কারণ ভারত ও পাকিস্তান ইতোমধ্যেই কাশ্মির নিয়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে। উভয় দেশই কাশ্মিরের সম্পূর্ণ অংশ দাবি করলেও তারা কার্যত একটি অংশ শাসন করে এবং নয়াদিল্লি এই বিরোধটিকে কেবল পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা হিসাবে দাবি করে থাকে।

মূলত ২০১৯ সালে হওয়া কাশ্মিরের আগের বড় সংঘাতের সময়ের মতোই এবারের হামলা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমিক প্রতিক্রিয়া একই রকম। তখন অবশ্য জইশ-ই-মুহাম্মদ নামের পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট ছিল।

সে সময় ভারত সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় এবং পরে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়ে একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। পরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভারতীয় ওই পাইলটকে আটক করে।

এবার ভারত “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনা করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে। পাকিস্তানও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভারতের যেকোনও আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার চেয়ে বড় আঘাত হানবে তারা।

বিশ্লেষক ড্যানিয়েল মার্কির মতে, উভয় পক্ষই নিজেদের সংকট সামলানোর সক্ষমতা অতিরঞ্জিত করে দেখছে, ফলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

এছাড়া, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার হামলাকারী দলের পরিচয় ও সংখ্যা নিয়েও যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে কার্যত এক অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক দাবি, এটি আসলে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন।

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন জানিয়েছেন, মোদি সরকারের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই, কারণ ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত। মোদি সরকার একণ চাপের মধ্যে রয়েছে, কারণ তারা কাশ্মিরকে সম্প্রতি আরও নিরাপদ এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি জায়গা হিসেবে উপস্থাপন করছিল, অথচ সেখানে বড় ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা দিয়েছে।

তবে মেনন বলেন, “আমি খুব একটা চিন্তিত নই কারণ, উভয় পক্ষই সংঘাতের একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকতে পছন্দ করে।”

এখন পর্যন্ত পরিষ্কার প্রমাণ সামনে না এনেই ভারত পাকিস্তানের অতীতের “সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার” ইতিহাস তুলে ধরে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে অনেক কূটনীতিক একে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন।

একজন কূটনীতিক পর্যন্ত মন্তব্য করেছেন, “কেবল অতীতের রেকর্ডের ওপর নির্ভর করে কি আপনি পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করবেন?


আরও খবর



নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডসের সমস্যা কম বেশি সবারই বেশি আছে। নাকের দুপাশে এই কালো কালো দানার মতো স্পট দেখা যায়। এগুলোই ব্ল্যাকহেডস। তবে এই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে যেতে হবে না পার্লরে। ঘরে বসেই দূর করা সম্ভব এই ব্ল্যাকহেডস।

প্রতিদিন নিয়ম করে নিতে হবে ত্বকের যত্ন। কারণ প্রতিদিন বাইরে বের হলে দূষণ, ধুলা ময়লা ছাড়াও কারণে ত্বকের বারোটা বাজে। আমাদের নাকের দুপাশে ভরে যায় ব্ল্যাকহেডস। কারো কম বা কারো আবার বেশি হয়। এই সমস্যা সবারই আছে। ঘরে বসেই এই ব্ল্যাকহেডস দূর করা সম্ভব। জেনে নিন তেমনই ৪ সহজ উপায়।

ব্যবহার করুন দুধ

দুধে রয়েছে এনজাইম, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। তাই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে খুবই কাজে দেয় এই উপাদানটি। এছাড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে আপনার বলিরেখাও মলিন করে তোলে। কিন্তু ব্ল্যাকহেডস সরাতে কীভাবে এই দুধ ব্যবহার করবেন? জেনে নিন।

একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তাতে সামান্য পরিমাণে দানা দানা লবণ মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ব্ল্যাকহেডসের উপর লাগিয়ে সামান্য ঘষে নেবেন। তবে জোরে চাপ দিয়ে ঘষবেন না। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতেই দূর হবে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা।

কাজে লাগবে ওটস

ব্ল্যাকহেডস দূর করতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। তার মধ্যে ওটস অন্যতম। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পেস্ট। কীভাবে ব্যবহার করবেন? ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কীভাবে কাজে লাগাবেন এই ওটসকে?

একটি পাত্রে পরিমাণমতো ওটস নিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন ওটস যেন সামান্য দানা দানা থাকে। এর সঙ্গে সামান্য পানি আর মধু মিশিয়ে নিন। ওটস আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করবে। আর মধু আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ব্ল্যাকহেডসের উপর এই প্যাক লাগিয়ে সামান্য ঘষে নিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

তেল নিয়ন্ত্রণে ডিমের সাদা অংশ

ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ থেকেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এতে বাড়তে পারে ব্ল্যাকহেডস। আর দেখা দিতে পারে ব্রণ সমস্যা। তাই আপনার মুখের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজটি জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডিমের সাদা অংশ। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে। সেই সঙ্গে ধুলা-ময়লা থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। তাই ব্ল্যাকহেডস হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়।

একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ নিন। তাতে যোগ করুন এক চা চামচ মধু। তারপর খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার আপনার মুখে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, সেখানে এটি ভালো করে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনেই পার্থক্য চোখে পড়বে।

ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি

সবার বাড়িতে নিশ্চয় পেট্রোলিয়াম জেলি আছে। এটি ব্যবহার করেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে পারেন। আপনার নাকের দুপাশে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, তার উপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এবার গরম পানিতে ভিজানো তোয়ালে ভালো করে নিংড়ে নিন। সেটি আপনার মুখের উপর দিয়ে রাখুন। বেশ কিছুক্ষণ মুখের উপর রাখতে হবে। এতে মুখের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এবার তোয়ালে সরিয়ে ওয়াইপস বা টিস্যু দিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মুছে নিন।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




মোরেলগঞ্জে একটি শতবর্ষী মসজিদের নামকরন বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী খানবাড়ি জামে মসজিদে নামকরণ নিয়ে চলমান বিরোধ ও জুমার নামাজে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। মসজিদটির নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রে একটি কুচক্রী মহল  মেতে উঠেছে ।  তবে, (গত ৯ মে শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় আবারও উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে মোকাম বাগেরহাট বিজ্ঞ মোরেলগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।  

  শতবর্ষী মসজিদটি স্থানীয় খান পরিবার ও মুসল্লিদের অর্থায়নে নির্মিত, দলিল, ইউটিলিটি বিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও গুগল ম্যাপে “খানবাড়ি জামে মসজিদ” নামে নথিভুক্ত। তবে একটি গোষ্ঠী দাবি করছে, মসজিদের নাম পরিবর্তন করতে হবে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও, অভিযোগ রয়েছে যে বিবাদী পক্ষ নিয়মিতভাবে মসজিদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এর প্রতিকার চায় শত শত মুসল্লি ও স্থানীয়রা।

গত শুক্রবার পোলেরহাট ফাঁড়ি পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজের সময় মোঃ কিসলু কাজী ও আমিনুল ইসলাম জুলহাস সরদার সহ কয়েকজন হুংকার দিয়ে মসজিদের নাম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। পুলিশ তাদের আইন মানার নির্দেশ দিলে উত্তাপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, এই গোষ্ঠীর প্রতি জুমায় ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং খান পরিবারসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি  দিয়ে আসছে।  এতো পুরানো মসজিদের তারা নাম চেইঞ্জ করতে বললেই কি করা সম্ভব?।

২০২৫ সালে মসজিদের জমিদাতা মৃত হাবিবুর রহমান খান-এর সন্তান ও সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান (বর্তমান সভাপতি)-এর বাড়িতে হামলা হয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া খান পরিবার ও মুসল্লিদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, ভীতি প্রদর্শন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

 মোরেলগঞ্জ থানার ওসি বিষয়টি অবহিত আছেন। পুলিশ উভয় পক্ষকে আদালতের রায় মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একাধিক মুসল্লি ও স্থানীয়রা বলেন, আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা রক্ষায় সহযোগিতা করতে হবে।


আরও খবর